তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৩৭
অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর নিরন্তর সংগ্রামই জীবনযুদ্ধে জয়ের হাতিয়ার
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র। ইচ্ছাশক্তির কমতিই এখানে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। তাই অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর নিরন্তর সংগ্রামই জীবনযুদ্ধে জয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর মিরপুরে স্কলাস্টিকা প্রধান শাখার ‘এ লেভেল’ শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই ধাপটি অতিক্রম করায় শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান ও সমগ্র জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি বিষয়ে এসব কথা বলেন।
ড. হাছান দেশ-বিদেশের বিদ্যাপীঠ থেকে তার অর্জিত শিক্ষা ও জীবনসংগ্রাম থেকে লব্ধ অভিজ্ঞতার ওপর আলোকপাত করে বলেন, প্রতিবন্ধকতা দেখে হতোদ্যম না হয়ে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো পরীক্ষার ফল খারাপ হলে মন খারাপ নয়, সেখান থেকেই নতুন উদ্যমে চেষ্টা করতে হবে। দৃপ্ততার সাথে শপথ নিতে হবে- আমাকে বিশ্বজয়ী হতে হবে, আমাকে এটা করতে পারতেই হবে, আমি সফল হবোই। তাহলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে।
জীবনের কোনো কোনো পর্যায়ে আমাদেরকে একাই লড়াই করতে হয় উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী এ সময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, লতা মুঙ্গেশকর, বিল গেটস প্রমুখ বিশ্বের সফলতম ব্যক্তিদের জীবনের হার না মানা সংগ্রামের উদাহরণ তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদেরকে তাদের আজকের অবস্থানে উত্তরণের পেছনে মা-বাবা, পরিবার ও শিক্ষকদের যে পরম অবদান রয়েছে তা সারাজীবন স্মরণ রেখে সম্মান দিতে হবে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
‘আশা ও আকাঙ্ক্ষা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্কলাস্টিকার পক্ষে মিরপুর সিনিয়র শাখার অধ্যক্ষ নুরুন নাহার মজুমদার এবং হেড অভ একাডেমিক এফেয়ার্স সাবিনা মুস্তফা বক্তব্য রাখেন।
এবছর সনদপ্রাপ্ত ১১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জন ‘হায়েস্ট ইন সাবজেক্ট’, ১৬ জন ‘হাই অনার’ এবং ৫ জনের হাতে ‘অনার’ সনদ তুলে দেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। সনদ বিতরণের মাঝে বিরতিতে শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
#
আকরাম/আরমান/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩৬
কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মসংস্থান অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মসংস্থান অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কর্মসংস্থান সম্পর্কিত কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদন, কর্মসংস্থান সেবা দান এবং কর্মসংস্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধনে জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আজ রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর যৌথ আয়োজনে ‘জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিমালা এবং বাংলাদেশের শ্রম বাজারে কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কৌশলগত সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি আমাদের অবশ্যই শোভন কর্মপরিবেশ, শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানো, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ৮ অনুযায়ী শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে শ্রম মন্ত্রণালয় কাজ করছে। জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিমালার ওপর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর সংস্থা, সামাজিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা, সিভিল সোসাইটি এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারগণকে নিয়ে আরো কৌশলগত সংলাপ এবং অংশগ্রহণমূলক আলোচনার আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে সংলাপে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. মোঃ কাউসার আহাম্মদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বক্তৃতা করেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশে কর্মসংস্থান নীতিমালার চর্চার প্রেক্ষিত তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএলও’র কর্মসংস্থান, শ্রম বাজার এবং যুব বিষয়ক শাখার প্রধান ড. শের ভারিক। সংলাপে জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিমালা এবং বাংলাদেশের শ্রম বাজারে কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্স এন্ড পলিসি ইন্ট্রিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট-র্যাপিড এর চেয়ারম্যান ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী। সংলাপে আইলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুটিআইনেনসহ শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধি, মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় উন্নয়নে সহায়ক যুগোপযোগী, বৈষম্যহীন, স্ব-উদ্যোগী ও উৎপাদনশীল পূর্ণ কর্মসংস্থান উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি-২০২২ প্রণয়ন করেছে সরকার। দেশের সকল কর্মক্ষম কর্মসংস্থান প্রত্যাশী মানুষের কর্মের সুযোগ সৃষ্টি ও কর্মে নিয়োগের উপায় নির্ধারণ, কর্মসংস্থান এবং কর্মের জন্য জনশক্তিকে উপযুক্ত ও দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে বেকারত্বহীন দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এ নীতির লক্ষ্য বলে এ সংলাপে জানানো হয়।
#
আকতারুল/আরমান/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩৫
কাগজবিহীন আন্তঃবাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
- থাইল্যান্ডে বাণিজ্য সচিব
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেডের সুবিধা সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আজ থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন আয়োজিত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেড বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কাউন্সিলের দ্বিতীয় সভার প্রথম দিনে সচিব একথা জানান।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সভার প্রথম দিনের সেশনের শুরুতেই বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষকে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় এবং তিনি সভা পরিচালনা করেন।
সভায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও ১৩টি পর্যবেক্ষক দেশ, বিশেষজ্ঞ দল এবং এডিবি ও ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনসহ এসকাপ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময়, সকল সদস্য রাষ্ট্রসমূহ স্ব স্ব দেশের পক্ষে তাদের বিবৃতি উপস্থাপন করেন।
সিনিয়র সচিব তাঁর বিবৃতিতে বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেডের সুবিধা সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর এবং যৌথ কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। আন্তঃসীমান্ত কাগজবিহীন বাণিজ্যের জন্য মজবুত প্রযুক্তিগত অবকাঠামো স্থাপন অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশ কাগজবিহীন আন্তঃবাণিজ্য পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে এবং অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তপন কান্তি ঘোষ জানান, বাংলাদেশ ২০০৬ সালের ইলেকট্রনিক লেনদেন আইনসহ ইলেকট্রনিক লেনদেনের সাথে সম্পর্কিত আইন ও প্রবিধান কার্যকর করেছে। এই আইনি বিধানের লক্ষ্য ই-কমার্স এবং ইলেকট্রনিক বাণিজ্যকে সহজতর করে ইলেকট্রনিক রেকর্ড ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং ইলেকট্রনিক চুক্তির আইনি বৈধতাকে স্বীকৃতি দেওয়া।
সিনিয়র সচিব জানান, আন্তঃসীমান্ত কাগজবিহীন বাণিজ্যে ব্যক্তিগত তথ্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে বাংলাদেশ ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন করেছে, যা সাইবার নিরাপত্তা সমস্যা এবং সাইবার অপরাধের তথ্য সুরক্ষার সমাধান করছে। এছাড়া, বাংলাদেশ তার ডিজিটাল অবকাঠামো যেমন ইন্টারনেট সম্প্রসারণ, কানেক্টিভিটি, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহারকে উন্নীত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপান্তরের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের পর এখন ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তপন কান্তি ঘোষ।
উল্লেখ্য যে, কাউন্সিল সভায় গত ১৯-২১ জুন তারিখ একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় এবং বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।
#
হায়দার/আরমান/রাহাত/মোশারফ/শামীম/২০২৩/ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩৪
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট কৃষির ভূমিকা ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার বিকল্প নেই
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর করতে হবে। কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ড্রোন, রোবট প্রভৃতি উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, উৎপাদন পরবর্তী অপচয় রোধ, শ্রমিক সংকট মোকাবিলা, সার, বালাইনাশকের পরিমিত ব্যবহার, সেচ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও স্মার্ট কৃষির বিকল্প নেই।
আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট কৃষির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। কৃষি তথ্য সার্ভিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, দেশে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী যারা আছেন তারা আদর্শ সম্প্রসারণ কর্মী। তিনি বলেন, আমরা দুই কোটি মানুষকে স্মার্ট কার্ড দিবো। স্মার্ট ফার্মিংয়ের জন্য বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে চুক্তি করছি। তরুণরা কৃষিতে আসছে এটা ভালো লক্ষণ। কৃষির প্রতি সবার দরদ আছে এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় সুযোগ।
এ সময় কৃষিপণ্য রপ্তানি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য আধুনিক ল্যাব, প্যাকিং হাউজসহ যত রকমের অবকাঠামো প্রয়োজন, আগামী ২ বছরের মধ্যে তা তৈরি হয়ে যাবে। এক দেশ থেকে আরেক দেশে রপ্তানি করার যে ন্যূনতম সক্ষমতা সেটা আমাদের এখনো গড়ে উঠে নাই। আমাদের উৎপাদন ভালো এটা সবাই বলে। কিন্তু রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের দৈন্যতাও রয়েছে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি আগামী দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য দেশে পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা আমরা গড়ে তুলতে পারবো।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক সুরজিত সাহা রায়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ আহসান উল্লাহ। এছাড়া বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/আরমান/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৩৩
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ভিজিএফ চাল বিতরণ করলেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার সকল ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ভিজিএফ চাল বিতরণ করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
