তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৪৯
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা নগদ বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ২ হাজার ৬১১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জন-সহ এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬৫ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৭৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জন।
সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
#
তাসমীন/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৪৮
বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী বঙ্গমাতার অবদান বাঙালির সব সংগ্রামে
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন, সেরা পরামর্শ দিয়েছেন এবং বাঙালির সকল সংগ্রাম ও সফলতায় তার অবদান মিশে আছে।’
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতির পিতার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
বক্তব্যের শুরুতেই জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গমাতাকে এবং একইসাথে শোকের মাস আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ড. হাছান বলেন, আজ এমন এক মহিয়সী নারীর জন্মদিন, যিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী নন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জননী নন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে নিরবে-নিভৃতে প্রচারবিমুখ হয়ে যিনি অবদান রেখেছেন, জাতিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সন্ধিক্ষণে পৌঁছে স্বাধীনতা অর্জনে তার ভূমিকা কোনোদিন জনসম্মুখে প্রকাশ করেননি, তাঁরই জন্মদিন আজ।
বাঙালির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামে, দুর্যোগে অনেক নেতা অনেক সময় ভোল পাল্টেছে, পিছু হটেছে, ক্ষমতাসীনদের সাথে হাত মিলিয়েছে, ঠিক পরামর্শ দিতে ব্যর্থ হয়েছে, আর সেই সময় শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সবচেয়ে ভালো পরামর্শ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পাশে হাজির হয়েছেন, বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ। বাঙালি ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস যেমন একে অপরের কথা ছাড়া লেখা যায় না, তেমনি বাঙালির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা লিখতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কথা অবিচ্ছেদ্যভাবেই এসে যায়, উল্লেখ করেন তিনি।
‘বঙ্গমাতার মতো একজন অসমসাহসী, ধৈর্যশীল, সৎ পরামর্শদাতা স্ত্রী পাশে থাকার কারণেই বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে, বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জাতির জন্য লড়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে আমার ধারণা’ বলেন ড. হাছান। তিনি আরো বলেন, ‘জাতির জন্য উৎসর্গীকৃত জীবনে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে একনাগাড়ে সংসারধর্ম পালন করা হয়ে ওঠেনি। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকার সময়গুলোতে বঙ্গমাতাই পরম যত্ন ও বিচক্ষণতায় সংসার ও দল উভয়ই আগলে রেখেছেন।’
বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নপূরণ করে যেতে পারেননি, কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার ধমনী শিরায় শেখ মুজিবের রক্ত প্রবাহিত, যার কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠের প্রতিধ্বনি, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ জানান, গত ১১ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। এবং নানা বিশেষজ্ঞের শঙ্কা-আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে করোনা মোকাবিলায় গত পাঁচ মাসে একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহারও বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন।
বিএনপি নেতাদের মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসে টিভি আর অনলাইনে উঁকি দিয়ে সমালোচনা বাদ দিয়ে আর 'ভুল ধরা পার্টি'র লোকের মতো টক শো'তে টিভির পর্দা ফাটিয়ে ফেলা পরিহার করে সবার সাথে দেশ গড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানান ড. হাছান মাহ্মুদ।
সভা শেষে বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল সদস্য, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় সকলে প্রার্থনায় যোগ দেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৯১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৪৭
শ্রীলংকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালিত
কলম্বো (শ্রীলংকা), ৮ আগস্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদা এবং আনন্দঘন পরিবেশে শ্রীলংকায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আজ শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০ তম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বঙ্গমাতা ত্যাগ ও সুন্দরের প্রতীক’।
অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর সৈয়দ মাকসুমুল হাকীম। এরপর ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু তথা মুক্তিসংগ্রামীদেরকে বঙ্গমাতা ও শেখ কামাল যেভাবে উদ্দীপনা যুগিয়েছিলেন সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। বক্তারা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের অবদানের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন এবং বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শেখ কামাল যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কারাবন্দি জীবনের সাথে অভ্যস্ত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব যে সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সহিত সামগ্রিক পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করেছেন-তা বাঙালি নারীদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে সবাই অভিমত ব্যক্ত করেন।
করোনা ভাইরাস এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য নির্দেশাবলি মেনে সীমিত কলেবরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ এবং বেশকিছু শ্রীলংকান-সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক
শিশু-কিশোর উপস্থিত ছিলেন। জন্মবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে হাইকমিশনকে বিশেষ রূপে সাজানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা এবং শেখ কামালের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত শিশু-কিশোররা কবিতা পাঠের আসরে অংশগ্রহণ করে। শেষ পর্যায়ে শেখ কামাল ও বঙ্গমাতার জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
