তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৬৭
৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ দিবস উদ্যাপন শুরু
কলকাতা (ভারত), ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ) :
৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় আজ থেকে শুরু হলো দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ দিবস উদ্যাপন। বইমেলা প্রাঙ্গণে এস বি আই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ বিষয়ক একাধিক সেমিনারে তুমুল আগ্রহ নিয়ে শামিল হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের লেখক-পাঠক-প্রকাশকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এবারের বইমেলায় বাংলাদেশকে নিয়ে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ই মার্চ পর্যন্ত চলা এ বছরের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। থিম কান্ট্রি করা হয়েছে বাংলাদেশকে। সুদৃশ্য বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নে প্রতিদিন ভিড় করছেন পশ্চিমবঙ্গের বিপুলসংখ্যক পাঠক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির স্টলসহ বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি মোট ৪০টি প্রকাশনীর স্টলেও আগ্রহী পাঠকের ভিড় লক্ষ্যণীয়।
বাংলাদেশ দিবস উদযাপনের ১ম দিন, আজ বিকেল ৩টায় শুরু হয় জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর ছিল ২টি সেমিনার। ৫টায় শুরু হওয়া ১ম সেমিনারের বিষয় ছিল “রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তাঁর ৩টি বই (‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা‘ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’)। মূল আলোচক ছিলেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি কামাল চৌধুরী। আরো আলোচনা করেন বাংলাদেশের কবি তারিক সুজাত, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক চিন্ময় গুহ। এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত ২য় সেমিনারের বিষয় ছিল “বাংলাদেশ-ভারত বই বিনিময় ও বিপণন : সমস্যা ও সম্ভাবনা”। মূল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন। আরো আলোচনা করেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দে'জ পাবলিশিং-এর কর্ণধার সুধাংশু শেখর দে। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
সেমিনার পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
#
নাসরীন/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১৪০ ঘণ্টা
Handout Number : 866
Shahriar Alam urges efforts to strengthen bilateral ties with Egypt
Dhaka, March 3 :
State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam has emphasised on more engagements with Egypt to strengthen existing bilateral ties between the two countries. He has expressed Bangladesh's eagerness to explore potential areas of cooperation that both the countries can utilise. The State Minister has held several meetings in Cairo yesterday during his ongoing official visit there.
Meeting with CEO of Suez Canal Economic Zone:
State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam met with Engineer Mr. Yehia Zaki, CEO of Suez Canal Economic Zone at his office yesterday (02 March 2022), accompanied by Ambassador of Bangladesh in Cairo, Director General (Africa) and other officials of the Foreign Ministry. The CEO of Suez Canal briefed the State Minister about the activities of Suez Canal Economic zone. He invited Bangladeshi entrepreneurs to invest in Suez Canal economic zone. The State Minister mentioned that, Bangladeshi investors may invest in suitable area in Suez Canal.
Meeting with the Minister of Trade and Industry:
State Minister later met with the Minister of Trade and Industry, Ms. Nevin Gamea at her office. The Egyptian Minister was accompanied by Assistant Minister and other trade related high level officials. Both sides reflected on potential areas of cooperation. Both sides agreed to identify potential markets. The State Minister briefed about the social developments programme of the government like one house one farm. He also told that the government has taken measures to enhance Bangladesh's exports to African countries terming Africa as a very potential region for cooperation. He proposed that high level delegation may visit from Egypt to Bangladesh to find out potential areas of cooperation in trade and investment. He said that under D-8, both countries are working for facilitating mutual trade among member countries.
Meeting with Minister of Tourism and Antiquities:
State Minister met with A. D. Khaled El-Anany, Minister of Tourism and Antiquities at his office. Shahriar Alam informed the Egyptian Minister that the people of Bangladesh are celebrating birth centenary of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman as well as golden jubilee of independence of Bangladesh. He expressed happiness over the decision of the Egyptian side to introduce operations of Egypt Air from Dhaka to Egypt directly. He suggested that there may be cooperation in exchange of knowledge in hospitality and tourism sectors between Bangladesh and Egypt. The Minister of Tourism and Antiquities stated that, the government of Egypt would offer exchange education for Bangladesh students in tourism sector with Bangladesh.
