তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৯
মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাভূষিত ভারতীয় গুণিজনদের সংবর্ধনায়
কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরণ
ঢাকা, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রায় দশ লাখের বেশি বাঙালির উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণের ৪৯ বছরপূর্তি দিবসে সেখানে দাঁড়িয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ভারতীয় গুণিজনদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দিলেন, স্মরণ করলেন বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি 'বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চিরদিন অটুট থাকবে'।
আজ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সহায়তায় ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি স্মরণে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্মানীয় অতিথি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মুক্তিযুদ্ধে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের অবদান স্মরণ করেই এদিনের আয়োজন, উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, 'দু'দেশের গভীর সম্পর্কের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিও নিহিত। যে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, মানবিক-অর্থনৈতিকসহ সকল সূচকে সেই পাকিস্তানকে অনেক পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। আজ পাকিস্তানের জনগণ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতি দেখে হা-হুতাশ করে, তারা বাংলাদেশের মতো হতে চায়, এখানেই স্বাধীনতার বিরাট সার্থকতা।'
সম্মানীয় অতিথি সুব্রত মুখার্জি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু পশ্চিমবঙ্গের কাছের মানুষ ছিলেন। ১৯৭২ সালের সেদিন দুপুর একটার মধ্যে কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল ব্রিগেড। তিনটার সময় রাজভবন থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইন্দিরা গান্ধী এই ব্রিগেডে আসেন। আমি তখন মঞ্চের নীচে ছিলাম। এটা আজ পর্যন্ত আমার দেখা ব্রিগেডে সর্বকালের সেরা জনসমাবেশ।'
১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রায় দশ লাখ মানুষের সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী সেই ভাষণে ছিলো স্বাধীনতার আনন্দ, স্বজন হারানোর বেদনা, ভারতের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা ও চিরঞ্জীব সম্প্রীতি আর স্বাধীনতাবিরোধীদের সমালোচনা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ভারতীয় গুণিজনদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ড. হাছান মাহ্মুদ ও সুব্রত মুখার্জি।
মৈত্রী সম্মাননাভূষিতদের মধ্যে জাদুকর প্রদীপ চন্দ্র সরকার, সাংবাদিক মানস ঘোষ, সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত, পঙ্কজ সাহা, দিলীপ চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী উৎপলা মিশ্রা, অধ্যাপক জিষ্ণু দে ও তার স্ত্রী মীরা দে, প্রণবরঞ্জন রায়, ভাষাবিদ পবিত্র সরকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি কালজয়ী কবি গোবিন্দ হালদার, কালজয়ী গায়ক মান্না দে, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও সাবেক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ রায়, কংগ্রেস নেতা বিজয় সিং নাহার, ঔপন্যাসিক মৈত্রী দেবী, সমাজসেবী লেডি রানু মুখার্জি, সমাজসেবী ইলা মিত্র, সাংবাদিক পান্নালাল দাশগুপ্ত, বাম নেতা রনেন মিত্র, আকাশবাণী ঘোষক দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী, সাংবাদিক উপেন তরফদার, গায়ক অংশুমান রায়, সাংবাদিক দিলীপ মুখার্জি, লোকসভা ও রাজ্যসভার সাবেক সাংসদ ও সমাজসেবী ফুলরেনু গুহ, সাংবাদিক বাসব সরকার, নিবেদিতা নাগ ও নেপাল নাগের মতো মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপকদের পরিবারের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ড. হাছান ও সুব্রত মুখার্জি। অতিথিদের সাথে নিয়ে দিবসটি উপলক্ষে কলকাতা উপহাইকমিশন প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন তাঁরা।
মুক্তিযুদ্ধে জীবনদাতা ভারতীয় দুই সাংবাদিকের স্মৃতিফলক উন্মোচন
এর আগে প্রেসক্লাব কলকাতা চত্বরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক দীপক বন্দোপাধ্যায় ও সুরজিত ঘোষালের স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। প্রেসক্লাব কলকাতার সভাপতি স্নেহাশিস সুর ও সচিব কিংশুক প্রামাণিক এসময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, রাজনৈতিক সীমারেখা বিভক্ত করলেও বাংলাদেশ-ভারত এই দু'দেশের মানুষের মনকে বিভক্ত করা যায়নি। রক্তের অক্ষরে লেখা দু'দেশের এই গভীর সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
এরপর কলকাতার পিয়ারলেস হোটেলে বাঙালির বিশ্বমঞ্চ হিসেবে খ্যাত ওয়েবসাইট 'বাংলা ওয়ার্ল্ড ডট কম' আয়োজিত আলোচনায় কলকাতা ও মুম্বাই হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখার্জিসহ সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় করেন ড. হাছান।
