তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৬
নতুন সময়ের অতন্দ্র প্রহরী শিল্পীরা
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর):
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কৃতিসহ দেশের সকল অঙ্গনে যে নতুন সময়ের সূচনা করেছেন, অতন্দ্র প্রহরীর মতো শিল্পীদের তা রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে। আর লাকী আখন্দের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করাও আমাদের সকলের দায়িত্ব।
মন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাওরানবাজারে ট্রেডিং কর্পোরেশন অভ্ বাংলাদেশ (টিসিবি) মিলনায়তনে জি-সিরিজ এবং অগ্নিবীণা প্রোডাকশন্স এর উদ্যোগে অসুস্থ সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার লাকী আখন্দকে আজীবন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী জি-সিরিজের পক্ষ থেকে দেয়া সম্মাননা স্মারক এবং এক লাখ টাকার চেক লাকী আখন্দের বোন জেসমিন আখন্দ এবং ভ্রাতুষ্পুত্র দিপু আখন্দের হাতে তুলে দেন। জি-সিরিজ এবং অগ্নিবীণা প্রোডাকশন্স এর স্বত্বাধিকারী নাজমুল হক ভূইয়া খালেদের সভাপতিত্বে বরেণ্য নজরুলশিল্পী খালিদ হাসান, রবীন্দ্রশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, ফকির আলমগীর, হায়দার হোসেনসহ প্রথিতযশা ও নবীন প্রতিভাবান সংগীতশিল্পীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় ঈদ উপলক্ষে জি-সিরিজ এবং অগ্নিবীণা প্রোডাকশন্স এর সকল প্রকাশনারও মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী।
হাসানুল হক ইনু বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনে লাকী আখন্দের বহুমুখী প্রতিভাদীপ্ত সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কথার ওপর সুরারোপে দক্ষতার জন্য লাকী ‘সুরের বরপুত্র’ বলে পরিচিত। আমরা সবাই প্রার্থনা করি যাতে তিনি সুস্থ হয়ে আবার সংগীতের জগতে ফিরে আসেন।’এসময় তার অকালপ্রয়াত ভাই শিল্পী হ্যাপী আখন্দের কথাও স্মরণ করেন মন্ত্রী। লাকী আখন্দের প্রতি এ সম্মান জানানোর জন্য জি-সিরিজ কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। শিল্পীদের সঙ্গকে পুষ্পিত সৌরভের সঙ্গে তুলনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পীদের সান্নিধ্যে এলে হƒদয় প্রসারিত হয়। কারণ কোন মালিন্য তাদের স্পর্শ করতে পারে না। অসাম্প্রদায়িক, সাম্যবাদী বাংলাদেশ গড়তে তাই অগ্রণী ভূমিকা রাখা তাদের দায়িত্ব।’
‘যে জাতি বীরের সম্মান দেয়, সে জাতিই পারে নতুন বীর জন্ম দিতে। যে জাতি ইতিহাসকে সম্মান করে, সে জাতিই পারে নতুন ইতিহাস গড়তে’ উল্লেখ করে ইনু বলেন, শিল্পাঙ্গনে অবদান রাখার জন্য অবশ্যই প্রত্যেক শিল্পী-সুরকার-গীতিকারকে সম্মান জানাতে হবে, তবেই নতুন শিল্পীদের জন্ম হবে। অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ।
#
আকরাম/আফরাজ/নবী/মোশারফ/আব্বাস/২০১৫/২২৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৫
পাটের মোড়ক আইন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার
---বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর) :
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান চালাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সভাপতিত্বে আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানান, পাটজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি এবং কৃত্রিম মোড়ক ব্যবহারজনিতকারণে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণরোধকল্পে শেখ হাসিনার সরকার ২০১০ সালে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন প্রণয়ন করে যা ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে। উক্ত আইনের আওতায় ধান, চাল, গম, ভুট্টা, চিনি ও সার মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের বা পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইনটি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় বর্তমানে দেশের পাটশিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।