Cont…P/2
--02--
Meeting with Minister of Planning and Economic Development:
State Minister Shahriar Alam met with Dr. Hala Helmy Elsaid, Minister of Planning and Economic Development at her office yesterday in Cairo. Shahriar Alam mentioned that Bangladesh government has successfully lowered the rate of poverty. He informed that Bangladesh is now a middle income country. The Egyptian Minister briefed the State Minister for Foreign Affairs about the mega, development and welfare projects undertaken by the Egyptian government. Mr. Shariar Alam remarked that Bangladesh and Egypt are working in D-8 for facilitation of trade. The Egyptian Development Minister suggested that both countries may cooperate in areas like cotton production and possible production of staples. State Minister apprised the Egyptian Minister about the remarkable achievements that Bangladesh has made in various socio economic areas. He said that Bangladesh has self-sufficiency in food production and electricity. He mentioned that Bangladesh’s exports have doubled and the government is putting importance in health, education and infrastructure development.
Meeting with representatives of Egyptian Chamber of Industry:
State Minister later met with representatives of Egyptian Chamber of Industry, representatives of Apparel and Textiles and Egyptian entrepreneurs yesterday. He shared a brief overview on development of different industries in Bangladesh. The Egyptian entrepreneurs invited Bangladesh entrepreneurs of different sectors to invest in Egypt and explore possibilities of joint collaboration. They inform about various incentives offered by the Egyptian investment authorities to foreign investors. Shahriar Alam invited Egyptian investors and business to visit Bangladesh with a view to establishing business and joint collaboration. He mentioned various incentives and facilities offered in our EZs as well as incentives extended by authorities like BEZA and BIDA.
#
Mohsin/Sahela/Enayet/Rafiqul/Salim/2022/2050 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৬৫
আগামী ৫ মার্চ পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু
১৮ মার্চ পবিত্র শবে বরাত
ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ):
বাংলাদেশের আকাশে আজ কোথাও ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল ৪ মার্চ শুক্রবার পবিত্র রজব মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ৫ মার্চ শনিবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা করা হবে। প্রেক্ষিতে, আগামী ১৪ শাবান ১৪৪৩ হিজরি, ১৮ মার্চ ২০২২ খ্রি. শুক্রবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত উদ্যাপিত হবে।
আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুনিম হাসান, প্রধান তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ শাহেনুর মিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসন এর উপ-সচিব মোঃ রায়হান কাওছার, ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর ফরহাদ শামীম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার উপাধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহ ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান উপস্থিত ছিলেন।
#
শায়লা/সাহেলা/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৬৪
আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো
--শিল্পপ্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ) :
শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন আল্লাহ আমাকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন আমি ততদিন সরকারের জন্য, আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষের জন্যে, দেশের মানুষের জন্য, সমাজের জন্য অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করব। এ জন্য আমি সকলের কাছে দোয়া চাই।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার তাঁর ৭৩ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ ঢাকায় মোহনা ভবনে কেক কাটা অনুষ্ঠানে এ সবকথা বলেন। এ সময় তাঁর একমাত্র ছেলে শাহেদ আহমেদ মজুমদার এবং তাঁর নির্বাচনি এলাকা ঢাকা-১৫ আসনের আওয়ামী লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও কলাকুশলীগণ উপস্থিত ছিলেন ।
শিল্প মন্ত্রণালয় ও তাঁর অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার এবং কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তার নির্বাচনি এলাকা ঢাকা-১৫ এর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ মোহনা টেলিভিশনের কলাকুশলীবৃন্দ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
#
রফিকুল/সাহেলা/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/শামীম/২০২২/২০২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৬৩
কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া হলেও এই প্রক্রিয়া এমনিতেই চলে না, একে চালাতে হয়। এটিকে ভালভাবে চালাতে হলে অবশ্যই দক্ষ চালকের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ চালকের আসনে থাকার কারণেই দেশের সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি ক্ষমতায় থাকলে এই উন্নয়ন চলমান থাকবে। কোনো ষড়যন্ত্রই তাঁর এই উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না।
বরিশালে ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত দশ তলাবিশিষ্ট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই পদ্মা সেতু, কর্নফুলী ট্যানেল, মেট্টোরেল, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। তাই দেশের সকল মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজে সহযোগিতা করে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এমন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগের, যেখানে বিচারপ্রার্থী জনগণ ভোগান্তিহীনভাবে দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন পূরণে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করছে। এজন্য ২৪৬৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের জেলা শহরগুলোতে ৮ বা ১০ তলাবিশিষ্ট সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় বরিশালে ৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ তলাবিশিষ্ট সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
উক্ত প্রকল্পের কাজের শতকরা ৮৫ ভাগ অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, সরকার ১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭টি জেলায় পুরাতন জেলা জজ আদালত ভবনগুলোর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করাসহ বহুমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। ফলে বিচার বিভাগের এজলাস সংকট তথা অবকাঠামোগত সমস্যা এখন অনেকটাই দূর হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একটি আধুনিক ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ অত্যাবশ্যকীয়। গত সাড়ে তিন বছরে ৮৫৫ জন বিচারককে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দেশীয় প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশেই বিশ^মানের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল একাডেমি গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অধস্তন আদালতে অনেকগুলো নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভাগীয় শহরগুলোতে একটি করে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, সাইবার ট্রাইবুনাল এবং মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বরিশাল ৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুচ, বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ রফিকুল ইসলাম, বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মইদুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা।
#
রেজাউল/সাহেলা/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৬২
অবকাঠামো নির্মাণ যথাস্থানে এবং অনুমোদিত উপায়ে হচ্ছে কি না দেখবে সিটি কর্পোরেশন
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যেকোনো ভবনের নকশা এবং স্থাপত্য বিষয়ে অনুমোদন দিবে রাজউক। আর এসব স্থাপনা যথাস্থানে হচ্ছে কি না অথবা রাজউক থেকে অনুমোদিত বিষয়গুলো যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবে সিটি কর্পোরেশন।
আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারাদেশে ডেঙ্গু এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য ২০২২ সালের প্রথম আন্তঃমন্ত্রণায়ের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, ভবন বা অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে রাজউক থেকে অনুমোদন নেওয়ার পর বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করতে হবে। ভবন নির্মাণে যে স্থান নির্ধারণ করা আছে সেটি সরকারি জায়গা বা উপযুক্ত কি না, রাজউক থেকে যে নকশা বা ডিজাইন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না এসব বিষয় দেখভাল করবেন সিটি কর্পোরেশন। তিনি বলেন, ১৪ তলা ভবনের অনুমতি নিয়ে ২০ তলা নির্মাণ করা হয়। আবার তিন হাজার স্কয়ার ফিটের অনুমতি নিয়ে ছয় হাজার স্কয়ার ফিট বানানো হয়। এসব বিষয় সিটি কর্পোরেশন নজরদারি করবে। পরিকল্পিত নগরী গড়তে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।
সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের বছিলায় খাল দখল প্রসঙ্গে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, সেখানে খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন যদি জানতো তাহলে অবশ্যই এসব নির্মিত হতো না। আর হলেও তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যেত। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে শহর গড়ে উঠেছে। যদি পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য নগর গড়তে হয় তাহলে এর বিকল্প নেই।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সকল নাগরিককে ভূমিকা পালন করতে হবে। রেলওয়ে, সিভিল এভিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে কাজ করতে নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করলে সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।