মন্ত্রীর সফরসঙ্গী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সফররত তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশিষ্ট সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা, সুভাষ সিংহ রায়, বাংলাদেশ হাইকমিশন দিল্লির প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ ও অভিনয়শিল্পীসহ বিশিষ্টজনেরা এ সকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
#
আকরাম/সাহেলা/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৮
প্রথম বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমেটিক টেনিস কাপ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন জাতিসংঘ দল
ঢাকা, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রথম বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমেটিক টেনিস কাপ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলো জাতিসংঘ দল। আর রানার্সআপ হয়েছে সুইডেন দূতাবাস দল।
আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন Reverend George Kocherry বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সময় প্রমাণিত হয়েছে সকল দেশ ও সংস্থার মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। করোনা মহামারির কারণে এবার মাত্র ৮টি দল অংশগ্রহণ করলেও ভবিষ্যতে অনেক দেশের কূটনীতিক অংশগ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্টে ঢাকাস্থ ভুটান, সুইডেন, তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন।
#
তৌহিদুল/সাহেলা/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৭
স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ হবে বাংলাদেশের জন্য গৌরব ও সম্মানের
– অর্থমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ হবে বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের বিষয়। এটি হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার সফল বাস্তবায়ন। একই সঙ্গে এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছে তারই স্বীকৃতি।
অর্থমন্ত্রী আজ ‘Effective Partnership with the Private Sector for Sustainable Graduation’ শীর্ষক একটি অনলাইন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) উক্ত কর্মশালাটি আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পৃথিবীতে যখনই অর্থনৈতিক সংকট এসেছে, সব সংকটের সময়ই বাংলাদেশ খুব দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছে। একইভাবে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। স্বল্পোন্নত দেশ হতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য দেশের বেসরকারি খাতের গবেষণা ও উন্নয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর আরো গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় export diversification, competitiveness, productivity বাড়ানো, value chain আপগ্রেড করা, backward ও forward linkage বাড়ানো ইত্যাদির জন্য এখন থেকেই প্রাইভেট সেক্টরের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
কর্মশালায় বক্তব্য প্রদানকালে বিশেষ অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তাসমূহ হ্রাস পাওয়া সাপেক্ষে বাংলাদেশকে এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে। উত্তরণ পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এখন থেকেই বিভিন্ন দেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আলোচনা শুরু করতে হবে।
আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) এবং স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ সংক্রান্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্স-এর সভাপতি মিজ জুয়েনা আজিজ।
#
তৌহিদুল/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/২০৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৬
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল নেতা
---পরিকল্পনা মন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল নেতা এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি আল-জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, আল-জাজিরার প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি কুচক্রী মহল দেশে-বিদেশে নানান বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ থেকে তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ, এডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও কামাল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজিসহ অন্য নেতৃবৃন্দ ।
#
শাহেদ/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৫
বাঁধের পাশাপাশি নদীর তীরে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই
---পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বাঁধের পাশাপাশি নদীতীরে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। আম্ফানে দেখা গিয়েছে যেখানে গাছ আছে সেখানে ভাঙন কম হয়। শুধু বাঁধ বাঁধলেই হবে না, বাঁধ সুরক্ষায় গাছ লাগাতে হবে। গাছ না থাকলে নদীর তীর, ঘরবাড়ি রক্ষা করা যায় না।
