তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩৯৬
এদেশের সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে বোঝা নয় বরং সম্পদ
-- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
চিলমারী (কুড়িগ্রাম), ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, সরকারের নিকট এদেশের সাধারণ মানুষ বোঝা নয় বরং সম্পদ। সরকার তাদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় খরখারিয়া ভরট্রপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শামসুল হক বিএসসি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেন, আপনারা হতাশ হবেন না, চিলমারী নদী বন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ বন্দরটি হবে আন্তর্জাতিক নৌ-রুট এবং এখানে জাহাজ মেরামতের কারখানা তৈরি করা হবে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শামসুল হক বিএসসি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস প্রদান করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শামসুল হক বিএসসি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজগর আলী সরকার, চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গয়ছল হক মন্ডল, বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম হায়দার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শামসুল হক বিএসসি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম রেজাউল করিম।
#
রবীন্দ্রনাথ/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩৯৫
রমজানকে সামনে রেখে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের মূল্য যতটা সম্ভব সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে। বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে। একইসাথে সরবরাহ চেইনকে অবশ্যই স্বাভাবিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদেরকে প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দেবে। অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দেবে।’
আজ রাজধানীতে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তাঁর সভাপতিত্বে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং সরবরাহ চেইন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের জন্য জেলা পর্যায়ে ১০টি করে ভ্যান দেয়া হবে। মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তায় এসব ভ্যানের মাধ্যমে খামারিরা উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় ধর্মীয় উৎসবের সময় দ্রব্যমূল্যের দাম কমে যায়। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার পথ চাইলেই খোঁজা সম্ভব। প্রয়োজনে এসময় ব্যবসায়ে লাভের পরিমাণ কম করতে হবে। এ সময় তিনি আরো যোগ করেন, করোনাসহ বুলবুল, আম্ফানের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সরকারকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। করোনার টিকার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে যাতে, কোনোভাবেই দেশের মানুষ কষ্ট না পায়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশের ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ, সুপারশপ 'স্বপ্ন', বেঙ্গল মিট, যাত্রাবাড়ী মাছ ব্যবসায়ী সমিতিসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতসংশ্লিষ্ট অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কম মূল্য নির্ধারণের জন্য সুপারশপের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
#
ইফতেখার/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯৪
বইমেলায় প্রেসক্লাব ও ডিআরইউ'র স্টল উদ্বোধন করলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
অমর একুশে বইমেলায় প্রথমবারের মতো স্টল দিয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব। এই স্টলের উদ্বোধন করলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান।
আজ বইমেলার বাংলা একাডেমি অংশে প্রেসক্লাবের স্টল উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রেসক্লাবের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সব শ্রেণির মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় এ বইমেলা। সাংবাদিকরা সব সময় খবর লেখেন। এদের মধ্যে অনেকেই সৃজনশীল লেখাও লেখেন। এই স্টল থাকায় সেই লেখকদের সঙ্গে পাঠকদের যুক্ত হওয়ার একটি সুযোগ সৃষ্টি হলো।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য রেজানুর রহমান, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ বেগম পলি, রহমান মুস্তাফিজ, শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।
উদ্বোধনের সময় অতিথিরা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর হাতে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে প্রকাশিত এবং রেজোয়ানুল হক সম্পাদিত গ্রন্থ 'রক্তে গাঁথা বর্ণমালা' উপহার দেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের স্টল উদ্বোধন শেষে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্টল উদ্বোধন করেন। এসময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানীসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
তুহিন/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩৯৩
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট শিল্প বিকাশে সহযোগিতা করবে সরকার
