তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৫৫
তৈরি হচ্ছে ডেটা প্রাইভেসি অ্যান্ড লোকালাইজেশন ল'
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ কার্তিক ( ৬ নভেম্বর) :
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডেটার ক্যাটেগরি নির্ধারণ করে তৈরি হচ্ছে ডেটা প্রাইভেসি অ্যান্ড লোকালাইজেশন ল। ডিজিটাল প্রযুক্তি জীবনকে সহজ করলেও কিছু ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। ডেটা গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন ডেটার ক্যাটেগরি নির্ধারণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক বিনিময়যোগ্যতা এবং গোপনীয়তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) পঞ্চদশ বার্ষিক সাধারণ সভার ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অভ্ থিংস (আইওটি) এবং ডেটা প্রাইভেসি’ বিষয়ক ওয়েবিনারে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডেটার বিষয়ে সকলকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই কোনো না কোনো ভাবে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছি। আমরা যদি ডেটার ক্যাটেগরি নির্ধারণ করে দেই তবে আমাদের ১০ কোটি যে ডিজিটাল আইডি রয়েছে; সেই আইডির কোন, কোন তথ্য আমরা প্রাইভেট কোম্পানিকে দিতে পারবো, আর কোনো তথ্য প্রাইভেসির কারণে কারো কাছে শেয়ার করতে পারবো না এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন থাকা দরকার। সে কারণেই ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, রোবটিকস নিয়ে একটি স্ট্রাটেজি বা পলিসি ইতোমধ্যেই আমরা প্রণয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনায় একটি ডেটা প্রাইভেসি অ্যান্ড লোকালাইজেশন ল’ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি এখন খসড়া পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অল্পদিনের মধ্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমসহ বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় ১১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রতি মিনিটেই আমরা বিপুল পরিমাণ তথ্য তৈরি করছি। আমাদের ৫৮টি ব্যাংক, ই-নথি, ৯ কোটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ওয়ালেট রয়েছে। এগুলোতে থাকা গ্রাহকের অনেক তথ্যই বাইরের কোনো দেশে সংরক্ষণ করা হলে (হোস্ট করলে) তাহলে সেটা অবশ্যই আমাদের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় একটি হুমকী হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের সভাপতি ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো আলোচনা করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের পরিচালক জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিম, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এবং ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ডিরেক্টর তারেক এম বরকতউল্লাহ।
বিএনএনআরসি এর প্রধান নির্বাহী এইচ এম বজলুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উন্নত ও জ্ঞান সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হতে হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে তা তুলে ধরেন গবেষক তামজিদুর রহমান। এছাড়া আরেকটি উপস্থাপনায় বিগডেটার বাজার বিশ্লেষণ তুলে ধরেন ফারজানা আফরিন।
#
শহিদুল/খালিদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৫৪
কোভিড -১৯ মোকাবিলা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আইএলওকে
সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ২১ কার্তিক ( ৬ নভেম্বর) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, কোভিড -১৯ আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং কাজের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ যুক্ত করেছে। এ সময় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা -আইএলওকে এ অবস্থা মোকাবিলা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আজ আইএলও এর ৩৪০ তম গভর্নিং বডির ভার্চুয়াল সভায় কোভিড -১৯ এন্ড ওয়ার্ল্ড অভ্ ওয়ার্ক সেশনে আলোচনায় এ আহ্বান জানান।
করোনাকালীন এ অবস্থা থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় চারটি বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড-বায়ারদের নৈতিক ও দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করতে আইএলওর কে কাজ করতে হবে। তুলনামূলক দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে এগিয়ে নিতে বাজারে প্রবেশ অগ্রাধিকার দিতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকদের চাকরি ধরে রাখতে আইএলওর কাজ করতে হবে এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইএলও'র শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঘোষণাপত্র উপলব্ধি করে জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য একসাথে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ভবিষ্যতে শোভন কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতে ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় করোনা মোকাবিলায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু এবং আইএলও এর সহযোগিতায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। সংকট নিরীক্ষণের জন্য ২৩টি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একশতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে আইএলওতে যোগদান এবং একদিনেই ২৯টি আইএলও কনভেনশন অনুস্বাক্ষরের বিষয়টি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
ভার্চুয়াল সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জেনেভাস্থ স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি মো. মুস্তাফিজুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন-সহ মন্ত্রণালয় স্থায়ী মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত ছিলেন।