প্রতিমন্ত্রী আজ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া কোলা এলাকায় সুপার সাইক্লোন আম্ফানে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনে ঘূর্ণিঝড়, জলোছ্বাস বেড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাঁধ চার মিটার থেকে ছয়-সাত মিটারে উন্নীত করা হবে। তবে নদীভাঙন রক্ষায় নদীতীরের গাছের বিকল্প নেই। বৃক্ষরোপণে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দুর্গবাটী, কামালকাটি, বিড়ালাক্ষী এবং আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ের হাজরাখালি, ঘোলা ত্রিমোহিনী ও হিজলিয়া-কোলা, প্রতানগরের হরিষখালী এলাকার বাঁধ মেরামত কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ডঃ মোঃ মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকউল্লাহ, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (খুলনা জোন)-এর কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ তানজিল্লুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসিফ/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৪
বাংলাদেশে পর্যটন অপার সম্ভাবনাময়
---মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প অপার সম্ভাবনাময় এক খাত। বাংলাদেশের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এখানকার মানুষদের অতিথিপরায়ণতা কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে পর্যটন খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি দেশের বিকাশমান পর্যটন শিল্পকে একটি শক্তিশালী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার গৃহীত উদ্যোগের পাশাপাশি ট্যুর অপারেটরদের যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওয়েবিনারে বেসরকারি ট্যুরিস্ট অপারেটরদের সংগঠন এসোসিয়েশন অভ্ ট্যুরিস্ট অপারেটর বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত ট্যুরিজম বিকাশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী পর্যটকদের জন্য পর্যটন এলাকায় ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার পাশাপাশি মার্কেটিং ও গ্রুপ ট্র্যাকিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের পর্যটন শিল্প এক নতুন মাত্রায় রূপ নিয়েছে। দেশে কক্সবাজারের সাবরাংয়ে পর্যটকদের জন্য বিশেষ পর্যটন জোন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একসময় দেশে পর্যটকরা সীমিত এলাকায় পর্যটনে আগ্রহী ছিল। ভ্রমণপিপাসু মানুষদের এখন টাঙ্গুয়ার হাওর, সুন্দরবন, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন বা দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ট্যুরিজমের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হয়েছিলো।
টোয়াব সভাপতি মোঃ রাফিউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দেব এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও জাভেদ আহমেদ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা পর্যটন শিল্পে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেফায়েত/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৭৪৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৩
এলাকাভিত্তিক অবকাঠামো ও উচ্চতা এবং রাজস্বের হার নির্ধারিত হওয়া উচিত
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জ, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
রাজধানীতে এলাকাভিত্তিক অবকাঠামো নির্মাণ, ভবনের উচ্চতা, রাজস্ব এবং পানি, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী আজ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা ওয়াসার 'গন্ধবপুর পানি শোধনাগার' পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, উচ্চবিত্ত এলাকায় বসবাসরত মানুষ এবং কম আয়ের মানুষের জন্য সমান মূল্য নির্ধারিত হওয়ায় এক ধরনের বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এজন্য উচ্চবিত্ত এলাকার মানুষের রাজস্বের হার এবং ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য বর্ধিত হওয়া উচিত। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রী দেশের উন্নয়নে সকলকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, সমস্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়া প্রকল্পের ব্যয় না বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে টাইমলাইন ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে এবং সে টাইমলাইন অনুযায়ী শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
টেকসই এবং মানসম্মত কাজ করতে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে মন্তব্য করে মন্ত্রী জানান, পাঁচ-ছয় বছর আগে নেয়া প্রকল্প এখন শুরু করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্পের খরচ বেড়ে যায়। কারণ ওই সময়ের দাম এবং বর্তমান দামের মধ্যে পার্থক্য থাকে। কম খরচে কাজ করে পুরো টাকা নষ্ট করার চেয়ে কিছু টাকা বেশি খরচ করে টেকসই কাজ করা উত্তম।