তাই সরকার দেশের বৃহত্তর স্বার্থে যে কোনো মূল্যে পাটের মোড়ক আইন পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর দেশের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি উপজেলায়, রাস্তা-ঘাট ও উল্লিখিত পণ্যবাহী যানবাহনসহ সর্বত্র মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি উক্ত আইন বাস্তবায়নে জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হুমায়ুন খালেদ, কৃষি, স্বরাষ্ট্র, শিল্প, পরিবেশ ও তথ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট গুডস এসোসিয়েশন ও শিপার্স কাউন্সিল অভ্ বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তবৃন্দ এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/আফরাজ/মোশাররফ/আব্বাস/২০১৫/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৩
বাংলাদেশি বিচারকদের পিসিএ সদস্যপদ লাভ
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর) :
বিচারপতি মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম এবং বিচারপতি মোঃ আওলাদ আলী নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত স্থায়ী সালিশী আদালত (পিসিএ)-এর সদস্যপদ লাভ করেছেন। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি বিচারকগণ সন্মানজনক এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ লাভ করলেন।
আন্তর্জাতিক বিবাদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে গৃহীত ১৯০৭ সালের হেগ সম্মেলনের ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরবর্তী ৬ বছরের জন্য বাংলাদেশি বিচারকদ্বয়ের নিয়োগ পাওয়াকে স্থায়ী সালিশ আদালতের আন্তর্জাতিক ব্যুরো স্বাগত জানিয়েছে। এই নিয়োগ হেগে অবস্থিত আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ যে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারই প্রতিফলন।
বিচারপতি মো. তোফাজ্জল ইসলাম একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি মোঃ আওলাদ আলী হাইকোর্ট বিভাগের একজন প্রাক্তন বিচারপতি।
বিচারপতি মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের শাস্তির জন্য হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখাসহ বিভিন্ন দৃষ্টান্তমূলক বিচারের রায় প্রদান করেন। বিচারপতি মো. আওলাদ আলী, তাঁর পেশাগত জীবনে আইনজীবী হিসেবে অনেক বাণিজ্যিক সালিশী মামলা অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিচালনা করেছেন। উভয় বিচারপতি তাঁদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এবং সালিশী আদালতে যথাযথ অবদান রাখতে সক্ষম।
স্থায়ী সালিশী আদালত, দি হেগ এর একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা “পিস প্যালেস” এ অবস্থিত। এটি ১১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে বিবদমান বিষয়সমূহের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং সালিশ পরিচালনা করে আসছে। এ বিচার আদালত থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিবাদের নিষ্পত্তি সাধিত হয়।
#
আফরাজ/নবী/মোশারফ/জয়নুল/২০১৫/২২০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০২
ইতালিতে বাংলাদেশ ডে অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিনিয়োগের চমৎকার স্থান
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর):
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এবং সামাজিকখাতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন বিশ্বের মধ্যে মডেল। আগামী ২০২১ সালে দেশের ৫০ বছরপূর্তিতে বাংলাদেশ একটি মধ্যমআয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বদরবারে আত্মপ্রকাশ করবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এজন্য সরকার ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক রপ্তানিপণ্য এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আজ ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত এক্সপো মিলানো-২০১৫ তে “বাংলাদেশ ডে” উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ ইমার্জিং টাইগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য লাভজনক স্থান। বাংলাদেশে এখন কমমূল্যে দক্ষ শ্রমশক্তি পাওয়া যায়। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা মোতাবেক বিশেষ সুযোগসুবিধা ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইতালি বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। ইতালি বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে। অস্ত্রছাড়া সকল পণ্য বাংলাদেশ ইতালিতে রপ্তানি করে আসছে। ইতালির বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া, পাদুকাসহ চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা প্রচুর। গতবছর বাংলাদেশ ইতালির সাথে ১৭৪৭.