তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৮৫
দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের
সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে ১২ সেপ্টেম্বর
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রত্যেক দিন বিদ্যালয়ে আসবে। এছাড়া অন্যান্য ক্লাস সপ্তাহে একদিন চলবে। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস হবে। আর প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসবে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন বিদ্যালয়ে আসবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুরুর দিকে চার-পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সময় বাড়বে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। কিন্তু শরীরচর্চা বা খেলাধুলা স্বল্প পরিসরে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে চালু রাখা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন শিক্ষার্থীরা আসবে তখন গাইডলাইন, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর যা যা আমরা হালনাগাদ করেছি; সেগুলোর ভিত্তিতে শিক্ষক, ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা সবাই তা নিশ্চিত করবেন। প্রতিদিন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর তাপমাত্রা মাপা এবং তাদের অন্যান্য উপসর্গ আছে কিনা সেটি চেক করাতে হবে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, মাস্ক ছাড়া কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতদের মাস্ক পরতে হবে। একেবারে কম বয়সী যারা, তাদের কোনো সংকট হচ্ছে কিনা, সেটা শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাসরুমের মধ্যে যে বিষয়গুলো মানা দরকার, সে বিষয়গুলো হলো সকলের মাস্ক আছে কিনা? মাস্ক পরিধান করা ছাড়া কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকবে না। অভিভাবকদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে, তারা তাদের সন্তানদের মাস্কটি দিয়ে দেবেন। যেন শিক্ষার্থীরা মাস্কটি বাসা থেকেই পরে স্কুলে আসে। শিক্ষার্থীরা বাসায় ফিরে যাওয়া পর্যন্ত যেন মাস্ক পরে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অবশ্যই সকলের মাস্ক পরতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। খুব ছোট বা কম বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা খেয়াল রাখবেন, যাতে কারও অসুবিধা হয় কিনা। কোনো শিক্ষার্থীর মাস্কের কারণে অসুবিধা হয় কিনা, সেই বিষয়গুলো শিক্ষকরা অবশ্যই দেখবেন।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভেতরে আসা-যাওয়ার জন্য সবাই যেন সারিবদ্ধভাবে ঢুকে তা নিশ্চিত করা হবে। হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার জন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থা করা আছে। শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে। কারও উপসর্গ থাকলে না আসাও নিশ্চিত করতে হবে।
চলমান পাতা/০২
--০২--
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রাখবো অবস্থাদৃষ্টে যদি মনে হয় এই পরীক্ষাগুলো নেয়া সম্ভব তাহলে আমরা এই পরীক্ষাগুলো নেব ইনশাআল্লাহ।
বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার সার্বিক প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রাখবো পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে বার্ষিক পরীক্ষা আমরা নেব ইনশাআল্লাহ।
অক্টোবরের আগে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহে ভিসিদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভিসিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে, অন্তত পক্ষে সকল শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা নেওয়ার পরে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা। সেটির আলোকে মধ্য অক্টোবর ঠিক করা হয়েছিল। এখন যে পরিস্থিতি তাতে আমি আবারও এই সপ্তাহে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করব। সেখানে অবস্থা আবার পর্যবেক্ষণ করে যদি তারা সিদ্ধান্ত নেন যে অক্টোবরের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্ধান্ত তাদের সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে হয়ে থাকে, তাই এই সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আবারও একটি বৈঠক করবো।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সঙ্গে আমরা একটি সভা করেছিলাম গত মাসের শেষে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়ে দিতে পেরেছি। যারা অনাবাসিক তাদেরও টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। যাদের এনআইডি আছে তাদের সমস্যা নেই। যাদের এনআইডি নেই তাদেরকেও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকা না পাওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া যখন শুরু হয়েছে, তার মধ্যে যাদের এনআইডি আছে তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। তারা পাবলিক, প্রাইভেট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাকি সাত কলেজের সেটি দেখা হয়নি। কাজেই যে কোনো শিক্ষার্থীর বয়স যদি ১৮ বছরের ওপরে হয় তার এনআইডি থাকলে এখনি সে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে। এখনি তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা নিতে পারবে। যার এনআইডি নেই তার জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রজ্জাক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