মন্ত্রী আরো বলেন, পানির স্তর নিচে নামার কারণে সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশও সার্ফেস ওয়াটারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গন্ধবপুর পানি শোধানাগার থেকে রাজধানীতে পানি নিতে প্রকল্প এবং ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের কাজ একই সাথে চলছে। কাজ শেষ হলেই পানি সরবরাহ শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
দুর্নীতি বা অনিয়ম করে নিম্নমানের কাজ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিম্নমানের কাজের সাথে জড়িত থাকায় ইতোমধ্যে অনেক প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং অনেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভালো কাজ করতে গেলে চ্যালেঞ্জ আসবে। তবে সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যেতে হবে।
পরিদর্শনকালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি ADB, AFD এবং EIB অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
#
হায়দার/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৭৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬২
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর মাতা রাবেয়া খাতুনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ঢাকা, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের মাতা বিশিষ্ট সমাজসেবিকা রাবেয়া খাতুনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তাঁর বড় ছেলে মাহমুদ সাজ্জাদ একজন বিশিষ্ট চিত্রঅভিনেতা ও মেজো ছেলে ম. হামিদ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
এ উপলক্ষে আজ ময়মনসিংহে তাঁর নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত মসজিদে দোয়া মাহফিল ও কোরআনখানির আয়োজন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর মাতা রাবেয়া খাতুন ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করেন।
#
ফয়সল/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৭৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬১
দেশের সফলতা তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ঢাকা, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এদেশকে অতীতের মতো দারিদ্র্যক্লিষ্ট দেশ হিসেবে চিহ্নিত না করে দেশের সফলতাগুলো তুলে ধরার জন্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে ‘মুজিব শতবর্ষে এক্সিম ব্যাংক’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে এদেশের অভাবনীয় সাফল্য এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মুজিব শতবর্ষে সারা বিশ্বকে জানাতে হবে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের দারিদ্র্য অতি কম সময়ে কমানো সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন বাঙালির অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁর পরিবার ও জনগণের কাছ থেকে তাঁকে দূরে রাখতে অনেক বছর জেলে রাখা হয়েছিল। নতুন প্রজন্মের সকলের উচিত বঙ্গবন্ধুর মতো ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক নেতা সম্পর্কে জানা এবং তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করা।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিব শতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। এ সময় কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে এক্সিম ব্যাংকের মুজিব শতবর্ষ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
#
তৌহিদুল/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬০
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ১৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন-সহ এ পর্যন্ত ৮ হাজার ১৯০ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ জন।
#
দলিল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৭১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৯
দোহাজারী রুটে ডেমু ট্রেনের উদ্বোধন করলেন রেলপথমন্ত্রী
দোহাজারী (চট্টগ্রাম), ২৩ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি):
আজ দোহাজারী রেলস্টেশন চত্বরে চট্টগ্রাম-দোহাজারী ও চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটে নতুন দুইজোড়া ডেমু ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন রেলপথমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, প্রথম পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এখানে ডেমু ট্রেন দেয়া হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থাকে উন্নত করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি মেগাপ্রকল্পের মধ্যে দুটি রেলওয়ের প্রকল্প রয়েছে। একটি পদ্মাসেতুর সঙ্গে রেলযোগাযোগ, আরেকটি মিয়ানমার, চীন ও ভারতের সঙ্গে রেলসংযোগ প্রকল্প।
তিনি জানান, রেললাইনসংস্কার ও রেলের উন্নয়নে মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের রেলযোগাযোগ উন্নত করার লক্ষ্যে দোহাজারীতে একটি অত্যাধুনিক জংশন হবে। যোগাযোগের পাশাপাশি এখানে অনেকের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের কাজ শেষ করে ট্রেনচলাচলের উপযোগী করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী, পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন ।
#
বশার/শাহ আল