আজ তারাকান্দা উপজেলার কাকনী, বালিখা, গালাগাও ও বানিহলা ইউনিয়নের অসহায়, দুঃস্থ ও দরিদ্রদের মাঝে প্রতিমন্ত্রী এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। গতকাল তারাকান্দা উপজেলার অন্য ইউনিয়নগুলোতে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ভিজিএফ কার্ডধারী প্রত্যেক নাগরিককে ১০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়। ঈদুল আজহা সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাল পেয়ে সবাই আনন্দ ও উল্লাস প্রকাশ করেন।
সদ্য নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমত, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/রাহাত/মোশারফ/লিখন/২০২৩/১৭৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩২
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি (ওধিসধ করসরহড়ৎর) সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন উপস্থিত ছিলেন।
আজ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর অফিসে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে তাঁরা দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও জাপানে বিভিন্ন সেক্টরে অধিকসংখ্যক দক্ষ কর্মী প্রেরণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের কর্মীদের দক্ষতা ও পরিশ্রমী মনোভাবের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কর্মীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো ও অন্যান্য খাতে সুনামের সাথে কাজ করছে। মন্ত্রী সে দেশে আরো অধিক কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ খায়রুল আলমসহ মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
রাশেদুজ্জামান/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৩১
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সাথে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এর সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন):
আজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিগত সময়ে যে অগ্রগতি হয়েছে তা উল্লেখ করে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এগিয়ে চলা অন্যান্য এশিয়ান দেশের জন্য অনুপ্রেরণার উদাহরণ। চীন বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসাবে পাশে থাকতে চায় বলেও জানান তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় ৯০ দশকে চীনের শেনজিং ভ্রমণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, চীনের অবকাঠামো, সক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রমাণ তখনই অনুধাবন করা যেত। বর্তমানে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এশিয়ান দেশ হিসেবে এ অর্জন আমাদের সবার জন্যই গর্বের। চীনের এখন জিডিপি ১৯ দশমিক ৩৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, উভয় দেশ পারস্পরিক লাভ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে পারে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এতে বাংলাদেশের সাথে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। ইয়াও ওয়েন এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ে নিজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা চীন সবসময় সম্মান করে। আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি ও জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী কোনো দেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা অনুচিত বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পে চীনা অর্থায়নের বিষয়টি উল্লেখ করে এ প্রকল্প পরিবেশের সুরক্ষার সাথে সাথে প্রকল্প সংলগ্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বলে জানান। রাজশাহীতে নির্মিত হতে যাওয়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভূ-উপরস্থ পানি শোধনাগার প্রকল্পে চীনা সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন আরো ভূমিকা রাখতে চায় বলে ইয়াও ওয়েন জানান। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত চীনের অর্থায়নে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনা সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ প্রকল্পটিকে একটি আদর্শ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রমবর্ধমান নগরায়নের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এ প্রকল্প বাংলাদেশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
#
হেমায়েত/রাহাত/মোশারফ/লিখন/২০২৩/১৬৩১ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৩০
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৬০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৫৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৪ জন।
#
রাশেদা/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৯
আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ও পারস্পারিক সহযোগিতায় বস্ত্র খাত শক্তিশালী হয়েছে
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, দেশে ও বিদেশে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ও পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোষকখাত আরো শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতা সক্ষম হয়ে উঠছে।
আজ রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে বেগবান করতে আয়োজন করা টেক্সটাইল খাতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘ইনটেক্স সাউথ এশিয়া’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সহ বস্ত্র খাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতিনিধি এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার কার্যকরী নীতিমালা প্রণয়ন, পণ্যের বহুমুখীকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং এখাতের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে বস্ত্রখাতের উন্নয়নে কাজ করছে। পাশাপাশি টেকসই ও যুগোপযোগী বস্ত্রখাত তৈরি করতে নানামুখী নীতিমালা-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ।