#
খায়ের/পাশা/রেজুয়ান/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৮৪
২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তির যাত্রীবাহী গাড়ি তৈরি হবে
-- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তির যাত্রীবাহী গাড়ি তৈরি হবে। এর ফলে দেশেই তুলনামূলক কমমূল্যে পাওয়া যাবে বিদেশি ব্রান্ডের গাড়ি। এ লক্ষ্যে হুন্দাই এবং ফেয়ার টেকনোলজি যৌথভাবে বাংলাদেশে হুন্দাই যাত্রীবাহী যানবাহন উৎপাদন কারখানা গড়ে তুলছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে এ কারখানা স্থাপন করা হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশীয় শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছেন। ফলে এখন থেকে দেশেই বিক্রয়, বিক্রয়-পরবর্তী সেবা এবং খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়ের সুবিধা পাবেন গাড়ি প্রস্তুত ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা।
ফেয়ার গ্রুপ আয়োজিত ফেয়ার টেকনোলজিস-হুন্দাই ‘থ্রি এস সেন্টার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের হুন্দাই থ্রি এস সেন্টারে আজ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এ.বি. তাজুল ইসলাম (অব.)।
#
মাহমুদ/পাশা/রেজুয়ান/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৮৩
বঙ্গবন্ধু আপোষহীন ও অসীম সাহসের অধিকারী ছিলেন বলেই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে
-- প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য
যশোর, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
বঙ্গবন্ধু আপোষহীন ও অসীম সাহসের অধিকারী ছিলেন বলেই বাঙালির আত্মপরিচয়, বাঙালির স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
আজ যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান "পুনশ্চ" এর উদ্যোগে "লাল সবুজের নায়ক তুমি" শীর্ষক অ্যালবাম এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ও কায়েমি স্বার্থান্বেষী মহলের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর দৃঢ়তা দিয়ে মোকাবেলা করেছেন তিনি। জাতির পিতার অর্থনৈতিক মুক্তির সেই স্বপ্নসাধ বাস্তবায়নে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘পৃথিবী শোষক আর শোষিত এই দুই ভাগে বিভক্ত । তিনি ছিলেন শোষিতের দলে। শোষিত, নির্যাতিত ও মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন বলেই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির কাছে বঙ্গবন্ধুসহ সপরিবারে নৃশংসভাবে জীবন দিতে হয়েছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সুকুমার দাসসহ যশোর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ।
#
হাবীব/পাশা/রেজুয়ান/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৮২
জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বার্লিন (জার্মানী), ৫ সেপ্টেম্বর :
জার্মানির বার্লিনে আজ বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রী বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মুজিববর্ষে ই-পাসপোর্ট সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) এবং বাংলাদেশ ভ্রমণেচ্ছু বিদেশি নাগরিকগণকে মেশিন রিডেবল ভিসা (MRP) প্রদান করে। বর্তমানে ৭৩টি বিদেশি মিশনে এমআরপি ও এমআরভি সেবা চালু রয়েছে। প্রবর্তনের পর অদ্যাবধি তিন কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার এমআরপি ইস্যু করা হয় এবং ১৬ লক্ষ ১৯ হাজার এমআরভি ইস্যু করা হয়।'
'এমআরপি ও এমআরভি'র প্রবর্তন করে সরকার এই সেবার আধুনিকায়ন বন্ধ করেনি। গত ২২ জানুয়ারি, ২০২০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই- পাসপোর্ট এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, "ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।"
'যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান, মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সকল পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এমনকি উন্নত দেশগুলোর স্বল্পসংখ্যক দেশে স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলো।'
'বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে জার্মানির বার্লিনে প্রথম ই-পাসপোর্টের roll-out আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ আবেদন জমা হয়েছে ই-পাসপোর্ট এর জন্য। প্রায় ১০ লক্ষ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছ।'
সভাপতির বক্তব্যে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ূব চৌধুরী বলেন, 'বতর্মানে দেশের ৬৪টি জেলার ৬৯টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে। শিগগিরই দেশের ৮০টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে।'
অনুষ্ঠানে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশারফ হোসেন ভূইয়া বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের পাশাপশি বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।'