#
কলম্বো হাইকমিশন/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮৩৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৪৬
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকীতে 'জাতীয় শোক দিবস ২০২০' যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানগুলো বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় সমন্বয় কমিটি গৃহীত কর্মসূচি ও নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এসব কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৫ আগস্ট শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোতে পতাকা বিধি অনুসরণ করে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, বাদ জোহর মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা ও কারখানার মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিল্প মন্ত্রণালয় চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর ও সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশেষ আলোচনা সভা।
এছাড়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর প্রধান কার্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত নিজস্ব কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে স্থানীয় প্রশাসন গৃহীত কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন।
জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের গাইডলাইন অনুযায়ী কঠোরভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি অনুসরণ এবং নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিতে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
#
মাসুম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৪৫
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলাম যুগোপযোগী ও প্রায়োগিক করতে হবে
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কৃষিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য যোগানো। দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে, অথচ চাষযোগ্য জমি দ্রুত কমছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনিতেই কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে। এর সাথে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে কোভিড-১৯। ফলে বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা বা ফুড চেইনকে চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাববিলায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কৃষি গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে। যুগোপযোগী, আধুনিক ও প্রায়োগিক কারিকুলামের মাধ্যমেই সেটি সম্ভব।
মন্ত্রী আজ তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত দক্ষ কৃষি গ্রাজুয়েট তৈরিতে আধুনিক কারিকুলামের ভূমিকা শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিকে অধিকতর লাভজনক করতে হলে কৃষিপণ্যের বিপণন ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে কৃষিপণ্যের টেকসই বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। প্রক্রিয়াজাত করে মূল্য সংযোজন করতে হবে। সেজন্য, উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিলেবাস ও কারিকুলাম যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। বিশেষ করে, বাণিজ্যিক কৃষি কৌশল জ্ঞান সংবলিত সিলেবাস প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান, সাবেক শিক্ষা সচিব এন আই খান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বিভিন্ন শিল্প ও কারিকুলাম বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ার জন্য সিলেবাস, কারিকুলাম, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তন করে আধুনিক ও প্রায়োগিক করার ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন। কৃষিকে টেকসই করার জন্য কৃষির গ্রাজুয়েটদের বাণিজ্যিকীকরণ জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য কারিকুলামে মার্কেটিং, শিল্পোদ্যোগ, সাপ্লাই চেইন, যোগাযোগ ও নেতৃত্ব প্রদানের দক্ষতা, কৃষি প্রক্রিয়াজাত, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান বিষয়ক কোর্স অর্ন্তভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
#
কামরুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮০৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৪৪
চট্টগ্রাম নগরীকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে
নবনিযুক্ত প্রশাসকের প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব-নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।
মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর আজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর মিন্টু রোডে অবস্থিত সরকারি বাসভবনে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করতে আসেন। সাক্ষাৎকালে নবনিযুক্ত প্রশাসক চট্টগ্রাম নগরীরে উন্নয়নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা, পরামর্শ ও সার্বিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামের উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়ন করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে ।
পরে নবনিযুক্ত প্রশাসক সাংবাদিকদেরকে বলেন, তিনি কোনো অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না। নগরীর সকল সমস্যা নিরসন এবং নাগরিক সেবা বৃদ্ধি করে একটি আধুনিক-পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দিতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
হায়দার/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৭৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৪৩