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট শিল্প স্থাপন ও বিকাশে সরকার সকল সহযোগিতা করবে। এজন্য দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশীয় শিল্প বিকাশে অত্যন্ত আগ্রহী। এ শিল্প বিকাশে যেখানেই সমস্যা হবে সেটা সরকার সমাধান করবে। যৌক্তিক ক্ষেত্রে কর রেয়াতের বিষয়টিও সরকার বিবেচনা করবে। মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য তৈরির শিল্প দেশে বিকশিত হলে উৎপাদন খরচ সরকার কমাতে পারবে এবং কম মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ভোক্তাদের নিকট পৌঁছে দিতে পারবে। একইসাথে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারবে।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পোল্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে, ভালো ব্যবস্থাপনা না থাকলে পোল্ট্রি খাতের আজকের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, সেটি সম্ভব হতো না। করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা মোকাবিলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ আমিষ ও পুষ্টির যোগান পেতে পারে এবং খামারি ও উৎপাদকগণ যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। এর নেপথ্যে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনা ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এভাবে রাষ্ট্র এগিয়ে চলেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, জনগণের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পোল্ট্রি এমন একটি খাত যেখান থেকে জনগণ মাংস ও ডিম পাচ্ছে। এ খাত থেকে খাবারের একটা বড় অংশের যোগান আসছে। পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে এ খাত। দেশের উন্নয়নে অন্যতম বড় খাত হবে পোল্ট্রি খাত।
মৎস্য ও পোল্ট্রি খাদ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার এবং একাধিকবার মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাজনিত সমস্যা অচিরেই সমাধান করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে ৪ জন, টেলিভিশন ও রেডিও ক্যাটাগরিতে ৪ জন, বার্তা সংস্থা ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন, পোল্ট্রি ও কৃষি বিষয়ক ম্যাগাজিন ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন এবং প্রমিজিং পোল্ট্রি রিপোর্টার্স ক্যাটাগরিতে ১০ জন সাংবাদিককে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
#
ইফতেখার/রোকসানা/পাশা/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩৯২
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করেন এবং আজ তার রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান বর্তমানে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং সহকারী একান্ত সচিব কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
#
সেলিম/রোকসানা/সাহেলা/সেলিমুজ্জামান/২০২১/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯১
বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিজোরামের বাণিজ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়াতে স্থলবন্দর ও বর্ডারহাট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারতের মিজোরামের সাথে সরাসরি ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রত্যাশা মোতাবেক হচ্ছে না। সড়ক ও নৌ পথে এ ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। মিজোরামে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, যোগাযোগের সুযোগ কম থাকায় বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মিজোরাম সীমান্তে বর্ডারহাট স্থাপন এবং স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে মিজোরাম সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে । মিজোরাম সরকার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ও মিজোরামের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বাংলাদেশ ভারতের সেভেন সিস্টারে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত ভারতের মিজোরাম রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষা, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী Dr. R. Lalthankliana সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলমান বর্ডারহাটগুলোতে বড় ধরনের বাণিজ্য না হলেও উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বর্ডার হাটের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগে নেয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আরো কয়েকটি বর্ডারহাট উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক টয়লেট্রিজ সামগ্রী, জুস, মাছ-মাংস এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে মিজোরামে। একই ভাবে মিজোরাম থেকে বাঁশ, কাঠ, আদা, চিনি এবং পাথর আমদানি করা যেতে পারে। উভয়দিক বিবেচনায় প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
সফররত ভারতের মিজোরাম রাজ্যের মন্ত্রী প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, মিজোরাম বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, মিজোরাম ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য। মিজোরাম বাংলাদেশের খুবই নিকটতম রাজ্য হওয়ায় বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। মিজোরাম এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। এজন্য বাংলাদেশ মিজোরাম সীমান্তে বর্ডারহাট স্থাপন ও সড়ক সেতু নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা যেতে পারে। এতে করে উভয় দেশের মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। মিজোরামে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ সময় মিজোরামের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সফররত মন্ত্রীর স্ত্রী Ngurmawi Sailo সহ তিনজন প্রতিনিধি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এবং যুগ্মসচিব নুর মোঃ মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/১৯২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯০
