Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ১৫ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৪৫৫৭ 

 

দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা জরুরি

                                                                                 -- রেলপথ মন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :     

 

‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ এ প্রতিপাদ্যে রেলওয়ে সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন। মন্ত্রী আজ ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে রেলসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মন্ত্রী সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান ও চকলেট বিতরণ করেন। পরে রেলওয়ে সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, ১৫ নভেম্বর রেলওয়ের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। ১৮৬২ সালের এই দিনে ব্রিটিশ সরকার সর্বপ্রথম এ অঞ্চলে ট্রেন চালু করেছিল।

 

            মন্ত্রী বলেন, একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা জরুরি। তিনি বলেন, একসময় রেল অবহেলিত ছিল। রেলের কর্মকর্তা/ কর্মচারীরা হতাশাগ্রস্ত ছিল কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেওয়ার পরে রেলওয়ের উন্নতি সাধিত হচ্ছে। বর্তমানে রেলের অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে। মন্ত্রী কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, ঢাকা টঙ্গীর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন, টঙ্গী জয়দেবপুরের মধ্যে দ্বিতীয় রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু ডাবল লাইন নির্মিত হচ্ছে‌। এটি নির্মিত হলে উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলের সাথে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ উন্নত হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় আগামী জুনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালু হয়ে যাবে।

 

             মন্ত্রী আরো বলেন,আগামী বছর জুনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে। খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেললাইন আগামী জুনে চালু হয়ে যাবে।  সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সারাদেশের মিটার গেজ রেললাইনকে পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল সংযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে ইলেকট্রিফিকেশন এর মাধ্যমে ট্রেন চালিত করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। যাত্রীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, রেলের সম্পদ জনগণের । যাত্রীদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। সীমিত সামর্থের মধ্য থেকে যাত্রীদের সেবা বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

 

             বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ মোঃ হুমায়ুন কবীর। এছাড়া রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আকন্দ বক্তব্য রাখেন।

                        

#

শরিফুল/পাশা/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪৫৫৬

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ চলছে বলেই ক্রীড়াঙ্গনে জাগরণ ঘটেছে

                                                              --- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :

           নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে বলেই ক্রীড়াঙ্গন, শিল্পকলা, শিক্ষাঙ্গনসহ সব জায়গায় একটা জাগরণ ঘটেছে। আজ গ্রাম বাংলায় ফুটবল শুধু নয়, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক, ভলিবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, টেনিসসহ সবধরনের কার্যক্রম আমরা দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি খেলার মাঠ মুখরিত হয়ে উঠছে ক্রীড়াপ্রেমীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ শহীদ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে  ‘৫ম মেয়র কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ উদ্বোধনের এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত ক্রীড়াবান্ধব। যখনই আমাদের দেশের খেলোয়াড়রা সাফল্য বয়ে আনেন তখনই আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা তাদের কাছে ছুটে যান।  মায়ের মমতায় এবং বোনের স্নেহ দিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, আজ সেতাবগঞ্জের এই মাঠে পঞ্চমবারের মতো মেয়র কাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছ। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। বোচাগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে অনেকগুলো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। ভবিষ্যতে আরো হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহায়তায় ক্রিকেট প্র্যাকটিস করার জন্য এবং ক্রিকেট প্লেয়ার তৈরি করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। এই মাঠ খেলায়াড়দের দ্বারা সব সময় মুখরিত থাকবে। গত চৌদ্দ বছরে আমরা বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এখানে করেছি। শুধু ফুটবল নয়, ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন খেলা এখানে হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের অনেক ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াসংগঠক তৈরি হয়েছে। তাদের দ্বারাই বোচাগঞ্জ উপজেলার ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

          সেতাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোঃ আসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পাল, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফছার আলী, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নূরুল আনোয়ার চৌধুরী ও বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের

সহ-সভাপতি মোঃ আবদুস সবুর।

          প্রতিমন্ত্রী এর আগে একই স্থানে বোচাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন।

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০৩৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৪৫৫৫

ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব  বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী দাঁড় করিয়েছে

                                                                              --- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :

            ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী দাঁড় করিয়েছে। মানব সভ্যতা  একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। চতুর্থ নয় পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের  উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার, একাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ ও প্রযুক্তিবিদদের সমন্বিত উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বিশ্বের শিক্ষানেতাদেরকে লাগসই শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন ইউরোপীয়রা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলে। সেটি একটি যান্ত্রিক বিপ্লব। তাদের মানুষ নাই তাই যন্ত্র দিয়ে মানুষের অভাব পূরণ করতে চায়। আমরা যন্ত্র চাই তবে মানুষকে বাদ দিয়ে নয়। আমরা তাই পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের পথে হাঁটছি।

            মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল রেডিসনে বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষানেতাদের অন্যতম শীর্ষ সংস্থা এসোসিয়েশন অভ্ ইউনিভার্সিটিজ অভ্ এশিয়া প্যাসিফিক (এইউএপি) এর ১৫ তম সাধারণ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে তথ্যপ্রযুক্তি এবং গুণগত শিক্ষার মধ্যে সমন্বয়’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বিশ্বের ১০টি দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদগণ এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

            এইউএপি-এর সভাপতি ড. পিটার লি লওরেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভিডিও বার্তা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে ভারতের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অভ্ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতীয় লোকসভার সদস্য প্রফেসর ড. অচৎ সামন্ত, এসোসিয়েশন অভ্ ইউনিভার্সিটিজ অভ্ এশিয়া প্যাসিফিক (এইউএপি) এর প্রথম সহ-সভাপতি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান, এসোসিয়েশন অভ্ ইউনিভার্সিটিজ অভ্ এশিয়া প্যাসিফিক (এইউএপি) এর মহাসচিব প্রফেসর ড. রিকার্ডো পি পামা।

            ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আগামী দিনের পৃথিবীর জন্য উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশ্বের শিক্ষানেতাদের ভূমিকা অপরিসীম বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি তুলনাহীন। তাদেরকে যথাযথ পরিচর্যা করতে পারলে প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজতর হবে। মন্ত্রী ২০১৬ সালে প্রকাশিত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণাটিকে যান্ত্রিক উল্লেখ করে বলেন, ড্রাইভারবিহীন গাড়ি আর কর্মী ছাড়া গার্মেন্টস পশ্চিমা দুনিয়ার জন্য আবশ্যক মনে হতে পারে কিন্তু আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের জন্য হবে অমানবিক। ২০১৮ সালের পর পঞ্চম শিল্প বিপ্লব ধারণাটি বিশ্বে সমাদৃত হয়ে উঠেছে। যেখানে জাপানের সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো যন্ত্র ও মানুষের সমন্বয়ে সমন্বিত হওয়ায় সেটা মানবিক বলে বিবেচিত হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত  বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ধারণাটি প্রকাশের আট বছর আগে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কোভিডকালে প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করেছে। ডিজিটাল কর্মসূচি এই সময় মানুষের অচল জীবনযাত্রা সচল রাখে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ব্ল্যান্ডিং এডুকেশনসহ দেশে পঞ্চম শিল্পযুগের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ চলছে। 

            এই সম্মেলন শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরসহ দুই বছর করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে উদ্বেগের এবং সমাধানের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

            এইউএপি-এর লক্ষ্য হলো সংস্থাটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক ও সহযোগিতার সুহৃদ সম্পর্ক বৃদ্ধি করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সর্বোপরি উন্নয়নের জন্য একটি আধুনিক ও কার্যকরী মঞ্চ তৈরি করা।

            পরে মন্ত্রী ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

#

 শেফায়েত/পাশা/মোশারফ/জয়নুল/২০২২/২০২৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৪৫৫৪  

 

‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ, পাকিস্তানই ভালো ছিল’ স্লোগানদাতাদের হাতে দেশ নয়

                                                            -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :     

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘যারা ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ, পাকিস্তানই ভালো ছিল’ স্লোগান দেয়, সেই বিএনপির হাতে কখনো দেশ নিরাপদ নয়। তারা দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, পাকিস্তান বানাতে চায়।’

 

আজ নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

 

ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে গ্রামগুলোতে শহরের সমস্ত সুযোগ সুবিধা পৌঁছে গেছে। আমরা স্লোগান দেই ‘আমার গ্রাম আমার শহর, ডিজিটাল বাংলাদেশ’। আর বিএনপি স্লোগান দেয় ‘আর নয় ডিজিটাল দেশ, টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে পেছনে পাঠাও। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে বলে- এই স্লোগান আমাদের তারেক ভাইজান দিছে। আর মির্জা ফখরুল সাহেবও বলেন- পাকিস্তানই ভালো ছিল।’

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে উন্নয়ন, অগ্রগতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ, বিএনপি এখান থেকে বাংলাদেশকে কয়েক দশক পেছনে নিয়ে যেতে চায়। যে পাকিস্তান বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে, তারা দেশটাকে সেই পাকিস্তান বানাতে চায়। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না, পাকিস্তানই ভালো ছিল বলে, তাদের হাতে আমরা দেশ তুলে দিতে পারি না। যারা বাংলা ভাইয়ের জন্ম দিয়েছিল, যারা নাটোরে মমতাজ ভাইকে হত্যা করেছিল, আবার সেই জনপদে আমরা ফেরত যেতে পারি না।’

