তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১২২
হাওর এলাকায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে
---- ত্রাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
সরকার হাওর এলাকার সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ইতোমধ্যে জরুরি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৩৩২৪ মেট্রিক টন চাল ও ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে সিলেটের জন্য ৪২৮ মে.টন চাল ও ২৪.৩৭ লাখ টাকা, সুনামগঞ্জের জন্য ১২৫০ মে.টন চাল ও ৭৫ লাখ টাকা, হবিগঞ্জের জন্য ৩০৩ মে.টন চাল ও ১৪ লাখ টাকা, মৌলভীবাজারের জন্য ৩৪৩ মে.টন চাল ও ১৪.৫০ লাখ টাকা, কিশোরগঞ্জের জন্য ৫৫২ মে.টন চাল ও ৩৩.৭০ লাখ টাকা ও নেত্রকোনার জন্য ৪৪৮ মে.টন চাল ও ৩২.৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে। ৩৩২৪ মেট্রিক টন চাল ৩০ কেজি করে ১ লাখ ১০ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর বাইরে উপকূলীয় ওই জেলাগুলোর জন্য বিশেষ সহায়তা হিসেবে সরকার ৩ লাখ ৩০ হাজার অতি দরিদ্র পরিবারকে আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করবে। সাধারণ দরিদ্র পরিবারের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে ১ লাখ ৭১ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। এর ফলে সাধারণ বরাদ্দের বাইরে ৫ লাখ ১ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা সুনামগঞ্জেই ১ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ ও ৯১ হাজার পরিবারকে ওএমএস এর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, এমপি সুনামগঞ্জ সফরকালে স্থানীয় জনগণ ২ লাখ লোকের খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন। সরকার তার চেয়ে ৪১ হাজার বেশি লোককে খাদ্য সহায়তার জন্য বরাদ্দ দিলেন।
আজ সচিবালয়ের সভাকক্ষে হাওর অঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির উপর আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম এমপি সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, কৃষি সচিব মোঃ মহিউদ্দীন আব্দুল্লাহ, পানি সম্পদ সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মোঃ মাকসুদুল হাসান খানসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় হাওর অঞ্চলের অকাল বন্যা সমস্যার কারণ চিহ্নিতকরণ ও ভবিষ্যতে করণীয় নির্ধারণে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য তাদের নির্দেশ দেয়া হয়।
সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় যে, এ বছর অপেক্ষাকৃত ৩-৪ গুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে এ বছর অকাল বন্যা হয়েছে। ওই এলাকাকে বন্যার কবল থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষার উদ্যোগ নেয়া হবে ও মরা নদীগুলোর ড্রেজিং করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। বাঁধ মেরামত ও সুরক্ষার বরাদ্দ উপজেলা প্রশাসন বরাবর ছাড় করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
হাওর এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় সভায়। জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পানি বিশুদ্ধকরণ পর্যাপ্ত ট্যাবলেট সরবরাহ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য ৩৬০০০ কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দেবে বলে কৃষি সচিব সভায় জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত ১০ জন কর্মকর্তাকে ৩ মাসের জন্য হাওর এলাকায় পদায়ন করা হয়েছে।
#
ফারুক/সেলিম/কবির/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১২১
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব বই দিবস উদযাপন
বই পড়া কর্মসূচির আওতায় ১০ লক্ষাধিক বই পুরস্কার হিসেবে বিতরণ
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস উপলক্ষে আজ বই পড়া কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী ১০ লক্ষাধিক বই পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি এন্ড একসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ), বাংলাদেশ ন্যাশন্যাল কমিশন ফর ইউনেস্কো
(বিএনসিইউ) এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় দেশের ২৫০টি উপজেলায় সেকায়েপ প্রকল্পভুক্ত ১২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ লাখ ৫২ হাজার পাঠক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে প্রতিষ্ঠানসমূহে ১০ লক্ষাধিক বই বিতরণ করা হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০ লাখ ৭০ হাজার পাঠক বই পড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। আজ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৬ লাখ ৫২ হাজার ছাত্রছাত্রীর হাতে পুরস্কারের এ বই তুলে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সেকায়েপ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫০টি উপজেলার ১২ হাজার ১১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি চালু রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত ৬১ লাখ ৬০ হাজার ছাত্রছাত্রী বই পড়ার সুযোগ পেয়েছে। ২০১৭ সালে আরো ২১ লাখ ছেলেমেয়ে বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের ফলে ছাত্রছাত্রীরা বই পড়ার সুযোগ পাবে এবং তাদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। বই পড়ার জন্য আজ সারাদেশে সাড়ে ৬ লাখ ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।
সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মাহামুদ-উল-হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের হেড এন্ড রিপ্রেজেন্টেটিভ মিজ বিয়াট্রিস কালডুন এবং পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির কো-টিম লিডার শরীফ মোঃ মাসুদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পরে শিক্ষামন্ত্রী কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ঢাকার পার্শ্ববর্তী ৭টি উপজেলার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বই পড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরস্কারের বই বিতরণ করেন।
#
আফরাজুর/সেলিম/কবির/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১২০
শীঘ্রই বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
বাংলাদেশের জাতীয় গুণগতমান, অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং মানসম্পর্কিত আইন কাঠামো প্রণয়নে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (গড়ট) স্বাক্ষরিত হবে।
রাশিয়ার ‘ফেডারেল এজেন্সি অন টেকনিক্যাল রেগুলেশন অ্যান্ড মেট্রোলজি’ এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বরিস পটেমকিন (ইড়ৎরং চড়ঃবসশরহ) গতকাল শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এর সাথে বৈঠককালে এ প্রস্তাব দেন। শিল্পমন্ত্রী গতকাল মস্কোতে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন।
বৈঠকে ‘ফেডারেল এজেন্সি অন টেকনিক্যাল রেগুলেশন অ্যান্ড মেট্রোলজি’ এর উপপ্রধান গোগোলেভ দিমিত্রি (এড়মড়ষবা উসরঃৎু), আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান এর্ডিনিইয়েভা (ঊৎফুহবুবাধ), আইএমইডি’র ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যান্ড টেকনিক্যাল রেগুলেটরি কাউন্সিল (ইধহমষধফবংয ঘধঃরড়হধষ ছঁধষরঃু ধহফ ঞবপযহরপধষ জবমঁষধঃড়ৎু ঈড়ঁহপরষ/ইঘছঞজঈ) প্রকল্পের উপ-পরিচালক মুঃ আনোয়ারুল আলম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ কামরুল হাসান, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এফ এম মাহমুদ (কিরন)সহ দু’দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার গুণগতমান অবকাঠামোর উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়। এ সময় শিল্পমন্ত্রী ইউনিডোর সহায়তায় বাংলাদেশ প্রণীত ‘জাতীয় গুণগতমান (পণ্য ও সেবা) নীতি-২০১৫’ সম্পর্কে তুলে ধরেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ নীতির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য ‘বাংলাদেশ জাতীয় গুণগতমান ও কারিগরি নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ কাউন্সিল গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জাতীয় গুণগতমান নীতি, মান অবকাঠামো, গুণগতমান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিদ্যমান কারিগরি আইন, অ্যাক্রেডিটেশন ও সার্টিফিকেশন বডির সক্ষমতা বাড়াতে রাশিয়া সহায়তার প্রস্তাব ইতিবাচক বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে উভয় দেশের সম্মতিতে দ্রুত এ বিষয়ক সমঝোতা স্বারক স¦াক্ষর করা হবে বলে তিনি জানান।
#
শামসুল/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৯
পবিত্র লাইলাতুল মি‘রাজ উপলক্ষে আগামীকাল
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে আগামীকাল ২৪ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাতে (২৬ রজব দিবাগত রাতে) সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল মি‘রাজ উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে (বাদ মাগরিব) বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
ওয়াজ করবেন ঢাকার নারিন্দাস্থ দারুল উলুম আহছানিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল।
#
নিজাম/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৮
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