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্য করেছে। বাংলাদেশ ইতালিতে রপ্তানি করেছে ১৩৮২.৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৩৬৫.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একসময় শুন্য হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল। আজ দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ, খাদ্যের কোন অভাব নেই। দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশ এখন বিদেশে চাল রপ্তানি করছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ৬৮টি দেশে ২৫টি পণ্যের রপ্তানি করে আয় করেছিল ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ গতবছর ১৯৬টি দেশে ৭২৯টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে ৩১.২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের জিডিপি গ্রোথ এখন ৬ শতাংশের উপরে। রপ্তানির গ্রোথ গত ১৫ বছরে গড়ে ১২.৮৭ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি এখন আর তৈরি পোশাক আর চিংড়ি রপ্তানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বাংলাদেশ এখন পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, হালকা যন্ত্রপাতি, আইসিটি, হস্ত শিল্পজাত পণ্য, ফার্নিচার পৃথিবীর উন্নত দেশে রপ্তানি করছে। এসকল পণ্যের মান ভাল হবার কারণে চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশেও ইতালির বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে তৈরি পোশাক এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি শিল্পে পাঁচটি ইতালিয়ান কোম্পানি কাজ করছে।
ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত এক্সপো মিলানো-২০১৫ তে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এতে সরকারি সেক্টরের ৪ জন এবং বেসরকারি সেক্টরের ১০ জন সদস্য রয়েছেন। মন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
#
বকসি/আফরাজ/নবী/মোশারফ/আব্বাস/২০১৫/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০১
পরিবেশ রক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘের
পুরস্কার প্রদান বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে
--দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর):
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম বলেছেন, পরিবেশ রক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অভ্ দ্য আর্থ’ পুরস্কার প্রদান বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর জনস¦াস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে ‘উপকূলীয় এলাকার জন্য লবণাক্ত পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে (গধংধঃড় ডধঃধহধনব), জনস¦াস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ এবং প্রকল্প পরিচালক মনিরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও জাপানি আর্থিক সহায়তায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি প্লান্ট জাপান থেকে সংগ্রহ করা হয়। এ প্লান্টগুলো ঝালকাঠি, খুলনা, পিরোজপুর, বরগুনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় সরবরাহ করা হবে। এর মাধ্যমে এ এলাকার ২ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।
এসময় মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশ ট্রাস্টফান্ড গঠনের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের জন্য উন্নত বিশ্ব দায়ি হলেও পরিবেশ রক্ষায় দাতারা প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদান করেনা। দাতারা প্রতিশ্রুত অর্থ দিক বা না দিক বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকার নিরসলভাবে কাজে করে যাবে বলে তিনি অঙ্গীরকার ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার উপকূলবাসীর নিরাপদ বাসস্থানের জন্য ঘূর্ণিঝড় সহনশীল ১ হাজার ঘর তৈরি করে দিয়েছে। এ এলাকায় ইতোমধ্যে ১শ’ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আরো ২শ’ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দুর্যোগে পতিত জনগণকে উদ্ধারের জন্য ওয়াটার এম্বুলেন্স ক্রয় করে উপকূলীয় জেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। আরো অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী আধুনিক জাহাজ সংগ্রহের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
