তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৮
যৌক্তিকভাবেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের
সর্বনিম্ন মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে
--- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৪ নভেম্বর) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, দেশের অর্থনীতির প্রাণ তৈরিপোশাক শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে যৌক্তিকভাবেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে এ মজুরি কার্যকর হবে। এ বিষয়ে শ্রমিকদের কোনো প্রকার উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বিজিএমইএ মিলনায়তনে তৈরিপোশাক শিল্প খাতে কর্মরত অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসা সহায়তা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে কোনো শ্রমিক অসহায় থাকবে না। তিনি বলেন, গার্মেন্টস পণ্যের মোট রপ্তানি মূল্যের শতকরা শূন্য দশমিক শূন্য তিন টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা করা হয়। এ অর্থের অর্ধেক বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ কে দেওয়া হয় তাদের শ্রমিকদের বিমা দাবি পরিশোধের জন্য। বাকি অর্ধেক শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। কোনো গার্মেন্টস শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেলে এ তহবিল থেকে ৩ লাখ টাকা এবং বিমা বাবদ ২ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। কোনো গার্মেন্টস শ্রমিক অসুস্থ হলে তাকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা এবং শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মানুষের কল্যাণে এ তহবিল গঠন তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ। এ পর্যন্ত এ তহবিলে ১ শত ২৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। তার মধ্যে ৬১ কোটি টাকা এফডিআর করে রাখা আছে। বাকি টাকা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে। যত বেশি পোশাক রপ্তানি হবে তত বেশি টাকা এ তহবিলে জমা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ’র সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য এবং বিকেএমইএ’র সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বিজিএমইএ’র সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির, বিকেএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ মুনসুর এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ শুক্কুর মাহমুদ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আউয়াল।
অনুষ্ঠানে ৭৭ জন অসুস্থ গার্মেন্টস শ্রমিককে ২৬ লাখ ৫ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা এবং ৫৭ জন শ্রমিকের মেধাবী সন্তানকে ১৫ লাখ ৫ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
#
আকতারুল/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৭
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৪ নভেম্বর) :
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’ সামান্য পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে একই এলাকায় ১২.৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৪.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অবস্থান করছে।
এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ (দুই) নম্বর, (পুনঃ) ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ।
#
তাসমীন/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৬
দ্বিতীয় দিনে আয়কর সংগ্রহ ৫৫১ কোটি ১৫ লাখ টাকা
ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৪ নভেম্বর) :
সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলার দ্বিতীয় দিনে আজ দেশের ৮টি বিভাগ, ৩৫টি জেলা এবং ১৯টি উপজেলাসহ মোট ৬২টি স্পটে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলার দ্বিতীয় দিনে করদাতা ও সেবা গ্রহীতাদের উপচে পড়া ভিড় এবং পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ ছিলো উৎসবমুখর। সারাদেশে করদাতারা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কর প্রদান ও সেবা গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে ই-ফাইলিং এবং ই-পেমেন্ট বুথে সম্মানিত করদাতাদের ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়।
দ্বিতীয় দিনে মেলা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে। আয়কর সংগ্রহ হয়েছে ৫৫১ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ৩৯৮ টাকা। মেলার পরিধি গত বছরের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মেলায় আয়কর রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইন গ্রহণ, ই-পেমেন্ট, ই-ফাইলিং ও ই-পেমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে।
মেলায় আসা মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য রয়েছে আলাদা বুথ। মেলায় করদাতাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাজধানীর টিএসসি, রামপুরা, বেইলি রোড, মতিঝিল, মিরপুর ও উত্তরা থেকে ১৫টি শাটল বাস নিয়োজিত রয়েছে।
#
মু’মেন/সেলিম/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেখে ভারত আনন্দিত। ভারত চায় বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারা সব সময়ে অব্যাহত থাকুক এবং নির্ধারিত সময়ে সকলের অংশগ্রহণে ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন হোক।
আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে হাইকমিশনার এ কথা বলেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার সংবিধানসম্মতভাবে সকল দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের জন্য সর্বদা বদ্ধপরিকর। সকল দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক বিরাজ করছে এ কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণও স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানকে সবসময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তাদের পররাষ্ট্র নীতিতে প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তালিকার শীর্ষে রেখেছে ভারত। ভারত মনে করে বাংলাদেশকে সাথে নিয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
এ সময় মোহাম্মদ নাসিম জানান, ভারত সরকারের সহযোগিতায় যশোর, পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, পটুয়াখালি ও জামালপুরে ৬টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে দেশে নতুন ৩৬ টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করার ক্ষেত্রে সেদেশের সরকারের সহযোগিতার কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্মরণ করেন। তিনি বলেন, শুধু স্বাস্থ্যখাত নয় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভারতের অবদান দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। এ সময়ে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার সাম্প্রতিক মানোন্নয়নের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিবছর ভারত থেকে আগত শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলো থেকে পাশ করে দেশে ফিরে গিয়ে মানসম্মত সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাই কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।