Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ এপ্রিল ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৬ এপ্রিল ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর: ১৭২৯

জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে সময়োপযোগী বৈশ্বিক কর্মসূচি

গ্রহণের আহ্বান প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :    

জেন্ডার সমতা নিশ্চিত এবং নারীর প্রতি নেতিবাচক চিন্তাধারার মানসিকতা পরিবর্তনের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে কমনওয়েলথ,বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, জাতিসংঘ এবং উন্নত দেশগুলোকে সময়োপযোগী বৈশ্বিক কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। মহামারি কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক লাখ একত্রিশ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। মহামারি চলাকালীন সময়ে ৬ কোটি মানুষকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে এবং কর্মক্ষেত্রে ৫০:৫০ বা সমতা অর্জনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এখন পারস্পরিক দৃঢ় বিশ্বাস, সহযোগিতা ও আস্থার মাধ্যমে নারী ও কন্যাদের জন্য সমতার উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। নারীরা যেন ঘরে বসে কাজ করতে পারে সে জন্য ই-কমার্স ও হোম বেজড কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। নারীরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা ও প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নারী উদ্যোক্তারা সুবিধা পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ ২৬ এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে দ্য কমনওয়েলথ আয়োজিত ‘কমনওয়েলথ উইমেন’স এফেয়ার্স মিনিস্ট্রিয়াল একশন গ্রুফ’ এর সভায় “ডায়লগ এন্ড লার্নিং অন কোভিড-১৯ এন্ড জেন্ডার ইনক্যুয়ালিটি” বিষয়ে বক্তৃতায় এ আহ্বান জানিয়েছেন। কমনওয়েলথ উইমেন এ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রিয়াল সভাপতি এবং কেনিয়ার পাবলিস সার্ভিস, যুব ও জেন্ডার বিষয়ক মন্ত্রী প্রফেসর মার্গারেট কবিয়া’র (Professor Margaret Kobia) সভাপতিত্বে  উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথের মহাপরিচালক প্যাট্রেসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি (Patricia Scotland QC) সহ কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের নারী ও জেন্ডার বিষয়ক মন্ত্রী  এবং প্রতিনিধিবৃন্দ।

এ সভায় যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপ, সামোয়া, মরিশাস, গায়েনা, রুয়ান্ডাসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশের মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দ নারী উন্নয়ন ও নারীর প্রতি বৈষম্য রোধে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে বক্তৃতা করেন।

এসময় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিবুজ্জামান ও যুগ্মসচিব নার্গিস খানম উপস্থিত ছিলেন।

#

আলমগীর/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২২২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৭২৮

বঙ্গবন্ধু বাংলাভাষাকে প্রশাসনিক ভাষা হিসেবে যোগ্যতা অর্জনের ব্যবস্থা করেছেন

                                                                       -- মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :    

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাঙালি জাতি রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেননি তার জন্যই ভাষাভিত্তিক বাংলা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাভাষাকে প্রশাসনিক ভাষা হিসেবে যোগ্যতা অর্জনের জন্য মুনীর অপটিমা টাইপ রাইটার প্রবর্তনের ব্যবস্থা করেন। এটাই ছিলো বাংলা ভাষার রাষ্ট্রে অফিস আদালতে বাংলা লিখার প্রথম যন্ত্র। মুনীর কী বোর্ডের ওপর ভিত্তি করে তৎকালীন পূর্বজার্মান থেকে তিনি এই যন্ত্রটি অপটিমা কোম্পানির মাধ্যমে তৈরি করিয়ে আনেন । বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন এবং আইটিও ও ইউপিইউ এর সদস্য পদ অর্জনের মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক পশ্চাদপদ এই জনগোষ্ঠীকে ইন্টারনেটভিত্তিক তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণের ভিত্তি তিনি স্থাপন করেন বলে বলে মন্ত্রী উল্রেখ করেন।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ টেলিটক শাখার উদ্যোগে প্রকাশিত চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন  উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ টেলিটক শাখার সভাপতি রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর,  টেলিটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও  বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ টেলিটক শাখার প্রধান পৃষ্ঠপোষক মোঃ সাহাব উদ্দিন এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান বক্তৃতা করেন।

 

 টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী টেলিটকের হাত ধরে ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে বাংলাদেশের প্রবেশকে একটি অবিস্মরণীয় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, নিজেদের শক্তির ওপর আস্থা রেখে নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগানোর বিকল্প নেই। মোস্তাফা জব্বার বলেন, নিজেদের মেধা শক্তি  ও সৃজনশীলতা  কাজে লাগাতে পারলে আগামীর বাংলাদেশ হবে বিশ্বের অনুকরণীয় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচিকে একটি যুগান্তকারী কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে পৃথিবীতে ডিজিটাল শব্দ আর কেউ ঘোষণা করেননি। মন্ত্রী বলেন, আগামীদিনের পৃথিবী হবে মেধা শক্তির পৃথিবী। মেধা সম্পদের চেয়ে বড় সম্পদ আর হতে পারে না উল্লেখ করে বলেন, অতীতের শিল্প বিপ্লবগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলো উদ্ভাবনে একক আধিপত্য বিস্তার করেছিলো এখন তা আর নাই। এশিয়াতেও এখন এটি ছড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, আজকে যা উদ্ভাবিত হবে তাই হবে ভবিষ্যতের বড় হাতিয়ার।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় ফাইভ-জি হবে আগামীর হাতিয়ার। দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তি প্রবর্তনে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।

 

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টেলিটককে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চলমান সংগ্রাম বেগবান করতে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

 

#

 

শেফায়েত/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২১২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৭২৭

 

দেশের অর্জনকে কেউ যাতে ম্লান না করতে পারে

                                          -- কৃষিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল): 

 

দেশের অর্জনকে কেউ যাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও চক্রান্ত করে ম্লান না করতে পারে এ ব্যাপারে কৃষিবিদদের সচেতন ও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশের অর্জনকে ম্লান ও দুর্বল  করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কৃষিবিদদেরকে পেশাজীবী, কৃষিবিদ ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে সচেতন থাকতে হবে যাতে কোনক্রমেই কেউ দেশের অর্জনকে ছোটো করতে না পারে।

 

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে সংবর্ধনা সভা ও ইফতার মাহফিলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অ্যালামনাই এসোসিয়েশন বাকৃবির ৫জন  অ্যালামনাই এ বছর একুশে পদক পাওয়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

অনুষ্ঠানে এ বছর একুশে  পদকপ্রাপ্ত বাকৃবির ইমেরিটাস অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী এনামুল হক, সাহানাজ সুলতানা এবং জান্নাতুল ফেরদৌসিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

 

কৃষিমন্ত্রী ও বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৫ জন কৃষিবিদ এ বছর  রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক পেয়েছেন,  এটি আমাদের সকল কৃষিবিদের জন্য  অহংকারের, গর্বের।  এ পুরস্কার সকল কৃষিবিদকে প্রেরণা যোগাবে।

 

মন্ত্রী  আরো বলেন, গত দুই বছর ধরে করোনার অভিঘাতে এবং সাম্প্রতিক রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতেই অর্থনীতিতে ও খাদ্যদ্রব্যের দামে অস্থিরতা চলছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি, রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়নি; বরং দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে আছে। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে দেশের গার্মেন্টস শিল্প, রেমিট্যান্স ও কৃষি- এই তিনটি খাত। কৃষির এই সাফল্যকে আরো এগিয়ে নিতে কৃষিবিদের আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার, বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি হামিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় বিভিন্ন সংস্থা প্রধান, বিজ্ঞানীসহ  পাঁচ শতাধিক বাকৃবি অ্যালামনাই উপস্থিত ছিলেন।

 

       #

 

কামরুল/পাশা/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২০৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৭২৬

 

জিয়া রাজনীতির মধ্যে খাবার স্যালাইন তৈরি করেছিলেন

                                     -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

দিনাজপুর, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল): 

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ কাজ করেনি। দেশপ্রেম শুধু আওয়ামী লীগের মধ্যেই আছে। এই দেশপ্রেম আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের মধ্য দিয়ে পাই। যারা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে খাটো করতে চেয়েছিল তারা আজকে কোথায়। জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি আমি কঠোর করে দেব। রাজনীতি করা সংকীর্ণ করে দেব এবং তিনি সেই কাজটিই করেছিলেন। তিনি রাজনীতির মধ্যে খাবার স্যালাইন তৈরি করেছিলেন। কিছু রাজাকার, কিছু মুক্তিযোদ্ধা, কিছু রাজনীতিবিদকে নিয়ে তিনি একটি সংগঠন করেছিলো। নাম দিয়েছিলেন প্রথমে জাগোদল, পরে জাগদল এবং শেষে বিএনপি। ভাসানীপন্থী কাজী জাফর এবং মশিউর রহমান যাদুরা এসে মজলুম জননেতা মৌলানা আব্দুল হমিদ খাঁন ভাসানীর ধানের শীষ প্রতীকটা জিয়াউর রহমানকে দিয়েছিলেন। এই ছিল জিয়াউর রহমানের মিকচার পলিটিকস।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসাবে গৃহহীনদের গৃহ ও জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না এটা আমাদের বিরল অর্জন। আমরা নাগরিক হিসাবে গর্বিত, প্রায় ৩৩ হাজার পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপহার হিসাবে এইসব নতুন ঘর দিচ্ছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা। এ চিন্তা ছিল বঙ্গবন্ধুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সলে আবাসন এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর বিরলে ৪৭ টি পরিবারের মাঝে নবনির্মিত গৃহের জমির দলিলপত্র ও চাবি হস্তান্তর করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

 

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শরিফুল ইসলাম, বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফছানা কাওছার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানের শেষে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছাত্রীদের মাঝে ১০টি সাইকেল বিতরণ করেন এবং এর আগে উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের চককাঞ্চন শান্তিপুর জামে মসজিদের ছাদ ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, এবার ৩য় পর্যায়ে বিরল উপজেলায় ৪৭ টি নবনির্মিত গৃহের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হলেও এর আগে ১ম পর্যায়ে উপজেলায় ৫৫৬টি ও ২য় পর্যায়ে ৩০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে নবনির্মিত গৃহের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়েছিল।

 

পরে প্রতিমন্ত্রী দিনাজপুরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার, দোয়া ও আলোচনা সভায় যোগদান করেন।

       #

 

জাহাঙ্গীর/পাশা/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৭২৫

 

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে তিনটি কোম্পানি লভ্যাংশ জমা দিল  ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা

 

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল): 

   

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে তিনটি কোম্পানি ওয়ালটন গ্রুপ, নেসলে বাংলাদেশ এবং ঔষধ কোম্পানি রেনেটা লিঃ তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ  ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জমা দিয়েছে।

 

আজ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সাথে দেশি-বিদেশি কোম্পানি তিনটির প্রতিনিধিগণ সাক্ষাৎ করে নিজ নিজ কোম্পানির লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর করেন।

 

ওয়ালটন গ্রুপের তিনজন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেকটর নজরুল ইসলাম সরকার, মোহাম্মদ আলমগীর আলম সরকার, মুহাম্মদ ওমর ফারুক রিপনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল তাদের গত এক বছরের লাভের পাঁচ ভাগের এক দশমাংশ ৯ কোটি ২৯ লাখ ৬৫ হাজার ৩১৪ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।  রেনেটা লিমিটেড এর পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার খোকন চন্দ্র দাস তাদের লভাংশ্যের নির্দিষ্ট অংশ ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৬৬০ টাকার চেক এবং নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিপাল আবেউইকরেমা (Deepal Abeywickrema) এর নেতৃত্বে তাদের কোম্পানির লভ্যাংশ এক কোটি ৯৭ লাখ ৭৮৭ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। 

 

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ, ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেকটর কর্নেল শাহাদত আলম, নেসলে বাংলাদেশের ফাইন্যান্স এন্ড কন্ট্রোল ডিরেকটর নমিত মিশ্র এবং রেনেটা লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক সুকুমার চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।

 

দেশি-বিদেশি মিলে আড়াইশ’ কোম্পানি তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে নিয়মিত জমা দিচ্ছে। আজ পর্যন্ত এ তহবিলে জমার পরিমান ৬শ’ ৬৫ কোটি টাকা।

 

       #

 

আকতারুল/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৯০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর: ১৭২৪

সাইবার সুরক্ষা এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি

 

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :

নিজেদের সাইবার নিরাপত্তা সুরক্ষিত ও পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স (আইএন্ডই) ও সাইবার নিরাপত্তায় সহযোগিতা বিষয়ে আজ ভারতের নয়দিল্লিতে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ এবং ভারতের ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয় (এমইআইটি) এর মধ্যে আজ দুইটি বর্ধিত সমঝোতা চুক্তি করেছেন ভারত-বাংলাদেশ। উক্ত চুক্তির মেয়াদ আগামী ৫ বছরের জন্য বর্ধিত করা হয়। এর মেয়াদ গত ৮ই এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

ভারতে চলমান রাইসিনা ডায়ালগের অংশগ্রহণকালে বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার মোহাম্মাদ ইমরান। অপরদিকে ভারতের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন দেশটির ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সচিব কে রাজা রমন। 

চুক্তি অনুযায়ী অপর চুক্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশ এবং নিচ্ছিদ্র সাইবার সুরক্ষায় উভয় দেশ প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা বিনিময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি সুপরিসর ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে বিদ্যমান চুক্তি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় দক্ষতা উন্নয়নেও দুই সার্ট একসঙ্গে নীতিমালা অনুযায়ী বেস্ট প্রাক্টিসগুলো নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া এই চুক্তির ফিশিং, ডিডস আক্রমণ এবং জালিয়াতির মতো ঘটনা আগেই রুখে দিতে যৌথ পর্যবেক্ষণ, গবেষণা এবং নিয়মিত সিকিউরিটি ড্রিল করা হবে।  

আর চুক্তি বাস্তবায়নে বিজিডি ই-গভ সার্টের ৪জন এবং সার্ট ইন্ডিয়ার ৩ জনের সমন্বয়ে মোট সাত সদস্যের একটি ‘যৌথ কমিটি’ গঠন করার কথাও উল্লেখ আছে এই চুক্তিতে। এই কমিটি প্রয়োজনের নিরিখে একে অপরের অফিস ভিজিট করা ছাড়াও সভা-সেমিনার করে এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক ও ভারতের কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রী আশওয়ানী বিষ্ণুসহ উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।

এছাড়া প্রতিমন্ত্রী ভারতের কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রী আশওয়ানী বিষ্ণুর সাথে তাঁর অফিসে সাক্ষাৎ করেন এবং দুই পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশের বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। 

#

শহিদুল/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯০৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর: ১৭২৩

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অভ্‌ টেকনোলজির বিভিন্ন ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অভ্‌ টেকনোলজির (IIT DELHI) বিভিন্ন ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও ডিনগণের সাথে স্কুল অভ্‌ ইনফরমেশন টেকনোলজি, এনআরএফ-এর অ্যাসিসটেক ল্যাব, 3D উইভিং এবং স্ট্রাকচারাল কম্পোজিটসের বিভিন্ন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। তিনি ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক অফিসের পরিচালক ও ডিনগণের সাথে মতবিনিময় করেন।

আলোচনাকালে তাঁরা বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ ও দিল্লির আইআইটি কীভাবে যৌথ কার্যক্রমের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির ডিজিটাল অগ্রগতি, সক্ষমতা এবং স্বনির্ভরতা অর্জনে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। 

এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান’ আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তিতে সক্ষমতা এবং স্বনির্ভরতা অর্জনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে আইসিটি বিভাগ কাজ করছে।  

ইনস্টিটিউটে পৌঁছালে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ইন্টারন্যাশনাল অফিসের ডিন, প্রফেসর নবীন গর্গ, অমর নাথ ও শশী খোসলা। স্কুল অভ্‌ ইনফরমেশন টেকনোলজিতে অধ্যাপক এম. বালকৃষ্ণ ল্যাবের সুবিধাগুলো প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আইআইটি দিল্লির ডিরেক্টর প্রফেসর রঙ্গন ব্যানার্জির সঙ্গে তাঁর অফিসে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে কীভাবে আইআইটি দিল্লি বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের সক্ষমতা অর্জনে যৌথভাবে কাজ করতে পারে এবং বাংলাদেশি তরুণদের আইআইটি দিল্লির গবেষণা সুবিধা কাজে লাগাতে পারে আলোচনায় সেসব বিষয়গুলো স্থান পায়।

এরপর বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে ন্যানোস্কেল রিসার্চ ফ্যাসিলিটি (এনআরএফ) ল্যাবরেটরি ঘুরিয়ে দেখান সেখানকার সমন্বয়কারী অধ্যাপক নীরজ খারে। ল্যাবের স্বাস্থ্য, কৃষি, নিরাপত্তা, জ্বালানি শক্তি খাতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে মাইক্রো-চিপ এবং ভিএলএসআই নকশার চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের খুঁটিনাটি অবহিত করেন তিনি।

পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর অফিসে প্রফেসর রঙ্গন ব্যানার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রোবোটিক্স, সাইবার-সিকিউরিটি, সফটওয়ার এবং হার্ডওয়ার ডেভেলপমেন্ট, ভিএলএসআই এর মতো অগ্রসরমান প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন এবং ইকোসিস্টেম উন্নয়ন নিয়ে আলাপ হয় এই বৈঠকে।

বৈঠক শেষে আইআইটিকে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ এবং আইআইটি দিল্লির সাথে যৌথভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ৭টি প্রস্তাব দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। উল্লেখিত বিষয়সমূহে ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে দিল্লির আইআইটি ও বাংলাদেশের সাথে সমাঝোতা স্মারকের বিষয়ে প্রস্তাব করেন। 

এছাড়া প্রতিমন্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অভ্‌ সফট্‌ওয়্যার এন্ড সার্ভিস কোম্পানিস এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনএএসএসসিওএম এর মার্কেটিং ডেভেলপমেন্টের প্রধান অবনিত সামার, সিনিয়র ডিরেক্টর গগন সাবরাল, উপ প্রধান অনুক শর্মা।

#

শহিদুল/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৭২২

 

বিএনপির আন্দোলন মানে দুইশ’ মানুষের বিক্ষোভ

              -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :     

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বিএনপি যেভাবে ঢাকা শহরে ২ কোটি মানুষের মধ্যে দুইশ’ মানুষের বিক্ষোভ করে এতেই বোঝা যায় তারা আসলে কতটুকু আন্দোলন করতে পারবে। 

 

আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে ঈদের পরে বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন। 

 

কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়া, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ মাহফুজুল হক, ডিইউজের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সেবিকা রাণী প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। 

 

ড. হাছান বলেন, ‘আমরা চাই সরকারের যদি ভুলত্রুটি থাকে, সেগুলো বিএনপি তুলে ধরুক। তাদের আন্দোলন শুধুমাত্র তারেক রহমানের শাস্তি আর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে এটিই আমাদের কামনা। তারা জনগণের বিষয় নিয়ে কথা বলবে, সরকারের ভুলত্রুটি থাকলে সেগুলো তুলে ধরবে, সেটিই আমরা চাই। ‘এই ঈদের পরে, আগামী ঈদের পরে’ আন্দোলনের এ রকম দিনক্ষণ তারা আগেও দিয়েছে। এর জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বিএনপি আসলে আন্দোলন করতে পারবে কি না। তারা যেভাবে ঢাকা শহরে ২ কোটি মানুষের মধ্যে দুইশ’ মানুষের বিক্ষোভ করে, এতেই বোঝা যায় বিএনপি আসলে কতটুকু আন্দোলন করতে পারবে।’ 

 

এসময় নিউমার্কেটের ঘটনা নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘সেই ঘটনায় বিএনপির স্থানীয় নেতারা যে ‘ঘি ঢেলেছে’, পুলিশের কাছে সেই তথ্য আছে। যে দুই দোকান কর্মচারির মধ্যে বচসা, সেই দুই দোকানের মালিক কিন্তু বিএনপি নেতা। সুতরাং এই বচসা ঘটানোর পেছনে দুরভিসন্ধি আছে কি না সেটি তো অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। তবে, নিউমার্কেটের ঘটনায় যারাই যুক্ত, তারা যে দলের বা যে মতেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

 

দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ইংরেজি পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা হালনাগাদ করে বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলা পত্রিকাগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা সেটা খুব সহসা করে দেবো। অনেক পত্রিকা যেগুলো আসলে ঠিকভাবে প্রকাশিত হয় না, সেগুলোর বিপুল প্রচার সংখ্যা দেখানো হয়েছে, এ সব অসংগতি দূর করে আমরা এগুলো ঠিক করছি। মন্ত্রী জানান, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অষ্টম ওয়েজবোর্ড যারা বাস্তবায়ন করে নাই তাদেরকে আমরা সরকারের কোনো ক্রোড়পত্র দেবো না এবং ভবিষ্যতে নবম ওয়েজবোর্ড যারা বাস্তবায়ন করবে না, সে ক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে, সেটি নিয়েও ভাবছি। 

 

 

 

-২-

 

এর আগে সাংবাদিক সহায়তা চেক বিতরণ পর্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই এই কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়েছে এবং আজকে এই ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি ভরসার জায়গা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট অত্যন্ত সুচারু এবং স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাস্ট পরিচালনার সাথে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ যুক্ত আছেন, যা উপকারভোগী নির্বাচনে সহায়ক হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ট্রাস্টের আওতায় অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা সহায়তা নীতিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে। 

 

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের পর থেকে আজকের এই আয়োজনসহ মোট ২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ৮ হাজার ১৫৬ জন সাংবাদিক ও তার পরিবারকে দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১২ সাল থেকে সাংবাদিক সহায়তা নীতির আওতায় ট্রাস্ট গঠনের পূর্ব পর্যন্ত ৬২৩ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর করোনা সাহায্যের ১০ কোটি টাকা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ৬ কোটি টাকা দেশব্যাপী সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।

 

তথ্যমন্ত্রী এরপর বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস পরিচালনা পর্ষদের সাথে সভায় মিলিত হন এবং বাসসের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করেন। পর্ষদের চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ. আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিক ও পরিচালকদের মধ্যে বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এস এম মাহফুজুল হক, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক হারুন আল রশিদ, আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ কবীর, বাসসের নগর সম্পাদক মধু সূদন মন্ডল সভায় অংশ নেন।

#

আকরাম/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৭২৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর: ১৭২১

 

রাইসিনা ডায়ালগের প্রথম দিনে ভারত, মালদ্বীপ ও নরওয়ের সঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর মতবিনিময়

 

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :

রাইসিনা ডায়ালগের প্রথম দিনেই মালদ্বীপের স্পিকার এবং মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া তিনি মালদ্বীপের পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তি মন্ত্রী আমিনাথ শাওনা; নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানিকেন হুইটফেল্ড এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

আলাপকালে জুনাইদ আহমেদ পলক নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানিকেন হুইটফেল্ডের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ২০২১-এর পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে নরওয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আইসিটিতে সম্ভাব্য সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।

মালদ্বীপের স্পিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ সকল খাতের এগিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করেন।

প্রতিমন্ত্রী বৈঠক শেষে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের হাতেই “রাজনীতির মহাকাব্য: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ” বইট

2022-04-27-04-32-f793df41a2e66f60e5816f489639397e.doc