 

মির্জা ফখরুল সাহেব ক’দিন আগে তাদের মনের কথা বলেছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তারা না কি তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠন করবে। অর্থাৎ সব ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে চাঁদা আর টোল তোলার হাওয়া ভবনের তারেক রহমানকে না কি নেতৃত্বে আনবে। তার মানে আগে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফেটেছে, এবার পাঁচ হাজার জায়গায় বোমা ফুটবে, আবার বাংলা ভাই হবে, মানুষকে টাঙ্গিয়ে রেখে মারতে মারতে হত্যা করবে, আবার ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হবে। তারেক জিয়াকে আনলে এগুলো হবে।’

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘তারেক জিয়া মানুষের সামনে একটি আতঙ্কের প্রতীক, গ্রেনেড হামলার প্রতীক, বোমা হামলার প্রতীক, বাংলা ভাইয়ের প্রতীক, তাকে দিয়ে তারা সরকার গঠন করতে চায়। এক বছর পর আবার নির্বাচন হবে। যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় না আসে তাহলে দুলু সাহেব না কি বলে গেছেন- সবার পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। অর্থাৎ তারা যদি ক্ষমতায় আসে জনগণের পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। সুতরাং এ দেশের ক্ষমতা তাদের হাতে তুলে দেয়া যায় না।’

 

চলমান পাতা/২

 

--০২--

 

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা টানা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি। পৃথিবীর কোনো সরকার শতকরা একশ’ ভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারেনি, পারবে না। আমাদেরও ভুলত্রুটি থাকতে পারে, সেগুলো সংশোধন করে ভবিষ্যতে আরো সুন্দরভাবে স্রষ্টার কৃপায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হবে।’

 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম রমজান প্রধান বক্তা, আওয়ামী লীগের  সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন সম্মানিত অতিথি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, মোঃ শহিদুল ইসলাম বকুল এমপি, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমানকে সভাপতি এবং আব্দুল মতিনকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়।

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে গণমানুষের দল, এদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের দল হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কথা বলার জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম ১৯৪৯ সালে। যখন রাজনীতি ছিল বড়লোকদের হাতে, রাজনীতি ছিল ড্রয়িং রুমে বন্দি, রাজনীতি করতো জমিদারেরা, সেই রাজনীতিকে গণমানুষের কাতারে আনার জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। এদেশের সমস্ত অর্জনের সাথে আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’, ‘তুমি কে আমি কে- বাঙালি বাঙালি’ স্লোগানের মাধ্যমে হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছিলেন। তার ডাকে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা এনেছে।’

 

ড. হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি, কিন্তু ৯ শতাংশের বেশি অর্জন করতে পারি নাই।  ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে ১০ হাজার টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুনর্গঠন করে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে বহুদূর এগিয়ে গেছে, পৃথিবীর সামনে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

 

#

 

আকরাম/পাশা/মোশারফ/আরাফাত/সেলিম/২০২২/১৯২০ ঘণ্টা

 

 

তথ‌্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর:৪৫৫৩

 

বিশ্বায়নের যুগে ‍‍মাতৃভাষার পাশাপাশি বিদেশি ভাষা শেখাটাও গুরুত্বপূর্ণ

                                                              --সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর):  

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বিশ্বায়নের এ যুগে মাতৃভাষার পাশাপাশি বিদেশি ভাষা শেখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ভাষায় দখল থাকা জরুরি। আর সে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) -এ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ এবং ‘সেন্টার ফর এনডেনজার্ড  ল্যাঙ্গুয়েজেস’। ‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থীদের দেশীয় ভাষাসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় সমৃদ্ধ করার জন্য। অন্যদিকে আমাদের বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে ‘সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস’।

প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) মিলনায়তনে আইইউবি’র ‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ এবং ‘সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনের সূচনা এ ভাষাকে কেন্দ্র করেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। তিনি ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষার দাবিতে প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বহু ভাষাভাষীর দেশ। এদেশে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ৪৯টি নৃগোষ্ঠী রয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এর উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইইউবি বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজের সদস্য দিদার এ হুসেইন, তৌহিদ সামাদ ও এ মতিন চৌধুরী। 

 

#

ফয়সল/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২২/১৮২৯ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৪৫৫২

সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চার সমান সুযোগ নিশ্চিত করেছে

                                                                                           --- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

বরিশাল, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) :

          পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চার সমান সুযোগ নিশ্চিত করেছে। সুষম শিক্ষাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও অগ্রগতিকে বিকশিত করা সম্ভব।

          আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকগণ আলোচনায় অংশ নেন।

          আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে ও নতুন প্রজন্মের মেধা, মনন, ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে শিক্ষা হচ্ছে অন্যতম নিয়ামক শক্তি। তিনি বলেন, শিক্ষা জীবন যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য বিশেষজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের ক্লাস ভিডিও ধারণ করে তা সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তিনি শিক্ষকদেরকে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে কাজ করার পরামর্শ দেন ।

          আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে ও নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে সম্পন্ন হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

#

আহসান/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০৩০ঘণ্টা

 

তথ‌্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর:৪৫৫১

 

আমনে বাম্পার ফলন হবে, খাদ্য সংকট হবে না

                                            --কৃষিমন্ত্রী

 

চুয়াডাঙ্গা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর):  

 

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে মাঠভর্তি ফসল রয়েছে। আমন ধানের অবস্থা ভালো, বাম্পার ফলন হবে। এছাড়া, দেশে যথেষ্ট খাদ্য মজুত রয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো সংকট হবে না, দুর্ভিক্ষ হবে না।

আজ মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হৈবৎপুরে আমন ধান কাটা উৎসব ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে মন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ক্ষেত পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু সংরক্ষণের প্রযুক্তি না থাকায় অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আর এই আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষি মন্ত্রণালয় রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছে। গত দুই বছরে প্রায় ১০ লাখ টন উৎপাদন বেড়েছে। 

তিনি বলেন, অফ সিজনে বা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এর সম্ভাবনাও অনেক। কৃষকদেরকে বীজ, সার, প্রযুক্তিসহ সকল সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ জনপ্রিয় করতে পারলে আমরা পেঁয়াজে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিও করতে পারব।

সার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারের মজুত ও সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বোরো মৌসুমে সার সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। 

পরে মন্ত্রী কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৈরি বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র ঘুরে দেখেন ও জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছেন। তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে, প্রয়োজনে আরো তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হবে। তবে জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো কৃষিযন্ত্র তৈরিতে শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে, বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলে কৃষিযন্ত্রে আমদানি নির্ভরতা কমবে।

এছাড়া কৃষিমন্ত্রী এদিন পলিহাউসে শাকসবজি ও চারা চাষ, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আনার চাষ, ড্রাগন, পেয়ারাসহ বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিকে লাভজনক করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। শুধু ধান আর পাট উৎপাদন না করে উচ্চমূল্যের ফসল ও ফল চাষ করতে হবে, তাহলেই কৃষি লাভজনক হবে। 

পরে মন্ত্রী সন্ধ্যায় দামুড়হুদার মেহেরুন পার্কে নবান্ন উৎসব ও কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন এবং কৃষকদের মাঝে কৃষিযন্ত্র বিতরণ করেন। 

এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

#

কামরুল/পাশা/মোশারফ/আরাফাত/লিখন/২০২২/ঘণ্টা১৭০৬

 

Handout                                                                                                          Number : 4450

Mayor of West Midlands calls on state minister for foreign affairs

Dhaka, 15 November 2022 :

            State minister for foreign affairs, Md. Shahriar Alam had a meeting with the mayor of West midlands, UK, Andy Street, at his office yesterday.

            The state minister congratulated mayor Andy Street for hosting the Commonwealth Games in Birmingham in 2022. He thanked the UK for supporting Bangladesh on Rohingya issues and requested more active roles of the country in favor of the repatriation of the Rohingyas in their motherland. The state minister also thanked the mayor for visiting Bangladesh as the two countries celebrate the 50th anniversary of diplomatic relations between Bangladesh and the UK.

            Mayor Andy Street praised the role of the Bangladesh diaspora in West Midlands in the development of Birmingham. He briefed the state minister about his net zero climate strategy to be implemented by 2041. They highlighted the active partnership between Bangladesh and the UK in many areas where climate actions play a significant part. They also appreciated engagements between Bangladesh and the UK on climate change, which gained momentum during the UK’s COP-26 Presidency.

#

Mohsin/Pasha/Mosharaf/Arafat/Zoynul/2022/1820 hour

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৫৪৯

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ৩০ কার্তিক (১৫ নভেম্বর) : 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ০ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।     

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪২৯ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮ জন।

কবীর/পাশা/মোশারফ/আরাফাত/রেজাউল/২০২২/১৭০০ ঘণ্টা


Handout                                                                           Number: 4548

 

Take collective action to mainstream the issue in climate change negotiations

                                                                           &

2022-11-15-14-53-b7548fbb254792e0689eb069f6fc1124.docx