বঙ্গবন্ধু তরুণ প্রজন্মের কাছে অহংকার
---জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশ থেকে, এদেশের মানুষের মন থেকে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ আর সংগ্রামের ইতিহাস এদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে আদর্শ। তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু এক গৌরব দীপ্ত অহংকার।
আজ ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু যে নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে গেছেন সেটাই তরুণ প্রজন্মের কাছে আদর্শে পরিণত হয়েছে। যারা ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দিবে তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে কাজ করতে হবে। দেশ ও মানুষের জন্য নিজের জীবনকে তুচ্ছ ভাবতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজ আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দেশের উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করতে হলে জ্ঞান ও তথ্যভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন প্রফেসর সৈয়দা দীনা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ প্রফেশনালস এর সাবেক উপাচার্য মেজর জেনারেল সালাহ উদ্দিন মিয়াজী (অব.) অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
#
শিবলী/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/১৮২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩৮৯
শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিজ্ঞানীসহ অংশীজনদের একত্রে
কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করবে জ্বালানি গবেষণাগার
--প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিজ্ঞানী-সহ অংশীজনদের একত্রে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করবে জ্বালানি গবেষণাগার। এটি দেশি-বিদেশি অংশীজন ও গবেষকদের মাঝে নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা আজ অনলাইনে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (বিইপিআরসি)-এর উদ্যোগে ‘A Proposal to Set up Bangladesh National Renewable Energy Laboratory (BNREL)’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গবেষণার জন্য অর্থায়ন কোনো সমস্যা নয়। দেশ-বিদেশের প্রযুক্তি সহযোগিতা নিয়ে জ্বালানি গবেষণাগার সমৃদ্ধ করা যেতে পারে। তিনি এসময় আরো বলেন, সকল গবেষণা ঢাকাকেন্দ্রিক না করে গবেষণার কাজ ঢাকার বাইরেও প্রসারিত করা যেতে পারে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেশন ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং ফিজিক্যাল সাইন্স স্কুলের ডিন ড. সৈয়দ ইসলাম। তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ল্যাবরেটরি স্থাপনের চ্যালেঞ্জ, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গবেষণাগার স্থাপনের অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের ভূমিকা, পরিমাপযোগ্য অবকাঠামো, গবেষণার সুযোগ, যৌথভাবে কার্যক্রমের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি মডেলিং, পরিকল্পনা ও পরিচালনা বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। এ ল্যাবরেটরিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে গবেষণা, গ্রিডের ডিজিটালাইজেশন, জ্বালানি দক্ষতা, জ্বালানির বহুমুখীকরণ, টেকসই জ্বালানি, কার্বনমুক্ত অবস্থার লক্ষ্য পূরণ, বাংলাদেশের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্রিড কোড ও দক্ষ মানবসম্পদ এবং গ্রিন জব সৃজন নিয়ে গবেষণা হতে পারে।
বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বিইপিআরসি’র গভর্নিং বডির সদস্য অধ্যাপক ড. সাইফুল হক সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।
#
আসলাম/রোকসানা/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৯৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৮
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০ হাজার ২২২ জনের ভ্যাকসিন গ্রহণ
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ৮০ হাজার ২২২ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪৪ হাজার ১১ জন এবং মহিলা ৩৬ হাজার ২১১ জন।
এ নিয়ে সারা দেশে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত সর্বমোট ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৯৬৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৩০ লাখ ৪০ হাজার ৫২২ জন এবং মহিলা ১৮ লাখ ৪৪৭ জন।
উল্লেখ্য, ২১ মার্চ বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সরকার কর্তৃক তৈরিকৃত সুরক্ষা অ্যাপে মোট ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭৮ জন ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন।
#
মিজানুর/রোকসানা/রেজুয়ান/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৭
বিচার বিভাগের উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগ তখনই সফল হবে
