Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd ডিসেম্বর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 2/12/2017

তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর :  ৩২৭৫
 
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) : 
 
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
 
আজ কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৩ শত ১০ জন পুরুষ ও ২ শত ৭২ জন নারী মিলে ৫ শত ৮২ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৭ শত ৭৮ জন পুরুষ ও ৬ শত ৬ জন নারী মিলে ১ হাজার ৩ শত ৮৪  জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ২ শত ১৫ জন পুরুষ ও ১ শত ৮১ জন নারী মিলে ৩ শত ৯৬ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৯ শত ৯৭ জন পুরুষ ও ৯ শত ৮৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯ শত ৮৬ জন,  থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৪ শত ৪ জন পুরুষ ও ২ শত ৫ জন নারী মিলে ৬ শত ৯ জন,  বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ১৬ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩ শত ৯ জন নারী মিলে ২ হাজার ৪ শত ২৫ জন, শামলাপুর ক্যাম্পে ১৩ জন পুরুষ ও ২২ জন নারী মিলে ৩৫ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ৭ হাজার ৪ শত ১৭ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
 
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৭ লাখ ৩০ হাজার ৬ শত ৫৪ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
 
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
 
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭ শত। এর মধ্যে কুতুপালং ক্যাম্পে ২ লাখ ৫৩ হাজাার ৫ শত ৭০ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪ শত ৪৫ জন, ময়নার ঘোনা ক্যাম্পে ১ লাখ ২৬ হাজাার ৭ শত ৪৫ জন, উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে ২৭ হাজার ৬ শত ৬৮ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৬৫ হাজার ৬ শত ৯৫ জন, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ৯ হাজার ৫ শত ৭৭ জন বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিক অবস্থান করছে। তবে অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।
#
 
সাইফুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯১২ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর :  ৩২৭৪
 
যশোর এম এম কলেজের অধ্যক্ষের মৃত্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর শোক
 
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) : 
 
যশোর এম এম কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।  আজ এক  শোকবার্তায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মিজানুর রহমান একজন নিবেদিত প্রাণ ও আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। তার অভাব সহজেই পূরণ হবার নয়। মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 
 
অপর এক শোকবার্তায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
 
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান হƒদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তিনি ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি যশোর সরকারি এম এম কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।
 
#
আফরাজ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর :  ৩২৭৩
 
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) : 
 
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। 
 
      উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ১৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২৮ ট্রাকের মাধ্যমে ৩৩ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৩ হাজার ৩ শত ২০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৬ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ৪ শত পিস পোশাক, ৫৬ হাজার ৩ শত ২৪ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।  
 
#
 
সাইফুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৪০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর :  ৩২৭২
 
শান্তি ও সম্প্রীতি সকল ধর্মের মূল বাণী
     ---সংস্কৃতি মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) : 
 
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, শান্তি ও সম্প্রীতি ইসলামসহ সকল ধর্মের মূল বাণী। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা শুধু মুসলিমদের জন্য নয়, তিনি সকল ধর্মের মানুষের জন্য, সকল মানবতার জন্য। আমরা সবাই যদি এটি বিশ্বাস করি ও অনুসরণ করতে পারি, তবে সারা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি বিরাজ করবে। মন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে পবিত্র রবিউল আউয়াল উপলক্ষে হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইনস্টিটিউট আয়োজিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইনস্টিটিউট এর প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম নুরুদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রুনেই দারুসসালাম দূতাবাস এর হাইকমিশনার মাসুরাই মাসরি (গধংঁৎধর গধংৎর), মালদ্বীপ এর অ্যাম্বাসেডর আয়েশা শান শাকিল, ভিয়েতনাম এর অ্যাম্বাসেডর ট্রান্স ভ্যান খোয়া (ঞৎধহং ঠধহ কযড়ধ), আগা খান ফাউন্ডেশন এর আবাসিক প্রতিনিধি মুনির এম মেরালি, সেইচেলস্ (ঝবুপযবষষবং) রিপাবলিকের বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর কনসাল মোঃ আমিরুজ্জামান, মঙ্গোলিয়া কনস্যুলেট এর কনসাল এবং দক্ষিণ এশিয়া মহিলা উন্নয়ন ফোরাম (এসএডব্লিউডিএফ) এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, জার্মান দূতাবাসের কনসাল আন্দ্রিয়াস হার্টম্যান (অহফৎবধং ঐধৎঃসধহহ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট এর প্রফেসর ড আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী, গ্রামীণফোন লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি (গরপযধবষ ঋড়ষবু), ব্রিটিশ কাউন্সিল এর পরিচালক শাহনাজ করিম এবং সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট এর চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম।  
 