#
আকতারুল/খালিদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৫৩
বিশ্ব খাদ্য সমৃদ্ধকরণ সম্মেলনের ভার্চুয়াল আলোচনায় শিল্পমন্ত্রী
খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে
ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১০ সাল থেকে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক পুষ্টির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সঠিক পথ ধরে এগিয়ে চলেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণের কঠোর পরিশ্রম এবং অপুষ্টি দূরীকরণে অর্জিত সাফল্য ইতোমধ্যে বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
শিল্পমন্ত্রী আজ বিশ্ব খাদ্য সমৃদ্ধকরণ সম্মেলনের (Global Summit on Food Fortificaion) অংশ হিসেবে আয়োজিত ‘সংকটকালে টিকে থাকতে সক্ষম খাদ্য ব্যবস্থা- খাদ্য সমৃদ্ধকরণের ভূমিকা (A Resilient Food System for a time of Crisis-the Role of Fortification) শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল সভায় বক্তৃতাকালে একথা বলেন। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রেশন (GAIN) এবং মাইক্রো নিউট্রেন্ট ফোরাম যৌথভাবে এ অধিবেশনের আয়োজন করে।
ইউএসএআইডি'র (USAID) প্রধান পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সন বেকারের (Shawn Baker) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়ার উন্নয়ন পরিকল্পনামন্ত্রী ড. সুহারসো মনোয়ারফা (Dr. Suharso Monoarfa), নাইজেরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. ওসাগেই ইহানায়ার (Dr. Osagie Ehanire), মোজাম্বিকের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী কার্লোস মেসকুইটা (Carlos Mesquita), গাম্বিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহামেদু লামিন সামাতে (Ahmadou Lamin Samayeh), আফ্রিকান ইউনিয়নের গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক কমিশনার জোসেফা লিওনের করিয়া সেকো (Josefa Leonel Correa Sacko) এবং ভারতের বিহার রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ড. প্রেম কুমার (Dr. Prem Kumar) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বক্তব্য রাখেন।
করোনা মহামারির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবন-জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র মানুষের জীবিকায় করোনার ভয়াবহ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার নিম্নআয়ের মানুষকে নগদ আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সুলভ মূল্যে খাদ্য বিতরণসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করেছে। এর পাশাপাশি অদৃশ্য ক্ষুধা (Hidden hunger) মোকাবিলায় বিপুল পরিমাণে খাদ্যে ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, অপুষ্টি দূরীকরণে বাংলাদেশ ধারাবাহিক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। এ লক্ষ্যে ২০১৩ সালে ভোজ্যতেলে ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ বাধ্যতামূলক করে আইন পাস, আয়োডিন ঘাটতি পূরণে মন্ত্রিপরিষদ আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন ২০২০ (Iodized Salt Act 2020) অনুমোদন এবং জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি ২০২০ (National Food and Nutrition Security Policy/NFNSP 2020)-তে খাদ্য সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়ও এটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাংলাদেশ সরকার গৃহীত এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে দেশের মোট প্যাকেটজাত ভোজ্য তেলের ৯৫ শতাংশ এবং ড্রামজাত ভোজ্য তেলের ৪১ শতাংশ ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণের আওতায় এসেছে। বর্তমান সরকার গম ও ভুট্টার আটায় ভিটামিন- 'এ' সমৃদ্ধ করার কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টিমান পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি ঘটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, পুষ্টি ঘাটতি দূরীকরণে সরকার বায়ো-ফর্টিফাইড ক্রপস বা জৈবসমৃদ্ধ ফসলের (Bio-fortified crops) উৎপাদন বাড়াতে আগ্রহী। জিংকসমৃদ্ধ চাল মানবদেহে জিংক ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার এ চালের উৎপাদন ও ভোগ বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়নে শিল্প মন্ত্রণালয়, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রেশন (GAIN), অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং বেসরকারিখাত একযোগে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
#
জলিল/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৫২
নাগরিক দায়িত্ব পালনে সচেতন হবার আহ্বান শিল্প প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
নাগরিক দায়িত্ব পালনে আরো সচেতন ও তৎপর হবার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার মিরপুরের ১৫ নম্বরে অবস্থিত রূপসী প্রোঅ্যাক্টিভ ভিলেজ সোসাইটির নির্বাচিত পর্ষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা শুধু সরকার আর সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নয়, প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে। যেখানে-সেখানে ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলার আহ্বান জানিয়ে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে অনেক রোগ-বালাই থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। তিনি এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য পর্ষদকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।
সোসাইটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশীর সুখ-দুঃখের খোঁজখবর নিতে হবে এবং বিপদে আপদে তাদের পাশে থাকতে হবে। নিজের সন্তান বা প্রতিবেশীর সন্তান জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস এসবে জড়িয়ে পড়ছে কি না সে বিষয়ে এলাকাবাসীর সকলকে, বিশেষ করে নবনির্বাচিত পর্ষদকে সর্বদা সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
