তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৪৩
বিশ্বের যে কোন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারে এ দেশের শিক্ষার্থীরা
-- স্পিকার
ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট মেধাবী। বিশ্বের যে কোন পর্যায়ে তারা তাদের শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারে প্রয়োজন শুধু সুযোগ ও সক্ষমতা তৈরি করে দেওয়া। কোন শিক্ষার্থী যেন অকালে ঝরে না পড়ে ও শিক্ষা অর্জন প্রক্রিয়া যাতে সহজ হয় সেজন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করার জন্য তিনি উদাত্ত আহবান জানান।
তিনি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আ্যলামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগের জন্য বৃত্তি প্রদান এক অনন্য উদ্যোগ। এই আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সহায়তার পাশাপাশি পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে । জ্ঞাননির্ভর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পন্ন আধুনিক শিক্ষা ও বিশেষায়িত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি আহবান জানান। ৫২৫ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আ্যলামনাই এসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর।
#
তারিক/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৪২
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে
স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপিত
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
গত ২৫ আগস্টের পর থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ২৭ হাজার মিয়ানমার নাগরিক অবস্থান নিয়েছে। এসব নাগরিককে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন সেবা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে সরকারি উদ্যোগে ৩ হাজার নলকূপ ও ৫ হাজার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ করা হয়েছে। এগারটি আশ্রয়কেন্দ্রে মহিলাদের জন্য ৪ ইউনিটবিশিষ্ট প্রতি কেন্দ্রে ১০টি করে ১১০টি বা ৪৪০ ইউনিট গোসলখানা নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
সরকারি উদ্যোগে কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৩ শতটি নলকূপ ও ৬ শত ৯১টি টয়লেট, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ২ শত ৬০টি নলকূপ ও ৭ শত ৩০টি টয়লেট, বালুখালী-১ ক্যাম্পে ২ শত ৩৫টি নলকূপ ও ৫ শত ৮৮টি টয়লেট, বালুখালী-২ ক্যাম্পে ২ শত ৮৯টি নলকূপ ও ৬ শত ৪০টি টয়লেট, ময়নার ঘোনা ক্যাম্পে ৩ শত ৯৭টি নলকূপ ও ৫ শত ২টি টয়লেট, থাইংখালী ক্যাম্পে ৩ শত ৬১টি নলকূপ ও ৪ শত ৯৫টি টয়লেট, হাকিমপাড়া ক্যাম্পে ২ শত ৮৩টি নলকূপ ও ৩ শত ৭৮টি টয়লেট, বাহারছড়া ক্যাম্পে ১৫টি নলকূপ ও ২ শত ১০টি টয়লেট, কেরুনতলী ক্যাম্পে ৫২টি নলকূপ ও ২ শত ১টি টয়লেট, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ৩ শত ৩৩টি টয়লেট, লেদা ক্যাম্পে ২ শতটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এ কাজ বাস্তবায়ন করেছে।
সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা আশ্রয় শিবিরগুলোতে নলকূপ, টয়লেট ও গোসলখানা নির্মাণ করেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্র্যাক, শেড, আল মারকাজুল ইসলাম বাংলাদেশ, আহমদিয়া মুসলিম জামাত, জেলা পরিষদ কক্সবাজার, অক্সফাম, একোয়া, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, আসিয়াব, এসিএফ, ডিসিএ-কোস্ট, আইওএম, এমএসএফ, প্ল্যান বাংলাদেশ, সলিডারিটিজ ইন্টারন্যাশনাল, ইউএনএইচসিআর, এমওডিএমআর, ইউএনএইচসিআর-এনজিও ফোরাম, ইউনিসেফ-ডিএসকে, ইউনিসেফ-এনজিও ফোরাম, ইউনিসেফ-অক্সফাম, ইউনিসেফ-ভার্ক, ইউনিসেফ-ওয়াটারএইড প্রভৃতি সংস্থাসমূহ ২ হাজার ৩ শত ৬২টি নলকূপ, ১৯ হাজার ২ শত ১২টি টয়লেট, ১ হাজার ২ শত ৯০টি গোসলখানা নির্মাণ করেছে।
#
সাইফুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৪১
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ৩৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৫৫ ট্রাকের মাধ্যমে ১৪৬ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১৪ হাজার ৬ শত ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩ হাজার ৪ শত ৯ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ৫০ হাজার কার্টন ঔষধ, ৫৫ হাজার ৩ শত ৩০ পিস পোশাক, ৬ হাজার ২০ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী, ৬ পিস স্যানিটেশন সামগ্রী, ১ শত ৬০ পিস গৃহনির্মাণসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ পর্যন্ত কক্সবাজার ৪টি খাদ্য গুদামে প্রাপ্তি ও প্রদানের পর ৯৭৭ মেট্রিক টন চাল, ৮১ মেট্রিক টন ডাল, ৯৮ হাজার ২ শত ২৯ লিটার তেল, ৬৩ মেট্রিক টন লবণ, ৮৭ মেট্রিক টন চিনি, ৯ হাজার ৪ শত ৮ কিলোগ্রাম আটা, ৮১ হাজার ৪ শত ৭০ কিলোগ্রাম গুঁড়ো দুধ, ২৫ কিলোগ্রাম মুড়ি, ১৬ হাজার ১ শত পিস ও ৪৮৯ বান্ডেল কম্বল, ৫১১টি তাঁবু ও ত্রিপল মজুত রয়েছে।
#
সাইফুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৪০