#
ফারুক/আফরাজ/মোশাররফ/রফিকুল/আব্বাস/২০১৫/২১৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০০
বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত
২৩ সেপ্টেম্বর চামড়ার মূল্য ঘোষণা করবে ব্যবসায়ীগণ
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর) :
কোরবানির কাঁচা চামড়ার উপযুক্ত মূল্য ঘোষণা করা হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। আসন্ন ঈদুল আজহার পূর্বে চামড়ার মূল্য নির্ধারণের জন্য আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চামড়া শিল্প ব্যবসায়ীদের সাথে বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে একসভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জনগণ যাতে চামড়ার ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কোরবানির চামড়া নিয়ে যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয় বা সিন্ডিকেট না হয়, সে বিষয়ে সরকার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করতে যাতে কোনো বিক্রেতা প্রতারিত না হয় বা কোনো ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে কারণেই কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা ও প্রক্রিয়াজাত চামড়ার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হবে। চামড়া ব্যবসায়ীগণ ২৩ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে এ মূল্য ঘোষণা করবেন এবং তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।
এখন গরমের দিন, কাঁচা চামড়া লবণবিহীন বেশি সময় রাখা যায় না। তাই ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় লবণ দিতে হবে। ১০-১২ ঘণ্টা চাঁমড়ায় লবণ না দিলে নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাগণকে সচেতন থাকতে হবে। দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, লবণ সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে চাঁমড়া ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত আলী ওয়ারেসি, অতিরিক্তি সচিব অমিতাভ চক্রবর্তী, অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়, হাইড এন্ড স্কিন রিটেইল ডিলার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নওয়াব হোসেন, সেক্রেটারি লোকমান মিয়া, বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মো. জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব মো. রবিউল আলমসহ চামড়া ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তাগণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, এনএসআই, ডিজিএফআই এবং টেরিফ কমিশনের প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/আফরাজ/মোশাররফ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২১৩২ঘণ্টা
ঐধহফড়ঁঃ ঘঁসনবৎ: ২৬৯৯
ইধহমষধফবংয ঔঁফমবং নবপড়সব সবসনবৎং ড়ভ চঈঅ
উযধশধ, ২০ ঝবঢ়ঃবসনবৎ:
ঔঁংঃরপব গফ. ঞড়ভধুুধষ ওংষধস ধহফ ঔঁংঃরপব গফ. অষিধফ অষর যধাব নবপড়সব সবসনবৎং ড়ভ ঃযব চবৎসধহবহঃ ঈড়ঁৎঃ ড়ভ অৎনরঃৎধঃরড়হ (চঈঅ) ংরঃঁধঃবফ রহ ঞযব ঐধমঁব. ঞযরং রং ঃযব ভরৎংঃ ঃরসব ইধহমষধফবংযর লঁফমবং ধৎব মড়রহম ঃড় নব রহপষঁফবফ রহ ঃযরং ঢ়ৎবংঃরমরড়ঁং রহংঃরঃঁঃরড়হ ধং সবসনবৎ ড়ভ ঃযব পড়ঁৎঃ. ঞযব ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ইঁৎবধঁ ড়ভ ঃযব চঈঅ যধং বিষপড়সবফ ঃযব ধঢ়ঢ়ড়রহঃসবহঃং ড়ভ ঃযব ইধহমষধফবংযর লঁফমবং ভড়ৎ হবীঃ ৬ ুবধৎং রহ ধপপড়ৎফধহপব রিঃয অৎঃরপষব ৪৪ ড়ভ ঃযব ১৯০৭ ঐধমঁব ঈড়হাবহঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব চধপরভরপ ঝবঃঃষবসবহঃ ড়ভ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ উরংঢ়ঁঃবং. ঞযবংব ধঢ়ঢ়ড়রহঃসবহঃং ধৎব ঃযব ৎবংঁষঃং ড়ভ পড়হঃরহঁড়ঁং বহমধমবসবহঃ ড়ভ ইধহমষধফবংয ভড়ৎ ঢ়ৎড়সড়ঃরহম ড়িৎষফ ঢ়বধপব ঃযৎড়ঁময বীঃবহংরাব বহমধমবসবহঃং রিঃয ঃযব ষবমধষ রহংঃরঃঁঃরড়হং রহ ঞযব ঐধমঁব ধহফ নবুড়হফ.
ঔঁংঃরপব গফ. ঞড়ভধুুধষ ওংষধস রং ধ ভড়ৎসবৎ ঈযরবভ ঔঁংঃরপব. ঐব ধিং ঃযব ঢ়ৎরহপরঢ়ধষ ধঁঃযড়ৎ ড়ভ ংবাবৎধষ ষধহফসধৎশ লঁফমবসবহঃং রহপষঁফরহম ৎবঢ়বধষ ড়ভ ঃযব ঋরভঃয অসবহফসবহঃ ড়ভ ঃযব ঈড়হংঃরঃঁঃরড়হ ড়ভ ইধহমষধফবংয ধহফ ঁঢ়যড়ষফরহম ঃযব লঁফমবসবহঃ ড়ভ ঃযব ঐরময ঈড়ঁৎঃ উরারংরড়হ ংবহঃবহপরহম ঃযব শরষষবৎং ড়ভ ঋধঃযবৎ ড়ভ ঃযব ঘধঃরড়হ ঝযবরশয গঁলরনঁৎ জধযসধহ.
