তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৮৭
ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে
-- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি):
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জ্ঞাননির্ভর সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে সরকা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিত করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে সরকারি সংগীত কলেজ প্রাঙ্গণে আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকার পূজা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে সরস্বতী পূজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এ সময় পরিষদের আহ্বায়ক বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও সদস্য সচিব (ইউজিসির সহকারী সচিব) প্রবীর চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ন চন্দ্র বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের অন্যতম সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজায় ধর্ম-বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে এটি দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ঐতিহ্যে যোগ করেছে এক ভিন্ন মাত্রা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর, সদস্য প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পরিচালক মো: ওমর ফারুখ, সরকারি সংগীত কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্টি হেফাজ, পরিষদের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার ও যুগ্ম আহ্বায়ক ড. অশোক কুমার রায়, নন্দলাল দাস।
পরে মন্ত্রী পূজা উদ্যাপন পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত ‘জ্যোতির্ময়’র মোড়ক উন্মোচন করেন এবং সংগঠনটির ওয়েবসাইট https://pujaupa.org/ এর উদ্বোধন করেন।
#
নাহিয়ান/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৮৬
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সাত দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকের কথা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার জার্মানির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ড. ক্রিস্টোফহিউজেনের (Christoph Huesgen) আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্তত সাত দেশ ও তিন আন্তুর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তানীতি বিষয়ক বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফর প্রাক্কালে পর্দা উন্মোচন সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী জানান, মিউনিখ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রায় পাঁচশত প্রতিনিধি থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে এবং ক্লাইমেট ফিন্যান্স সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও উপস্থিত হবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণসহ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ৪ দিনের সরকারি সফরে যাত্রা করে সন্ধ্যায় মিউনিখ পৌঁছাবেন। সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উদ্দেশ্যে মিউনিখ ত্যাগ করে ১৯ ফেব্রুয়ারি পৌঁছার কথা রয়েছে।
হাছান জানান, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ (Olaf Scholz), নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রাটা (Mark Rutte), ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেতে ফ্রেডেরিকসেন (Mette Frederiksen) এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমায়ার জেলেনস্কির (Volodzmyr Zelensky) সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S. Jaishankar), যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন (David Cameron), জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ভেনজা শুলজ (Svenja Schulze), বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ (Axel Van Trotsenburge) এবং মেটা'র (Meta) গ্লোবাল এফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ (Nick Clegg) প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
সংলাপের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি আনয়নের মূলমন্ত্র নিয়ে বিগত ১৯৬৩ সাল থেকে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এ সম্মেলনের ২০১৭ ও ২০১৯ সালের আসরে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জার্মানি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ। সেইসাথে, একক দেশ হিসেবে জার্মানি বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ইউরোপে সর্ববৃহৎ রপ্তানি বাজার। এছাড়াও, তারা বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় জার্মানি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, এ আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি জার্মান নেতৃবৃন্দের সাথেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জার্মানি সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসু হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. হাছান।
উল্লেখ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সম্মেলনের ক্লাইমেট সিকিউরিটি সংক্রান্ত প্যানেল এবং পররাষ্ট্র সচিব পিস অপারেশনস বিষয়ক আরেকটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।
#
আকরাম/ফয়সল/সায়েম/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৮৫
অর্থনীতির উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি বহুমুখীকরণে গুরুত্বারোপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, রপ্তানি থেকে আয় বাড়াতে এবং অর্থনীতির উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি বহুমুখীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তৈরি পোশাক, ওষুধ পণ্য, প্লাস্টিক, চামড়া, পাটজাত পণ্য, জাহাজ নির্মাণ এবং দক্ষ জনশক্তিকে রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য ফোকাস করার কয়েকটি ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
আজ রাজধানীর পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক বাজার: বাংলাদেশের সুযোগ ও অগ্রগতি’ (Economic Diversification and Global Market: BangladeshÕs Opportunities and Way Forward) শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমসহ কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবসহ একাধিক ফ্রন্টের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ অসাধারণ উন্নতি করেছে। এটা শুধু জাদু নয়, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে। তিনি বলেন, সরকার ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপট বিকশিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ উভয়ই তৈরি করে এবং সরকার বিচক্ষণতার সাথে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিআইএসএস’র চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এএফএম গাউসুল আজম, সরকারের মডারেশনে সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সাবেক প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বিদেশি রাষ্ট্রদূত, দেশের সাবেক রাষ্ট্রদূতদের অংশ নেওয়া সেমিনারে বিআইএসএস’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবিরের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সামাজিক অনুষদের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ দ্বীন ইসলাম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. রোজানা রশীদ প্রমুখ।