যখন বিচার বিভাগ জনগণের প্রত্যাশা মেটাতে সক্ষম হবে
---আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগসমূহ তখনই সফল হবে যখন বিচার বিভাগ জনগণের প্রত্যাশা মেটাতে সক্ষম হবে। জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আদালত তার মর্যাদা ধরে রাখতে পারবে। দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষ থেকে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও সততা দিয়ে বিচারকরা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক হবেন।
আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য অনলাইনে আয়োজিত ৭ম ওরিয়েন্টশন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মামলাজট কমিয়ে আনাকে বিচার বিভাগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি বিচারকদের উদ্ভাবনীমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ মামলাজট কমাতে সাহায্য করবে। বিচারিক কর্মঘণ্টার সঠিক প্রয়োগ, কার্যকর মামলা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, দক্ষ আদালত ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি বিচারকদের ‘আইডিয়াল লিডারশিপ’-এর মাধ্যমে মামলার বোঝা কমতে পারে। তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কার্যকর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমেও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
মন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিচার বিভাগকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে অনেক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আদালত ভবন নির্মাণ, নতুন বিচারক নিয়োগ এবং বিচারকদের বেতন বৃদ্ধিসহ দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ ও গাড়ি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। মামলাজট কমাতে বিচার ব্যবস্থায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে অধিক কার্যকর করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনে সংশোধনী এনে মামলার বিভিন্ন স্তরে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে সাক্ষীর হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য গত দুদিন পূর্বে বিদ্যমান সমন জারি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি মোবাইল এসএমএস-এর মাধ্যমে মামলার তারিখ সম্পর্কে সাক্ষীকে অবগত করার কার্যক্রমটির উদ্বোধন হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পাইলটিং-এর মাধ্যমে নরসিংদী ও কুমিল্লা জেলায় উক্ত কার্যক্রম শুরু হলেও এর কার্যকর মূল্যায়নের পর তা সারাদেশে বাস্তবায়ন করা হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সরকার ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করে জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকারকে সমুন্নত রেখেছে। অধিকন্তু ২৮০০ কোটি টাকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প একনেকে পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ এর সভাপতিত্বে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সাওয়ার এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ গোলাম কিবরিয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৭৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৬
নাগরিক সেবা পেলে জনগণ অবশ্যই কর পরিশোধ করবে
---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) :
নাগরিক সেবা নিশ্চিত করলে জনগণ কর পরিশোধে আরো বেশি আগ্রহী হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। সেই সাথে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো জনবান্ধব হওয়ার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে 'ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট অভ্ সিটি কর্পোরেশন' (C4C) প্রকল্পের 'Beyond Covid-19: City Corporation (Local Govt) Fiscal Space' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জনগণকে যদি সেবা নিশ্চিত করা হয়, তাহলে জনগণও কর পরিশোধ করবে। সিটি কর্পোরেশনগুলোকে নিজস্ব অর্থায়নে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নানামুখী কার্যক্রমের পাশাপাশি কর আদায়ে আরো বেশি ভূমিকা নেয়ার জন্য মেয়রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জনগণের সঙ্গে আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ দেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, জনগণ যদি বুঝতে পারে তারা ১ হাজার টাকা কর পরিশোধ করলে সরকার তাদেরকে ১০ হাজার টাকার সুযোগ সু্বিধা দিবে তখন জনগণ নিজ ইচ্ছায় কর পরিশোধ করবে। কোনো জোর করার প্রয়োজন হবে না। জনগণকে আপনারা যে সেবা দিচ্ছেন বা দিবেন তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আশ্বস্ত করতে হবে। তবেই জনগণ সেবার বিনিময়ে কর পরিশোধ করবে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, মানুষ যখন জানবে যে তার ট্যাক্সের টাকা দিয়ে রাস্তা করা হবে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে, ধুলোবালি থাকবে না, মশা থাকবে না, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথ হবে, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিতের সব ব্যবস্থা থাকবে, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, তখন কর দিতে তারাও দায়বদ্ধ থাকবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পে সহায়তাকারী উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
#
হ