দশম জাতীয় সংসদের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৯তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন (রিমি) এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাঙালি জাতির আবহমান কালের সাংস্কৃতিক চেতনা জাগ্রত রাখা এবং শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি দেশের মানুষের বিশেষ করে যুব সমাজের আগ্রহ ও শক্ত মানসিক ভিত্ তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর আওতাধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থাসমূহের চলমান কার্যক্রম আরও গতিশীল, লক্ষ্যমাত্রা ভিত্তিক ও অর্থবহ করার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত; প্রচার, প্রশিক্ষণ উপকরণ ও অনুশীলন সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান; দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূহের (হেরিটেজ) উন্নয়ন; শিল্পকলা একাডেমি ও প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্প্রসারণ ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২০২০ সালের মধ্যে জাতীয় আর্কাইভস্ ও জাতীয় গ্রন্থগার অধিদপ্তরের ডিজিটাইজেশনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন করার ব্যাপারে ‘‘গড়ফবৎহরুধঃরড়হ ধহফ টঢ়মৎধফধঃরড়হ ড়ভ ঘধঃরড়হধষ অৎপযরাবং ্ ঘধঃরড়হধষ খরনৎধৎু’’ শীর্ষক প্রকল্পের দ্রুত অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটির সুপারিশ প্রদান করা হয়।
বৈঠকে অবহিত করা হয় যে, বর্তমানে ডিজিটাইজেশনের চলমান কাজে জাতীয় আর্কাইভে ১.২৫ মিলিয়ন পৃষ্ঠা ডিজিটাইজড্ করা হয়েছে এবং প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ২৫ মিলিয়ন পৃষ্ঠা ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনা সম্ভব হবে যা অনলাইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নাগালে আসবে। ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থায় আগামী ৫০০ বছরের জন্য এগুলো সংরক্ষিত থাকবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কাজী কেরামত আলী, মমতাজ বেগম, পংকজ নাথ এবং জেবুন্নেছা আফরোজ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
লাবণ্য/সেলিম/কবির/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৭
গুলশান লেকের পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
আজ গুলশান লেকের শাহজাদপুর থেকে মরিয়ম টাওয়ার পর্যন্ত অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়। এ অভিযানের মাধ্যমে ৭০০ ফুট দীর্ঘ এবং ৫০ ফুট প্রশস্ত জমি উদ্ধার করা হয়। এখানে লেকের পাড় ঘেঁষে পায়ে হাঁটার পথ তৈরি করা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানানো হয়।
রাজউকের নেতৃত্বে পরিচালিত এ উচ্ছেদ অভিযানকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, সংসদ সদস্য এ কে এম রহমত উল্লাহ, রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, গুলশানে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার সময়ে অনেক জলাশয় ছিল। এ এলাকার জলাধার ও পরিবেশ সুরক্ষায় সে সময়ে পরিকল্পনা প্রণয়নকালে লেক নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন সময়ের সরকার গুলশান লেক ভরাট করে নিজ দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে প্লট বরাদ্দ দেয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এ লেক পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, মরিয়ম টাওয়ার গুলশান লেক ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি গুলশান লেকের জন্য একটি বিষফোঁড়া। বিএনপি সরকারের ১৯৯১-১৯৯৬ মেয়াদে এ প্লটটি বরাদ্দ দেয়া হয়। প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। তারপরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে, টাওয়ারটি নির্মাণকালে অতিরিক্ত কোন জমি তারা দখল করেছে কি না। যদি অতিরিক্ত জমি দখল করে থাকে সেটুকু ভেঙে দেয়া হবে।
মেয়র আনিসুল হক বলেন, আজকে যে জমি উদ্ধার করা হলো, সেখানকার বাসিন্দারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখানে বসবাসকারীদের সাথে একটি সমঝোতাও হয়েছে। সমঝোতার ভিত্তিতেই তারা এ স্থান ছেড়ে দিচ্ছেন এবং আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করেছেন। এ কাজে সহায়তা করায় মেয়র গুলশান সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান।
#
কিবরিয়া/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮০৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৬
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
দশম জাতীয় সংসদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এনামুল হক, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং লায়লা আরজুমান বানু অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কার্যক্রম এবং বাণিজ্য মেলার ক্যালেন্ডার চূড়ান্তকরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জমি বরাদ্দের বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাথে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বৈঠকে বিদেশে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরে্য কর্তৃক আয়োজিত মেলায় সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রদূত ও শ্রম কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশি পণ্য ক্রয়ে আকৃষ্ট করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