মন্ত্রী বলেন, বস্ত্রখাতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার কারণে এখাত জাতীয় রপ্তানির ধারাকে করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পোষাকখাতে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করে বেসরকারি খাতকে ব্যবসা পরিচালনায় উৎসাহিত করছে। এখাতের ব্যবসাকে সহজতর করার জন্য নীতি সহায়তা প্রদান, অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধিসহ সকল ক্ষেত্রে দৃঢ় সহায়তার ভূমিকা পালন করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, পোর্টের সুবিধা বাড়ানো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা, বন্দরসমূহের কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত ও পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের সাশ্রয়ী বিশাল শ্রমশক্তি, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং দক্ষ মানব সম্পদগুলোর সমন্বয়ে তৈরি পোশাকখাত দক্ষতা ও প্রতিযোগিতায় সক্ষমভাবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড হয়ে গড়ে উঠতে পারবে।
#
সৈকত/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রবি/রাসেল/শামীম/২০২৩/১৫২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৮
চিনির বাজার মনিটরিংয়ে ভোক্তা অধিকারকে নির্দেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রয় করা হচ্ছে কি-না তা মনিটরিং করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন ও মেডিসিনাল প্ল্যান্টস এন্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘Present Status and Future Prospect of Ayurvedic System of Medicine in Bangladesh’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েই চলেছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করার জন্য ট্যারিফ কমিশনকে বলা হয়েছে। তারা জানিয়েছে দেশের চিনির দামের সাথে আন্তর্জাতিক মূল্যের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সেটা আমরা সমন্বয় করবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চিনির ওপর যে শুল্কহার নির্ধারণ করা আছে তা কমানো অথবা ছাড় দেয়ার বিষয়ে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে অনুরোধ করবো। এটা করা হলে চিনির দাম কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।
টিপু মুনশি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সাথে সাথে দেশের বাজারে দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছে এবং হ্রাসকৃত মূল্যে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য সাধারণ মানুষের হাতে নাগালে রাখার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্ত যেসব পণ্য আমদানি করতে হয় সেসব পণ্যের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে বাজারে বিক্রয় করতে হয়। তিনি আরো বলেন, দেশে চিনি ও ভোজ্যতেলের চাহিদার বিপরীতে প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। এই দুই পণ্যর দাম উঠা নামা করে কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ে।
এর আগে সেমিনারে দেয়া বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আয়ুর্বেদিক ওষুধ শিল্প একটি প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা যা মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে এর উন্নয়ন ও বিকাশে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশসমূহ আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। আমরাও আমাদের দেশে উৎপাদিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারি। এজন্য সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এলক্ষ্য পূরণে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাকীম মোঃ ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুর রহিম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।
#
হায়দার/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রবি/রাসেল/শামীম/২০২৩/১৬০৮ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৭
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে; শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, জাতীয় চার নেতা, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদগণসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহিদ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের-যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি এবং আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের গণমানুষের প্রাণের সর্ববৃহৎ সংগঠন।
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি এবং ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন এক সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িকতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন, রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করা ও বিশ্বশান্তির পথকে প্রশস্ত করা। কারাবন্দি অবস্থায় তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান নবগঠিত সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং সাংগঠনিক তৎপরতার জন্য ১৯৫৩ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় সম্মেলনেই তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর প্রজ্ঞা, শ্রম, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও অবিচল আদর্শকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রশ্নে হয়ে উঠেন একজন অবিসংবাদিত নেতা। হাজার বছরের শাসন-শোষণের ইতিহাস মুছে ফেলে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগঠনটিকে প্রস্তুত করতে শেখ মুজিবকে যেমন অসংখ্য চড়াই-উতরাই পাড়ি দিতে হয়ে