তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৩৫
চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে মন্ত্রিবর্গের শোক
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স¦াস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
পৃথক পৃথক শোক বার্তায় মন্ত্রিবর্গ বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে যে ক’জন চলচ্চিত্রকার অবদান রেখেছেন আমজাদ হোসেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একজন প্রতিভাবান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতাও বটে। তার মৃত্যু চলচ্চিত্রাঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
মন্ত্রিবর্গ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
শাহেদ/পরীক্ষিৎ/ফয়সল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
Handout Number: 3334
Martyred Intellectuals Day observed in Seoul
Seoul (Korea), 14 December:
The Embassy of Bangladesh in Seoul observed the Martyred Intellectuals Day with due fervour on 14 December 2018. The event began with one-minute silence in honour of the martyred intellectuals followed by a special prayer offered for the salvation of their departed souls. Then the messages by the President and Prime Minister on this day were read out.
During the discussion, the Embassy officials emphasized on the significance of the Day. They said that 14 December is one of the most grieving day in the history of Bangladesh. On this day in 1971, to wipe out the intellects of the Bengali nation, the Pakistanis brutally killed the eminent teachers, doctors, writers and journalists as part of their pre-planned design.
Ambassador paid rich tribute to the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and martyred intellectuals in her remarks. She mentioned that the ideals and sacrifices of our martyred intellectuals will be the eternal source of inspiration for the Bengali nation. She also stated that if these intellectuals were not killed on that day, they could have actively participated in building the war-ravaged nation and contributed in the socio-economic development of the country. Bangladesh could have prospered further had they not been killed and we could initiate the process of building a knowledge-based society much earlier. In conclusion, she urged all for their concerted efforts of all for building a democratic, secular and prosperous Bangladesh.
#
Mahmud/Parvez/Abbas/2018/2013 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৩৩
বিটিভি’র রাঙামাটি প্রতিনিধি মোস্তফা কামালের মৃত্যুতে
তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের শোক
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ টেলিভিশনের রাঙামাটি প্রতিনিধি মোস্তফা কামালের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও সচিব আবদুল মালেক।
সাংবাদিক মোস্তফা কামাল (৪৫) আজ দুপুরে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি....রাজিউন)।
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত স্ত্রী ও কন্যাসহ পরিবারের সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৩২
চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে
তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের শোক
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং সচিব আবদুল মালেক। তাঁরা এ প্রতিভাবান চলচ্চিত্রকারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তথ্যমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় বলেন, আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে আমরা এক অসামান্য চলচ্চিত্র প্রতিভাকে হারালাম। তাঁর প্রতিভা ও কর্মের কথা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমজাদ হোসেনের জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’, ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।
১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়া তিনি একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ ১৪ বার জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৩১
জাতিকে মেধাশূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল
-- স্পিকার
পীরগঞ্জ (রংপুর), ৩০ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন চক্রান্ত চরিতার্থ করতে বিজয়ের ঠিক আগ মূহূর্তে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতির সূর্য সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আল বদরেরা। সেই সব বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের জাতি শ্রদ্ধাভরে চিরদিন স্মরণ করবে।
স্পিকার আজ সকালে তাঁর নির্বাচনী এলাকা পীরগঞ্জ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের লড়াই-সংগ্রামের ফসল আমাদের স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ৭ মার্চের দিকনির্দেশনামূলক ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল স্তরের মুক্তিকামী জনতা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল-আর বিজয়ী বীরের বেশে তাঁরা ঘরে ফিরেছিল।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশের জন্য জাতির পিতার সংগ্রামের ইতিহাস, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, ২ লাখ মা বোনের ত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশ গড়তে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এ সময় পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পৌরসভার মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান রাঙ্গা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড এর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্তরের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
জাতীয় সংসদের গণসংযোগ-অধিশাখা থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
#
তারিক/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৩০
‘মদিনার ইসলাম ছিল সকল মানুষের ধর্ম। মহানবী (সা.) সকল বিশ্বাসের মানুষের নিকট ইসলামের বাণী প্রচার করে মানুষকে ইসলামের পথে দাওয়াত দিয়েছেন। মানবিক আবেদনের কারণেই ইসলাম এত দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করেছিল। মুসলমানদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের অনুসারীদের কাছেও ইসলামের শান্তির বাণী পৌঁছাতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মদিনার মানবিক ইসলামের বাণী প্রচারের উদ্দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
ধর্মমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, খুবই ছোট একটি সংখ্যার মুসলিম নামধারী বিপথগামীরা ইসলামের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পথ অবলম্বন করেছে। এরা কোনোভাবেই ইসলামের পক্ষের শক্তি নয়। যে কোনো মূল্যে বিপথগামী এসব ব্যক্তিদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে হবে।
মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আলেম ওলামাদের আরো বেশি সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ লালনের প্রতি আহ্বান জানান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩২৯
সৌদি আরব সফররত বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের (১৪৪০ হিজরি) বাংলাদেশ-সৌদি আরব দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি গতকাল জেদ্দায় সম্পাদিত হয়েছে। চুক্তি অনুসারে এ বছর বাংলাদেশের জন্য কোটা নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজে যেতে পারবেন।
চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব প্রদান করেন ধর্মসচিব মোঃ আনিছুর রহমান এবং সৌদি পক্ষের নেতৃত্ব প্রদান করেন সৌদি হজ ও ওমরাহ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. আবদুল ফাত্তাহ বিন সোলায়মান মাশাত।
ধর্মসচিব মোঃ আনিছুর রহমান আরো জানান, চুক্তি অনুষ্ঠানকালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওআইসি’র নীতিমালা অনুসারে বাংলাদেশের মোট মুসলিম জনগোষ্ঠীর অনুপাত অনুসারে ১ লাখ ৪৬ হাজার জনের সুযোগ প্রদানের অনুরোধ করা হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বাংলাদেশের ধর্মমন্ত্রীর মাধ্যমে আবেদন করার পরামর্শ প্রদান করেন।
দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য মিনায় অবস্থানকালে উন্নতমানের বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন; ট্রেন সার্ভিসের সুবিধা আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি হজযাত্রীকে প্রদান; বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনসের বাইরে অন্যান্য এয়ারলাইনসকে হজযাত্রী পরিবহনের অনুমতি প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়া মিনার তাবুতে দ্বিতল/তেতল খাটের বিষয়ে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের অসুবিধার কথা তুলে ধরা হয়। এ বিষয়গুলো আরো যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেসরকারি হজ এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর সংখ্যা ন্যূনতম ১০০ করার প্রস্তাব করা হয়। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এজেন্সিভিত্তিক পারফরমেন্স যাচাই সাপেক্ষে প্রস্তাব গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয়।
চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ও সৌদি আরবের পক্ষে হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩২৮