তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩২
পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে
১ মে দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল ) :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৩৯ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ১৮ এপ্রিল বুধবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হবে এবং আগামী ১ মে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত হবে।
আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররমস্থ সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য সচিব সামীম মোহাম্মদ আফজাল ।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মোঃ সাইদুর রহমান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রেস) মোঃ মিজান-উল-আলম, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ফজলে রাব্বী, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম, উপ-ওয়াক্ফ প্রশাসক দেওয়ান মোঃ আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আবদুর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতীব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব ক্বারী আবু রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
নিজাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩১
বাঙালির পরিচয়ে উঁচু থাকুক মাথা
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল ) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিদেশি হবার চেষ্টা করে আমরা লোক হাসাবো না। বরং বাঙালির পরিচয়ে বিদেশিদের সামনে মাথা উচু করে দাঁড়াবো।
আজ রাজধানীতে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে একাডেমি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ৫ম ফোকলোর সামার স্কুল ও আন্তর্জাতিক ফোকলোর কর্মশালার সমাপনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
এদেশের চার হাজার বছরের পুরনো সভ্যতার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ভূখ-ের মানুষ অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন সমাজে বিশ্বাসী, জঙ্গি-দানবের স্থান এখানে নেই। নিজস্ব লোকাচারেই এদেশের মানুষের হƒদয় নরম কিন্তু অত্যাচার, অনাচার, দখলদারিত্ব, জাত-পাতের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার।
ইনু বলেন, কর্তৃত্ববাদিতা, দখলদারিত্ব, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন এদেশের সংস্কৃতি নয়। এগুলো সবই ইংরেজ-পাকিস্তানি-সামরিক-স্বৈরাচারদের চাপিয়ে দেয়া প্রপঞ্চ, যা সমাজ গ্রহণ করছে না। এগুলো সমাজের রাজনৈতিক আবর্জনা, যা কচুরিপানার মতো। দেশকে নিজরূপে উদ্ভাসিত করতে কচুরিপানার বাহনকে তাই দমন করতে হবে। সাম্প্রদায়িক বিভ্রান্তির কুয়াশাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিতে হবে। শুধু শারীরিক নয়, বিপ্লব ঘটাতে হবে মনে, লোকসংস্কৃতির অকৃত্রিম ধারায় গাইতে হবে মনুষ্যত্বের জয়গান, জাতিসত্ত্বার জয়গান, চলতে হবে অসাম্প্রদায়িক পথে, বলেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা ইনু বলেন, আমাদের সেই মনন বা মানসিক ধাঁচ তৈরি করতে হবে, যা ইংরেজি কায়দায় বাংলা বলবে না, বাংলাকে আরবিকরণ করবে না, স্বাভাবিক পোশাকেই স্বচ্ছন্দ থাকবে -ঢং করতে গিয়ে সং সাজবে না।
হাসানুল হক ইনু বলেন, এখানে আছে সুফিবাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ, বৌদ্ধ, হিন্দু, ইসলাম, খ্রিস্টান প্রভৃতি ধর্মের কথা। ধর্মচর্চা হয়েছে কিন্তু সংস্কৃতির ধর্মীয়করণ এখানে হয়নি, হয়নি সাম্প্রদায়িকীকরণও। মনুষ্যত্বের স্বীকৃতি, মনুষ্যত্বের জয়গান, মানুষে মানুষে সমতা, ধর্মের প্রতি সম্মান কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা নয়। আছে পরমত, পরধর্ম সহিষ্ণুতা।
প্রফেসর এমেরিটাস আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড শামসুজ্জামান খান, ভারতীয় অধ্যাপক জওহরলাল হান্ডু, ড. সুখবিলাস বর্মা, ড. অসীমানন্দ গঙ্গোপাধ্যায়, যুক্তরাজ্যের ফোকলোরবিদ জেনিফার রিড এবং এদেশের ফোকলোরবিদ ড. শেখ মকবুল ইসলাম সভায় বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/২০১৫ ঘণ্টা
Handout Number : 1230
New Delhi mission observes Mujibnagar Day
New Delhi, April 17:
Bangladesh High Commission in New Delhi today observed the historic 'Mujibnagar Day' to mark the swearing-in of the provisional government of Bangladesh that organized and conducted the nine-month War of Liberation under the leadership of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.