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৪ শত ৬৬ জন পুরুষ ও ৩ শত ৩৩ জন নারী মিলে ৭ শত ৯৯ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ৩২ জন পুরুষ ও ৯ শত ৩১ জন নারী মিলে ২ হাজার ৬৩ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৩ শত ২৫ জন পুরুষ ও ৩ শত ৭৫ জন নারী মিলে ৭ শত জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ১ হাজার ৩২ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩ শত ২৩ জন নারী মিলে ২ হাজার ৩ শত ৫৫ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৯ শত ৫৪ জন পুরুষ ও ৯ শত ৪৭ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯ শত ১ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ৪ শত ৭১ জন পুরুষ ও ১ হাজার ১ শত ৯৭ জন নারী মিলে ২ হাজার ৬ শত ৬৮ জন, শামলাপুর ক্যাম্পে ৩ শত ২২ জন পুরুষ ও ৬ শত ২৯ জন নারী মিলে ৯ শত ৫১ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ৪ শত ৩৭ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮ শত ৭৭ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক ২৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ২৭ হাজার। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।
#
সাইফুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৩৯
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি
---আসাদুজ্জামান নূর
ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি। আর এ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করতে হলে বাংলাদেশি হতে হবে অথবা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় রবীন্দ্রনাথের আদর্শকে বুকে ধারণ করেছিলাম। জাতির পিতাও তাঁর চিন্তা-চেতনায় ও সংগ্রামমুখর জীবনে রবীন্দ্রনাথের আদর্শকে বুকে লালন ও ধারণ করেছিলেন।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় উত্তরায়ণ এর সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে “আমাদের রবীন্দ্রনাথ” শীর্ষক গীতি আলেখ্য পরিবেশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের আনন্দ-বেদনা, সুখে-দুঃখে, সংগ্রামে-শান্তিতে রবীন্দ্রনাথ মিশে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্ম একটি অনুষ্ঠান তথা আঙ্গিকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। উত্তরায়ণের এ প্রয়াসের মাধ্যমে বহুমাত্রিক রবীন্দ্রনাথকে ফুটিয়ে তোলার যে সাধনা তা অব্যাহত থাকুক।
#
ফয়সল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৩৮
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ
---প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী
গাজীপুর, ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। শিক্ষকবৃন্দের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা, শেখানো পদ্ধতি ও কলাকৌশল, প্রযুক্তির ব্যবহার ও কারিকুলামের সঙ্গে মেলবন্ধন রয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান আজ গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর পিটিআই-তে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়াম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকের কচি প্রাণ আগামী দিনের স্বনির্ভর জাতি গঠনের নেতৃত্ব। এদেরকে যথোপযুক্ত করে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই। তিনি বলেন, দেশের প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতির শুরুটা হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই। সময়টা পাল্টেছে শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে, এখন গুণগত মানকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গুণগত ধারার এ শিক্ষার শুরু হতে হবে প্রাথমিক অবস্থা থেকেই। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিক্ষার প্রারম্ভিক পর্যায় অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা। দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ প্রাথমিক শিক্ষকবৃন্দ হচ্ছেন গুণগত ধারার শিক্ষা নিশ্চিতে নেতৃত্বদানকরী নেতা। আর শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করবে পিটিআই। মেধাবী শিক্ষকদের কমিটমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগতমান অনেক বেশি বেড়ে যাবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পিটিআই সুপার মোঃ হাসানারুল ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
#
গিয়াস/সেলিম/আব্বাস/২০১৭/১৯০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৩৭
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান তৈরি করা সম্ভব
--- মায়া চৌধুরী
চাঁদপুর, ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশ আন্তরিক হলে বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান তৈরি করা সম্ভব। কমিউনিটি পুলিশ ও নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় ইতোমধ্যে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও বাল্য বিবাহ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
মন্ত্রী আজ চাঁদপুর হাসান আলী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং-২০১৭ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার সামশুন্নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক একে.এম শহিদুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান পাটোয়ারী, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, গ্রাম অঞ্চলে রাতে দরজা খুলে মানুষ ঘুমাতে পারে এমন নিরাপত্তা দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে কমিউনিটি পুলিশের। সাহস করে গ্রাম অঞ্চলের যে কোন অনিয়ম থানা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য কমিউনিটি পুলিশ বাহিনীর প্রতি মন্ত্রী আহ্বান জানান। কমিউনিটি পুলিশিং এই সমাবেশকে মাদক ও জঙ্গিবাদদের বিরুদ্ধে সমাবেশ হিসেবে উল্লেখ করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি পুলিশের সাথে নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর নিবীড় সম্পর্কের মাধ্যমে জেলা থেকে গ্রাম পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে। সমাজের ভাল ও দেশপ্রেমিক সচেতন লোকদের কমিউনিটি পুলিশিং এ অংশগ্রহণ থাকলে এ বাহিনী একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে রুপান্তরিত হবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ বাহিনীকে সমর্থন ও সহযোগীতা করতে হবে।