#
আকরাম/ফয়সল/সায়েম/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৮৪
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি):
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি (Iwama Kiminori) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছানকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিকাওয়া ইয়োকোর (KAMIKAWA Yoko) পত্রটি হস্তান্তর করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের অমূল্য অবদান রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপানের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং এ দেশের উন্নয়নে তা অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুই দেশের পারস্পরিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়, জানান মন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা জানান, তার দেশের সহায়তায় নির্মীয়মাণ মাতারবাড়ী পাওয়ার স্টেশনের প্রথম প্ল্যান্ট নির্মিত হয়েছে, দ্বিতীয় প্ল্যান্ট চলতি বছরেই শেষ হবে। চট্টগ্রাম থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত সড়ক প্রকল্পও যথাসময়ে শেষ হবে।
জাপানের সঙ্গে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিটি বাংলাদেশ দ্রুত সম্পন্নে আগ্রহী জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প নগরসহ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তিনি নব্বইয়ের দশকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ নির্মাণে জাপানের সহায়তার কথা উল্লেখ করেন এবং টার্মিনাল-২ নির্মাণেও জাপানকে আহ্বান জানান।
বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আমরা জাপানের অব্যাহত সহায়তা কামনা করি এবং রোহিঙ্গাদের জন্য যেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা অনেক কমেছে সেখানে জাপানের অব্যাহত সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
#
আকরাম/ফয়সল/সায়েম/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৮৩
গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পেশার জবাবদিহিতায় প্রেস কাউন্সিলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
-- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি):
গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পেশায় জবাবদিহিতা আনতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের এর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষকী ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার মূল কাজ কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে জবাবদিহিতায় আনা। সমাজের দর্পণ হিসেবে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি, ভালো-মন্দ সবকিছু তুলে ধরা। কিন্তু অন্যান্য পেশার মতো এ পেশার মধ্যেও অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার নামে অপসংবাদিকতা, পেশাদারিত্বের জায়গায় অপেশাদারি মনোভাব দেখা যায়। যারা সমাজের সর্বক্ষেত্রে সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনবেন, সে পেশায়ও কিছুটা জবাবদিহি থাকার প্রয়োজন আছে। সে জায়গায় প্রেস কাউন্সিলের মতো প্রতিষ্ঠানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
অধ্যাপক আরাফাত আরো বলেন, যারা পেশাদারিত্বের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তারাও চান এ পেশার মধ্যেও একটা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং এক ধরনের শৃঙ্খলা থাকুক। তিনি বলেন, সাংবাদিকতাকে অপব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। সেখানে প্রেস কাউন্সিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রেস কাউন্সিল আইন আরো যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। সরকারের উদ্দেশ্য গণমাধ্যমকে আরো স্বচ্ছ, সুন্দর এবং শক্তিশালী করা। গণমাধ্যমের স্থান যাতে সংকুচিত না হয়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ যাতে নিশ্চিত হয়, গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা যাতে আরো উন্মুক্ত হয় সেটিই সরকারের উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব এবং গণমাধ্যমবান্ধব। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে এবং এ সময়ে উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে।
প্রতিমন্ত্রী আরো যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে আমাদের মৌলিক জায়গা হচ্ছে এ দেশে গণতন্ত্র থাকতে হবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, অপতথ্য রোধ করতে গিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জায়গা যেন সংকুচিত না হয়।
#
ইফতেখার/ফয়সল/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৮২
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ফলেই পাহাড় আজ নিরাপদ
-- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি):
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেছেন, পার্বত্য চুক্তির ৭২টি ধারা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ফলেই পাহাড় আজ নিরাপদ।
আজ রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে পার্বত্য মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছে। সরকার এ অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো ও মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। পার্বত্য জেলাসমূহের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারেও সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণের ফলে পার্বত্য জেলাসমূহ আজ কোন পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার।
সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, যোগ্য নেতৃত্ব আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘ দু’যুগ ধরে চলমান পাহাড়ি-বাঙালি রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে। পার্বত্য চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে অধিকাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। অবশিষ্ট কিছু ধারা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, যা দ্রুত বাস্তবায়নে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায় রয়েছে যারা সংস্কৃতিমনস্ক সৃজনশীল কাজের প্রতি অনুরাগী। এই মেলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ফুটে ওঠেছে। তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য, হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী কোমর তাতেঁ বোনা পণ্য, মৌসুমী ফল, ঐতিহ্যবাহী খাবার মেলার আকর্ষণকে অধিকতর বাড়িয়ে তুলেছে।
এর আগে প্রধান অতিথি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ফিতা কেটে, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি অতিথিদের নিয়ে মেলার স্টলসমূহ পরিদর্শন করেন এবং স্টলের কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি।
#
রেজুয়ান/ফয়সল/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৮১
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সে বিষয়ে সজাগ সরকার