The importance of the formation of the provisional government after Bangabandhu was arrested and taken to jail in West Pakistan following the March 25 military crackdown in 1971 was highlighted at a discussion at the mission.
High Commissioner Syed Muazzem Ali presided over the meeting. Deputy High Commissioner A T M Rokebul Haque and Minister (Press) Farid Hossain took part in the discussion, which was conducted by Head of Chancery A F M Zahid-Ul-Islam.
Counselor Jamal Uddin Ahmed read out the Mujibnagar Day message from President Md. Abdul Hamid, while the message from Prime Minister Sheikh Hasina was read out by Attache (Consular) Farjana Yesmen Tania.
Syed Muazzem Ali paid tribute to Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and four national leaders, Syed Nazrul Islam, Tajuddin Ahmed, Mohammad Quamruzzman, and Capt. Mansur Ali. He said while Bangabandhu was arrested by the occupation Pakistani military, the four national leaders played a crucial role in mobilizing the freedom fighters and the diplomatic support for the cause of Bangladesh’s liberation war. He also appreciated the all-out support India provided to Bangladesh liberation war.
#
Mahmud/Sanjib/Rezaul/2018/1912 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২৯
মুম্বাইয়ে মুজিবনগর দিবস পালিত
মুম্বাই (ভারত), (১৭ এপ্রিল ) :
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, মুম্বাই প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণ করতে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস’ আজ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনাসভা এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী সরকার নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র ‘মুজিবনগর সরকার’ প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা পর্বে উপ-হাইকমিশনার মোঃ লুৎফর রহমান ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে মুজিবনগর দিবস’-এর গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং উল্লেখ করেন, এই সরকারের শপথ গ্রহণের মাধ্যমেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশে^ তার অভিযাত্রা শুরু করে এবং এই সরকারের অসাধারণ দক্ষতা, সাংগঠনিক ক্ষমতা, সুযোগ্য নেতৃত্ব ও সার্বিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমেই বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, উপ-হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং তাঁদের পরিবারবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়।
#
নাফিসা/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২৮
হ্যানয় দূতাবাসে মুজিবনগর দিবস পালন
হ্যানয় (ভিয়েতনাম), (১৭ এপ্রিল ) :
ভিয়েতনামের হ্যানয় বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সারি ভবনে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন করা হয়েছে। ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। দিনটি স্মরণ করে বিশেষ প্রার্থনা, আলোচনাসভা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র “ঐড়ি বি ধপযরবাবফ ড়ঁৎ ওহফবঢ়বহফবহপব” প্রদর্শিত হয়।
আলোচনাসভায় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশরে ইতিহাসে ১৭ই এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামের যে পথ চলা শুরু হয় তা ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭০ এর নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকার আত্মপ্রকাশ করে। এই সরকার গঠনের ফলে বিশ^বাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে ঐতিহাসিক এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ চার জাতীয় নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন । তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। পরিশেষে এ দিনটি সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করার ওপর গুরুত্বের কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং স্থানীয় ভিয়েতনামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
#
সামিনা/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২৭
গ্রীন লাইনের নতুন এসি ডাবল ডেকার বাস সার্ভিস উদ্বোধন
দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে
---নৌপরিবহন মন্ত্রী
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল ) :
উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের এ ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তন এসেছে। মানুষ অর্থের দিকে না তাকিয়ে আরামদায়ক ভ্রমণের দিকে ঝুঁকছে। মানুষের আরাম ও রুচির কথা ভেবে দেশে নতুন নতুন চারলেনের রাস্তা ও উড়াল সেতু নির্মাণের পাশাপাশি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ ঢাকায় রাজারবাগে গ্রীন লাইন পরিবহণের ডাবল ডেকার বাস সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
গ্রীন লাইন পরিবহণের স¦ত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আক্কাসউদ্দিন মোল্লা।
মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে সড়ক পরিবহণে আধুনিক মানসম্মত গাড়ি চলাচল করছে, বাংলাদেশেও যুগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিক মানসম্মত গাড়ির প্রয়োজন। সে বিষয়টি চিন্তা করে গ্রীন লাইন কোম্পানি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সিলেট ও কক্সবাজারবাসীর সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিশ্বখ্যাত ব্রান্ডের দৃষ্টিনন্দন, বিলাসবহুল বাস আমদানি করছে। অত্যাধুনিক এসব বাস যাত্রীসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।
চট্টগ্রামের পর এবার সিলেট ও কক্সবাজার রুটের যাত্রীসাধারণের এই আধুনিক ও উন্নত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই দ্বিতল ও স্লিপার সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। নতুন এ বাসে নিচতলায় থাকছে ১১টি সিট এবং দোতলায় থাকছে ৩২টি সিট। ডাবল ডেকার বাসে ঢাকা-সিলেট রুটে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০০/- এবং ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০০/- টাকা। বাসগুলো বিলাসবহুল, সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং থাকবে নিরবচ্ছিন্ন ওয়াইফাই সুবিধাসহ যাত্রা বিরতিতে মানসম্মত সৌজন্যমূলক খাবার ব্যবস্থা।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২৬
সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মুজিবনগর দিবস পালিত
সিউল (দক্ষিণ কোরিয়া), ১৭ এপ্রিল :
সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করেছে। অনুষ্ঠানে কোরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর পবিত্র কুরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের সার্বিক উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা পর্বে অতিথিরা মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহিদ এবং দুই লাখ নির্যাতিতা মা-বোনের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম যে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বিশ্ব জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা ও যুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণে মুজিবনগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে বর্তমান প্রজন্মকে তিনি জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি মুক্তিযুদ্ধে কূটনীতিকদের কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
#
মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/১৮০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২৫
১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ৮ম বিটিটিএফ
ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল ) :
আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে শুরু হচ্ছে ৮ম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)। ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (টোয়াব) এর আয়োজনে এ মেলা ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। ১৯ এপ্রিল এ মেলা উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল।
আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, মেলায় ১০টি প্যাভিলিয়ন, ১৮টি মিনি প্যাভিলিয়নসহ ১৬০টি স্টল থাকবে। মেলায় ভুটান, নেপাল, থাইল্যান্ড, চীন, কম্বোডিয়া, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম, দুবাই এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, কাশ্মির ও ত্রিপুরা অংশগ্রহণ করছে বলে আয়োজকরা নিশ্চিত করছেন।
মেলায় বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ ও বিটুবি নিয়ে একাধিক সেশন থাকছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এ মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত।
#
তুহিন/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২৪
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে বিকালে চ্যান্সারিতে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে হাইকমিশনার তারিক আহসান দেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, এই সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাসহ বিশ্ব দরবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশবাসীর পাশে দাঁড়ানোসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় সার্বিক দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করে। হাইকমিশনার বলেন, এই দিনে শুধু সরকারের শপথ গ্রহণই হয়নি, এদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় এবং তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনও দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ১৭ এপ্রিলের সম্ভবত সবচেয়ে বড় তাৎপর্যপূর্ণ দিক এই যে, মুক্তিসংগ্রামের ক্ষেত্রে এই দিনে গণতান্ত্রিক বেসামরিক নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং এর ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি ও সমর্থন আদায়ে সহায়ক হয়।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও জাতীয় চারনেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরিশেষে মুজিবনগর ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।