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস জার্মানির রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল্লা আল মাসুদ চৌধুরী; জার্মান Veridos কোম্পানির প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা Andreas Raschmeir; জার্মান অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীবৃন্দ।
#
মাহমুদ/পাশা/রেজুয়ান/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৮১
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন -- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ তাঁর অফিসকক্ষে ‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’ এর প্রতিনিধিদলের সহিত সাক্ষাৎকালে এ সব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, মতবিনিময় সভা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে যাচ্ছে।
জাতির পিতার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ দেশকে ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে আমাদের সরকার সজাগ রয়েছে। দেশে যাতে কোনোভাবেই উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ফিরে না আসে- এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ইতোমধ্যে ৫৬০টির মধ্যে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। অবশিষ্ট মসজিদসমূহ শীঘ্রই চালু হবে। এসব মসজিদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের খতিব, ইমাম ও ধর্মীয় আলোচকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা গেলে অনেক সামাজিক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মূলনীতি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি বাস্তবায়নে আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশকে নস্যাৎ করতে চায়। এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’ এর চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন আমরাই পারি জোট এর কো চেয়ারম্যান এম বি আখতার, নির্বাহী সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক, সদস্য রাবেয়া বেগম, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মুবিনুর রহমান, এডভোকেসি এন্ড ট্রেইনিং কো অর্ডিনেটর সুরাইয়া পারভীন, প্রোগ্রাম অফিসার মারজিয়া হাসান প্রভা প্রমুখ।
সাক্ষাতকালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নূরুল ইসলাম, পিএইচডি উপস্থিত ছিলেন।
#
আনোয়ার/পাশা/রেজুয়ান/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৮০
বঙ্গবন্ধুর বাংলায় দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হবে না
-- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাথা উচুঁ করে বাঁচতে শিখিয়েছে। তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ, একটি জাতি। আমাদের মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছেন। তিনি সর্বদা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, কোনো দুর্নীতিবাজদের তিনি প্রশ্রয় দিতেন না। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হবে না বলে মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান।
আজ বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নিউজ স্টুডিও উদ্বোধন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও বিএফডিসির জন্য বরাদ্দকৃত স্থান পরিদর্শন শেষে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এই বাংলাদেশকে ভিন্ দেশীরা লুটপাট করে খেয়েছে। আজ তারা সমৃদ্ধ। তাদের শাসন-শোষণ থেকে বেরিয়ে এসে বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুই এ জাতির ঠিকানা খুঁজে দিয়েছেন। সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করতে হবে, সবাইকে সোনার মানুষ হতে হবে।
ডা. মুরাদ বলেন, দেশের জন্য আমাদের আরো অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আাদর্শ ধারণ করতে হবে; বঙ্গবন্ধু কন্যার মতো ধীরচেতা দেশপ্রেমিক হতে হবে। সোনার বাংলায় সোনার মানুষ দরকার, বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে আমাদের সোনার মানুষ হতেই হবে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। জনগণের টাকা দিয়ে ফুটানী না করা এবং রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় না করার আহবান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এদেশে খুনের ইতিহাস যারা তৈরি করেছে তাদের বিচার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এদেশে ইনডেমিনিটি জারি করা সেই খুনি জিয়াউর রহমান ও মুশতাকদের বিচার এখনো পর্যন্ত হয়নি। খুনি জিয়ার মরণোত্তর ও যারা এখনো বেঁচে আছে তারেক জিয়াসহ তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করছেন আপনারা। আপনারাই এ দেশকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করছেন। নৈতিক দায়িত্ব দেশ বিরোধী খুনিচক্রদের পরিচয় উন্মোচন করা।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াছমিন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ ইসমাইল হোসেন খান, বিটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক জগদীশ এষ, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/পাশা/রেজুয়ান/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৭৯