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি):
আজ সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদের সঙ্গে ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্ট্যান বর্ন (Stan Born) এর নেতৃত্বে ইউএস কৃষি বিভাগের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি (Omar Mohie Eldin Ahmed Fahmy) ও কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস (Lilly Nicholls) পৃথক বৈঠক করেছেন। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠক মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, একসময় মিশরে পাটের চাষ হতো, এখন হয় না। বর্তমানে মিশরে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের ভালো ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। মিশর পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে চায়। এক্ষেত্রে জাত, বীজ ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মিশরের প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য মিশরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠালসহ শাকসবজি নেওয়ার অনুরোধ করেন কৃষিমন্ত্রী। এছাড়া, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে কানাডার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এসব বিষয়ে সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস। বাংলাদেশের কৃষিকে আরো বেশি রপ্তানিমুখী করা এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আম, আনারস প্রভৃতির জুস রপ্তানি করা যেতে পারে বলে জানান তিনি। কানাডার ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অর্গানাইজেশন (টিএফও) এর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংযোগ ঘটানোর বিষয়েও উদ্যোগ নিবেন বলে জানান তিনি।
ইউএস কৃষি বিভাগের প্রতিনিধিদল বৈঠকে বাংলাদেশে সয়াবিন রপ্তানি এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকার খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। মজুতদারদের বিরুদ্ধে এবার খুবই সতর্ক সরকার। কোনোভাবেই পণ্য মজুত করে ভোক্তাদের কৃত্রিম সংকটে ফেলতে দেয়া হবে না। রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে- এ বিষয়ে সরকার খুব সজাগে আছে। সম্প্রতি খাদ্য, বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভা হয়েছে, যখনই প্রয়োজন হবে আবার সভা করা হবে। প্রয়োজনে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও সভা করা হবে।
ছোট ব্যবসায়ীরা যাতে বিপদে না পড়ে সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী। এছাড়া, শিগগিরই পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরো কমে আসবে বলে জানান তিনি।
#
কামরুল/ফয়সল/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৮০
শীঘ্রই বাজার ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসবে
-- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি):
পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা হবে। বাজার ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করতে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে শীঘ্রই বাজার ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আসবে।
আজ ঢাকায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত প্রথম ত্রৈমাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) এসব কথা বলেন।
টিসিবি’র কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমানে আমরা টিসিবি’র মাধ্যমে প্রতিমাসে একবার এক কোটি পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দিচ্ছি। রমজান মাসে সেটা দু’বার দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘হস্তশিল্পকে’ বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে টিটু বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগামী বছর পহেলা বৈশাখে মেলার মাধ্যমে হস্তশিল্পকে তুলে ধরতে কাজ চলছে। রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হস্তশিল্পকে মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা উচিত। তাই এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে একযোগে কাজ করবে সরকার।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, এমসিসিআইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিম, এমসিসিআইএ’র সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবিরসহ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসিফ/ফয়সল/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৭৯
নারী উদ্যোক্তা সাধন প্রকল্পটি পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হবে
-- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নারী উদ্যোক্তা সাধন প্রকল্পটি পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হবে।
আজ রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাকক্ষে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা এবং বঙ্গবন্ধু বাতিঘর পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে আনতে প্রশিক্ষণ আরো বৃদ্ধি করতে হবে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নারীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে হবে। তিনি বলেন, নারীদের পিছিয়ে রেখে কখনোই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। নারী পুরুষের সমান প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
সিমিন হোসেন বলেন, নতুন নতুন বিষয় প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সমষ্টিগত প্রচেষ্টায় নারীদের এগিয়ে নিতে হবে। তিনি নারীদের গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় জাতীয় মহিলা সংস্থার বঙ্গবন্ধু কর্নার, হেল্প ডেক্স, নারী নির্যাতন সেল, চারুলতা বিপণন সেল, শিশু দিবস যত্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, ৬৪টি জেলা ও ৫০টি উপজেলায় জাতীয় মহিলা সংস্থার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই সংস্থাটি ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম, সেলাই প্রশিক্ষণ, আইন সেলের মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল, তথ্য আপা ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে।
#
নূর আলম/ফয়সল/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭৮
ভালো মানের ডাক্তার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার
--- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ডাক্তার হওয়া যতটা জরুরি তার চেয়ে বেশি জরুরি ও গুরুতপূর্ণ হচ্ছে সৎ ও আদর্শবান মানুষ হওয়া, ভালো ডাক্তার হওয়া।
মন্ত্রী আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পূজা কমিটি কর্তৃক সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, দেশের লাখ লাখ অসহায় মানুষ তোমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাই জানে ডাক্তারের গুরুত্ব কতটুকু। তাই স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডাক্তারদের সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে ভালো মানুষ ও ভালো মানের ডাক্তার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
পরে মন্ত্রী রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ঢাকার কদমতলিতে সিলিন্ডার গ্যাসের চুল