মন্ত্রী বলেন, এডিসসহ অন্যান্য মশা প্রজনন বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো শুরু করতে হবে। মশার কোনো বর্ডার নেই। উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মশা থাকলে দক্ষিণে হবে না অথবা এক বাসায় হলে অন্য বাসায় হবে না এমনটি না। মশা নিধন করতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। মশামুক্ত নগরী গড়তে আমরা সবাই বদ্ধপরিকর। ছাদ বাগানে মশার প্রজনন যাতে না হয় এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ আসাদুর রহমান কিরন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
হায়দার/সাহেলা/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৬১
এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ) :
কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে FAO 36th Regional Conference for Asia and the Pacific (APRC36) ৮-১১ মার্চ ২০২২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন উপলক্ষ্যে আজ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্টিয়ারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ বৃহৎ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি রয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন, যেখানে এফএওর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো অংশগ্রহণ করবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা আমাদের সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই যাতে করে ভবিষ্যতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে সম্মেলন আয়োজনে আগ্রহী হয়।’
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, এফএওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ রবার্ট সিম্পসনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান, এফএও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রীর সাথে সিমিটের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
আজ সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিমিট) প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। প্রতিনিধিদলে সিমিটের কান্ট্রি প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক, কান্ট্রি হেড (প্রশাসন) রায়হান সাদাত, ক্রপিং সিস্টেম এগ্রোনমিস্ট মহেশ কুমার গাথালা, বাকৃবির ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সিমিটের কনসালটেন্ট এমএ সাত্তার মণ্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সিমিটের কান্ট্রি প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক জানান বাংলাদেশে লবণাক্ততা, চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ বা ঘাতসহনশীল গম ও ভুট্টার জাত উন্নয়নে আরো গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে সিমিট। একইসাথে, দেশে গম ও ভুট্টার টেকসই উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে একত্রে কাজ করবে।
কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশে গত ১২ বছরে গম ও ভুট্টার উৎপাদনের সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ৫৭ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হয়। কিন্তু ভুট্টার প্রক্রিয়াজাত খুবই কম। দেশে কর্নফ্লেক্স, সিরিয়ালের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ভুট্টা থেকে প্রক্রিয়াজাত করে স্থানীয়ভাবে কর্নফ্লেক্স, সিরিয়াল তৈরির জন্য বিদেশি বিনিয়োগ দরকার।
কেলগসের মতো প্রতিষ্ঠান যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে, সে বিষয়ে সিমিটের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, বাংলাদেশের অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহী আছে, এদের সাথে কেলগস যৌথভাবেও বিনিয়োগ করতে পারে।
এ বিষয়ে সিমিট উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানান সিমিটের কান্ট্রি প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক।
#
কামরুল/সাহেলা/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৬০
দেশের উপকূলীয় এলাকার মৎস্য খাতের উন্নয়নে সহায়তা দেবে জাপান
--প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ) :
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্য খাতের উন্নয়নে সহায়তা দেবে জাপান। এ লক্ষ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা প্রাথমিকভাবে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প প্রস্তাব করেছে। ৫ বছর মেয়াদে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি কক্সবাজার জেলার ৫টি উপজেলা টেকনাফ, উখিয়া, সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়ায় বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে জাইকা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জাইকা মৎস্যখাতের ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, সামুদ্রিক মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, আর্থসামাজিক জরিপ সম্পাদন, প্রশিক্ষণ প্রদান, সিফুড প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা, পুষ্টিমান উন্নয়নসহ এবং মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কারিগরি সহায়তা দিতে আগ্রহী।
আজ সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইয়োহো হায়াকাওয়া এর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে এসব কথা জানায়।