সাব্বির/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৫
তথ্য কর্মকর্তারা হবেন পরিবর্তনের যোগ্যকর্মী
-তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
গণমাধ্যম এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বলে বলীয়ান হয়ে তথ্য কর্মকর্তাগণ দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে যোগ্যকর্মী হিসেবে ভূমিকা রাখবেন বলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আশা প্রকাশ করেছেন।
রোববার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তথ্য কর্মকর্তাদের জন্য হিউম্যান ডিভালাপমেন্ট মিডিয়া’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির আওতায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদপ্তর এ কর্মশালার আয়োজন করে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে জঙ্গি দমনের মাধ্যমে শান্তি, উন্নয়ন বেগবান করে সমৃদ্ধি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিকে সার্বজনীন করে জনগণের সক্ষমতা আনয়ন করছেন। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে একটি বাড়ি একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, আশ্রায়ণ প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
‘ঠিক এ সময়েই দেশের উন্নয়নে তৃণমূল মানুষকে সম্পৃক্ত করতে সকল গণমাধ্যম ব্যবহারের মঞ্চ হিসেবে ‘হিউম্যান ডিভালাপমেন্ট মিডিয়া’র সকল প্রযোগের বিকল্প নেই। আর দেশব্যাপী ৬৪টি জেলা ও ৪টি পার্বত্য উপজেলার তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদেরই এ দায়িত্ব পালনে অগ্রণী হতে হবে’, বলে হাসানুল হক ইনু উল্লেখ করেন।
তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ মানবসম্পদ উন্নয়নে তথ্যকর্মকর্তাদের চলমান কাজের প্রশংসা করে বলেন, প্রতিটি জেলায় নির্মাণাধীন তথ্য কমপ্লেক্স ও উপযুক্ত যানবাহন সরবরাহ তাদের কাজকে আরো গতিশীল করবে। সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনকে ত্বরান্বিত করতে তথ্য কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি অত্যাবশ্যক।
মরতুজা আহমদ এ সময় ‘হিউম্যান ডিভালাপমেন্ট মিডিয়া’য় প্রচারিতব্য বিষয়বস্তু নির্মাণের জন্যও তথ্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কামরুন নাহার তথ্য কর্মকর্তাদেরকে জনগণ ও সরকারের সেতুবন্ধ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, নতুন ধারণা ও প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ ও প্রযোগের মাধ্যমে তথ্য কর্মকর্তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও ভাবনা যেমন সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে জনগণের কাছে পৌঁছুবেন, তেমনি জনগণের মতামতও দ্রুততর সময়ে সরকারকে জানাতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এটুআই কর্মসূচির জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক শারকে চামান খান। এটুআই কর্মসূচি ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ দু’দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ১০টি সেশনে হিউম্যান ডিভালাপমেন্ট মিডিয়া বিষয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছেন।
#
আকরাম/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৭/১৬৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৪
সমবায় ব্যাংকের কৃষিঋণের ভরতুকি প্রদান
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
সরকার কৃষি ঋণের মুনাফা ও দ- মুনাফা বাবদ বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ প্রদান করেছে।
এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো.মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ আজ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সমবায় ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের ৯তলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠান এআরকে-কেটি-এফএ-জেভি কর্তৃক নির্মায়মান ভবনটির ৬০ শতাংশ’র বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভবনটি নির্মিত হলে নারায়ণগঞ্জ জেলার সমবায়ীদের আর্থসামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সমবায় খাতকে কাজে লাগান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূচিত চলমান সমবায় আন্দোলনকে বেগবান করতে সমবায় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সমবায়ীদের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস, ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাব্যবস্থাপক নিতাই পদ দাস এবং মো. শাজাহান আলোচনায় অংশ নেন।
#
আহসান/অনসূয়া/গিয়াস/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৬০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৩
আইবিএ বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
-স্পিকার