স্মারক ডাক টিকেট অবমুক্ত অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর প্রেরণার উৎস বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পেছনে নীরবে নিভৃতে প্রেরণার সর্বোচ্চ উৎস হিসেবে কাজ করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। শেখ ফজিলাতুন নেছার মতো ধীরস্থির, বুদ্ধিদীপ্ত, মেধাবী, দূরদর্শী, সাহসী, বলিষ্ঠ, নির্লোভ ও নিষ্ঠাবান ইতিবাচক ভূমিকাজাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কিংবা জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের মহাকাব্যের মহানায়ক হতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডেটা কার্ড অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বঙ্গমাতাকে বাংলাদেশের আদর্শ মায়েদের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি আখ্যায়িত করে বলেন, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মনেপ্রাণে একজন আদর্শ বাঙালি নারী। অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা, অসীম ধৈর্য ও সাহস নিয়ে জীবনে যে কোন পরিস্থিতি তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করতেন। অসংখ্য কঠিন প্রতিকূলতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিনি একদিকে মা অন্যদিকে বাবা এই দুইয়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তাঁর সন্তানদের সুশিক্ষায় গড়ে তুলেছেন, দলের জন্য কাজ করেছেন, নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
৭০ এর দশকের শুরুতে স্বাধীনতার প্রাক্কালে মন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের ছাত্র হিসেবে তাঁর দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠিনী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চালচলনকে চিরায়ত বাংলার অতি সাধারণ একজন মানুষের সাথে তুলনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হওয়া সত্ত্বেও নিজ বিভাগের শিক্ষকদের অনেকেই জানতেন না তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তিনিও নিজের পরিচয় কখনো প্রকাশ করতেন না যে তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। এটাই ছিলো সন্তানদের প্রতি বঙ্গমাতার শিক্ষা। ১৪ বছর জেলে কাটানো বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সন্তানদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা অতুলনীয় ছিল।
মা, কন্যা, বধূ- জায়া প্রতিটি ক্ষেত্রে এই মহিয়সী নারীর ভূমিকা চিরভাস্বর হয়ে থাকবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একাত্তরে তার সন্তানরা যুদ্ধে, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, তিনি অন্তরীণ এই কঠিন অবস্থা সামাল দেওয়া একজন নারীর পক্ষে কি পরিমাণ চ্যালেঞ্জিং তা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। তা সত্ত্বেও তিনি দৃঢ় থেকেছেন। তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা নন, তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতার প্রেরণাদাত্রী বলে মন্ত্রী তাঁকে আখ্যায়িত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শাহাদাত হোসেন, সেলিমা সুলতানা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন, ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর প্রকাশিত দশ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাক টিকেট, ডেটা কার্ড ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
পরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৭৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৪১
শ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশে ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২০’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। World Alliance for Breastdeeding Action (WABA) ঘোষিত বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘Support Breastfeeding for a Healthier Planet’ অর্থাৎ ‘মাতৃদুগ্ধদানে সহায়তা করুন-স্বাস্থ্যকর পৃথিবী গড়ুন’ অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত হয়েছে। এ প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ মায়েদের মাতৃদুগ্ধদান কাউন্সেলিং এ অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
মাতৃদুগ্ধ যেকোন সদ্যজাত শিশুর স্বাভাবিক শারীরিক-মানসিক বিকাশের প্রাথমিক খাদ্য উপাদান এবং রোগ-জীবাণুসহ নানা প্রতিকূলতার মহৌষধ। শিশুকে মায়ের দুধ ও ঘরের তৈরি পরিপূরক খাবার খাওয়ানোর সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলা আবশ্যক। মাতৃদুগ্ধদানের সহযোগী পরিবেশ তৈরিতে মাতৃত্ব/পিতৃত্বকালীন সুরক্ষা, স্বাস্থ্য পেশাজীবি এবং মাঠকর্মীদর প্রশিক্ষণ, শিশু-বান্ধব হাসপাতাল স্থাপন, মাতৃদুগ্ধদান বিষয়ক কাউন্সেলিং প্রদানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মাতৃদুগ্ধ আইন, ১৯৮০ এবং নিয়মিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ প্রয়োজন।
আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী গত এগারো বছরে আমরা স্বাস্থ্য কাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কমউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মায়েরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। ২০০৮ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের পর মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে পুনরায় আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করি। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করেছি। যেকানে বিনামূল্যে ৩০ প্রকার ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। আমরা জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি, ২০১১ প্রণয়ন করেছি, ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা’ অর্জনকে অগ্রাধিকার দিয়ে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শেষ প্রান্তে।
আমাদের সরকার শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার বৃদ্ধি এবং মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নের কার্যক্রম টেকসই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর ২০০৭ এর ৪৩ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৬৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত চতুর্থ সেক্টর হেলথ, নিউট্রিশন ও পপুলেশন প্রোগ্রাম এবং দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনার আওতায় মাতৃ ও শিশু পুষ্টিসহ, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও গুঁড়া দুধ ও কৌটাজাত শিশু খাদ্যের ব্যবহারকে সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে আনতে ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’ এবং ইহার বিধিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করেছি। আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ ৬ মাসে উন্নীত করেছি। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্টফিডিং কর্ণার স্থাপন করা হচ্ছে। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল থেকে কর্মজীবী মায়েদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্