সভায় মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু রাষ্ট্র। দুই দেশের জনগণ ও সরকারের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। কারিগরি সহায়তা ছাড়াও বাংলাদেশের মৎস্য খাতে জাপানের সহযোগিতা বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। আমাদের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্র এলাকায় দেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে সুনীল অর্থনীতির নব দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে যাচ্ছে। এ খাতে দুই দেশের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ আছে। সিউইড, খনিজ সম্পদ, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদসহ সুনীল অর্থনীতির নানা সম্ভাবনা উন্মোচনে বাংলাদেশ ও জাপান যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
এ সময় ইয়োহো হায়াকাওয়া বলেন, জাইকা বাংলাদেশের কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করতে চায়। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের আয়বর্ধক কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সিউইড প্রক্রিয়াকরণ, অ্যাকুয়াকালচার, মৎস্যজাত পণ্য বাজারজাতকরণ, মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কারিগরি সহায়তা দিতে জাইকা প্রস্তুত আছে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মৎস্য খাতে জাইকার বিনিয়োগের আরো ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি তাকেশি সাহেকি, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম উপদেষ্টা রাইউইচি কাতসুকি এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার মো. মেহেদী হাসান সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/সাহেলা/এনায়েত/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৯৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৫৯
তেরো বছরে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে ভারতে, ইউরোপে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছরে সমস্ত ভোগ্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে, বাংলাদেশে মূল্যবৃদ্ধি সেই তুলনায় অনেক কম।
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঐতিহ্যবাহী জাতীয় শিশু-কিশোর ও যুবকল্যাণ সংগঠন ‘চাঁদের হাট’ আয়োজিত রফিকুল হক দাদুভাই স্মৃতি পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে সবসময় দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, কখনো কমেনি। যখন বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয়, তখন এক আনা অর্থাৎ ১৬ পয়সায় কয়েক কেজি চাল পাওয়া যেতো, তা সত্ত্বেও বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয়েছে। অর্থাৎ দেখতে হবে, দ্রব্যমূল্যের সাথে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে কি না। গত ১৩ বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ আর নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ, মধ্যম আয়ের মানুষেরও ক্রয়ক্ষমতা তার কাছাকাছি রয়েছে।’
‘বাংলাদেশে আগে দাবি-দাওয়া ছিল একজন শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের মূল্যের সমান, আর এখন একজন শ্রমিক কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ কেজির চালের মূল্যের সমান মজুরি পায়, যার অর্থ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে’ উল্লেখ করেন হাছান মাহ্মুদ।
সাংবাদিকরা এসময় বিএনপি’র সমাবেশে পুলিশের বাধা নিয়ে বিএনপি’র অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কিংবা তাদের অন্যান্য নেতারা যারা এ বিষয়ে কথা বলছেন তাদের অনুরোধ জানাবো যে সরকারের দিকে আঙ্গুল না তুলে নিজেদের মারামারিটা বন্ধ করার জন্য।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে সারাদেশে কর্মসূচি পালন করেছে খুব নির্বিঘ্নে, কোনো কোনো জায়গায় তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। কয়েকদিন আগে ঘোষিত কর্মসূচিও তারা পালন করেছে। কোনো জায়গাতেই তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুক, তাদের কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ থাকলে করুক সেটি আমরা চাই, গণতান্ত্রিক সমাজে এর প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সমাবেশ করতে গিয়ে যদি জনজীবনে বিপত্তি ঘটায়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কিংবা বিশৃঙ্খলার পাঁয়তারা করে, নিজেরা মারামারি করে, যেগুলো বিএনপি সবসময় করে এসেছে, তখন সেগুলো ঠেকানোর জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়।’
এর আগে দাদুভাই স্মৃতি পদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘চাঁদের হাট’ প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল হক দাদু ভাইয়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মানবিক গুণাবলি বিকাশে চাঁদের হাটের মতো সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। চাঁদের হাট এমন একটি সংগঠন যেটি বাংলাদেশে প্রচুর গুণীজনের জন্ম দিয়েছে এবং শিশু-কিশোরদের মেধা ও মনন বিকাশে, তাদেরকে সাহিত্যমন্য করতে চাঁদের হাট কয়েক দশক ধরে যে ভূমিকা রেখেছে তা সত্যিই অতুলনীয়।
চাঁদের হাটের সভাপতি ইয়াহিয়া সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় দৈনিক যুগান্তরের সম্