মন্ত্রী বলেন, সমাজে ধর্ম ও এর প্রকৃত শিক্ষা সঠিকভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে না। এ পৃথিবীতে বেশির ভাগ মানবিক কাজ ধর্মের নামে হচ্ছে। এ ইনস্টিটিউট যেভাবে প্রতিবন্ধীদের (বিশেষায়িত ব্যক্তিদের) মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, তা বাংলাদেশের অন্যান্য সংগঠনের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। আমরা শান্তি ভালোবাসি। আমরা যদি ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অন্তরে ধারণ করতে পারি, তবে সমাজে হিংসা-বিদ্বেষ, সন্ত্রাস-রাহাজানি থাকবে না।
 
#
ফয়সল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর :  ৩২৭১
 
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা  
-- সংস্কৃতি মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) : 
 
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এ ভাষণ তরুণ-যুবাদের থেকে শুরু করে এ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আহ্বান সেদিন এদেশের ডান-বাম রাজনৈতিক দল, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শিল্পী-গায়ক, সংস্কৃতিকর্মী, কৃষক-শ্রমিক সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। ৭ মার্চের ভাষণটিকে মূলত ৪টি ভাগে বিভক্ত করা যায়। প্রথম ভাগে ছিল বাঙালির নিপীড়নের ইতিহাস, দ্বিতীয় ভাগে পশ্চিম পাকিস্তানের দমননীতি, তৃতীয় ভাগে বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম এবং চতুর্থ ভাগে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
 
মন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর কাছে আমাদের ঋণ‘ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ফারজানা চৌধুরী।
 
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় -এটি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। জাতীয় আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা, সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর, শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, দুঃস্থ খেলোয়াড় ও শিল্পীদের ভাতা প্রদানসহ সব গুরত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। একজন রাষ্ট্রনায়ক দূরদর্শী ও বিচক্ষণ হলেই কেবল যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নবগঠিত একটি দেশে এমন সুদূরপ্রসারী ও যুগান্তকারী পরিকল্পনা করতে পারেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
 
#
 
ফয়সল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ৩২৭০
 
২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ 
উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) : 
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
 
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৩রা ডিসেম্বর ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষে আমি দেশের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও সংগঠনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
 
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘সবার জন্য  টেকসই ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ি’ (ঞৎধহংভড়ৎসধঃরড়হ ঃড়ধিৎফং ংঁংঃধরহধনষব ধহফ ৎবংরষরবহঃ ংড়পরবঃু ভড়ৎ ধষষ) অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। 
 
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের  টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে প্রসারিত করতে আমাদের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২০৩০  টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যেখানে কাউকে  পেছনে  ফেলে বা বাদ দিয়ে নয়’ সকলকে সঙ্গে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। 
 
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদা, অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার মধ্যমে তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন কর্মকা-ের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার  দেওয়া হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ ও নিউরো  ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট  আইন, ২০১৩ পাস করেছি এবং আইনসমূহের বিধিও প্রণয়ন করেছি। সারাদেশে প্রতিবন্ধী  সেবা ও সাহায্য  কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকারি চাকুরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য  কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
 
প্রতিবন্ধীরা আমাদেরই আপনজন।  টেকসই ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জ্ঞান, দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়িয়ে এবং তাঁদের ক্ষমতায়িত করে সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ  তৈরি করতে হবে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করতে আমি সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সমাজের সকল  শ্রেণি ও পেশার মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
 
আমি ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
 
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী  হোক।’’
 
#
ইমরুল/সেলিম/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                              নম্বর :  ৩২৬৯
২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং 
১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী  
 
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর): 
 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
 
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ‘‘২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭’’  উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষে  দেশের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাঁদের পরিবার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত সকল ব্যক্তি ও সংগঠনসমূহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ, আমাদের আপনজন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নসহ তাদের মূল¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার আলোকে এ বছর প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘‘সবার জন্য টেকসই ও সমৃদ্ধ সমাজ’’ (ঞৎধহংভড়ৎসধঃরড়হ ঃড়ধিৎফং ংঁংঃধরহধনষব ধহফ ৎবংরষরবহঃ ংড়পরবঃু ভড়ৎ ধষষ) যা খুবই যুগোপযোগী বলে আমি মনে করি। 
বিশ্বকে সকলের জন্য বাসযোগ্য করতে টেকসই উন্নয়নের বিকল্প নেই। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। তাদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে বিশেষ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিক। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সরকার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, অটিজম রিসোর্স সেন্টার, অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল, প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণসহ প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে উন্নয়নের প্রতিটি ধাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। আমি সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিবর্গকে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/আব্বাস/২০১৭/১৭১০ ঘণ্টা
Todays handout (3).docx