#
মাসুম/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৫১
বাংলাদেশ সাহায্য দাতা দেশে পরিণত হয়েছে
-- পরিবেশ মন্ত্রী
মৌলভীবাজার, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পূর্বে দেশের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং জনগণের প্রয়োজন মেটাতে উন্নত দেশের সহায়তা প্রয়োজন হতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ক্ষেত্রে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, দেশ স্বাবলম্বী হয়েছে। এখন বাংলাদেশ অন্য দেশের দুঃসময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য অর্জন করেছে এবং বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করছে। ফলে বর্তমানে সাহায্য গ্রহণকারী দেশের পরিবর্তে বাংলাদেশ সাহায্য দাতার দেশে পরিণত হয়েছে।
আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মৌলভীবাজার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর, গেট, গভীর নলকূপ, ড্রেন ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা-সহ ৪ তলা ভিতবিশিষ্ট ২ তলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।
মন্ত্রী বলেন, এই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের উদাহরণ। তিনি বলেন, সারা দেশের মতো বড়লেখায়ও জনগণের চাহিদামতো রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, নদী ভাঙন রোধ-সহ জনস্বার্থমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম পাঠান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস, পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম হেলাল উদ্দীন এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাজউদ্দিন প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বর্ণি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দীন।
#
দীপংকর/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৯১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৫০
ডেটার অপপ্রয়োগ রোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডেটার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিশেষত ব্যক্তিগত ডেটার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডেটা অনেক ক্ষেত্রে মানুষে সংঘাত ও সমস্যা সৃষ্টি-সহ নানাবিধ খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। ফেসবুকে কোনো কোনো সময় ডেটার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সন্ত্রাস, মানহানি, গুজব ছড়ানো, অপপ্রচার, রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করার অপচেষ্টা হয়ে থাকে। দেশে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। ডেটার অপপ্রয়োগ রোধে সম্মিলিত উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত সংস্থার ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে ‘ইন্টারনেট ফর হিউমেন রেজিলেন্স এন্ড উইথ ইকুইটি লেন্স উয়েক এন্ড মিসিং ভয়েসেস’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বিআইজিএফ সভাপতি, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিকাশের ইতিহাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে শুরু হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার হাত ধরে দেশে ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০০৮ সালে নির্বাচনি ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বাস্তবায়ন শুরু হয়। তিনি বলেন, কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশ ডিজিটাল বিপ্লবের ফসল হিসেবে আজ সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দোরগোড়ায় উপনীত হয়েছে। তিনি ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিপদ থেকে আত্মরক্ষার উপায় জানতে হবে। প্রযুক্তির পাশাপাশি ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সচেতনতা অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক, গুগল এশিয়া প্যাসিফিক, সিঙ্গাপুর এর কর্মকর্তা তেনজিন নরভু, আইকান এর এশিয়া প্যাসিফিক এর ম্যানেজার ঝিয়া রন-লু, ইন্টারনেট গভর্নমেন্ট সাপোর্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট মারকাস কুমার, নেপাল ইন্টারনেট ফোরাম কর্মকর্তা বাবু রাম আরিয়ান এবং আইসিটি ব্যক্তিত্ব বজলুর রহমান বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৪৯
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২১ কার্তিক ( ৬ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ৫২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৪৫৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৭৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জন-সহ এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৬ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৭ জন।
#
হাবিবুর/সাহেলা/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৭৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৪৭
জাতীয় সমবায় দিবসে উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনে সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। শতাব্দী প্রাচীন এ আন্দোলন বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সমবায়ের চেতনাকে প্রবল ও অর্থবহ করে তুলেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। তিনি দরিদ্র-সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সংবিধানে মালিকানার নীতি হিসেবে সমবায়কে জাতীয় অর্থনীতির দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তাই সমবায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