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব অর্থনীতি ও বিশ্বায়নের এ যুগে ইনস্টিটিউট অভ্ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) কে দক্ষ জনবল সৃষ্টির মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে নয়Ñবিশ্ব অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ।
গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের সেনামালঞ্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অভ্ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর আইবিএ গ্রাজুয়েশন ২০১৬ (সমাবর্তণ) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, আইবিএ একটি প্লাটফরম এবং আইবিএ থেকে ডিগ্রিধারীরা সমাজ পরিবর্তনের চেঞ্জ এজেন্ট। জনগণের চাওয়া পাওয়ার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদেরকে সাধারণ জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। একাজে তিনি সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের জনসংখ্যার বেশীরভাগ তরুণ সম্প্রদায়। তরুণ সমাজের এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি গর্বিত জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, যারা স্বপ্ন দেখতে জানে স্বপ্নপূরণ তাদের পক্ষেই সম্ভব। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। দারিদ্র ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে এবং সাধারণ জনগণের স্বপ্ন পূরণে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি ।
এমবিএ প্রোগ্রামের চেয়ারপার্সন মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইবিএ সমাবর্তনের প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, শিক্ষকের কাজ জ্ঞানের দরজা উন্মুক্ত করা আর ছাত্রদের কাজ সে জ্ঞানের দরজা দিয়ে প্রবেশ করা। তিনি ছাত্রছাত্রীদেরকে সত্যের পথে থেকে অসত্যকে পরিত্যাগের মাধ্যমে দেশপ্রেমের মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
#
নুরুল/অনসূয়া/গিয়াস/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৭/১৫২৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১২
জেলা পরিষদকে কার্যকর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে
-স্থানীয় সরকার সচিব
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
স্থানীয় সরকার সচিব আবদুল মালেক বলেছেন, জেলা পরিষদকে কার্যকর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। যথাযথ সংস্কার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জেলা পরিষদকে ঢেলে সাজিয়ে জনগণের কল্যাণে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করা হবে।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্যবৃন্দের দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৩১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মত জেলা পরিষদকে জনগণের কল্যাণে কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আধুনিকায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে নব নির্বাচিত সদস্যদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আন্তরিকভাবে কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বক্তব্যের মাধ্যমে উঠে আসা বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিদাওয়া পূরণের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক।
#
জাকির/অনসূয়া/গিয়াস/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১১
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি’র বৈঠক
ঢাকা, ১০ বৈশাখ (২৩ এপ্রিল) :
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি’র ৩১তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী’র সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য আলহাজ এডভোকেট রহমত আলী, মো. আব্দুল মজিদ খান, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ৮ম বৈঠকের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) কর্তৃক নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আসন্ন রোজার আগে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, দৌলতদিয়া ঘাটের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের কাজের মান মনিটরিং করা, বিআইডব্লিউটিসি’র ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি, ফেরিগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ফেরিগুলোর আসল নাম অক্ষুণœ রাখার বিষয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করা এবং কাজগুলো সঠিক ভাবে মনিটরিং করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করে কমিটি।
প্রতিটি নদী সার্ভে করে নদী শাসন, ড্রের্জিং, ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কর্তৃক গঠিত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশ নেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
বৈঠকে নৌপরিবহণ সচিব, জাতীয় নদী রক্