তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৮
ময়মনসিংহ সংস্কৃতির বিশাল ভান্ডারকে জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশে কাজে লাগাতে হবে
---মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পৃথিবীব্যাপী বাংলাদেশের সংস্কৃতি এক অনন্য স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ এই সংস্কৃতিতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের অবদান বিশাল মহীরুহ হিসেবে বিরাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ সংস্কৃতির বিশাল ভান্ডারকে জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশে কাজে লাগাতে হবে। সংস্কৃতির বিকাশে ময়মনসিংহে একটি বিশেষায়িত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের উপদেষ্টাম-লী, জাতীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম নেতা আবদুস সামাদ, দুদক সচিব ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ ফোরাম নেতা ড. শামসুল আরেফিন বক্তৃতা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেশের সংস্কৃতি বিকাশে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একটি জাতির বড় পরিচয় তার সংস্কৃতি। বৃহত্তর ময়মনসিংহের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও বিকাশে তিনি ফোরামের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বাংলা লোকসাহিত্যের অমর কীর্তি মৈমনসিংহ গীতিকার প্রকাশ, বিতরণ ও এর অন্তস্থ সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য ফোরাম নেতৃবৃন্দকে আরো তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
এর আগে মন্ত্রী বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর কর্মচারী ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের গাড়ি চালক কল্যাণ সমিতির কার্যালয় পরিদর্শন করেন। ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এসএস ভদ্রসহ ডাক অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/২২০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৭
পিঠা উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পিঠা বাঙালির আদি ঐতিহ্য। হৃদয়ের টানে নাড়ির টানে পিঠাপ্রেমী বাঙালি আজ জাতীয় পিঠা উৎসবে সমবেত হয়েছে। এটি বাঙালির প্রাণের উৎসব।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ আয়োজিত ‘যুগপূর্তি জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪২৫-এর সমাপনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি পরিবারে বড় হওয়ার কারণে ছোটবেলা হতে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন, সবার সহযোগিতায় বিশেষ করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষের সহযোগিতা ও পরামর্শে এটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ-১৪২৫ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, নাট্যকার ও নাট্যনির্দেশক মামুনুর রশীদ এবং অভিনেতা আবদুল আজিজ বক্তৃতা করেন।
#
ফয়সল/মাহমুদ/এনায়েত/পারভেজ/সেলিম/২০১৯/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৬
কক্সবাজারকে পরিবেশবান্ধব পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে
-- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
কক্সবাজার, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, তাই এটি হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ পর্যটন নগরী। কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে এবং সমুদ্র রক্ষায় জনগণকে সচেতন করতে হবে। তবেই সমুদ্রের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং আমরা পর্যটনবান্ধব নিরাপদ ও নির্মল সমুদ্রের কক্সবাজার নতুন প্রজন্মকে উপহার দিতে পারব।
প্রতিমন্ত্রী আজ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জাতীয় ঘুড়ি ফেডারেশন আয়োজিত ‘চাই নির্মল সৈকত ও সাগরের কক্সবাজার’ র্শীষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সমুদ্র বিজয় অর্জিত হয়েছে। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্যের ফলে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির ফলে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা সর্বমোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল লাভ করেছি, যা মূল ভূ-খন্ডের প্রায় ৮০.৫১ শতাংশ। তিনি বলেন, সমুদ্রসম্পদ বা ব্লু-ইকোনমি বাংলাদেশের উন্নয়নে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। বর্তমান সরকার ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্রসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক
ড. এম নিয়ামুল নাসের। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, বাপার সাধারণ সম্পাদক
ডা. আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মৃধা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আশরাফ হোসেন এতে বক্তৃতা করেন।
#
আরিফ/মাহমুদ/এনায়েত/পারভেজ/সেলিম/২০১৯/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৫
ঘুড়ি উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে
-- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
কক্সবাজার, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ঘুড়ি আমাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। প্রাচীনকাল থেকে মেলা, পূজা-পার্বণসহ নানাবিধ অনুষ্ঠানমালাকে আনন্দময় করার জন্য ঘুড়ির প্রচলন। বর্তমানে আমাদের সংস্কৃতির অনেক কিছুর মতো ঘুড়িকে আমরা ভুলতে বসেছি। তিনি বাঙালি সংস্কৃতির এই আবেগময় ঐতিহ্য ঘুড়ির হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এবং বিশ্বের আধুনিক বর্ণিল ঘুড়ির আবেদন দেশে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেড়ারেশনের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকতে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন আয়োজিত ‘জাতীয় ঘুড়ি উৎসব ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের শিশুরা বড় হচ্ছে বদ্ধ পরিবেশে। আমরা বস্তুতন্ত্রের জড় মানসিকতায় বাঁধা পড়েছি। এই খাঁচায় আবদ্ধ থেকে শিশুদের শারীরিকভাবে বৃদ্ধি ঘঠছে বটে কিন্তু মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের সুকুমার বৃত্তির সুষ্ঠু বিকাশ ক্ষুণœ হচ্ছে। তাদের মানসিক বিকাশের জন্য নিজস্ব অকৃত্রিম সংস্কৃতি চর্চায় ফিরে যাওয়া দরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, বাংলাদেশস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত জাং জু (ঔযধহম তযঁ), বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মৃধা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আশরাফ হোসেন প্রমুখ।
#
আরিফ/মাহমুদ/এনায়েত/পারভেজ/সেলিম/২০১৯/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৪
বন্ধ সরকারি শিল্প কারখানা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে
-- শিল্প প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
অলাভজনক শিল্পখাতসমূহকে লাভজনক খাতে পরিণত করা হবে। বন্ধ সরকারি শিল্প কারখানাসমূহ চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আজ ঢাকার মিরপুর-১৩ তে অবস্থিত হাজী আলী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ইশতেহারে যে উন্নয়ন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন তার প্রতি নির্বাচনে দেশের জনগণ অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। জনগণের রায় মেনে নিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জনগণকে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করতে হবে। সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকা- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। শিল্পখাতে কোনো প্রকার দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।
#
মাসুম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দ্বিতীয়বারের মত ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
এবারের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’। উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে আমাদের অভিযাত্রায় জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিপাদ্যটি তাৎপর্যপূর্ণ ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্য আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় নিয়ামক। অনিরাপদ খাদ্য ক্যান্সার, কিডনি রোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, পুষ্টিকর খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকা- বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ ঘোষণা নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যসহ কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। উৎপাদনের মাঠ থেকে খাবার টেবিল পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকরণে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সকল কার্যক্রমের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরানুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৩
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৯ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে দেশে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান সরকার দেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিকর খাদ্য ও নিরাপদ খাদ্যমান নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন, বিপণন ও সরবরাহে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নানাবিধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন এবং ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়গুলো জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। এর সঙ্গে সংগতি রেখে সরকার ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে জনগণের নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ অগ্রযাত্রায় কাউকে পিছনে ফেলে নয় বরং সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য আমাদের প্রয়োজন সুস্থ জীবন ও সুস্থ সবল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তাই আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নেই।
আমি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যশৃঙ্খল প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৭০২ ঘণ্টা