ঔঁংঃরপব গফ. অষিধফ অষর রং ধ ভড়ৎসবৎ লঁফমব ড়ভ ঃযব ঐরময ঈড়ঁৎঃ উরারংরড়হ. উঁৎরহম যরং পধৎববৎ, যব পড়হফঁপঃবফ পড়সসবৎপরধষ ধৎনরঃৎধঃরড়হ পধংবং ধং ধ ষধুিবৎ.
ইড়ঃয ঃযব লঁফমবং যধাব াধংঃ বীঢ়বৎরবহপব রহ ঃযব ৎবষবাধহঃ ভরবষফ.
চঈঅ রং ধহ রহঃবৎমড়াবৎহসবহঃধষ ড়ৎমধহরুধঃরড়হ রিঃয ১১৭ সবসনবৎ ংঃধঃবং. ঋৎড়স রঃং বংঃধনষরংযসবহঃ রহ ১৮৯৯ চঈঅ রং ধপঃরাব রহ ভধপরষরঃধঃরহম ধৎনরঃৎধঃরড়হ ধহফ ড়ঃযবৎ ভড়ৎসং ড়ভ ফরংঢ়ঁঃব ৎবংড়ষঁঃরড়হ নবঃবিবহ ংঃধঃবং. ঞযরং রং ঃযব পড়ঁৎঃ ভৎড়স যিবৎব ধৎনরঃৎধঃরড়হ ফবপরংরড়হ ড়হ সধৎরঃরসব নড়ঁহফধৎু ফরংঢ়ঁঃব নবঃবিবহ ইধহমষধফবংয ধহফ ওহফরধ ধিং ধধিৎফবফ.
#
অৎধভধঃ/অভৎধু/গড়ংযধৎধভ/অননধং/২০১৫/২১০২ ঐড়ঁৎং
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৮
আয়কর মেলার পঞ্চম দিনে কর আদায়
২৪১ কোটি ৭৬ লাখ ৭ হাজার ২৮৯ টাকা
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর) :
আয়কর মেলার পঞ্চম দিনে কর আদায় হয়েছে ২৪১ কোটি ৭৬ লাখ ৭ হাজার ২৮৯ টাকা।
আজ সপ্তাহব্যাপী মেলার পঞ্চম দিনেও করদাতাদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। করদাতারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেলায় সেবাগ্রহণ, আয়কর প্রদান, ই-টিআইএন নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধন এবং আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
আজ ঢাকাসহ ৭টি বিভাগের ৫১টি জেলা ও ১৬টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আয়কর মেলা একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার আয়কর মেলা যথারীতি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
উল্লেখ্য, আজ পঞ্চম দিন পর্যন্ত আয়কর মেলায় মোট আদায় হয়েছে এক হাজার ৩৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
#
মু’মেন/আফরাজ/মোশাররফ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৫/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৭
বিটিসিএল কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে
---তারানা হালিম
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর):
দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করার জন্য বিটিসিএল কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তিনি আজ ঢাকায় বিটিসিএল প্রধান কার্যালয়ে বিটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিটিসিএল একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সেবার মাধ্যমেই এ প্রতিষ্ঠানকে জনগণের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে এবং বিটিসিএলের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে বিটিসিএলের বদনাম আছে। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিটিসিএলে অনেক মেধাবী কর্মকর্তা আছেন। তাঁরা যদি কর্মদক্ষতা দিয়ে এবং সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করেন তাহলে বিটিসিএলকে লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন।
এসময় ডাক ও টেলিযোগযোগ সচিব মোঃ ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং বিটিসিএলের সদস্যবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময়কালে বিটিসিএলের কর্মকর্তাগণ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
#
আফরাজ/মোশাররফ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৫/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৬
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর) :
জাতীয় সংসদের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
আলহাজ মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মো. জাহিদ আহসান রাসেল, এ কে এম ফজলুল হক, মো. আবু জাহির, আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ (দুলাল), নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী ও নূরজাহান বেগম অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের মালিকানাধীন সম্পত্তি ও জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটি অবৈধ দখলকৃত জমি দ্রুত পুনরুদ্ধারের সুপারিশ করে।
কমিটি ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করণের কাজ ত্বরান্বিত করা এবং বিল্ডিংকোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে তদারকি জোরদার করার সুপারিশ করে। এছাড়া, ন্যাশনাল বিল্ডিংকোডে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার পরিবর্তে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণের বিধান সংযোজনের সুপারিশ করা হয়।
কমিটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন কার্যসহকারীর বিরুদ্ধে আনীত সরকারি সম্পত্তি বেহাতকরণের চক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হওয়ায় এ বিষয়ে পুনঃতদন্তের লক্ষ্যে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাবকমিটি গঠন করে। সাবকমিটির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক এবং সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ (দুলাল) ও নূরজাহান বেগম।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
শিবলী/আফরাজ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৫
স¦াস্থ্যমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে জাইকার সাহায্য অব্যাহত থাকবে
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর) :
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) সাহায্য অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে (গধংধঃড় ডধঃধহধনব)।
তিনি আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস প্রদান করেন।
জাতিসংঘ থেকে ‘চ্যাম্পিয়নস অভ্ দ্য আর্থ’ পদক অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যখাতের সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে প্রশংসা অর্জন করেছে। শিশুমৃতু হার হ্রাসের সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে জাতিসংঘ পদক পেয়েছেন। সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সফলভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি এসময় মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন, এমডিজি অর্জন, অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় কর্মসূচি গ্রহণসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সূচকের উন্নয়নে জাইকার সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাপানকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের বিনির্মাণসহ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আর্থসামাজিক উন্নয়নে জাপানের অবদান এদেশের জনগণ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার জনগণের হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। হাসপাতালে যন্ত্রপাতি স্থাপন, শয্যা বাড়ানোসহ সেবার মান উন্নত করা হয়েছে। গত বছর প্রায় সাড়ে ছয় হাজার চিকিৎসককে গ্রাম পর্যায়ে কাজ করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মডেল অনুসরণে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এখন গ্রামে গ্রামে কাজ করে মানুষকে মৌলিক সেবা দিচ্ছে। শিশুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে এ ক্লিনিকগুলো ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে।
স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হকসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিৎ/আফরাজ/নবী/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৪
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের প্র¯ুÍতি রয়েছে
-- স¦াস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আশ্বিন (২০ সেপ্টেম্বর) :
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে ঢাকার দুই মেয়রকে নিয়ে পথসভা করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবারল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। জনগণের মধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং ডেঙ্গুর প্রাথমিক উপসর্গ ও করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেয়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে এ ঘোষণা দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে। জনগণ সচেতন থাকলে এ রোগের বিস্তার ঘটবে না। এসময় জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সরকার ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। শুধু সচেতনতার সাথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে এই রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, টেলিভিশন, রেডিও এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য বাসাবাড়িসহ আশপাশের এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পরামর্শমূলক বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু হলে রোগীর শুশ্রূষার জন্য করণীয় সম্পর্কেও সচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদার করা হয়েছে। সরকার জেলা পর্যায় পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচারণা জোরদার করতে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করেছে। প্রয়োজনীয় ঔষধ মজুত রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর দ্রুত নিরাময়ের জন্য চিকিৎসক ও নার্সদেরকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির পর সংশ্লিষ্ট জায়গার ময়লা আবর্জনা দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে এসময় সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিৎ/আফরাজ/নবী/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২০৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৩
সংস্কৃতি ব