একটি শ্রেণি-গোষ্ঠীর মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সমবায় একটি কাh©Ki প্রতিষ্ঠান। সমবায় পদ্ধতি পারস্পরিক সহযোগিতা, সমবেত প্রচেষ্টা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা ও ভাগ্যন্নোয়নের নীতিতে বিশ্বাস করে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সম্পদ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বনির্ভরতা অর্জন ও দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের সমবায় আন্দোলন ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে সফলতার পথে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশে মানুষের মাথাপিছু জমি ও সম্পদের পরিমাণ অত্যন্ত সীমিত। তাই কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে পূঁজি গঠনে সমবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সমবায়ের মাধ্যমে আয়-বৈষম্য হ্রাস করে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে সমবায় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল, সক্রিয় এবং যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সকলে তৎপর ও আন্তরিক হবেন - এ প্রত্যাশা করি।
৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন সফল হোক - এ কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
#
হাসান/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২০/১২২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৪৮
জাতীয় সমবায় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৯তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে দেশের সকল সমবায়ী ও সমবায়বান্ধব জনগণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করে সংবিধানের ১৩(খ) অনুচ্ছেদে সম্পদের মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে সমবায়কে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং সমবায়কে গণমুখী আন্দোলনে পরিণত করার ডাক দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দরিদ্র, ভূমিহীন, নিম্নবিত্ত দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণপূর্বক সমবায়ের মাধ্যমে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে ‘সমবায় দুগ্ধ প্রকল্প’ নামে একটি দুগ্ধ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে পাঁচটি দুগ্ধ উৎপাদনকারী এলাকায় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করেন। আজকের মিল্কভিটা তাঁরই সুদূরপ্রসারি উদ্যোগের ফসল। জাতির পিতা সমবায় পদ্ধতিতে সমন্বিত/যৌথ খামার প্রচলনের মাধ্যমে উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয় রাজস্বে পল্লী-উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন।
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে সঙ্গে পল্লী উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করি এবং পরবর্তীতে ২০১২ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ একাডেমিতে রূপান্তরিত করি। দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক অগ্রগতি ও নারী-পুরুষ সমতার উদ্দেশ্যে পল্লী-দারিদ্র্য বিমোচন ফাউণ্ডেশন আইন, ১৯৯৯ প্রণয়নের মাধ্যমে ফাউণ্ডেশনটি প্রতিষ্ঠা করি। সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এবং জাতীয় সমবায় নীতিমালা, ২০১২ প্রণয়ন করি। পুনরায় সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করি। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ‘আমার বাড়ী, আমার খামার প্রকল্প’ গ্রহণ করি। বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ ২১ হাজার ১৪২টি সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে- যার উপকারভোগী সদস্য পরিবার-৫৬ লক্ষ ৪১ হাজার। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা সমবায় খাতে বাজেট বৃদ্ধি করেছি, সমবায়ীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছি, আর্থিক ও উপকরণ সহায়তার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনসহ সমবায়ীদের জীবনমান ও সামাজিক ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টায় সমবায় সমিতি এবং সমবায়ীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে সমিতি ১,৯০,৫৩৪টি এবং সদস্য ১,১৪,৮৩,৭৪৭ জনে উন্নীত হয়েছে।
জাতীয় অর্থনীতিতে সমবায় কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, পোষাক, দুগ্ধ উৎপাদন, আবাসন, ক্ষুদ্র ঋণ ও সঞ্চয়, কুটির-চামড়াজাত-মৃৎশিল্প ইত্যাদি খাতের বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন ক্ষেত্রে উন্নয়নসহ, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে বিশাল অবদান রাখছে। এ বছর কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পুরো বিশ্বে স্থবিরতা সৃষ্টি করলেও, আমাদের সমবায় সমিতিগুলো এ সময় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে, সদস্যদের ঋণ মওকুফসহ দুর্গত সদস্যদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে। করোনায় আক্রান্ত সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। আমাদের সরকারের দৃঢ় প্রত্যয়, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও বিভিন্ন ধরনের গণমুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ফলে করোনা-মহামারি থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে সাধুবাদ জানাই। রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সমবায় সংগঠন অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি ও সমবায়ীগণকে ২০১৯ সালের জাতীয় সমবায় পুরস্কার প্রদান নিশ্চিয় দেশের সকল সমবায়ীকে আরো উৎসাহিত করবে।
আসুন, জাতির পিতার আহ্বানে সাঁড়া দিয়ে ‘সমবায়ের যাদুস্পর্শে সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূল্যবোধের চর্চা ও সমবায় ভিত্তিক সমাজ গঠন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করি।’ ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচি সফল হোক। সমবায় আন্দোলন দীর্ঘজীবী হোক।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২০/১২২৮ ঘণ্টা