#
ওমর/সেলিম/আব্বাস/২০১৭/১৮৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৩৬
মানুষ স্বাধীনভাবে স্ব স্ব ধর্মচর্চা করছে
--- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
রংপুর, ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ স্বাধীনভাবে স্ব স্ব ধর্মচর্চা করছে। তিনি আজ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় চান্দামারী হরিমন্দিরে রাশমেলা পরিদর্শন শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, হিন্দু সম্প্রদায় ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রংপুর জেলা ২০০৮ সাল পূর্ব সময়ে ছিল অবহেলিত ও অনুন্নত জনপদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহে রংপুর জেলা আজ উন্নয়ন ও শান্তির রোলমডেল। এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে সকলকে সরকারের সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন বর্তমান সরকার রংপুরসহ দেশের পশ্চাদ্্পদ জনপদগুলোতে বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এক একটি অবহেলিত অঞ্চল সুখী, সমৃদ্ধ ও আদর্শ অঞ্চলে পরিণত করা সম্ভব। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও সমাজের কল্যাণে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
#
আহসান/সেলিম/আব্বাস/২০১৭/১৮১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৩৫
মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বার কাউন্সিল সনদ প্রদান করা উচিত
----আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনজীবীদের বৃহত্তর স্বার্থে, আইন পেশার মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে কেবল মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বার কাউন্সিল সনদ প্রদান করা উচিত। মেধা ও যোগ্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কোন ধরণের শৈথিল্য কাম্য নয়। এটি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
আজ রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল তালিকাভুক্ত নবীন আইনজীবীদের সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি (দায়িত্বরত) মোঃ আব্দুল ওহহাব মিঞা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করা এবং দেশে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা বর্তমান সরকারেরও অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। জনগণের প্রত্যাশাও সেটাই এবং এটি তাঁদের সাংবিধানিক অধিকারও। জনগণের এ প্রত্যাশা ও সাংবিধানিক অধিকার পূরণে আইনজীবী সমাজের ভূমিকা অপরিসীম।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহবুবে আলম, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট স. ম. রেজাউল করিম অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/সেলিম/শেফায়েত/আব্বাস/২০১৭/১৮১৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৩৪
ইউনেস্কো সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১১ নভেম্বর) :
ইউনেস্কো’র ৩৯তম সাধারণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুনা বিশ্বাস ও মোঃ মহিউদ্দিন খান, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা ও অশোক কুমার বিশ্বাসসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ। তারা শিক্ষামন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং এবারের ইউনেস্কো সাধারণ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো’র এবারের সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সাফল্যের উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত। এ সম্মেলনে বিশ্ব পরিম-লে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ইউনেস্কো’র মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ সংস্থাটির পরবর্তী সম্মেলনের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সফল কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো সদস্য রাষ্ট্রসমূহের ভোটে সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। বাংলাদেশ আগামী ২০১৭-২০২১ মেয়াদের জন্য ইউনেস্কো’র নির্বাহী বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করবে। নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৮৪ ভোটের মধ্যে মধ্যে ১৪৪ ভোট লাভ করে।
উল্লেখ্য, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ইউনেস্কো’র ৩৯তম সাধারণ সম্মেলনে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি গত ২৯ অক্টোবর প্যারিসের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ এবং বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মোঃ মনজুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
#
আফরাজ/সেলিম/আব্বাস/২০১৭/১৮১২ ঘণ্টা