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৫ হাজার ১৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৪৩০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৪৫৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০ জন-সহ এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৫৬৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৩ জন।
#
ফেরদৌস/পাশা/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৭৮
আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে ১ কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদিত হয়। অথচ বিদেশ থেকে চড়া দামে আলুর চিপস, প্রিঙ্গলস আমদানি করতে হয়। দেশে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভ্যালু আ্যাডে জড়িত প্রতিষ্ঠানসমূহকে মানসম্পন্ন চিপস, প্রিঙ্গলস, ফ্রেঞ্চফ্রাই তৈরি করতে হবে। এছাড়া, আলুর বহুমুখী ব্যবহার করে আর কী কী প্রোডাক্ট বানানো যায়- তা খুঁজে বের করতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আলুর ভালো জাতের অভাব এতদিন আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বড় বাধা ছিল। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে। এছাড়া, আলুর জাত অবমুক্তিতে আগে নিবন্ধন লাগত, সেটিকে আমরা উন্মুক্ত (নন-নোটিফাইড) করে দিয়েছি। ফলে প্রাইভেট সেক্টরও কিছু উন্নত জাত নিয়ে এসেছে। মাঠে এ জাতগুলোর সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, গুণাগুণ, ড্রাইমেটারের উপস্থিতি বেশি বলে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। জাত নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, অন্য আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হলো নিরাপদ ও রোগমুক্ত আলুর উৎপাদনের নিশ্চয়তা প্রদান। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা (জিএপি) প্রণীত হয়েছে। টেস্টিং সুবিধা বাড়ানোর জন্য ঢাকার শ্যামপুরে একটি ল্যাব নির্মিত হয়েছে, এটির আধুনিকায়ন চলছে। পূর্বাচলে আরেকটি আধুনিক ল্যাব নির্মিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে আলু খুবই সম্ভাবনাময় একটি ফসল। আবহাওয়া ও মাটি আলুচাষের অনুকূল। আলুর বাজার ও চাহিদা বাড়াতে পারলে উৎপাদন অনেকগুণে বাড়ানো সম্ভব। এ বছর আলুর দাম কম। কৃষক ও কোল্ড স্টোরেজের মালিকেরা আলু বিক্রি নিয়ে উদ্বিগ্ন অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য ফ্রেশ আলু প্রক্রিয়াজাত করে দেশে-বিদেশে বাজার বিস্তৃত করতে হবে।
প্রাইভেট সেক্টরকে জিএপি বাস্তবায়ন করে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে আলু উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম। এসময় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধান, ফুড প্রোডাক্টস প্রস্তুতকারী ও প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং আলু ও শাকসবজি রপ্তানিকারক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় জানান হয়, দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ কোটি ৬ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৫ হাজার টন, যার মূল্য প্রায় ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
#
কামরুল/পাশা/রেজুয়ান/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৭৭
Mainstreaming SDGs for the Ministry of Industries
শিরোনামে প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০৪১ সালের মধ্যে যে টার্গেট তা ২০৩০ সালের মধ্যেই এসডিজি বাস্তবায়নে বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে যে শ্রমিক আছে, তা কাজে লাগাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ। তিনি বলেন, এসডিজি বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই প্রকাশনা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। এসডিজি উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের সঠিক প্লানিং অনুযায়ী যেসব এলাকা পিছিয়ে আছে তা চিহ্নিত করে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘Mainstreaming SDGs for the Ministry of Industries’ শিরোনামে প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কমকর্তা এবং দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব বলেন, ২০১৬-২০৩০ এই সময়ে এসডিজি বাস্তবায়নে মোট ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্য, ১৬৯টি টার্গেট এবং ২৩২টি নির্দেশক নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মোট ৩৯টি টার্গেটের মধ্যে ২টি টার্গেটের একটি হচ্ছে শিল্প ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ২৫ শতাংশ এবং আরেকটি হচ্ছে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৫ শতাংশে উন্নীত করা। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত এসডিজি বিষয়ক প্রকাশনা শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পাদন করে। এতে এসডিজি’র সাথে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন