তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬০
মৎস্যখাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
মৎস্যখাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মোট ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। বিগত ১০ বছরে গড় বার্ষিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ মানুষের। জিডিপিতে মৎস্যখাতের অবদান ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে এ খাতের অবদান ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মৎস্য-উৎপাদন হয়েছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মে. টন, ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ১৭ হাজার মে. টন। বিগত ১০ বছরে মৎস্যখাতে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। একক প্রজাতি হিসেবে মাছের অবদান সর্বোচ্চ, যা মোট উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ। জাতীয় জিডিপিতে এর অবদান ১ শতাংশের বেশি।
মৎস্য চাষযোগ্য অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয় যেমন- নদী-নালা, সুন্দরবন, বিল, কাপ্তাই লেকসহ প্লাবন ভূমি ৩৯ লাখ ৮ হাজার হেক্টর এবং অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয় যেমন পুকুর, বাঁওড়, মৌসুমি চাষাধীন জলাশয় ও চিংড়ি খামার ৭ লাখ ৯২ হাজার হেক্টর মিলে দেশে সর্বমোট জলাশয় রয়েছে ৪৭ লাখ হেক্টর । আমাদের দেশে ১২টি বিদেশি মাছসহ প্রায় ৩৫টি মৎস্য প্রজাতির মাছের চাষ হয়ে থাকে। অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য চাষের সম্প্রসারণের জন্য ৪৩২টি মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু আজ প্রথমবার মৎস্য অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় এসব তথ্য সম্পর্কে অবহিত হন।
‘বাংলাদেশ ইলিশ’ শীর্ষক ভৌগোলিক সনদ (জিআই সনদ) প্রাপ্তিতে নিজস্ব পরিচয়ে বিশ্ববাজারে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিমি এলাকায় মৎস্য আহরণে আইনগত ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দেশে ১০৪টি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা বিদ্যমান। মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামে তিনটি বিশ্বমানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরি পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০১৭-১৮ সালে ৬৮ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন রপ্তানির মাধ্যমে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। মাছ বিশ্বের ৫৬টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। মাছ ও চিংড়ির পণ্যে রেসিডিউ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ইইউ মিশন-এর সুপারিশে ইইউভুক্ত দেশে বাংলাদেশের মৎস্যপণ্য রপ্তানিতে টেস্ট সার্টিফিকেট জমাদানের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-ল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সুবোল দাস মনি, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ প্রমুখ। এর আগে প্রতিমন্ত্রী মৎস্য অধিদফতরের প্রধান ফটকে বঙ্গবন্ধুর একটি ‘ম্যুরাল’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
#
শাহ আলম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৯
বিডায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ক ফলোআপ সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অনিবাসী বাংলাদেশি (ঘজই-ঘড়হ জবংরফবহঃ ইধহমষধফবংযর) প্রকৌশলীদের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদানে সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আগামী ২৬-২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এনআরবি প্রকৌশলীদের যে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা সফল করতে সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
আজ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম বিডা কার্যালয়ে এনআরবি প্রকৌশলীদের সাথে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ক একটি ফলোআপ সভায় এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৬-২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এনআরবি প্রকৌশলী কনফারেন্সের উদ্বোধন করবেন। এই কনফারেন্সের প্রধান উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী এনআরবি প্রকৌশলীদের বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘজই দের কাছে এমন প্রকল্পের তালিকা তুলে ধরতে হবে যা প্রায়োগিক হবে। সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী যে বিনিয়োগক্ষেত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ বুঝতে পারে এজন্য কার্যকর ও টেকসই ধারণাপত্র গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য চেম্বারগুলোকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিতে তিনি আহ্বান জানান।
সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এটুআই, ফেডারেশন অভ্ বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই), এমসিসিআই, বি২বি, বেজা, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
#
শরীফা/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৮
ফুটবলের জন্য বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে পৃথক স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে
---যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা। এটি বাঙালির প্রাণের খেলা। তাই ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ফুটবলের সোনালী অতীতকে ফিরিয়ে আনতে হবে। ফুটবলকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে ফুটবলের জন্য পৃথক স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড় তৈরি করতে আন্তঃজেলা ফুটবল ও বয়স ভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। খেলোয়াড়দের দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ক্রীড়া অনুরাগী মানুষ। তাই ফুটবলের উন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের মহাসচিব তরফদার
মোঃ রুহুল আমিনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৭
এসডিজি অর্জনে ব্যক্তিখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে
---পরিকল্পনা মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ব্যক্তিখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। কয়েকটি খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাপক উন্নত হয়েছে। বিদ্যুতের উন্নতি অভাবনীয় এবং এর সফলতা আমরা ভোটের মাঠে পেয়েছি।’
মন্ত্রী আজ ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘এসডিজি বাংলাদেশ প্রোগ্রেস রিপোর্ট-২০১৮’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় একথা বলেন।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সিপ্পো প্রমুখ।
#
শাহেদ/ফারহানা/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/২০৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৬
সারাদেশের রেললাইনকে পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হবে
--- রেলপথ মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সারাদেশের রেললাইনকে পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হবে। এছাড়া ভারতের সাথে বন্ধ কানেকটিভিটি পুনরায় চালু করা হবে। বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগ্রহী বলে মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন। এ লাইনটি নির্মিত হলে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে।
আজ রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর গধহসড়যধহ চধৎশধংয সাক্ষাৎ করতে আসলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে চলমান এডিবির অর্থায়নে যে সকল প্রকল্প চলছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে দোহাজারী-কক্সবাজার-রামু প্রকল্প,আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প, এডিবির অর্থায়নে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ কোচ ক্রয় প্রকল্প।
কান্ট্রি ডিরেক্টর পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের বিষয়ে এডিবির আগ্রহের কথা মন্ত্রীকে জানান। এছাড়া ইশ্বরদী এবং ধীরাশ্রমে আইসিডি নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মোঃ রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৫
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিনিয়োগের সিংহভাগ বেসরকারি খাত হতে আসবে
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিনিয়োগের সিংহভাগ বেসরকারি খাত হতে আসবে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে ৭০ বিলিয়ন ডলার ও জ্বালানি খাতে ৪০ বিলিয়ন ডলার লাগবে। পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের পাশাপাশি বিকল্প উৎস হতে অর্থায়ন করা হচ্ছে। সরকারের প্রতি বহিবিশ্বের আস্থা বাড়ছে- এটা ধরে রেখে আরো বাড়াতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় ওয়েস্টিন হোটেলে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য: গতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিদ্যুৎতের সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নেট মিটারিং পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে পারলে ব্যবহারকারীই লাভবান হবে। সিঙ্গল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) বাস্তবায়িত হলে বছরে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় তেল পরিবহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে সময় ও অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হবে।
প্রতিমন্ত্রী এসময় বলেন, বৈশ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগের যে আস্থা সৃজন হয়েছে ব্যবসায়িদের উচিত তা গতিশীল করা। তিনি বলেন, পরিকল্পিত এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়া হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বিদ্যুৎ খাতে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পিডিবি’র চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, আরইবি‘র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.) ও ¯্রডোর চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৪
আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর-বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক
তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে, উপযুক্ত মজুরি পাচ্ছে। সরকারের আন্তরিক ইচ্ছায় এবং তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সহযোগিতায় শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে, কারখানাগুলো নিরাপদ হয়েছে। দেশে একের পর এক গ্রিণ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেকটর ঞঁড়সড় চড়ঁঃরধরহবহ এর সাথে মতবিনিময়কালে সময় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের কারখানাগুলোর কাজের পরিবেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আইএলও’র পরামর্শে শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। কারখানাগুলো আধুনিক ও নিরাপদ করতে মালিকদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে ব্যয় আরো বেড়েছে। কিন্তু তৈরি পোশাকের ক্রেতারা সে অনুপাতে পোশাকের মূল্য বাড়াচ্ছে না। আইএলও তৈরি পোশাকের যৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
টিপু মুন্শি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাত অনেক প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। কারখানাগুলোকে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করতে ন্যাশনাল ইনেসিয়েটিভ, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স দীর্ঘদিন কাজ করেছে। ফলে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে। তিনি আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ আইএলওকে সাথে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, আইএলও বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ ক্রেতাদের নিয়ে তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিলে আইএলও কারিগরি সহায়তা ও সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৩
দুর্নীতিকে দেশ থেকে চিরতরে বিদায় করতে হবে
--- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, ‘বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত কোনো দেশই উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। এজন্য তিনি আগামী দিনগুলোতে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ২০৪১ সালের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে চান। আর বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে দেশ থেকে দুর্নীতিকে চিরতরে বিদায় করতে হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁও এ সমাজসেবা অধিদপ্তরে নবনিযুক্ত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সমাজকল্যাণ সচিব কে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ এসময় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মুহাম্মদ নূরুল কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনস্থ দপ্তরের পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক, উপ পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
#
মাইদুল/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫২
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সাথে ফরাসী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি অ্যানিক বুরডিন (গধৎরব অহহরপশ ইড়ঁৎফরহ) আজ সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সাথে মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদারকরণ প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ফরাসী রাষ্ট্রদূত জানান, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ একটি অলাভজনক সাংস্কৃতিক সংগঠন। ঢাকায় প্রতিষ্ঠানটির ৩টি শাখা রয়েছে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামেও এর একটি শাখা রয়েছে। এর মাধ্যমে সমৃদ্ধ ফরাসী সংস্কৃতি সম্পর্কে এদেশের মানুষ জানতে পারছে যা প্রকারান্তরে এদেশীয় সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করছে। তিনি বলেন, শুধু ফরাসী সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া নয়, বরং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ এদেশীয় সংস্কৃতিকে লালন, ধারণ ও বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রাষ্ট্রদূত আরো জানান, ফরাসী দূতাবাসের পক্ষ হতে বাংলাদেশ পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্য ফরাসী ভাষা শিক্ষার বিশেষ প্রশিক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যা তাদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজসহ ঢাকাস্থ ফরাসী দূতাবাস দীর্ঘদিন ধরে হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে আসছে। তিনি এসময় রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ফরাসী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্লোরস্পেস সংগ্রহে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একইসাথে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ভূমি লিজ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি ও ঢাকাস্থ ফরাসী দূতাবাসের ডেপুটি হেড অভ্ মিশন ফ্রাঙ্ক গ্রুয়েট্জম্যাচার টেকোর্ট (ঋৎধহশ এৎঁবঃুসধপযবৎ ঞবপড়ঁৎঃ) উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫১
সিশেলস-এ জনশক্তি প্রেরণে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
আজ ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহানের সভাপতিত্বে পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিশেলস এবং বাংলাদেশের মধ্যে জনশক্তি প্রেরণের বিষয়ে (অমৎববসবহঃ ড়হ খধনড়ঁৎ ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ (অখঈ) খসড়া চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও কর্মপন্থা নির্ধারিত হয়।
ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহান বলেন, বর্তমান সরকারের দক্ষ ও সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের জন্য নতুন নতুন শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে। সিশেলস সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের পরিকল্পনা করেছে। এতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রেমিটেন্স বৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সভায় জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ সেলিম রেজা, বোয়েসেল’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইয়ামীন আকবরী, এনডিসি, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ ফজলুল করীম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নাসরীন জাহানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
রাশেদুজ্জামান/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫০
বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের নিজেদের ওপরেই আস্থা নেই
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর তাদের আস্থা নেই এমন কথা বলে প্রমাণ করেছেন যে, নিজেদের ওপরেই আস্থা নেই তাদের।’
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রয়াত রাজনীতিক ‘সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ এসময় প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে একজন জনদরদী ও সৌজন্যবোধসম্পন্ন রাজনীতিক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে বিরোধ থাকে কিন্তু সৌজন্যতাও যে থাকে, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত সে স্বাক্ষর রেখেছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের না যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘শনিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দুঃখজনক যে, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সেখানে জাননি, যাবেন না বলে চিঠিও দিয়েছেন। এতে প্রমাণ হয়, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।’ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন বর্জন, নির্বাচন প্রতিহত করার চক্রান্ত এবং নির্বাচনে অংশ নিয়েও প্রহসন করে বিএনপিই জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে নিজেদের ওপর আস্থাও হারিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি প্রবীণ অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বিশিষ্ট রাজনীতিক আজাদ খান, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, চিত্রতারকা অরুণা বিশ্বাস, বিদ্যা সিনহা মীম, জেনিফার ফেরদৌস প্রমুখ সভায় প্রয়াত রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত স্মরণে বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪৯
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)’র আওতাধীন মিলসমূহে বেল পাটের পাশাপাশি লুজ পাট ক্রয় করা যাবে। ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের এক প্রজ্ঞাপনে বিজেএমসি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, (বিজেএমসি)’র আওতাধীন মিলসমূহে পাটক্রয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লুজ পাট ক্রয়ের বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করা হয়। সিদ্ধান্তে বলা হয়, মিলঘাটে বেল পাট ক্রয়ের পাশাপাশি লুজ পাট ক্রয় করা যাবে। কোন ক্রমেই এজেন্সি হতে লুজ পাট প্রেরণ করা যাবে না। মিলের আউটটার্ন রেজিস্টারে পাটের শ্রেণিভিত্তিক আউটটার্ন এর শতকরা হার যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
পাটচাষী ও ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ৭ আগস্ট ২০১৬ এ বেল আকারে পাট ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪৮
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ভুক্ত ৩৫টি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য ২,৮৫৪ কোটি ৬৫ লাখ এবং নিজস্ব প্রকল্পের জন্য ১,৩১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে ৪,১৭২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার মধ্যে ১,৩৯২ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে যা বরাদ্দের শতকরা ৩৫ দশমিক ৫২ ভাগ।
আজ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ের এডিপির সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়ে এগিয়ে যেতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবদুস সামাদসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থাপ্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪৬
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, এদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। মসজিদকে ধর্মে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রার্থনার জন্য সবাই মসজিদে একত্রিত হয়। যেখানে ভাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়স্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদের জমি ব্যবহার সংক্রান্ত স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় মডেল মসজিদগুলো নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন, মসজিদ নির্মাণের স্থান এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যেখানে লোক সমাগম বেশি হয়। এতে করে মানুষ ধর্মীয় কাজে সহজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।