তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২৬
অসহায় মামুনের অসুস্থ মাকে বাঁচাতে পাশে দাঁড়ালেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
বান্দরবান, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
বান্দরবান সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম মামুন গত ৪ মাস ধরে তার মাকে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চরম অর্থ সংকটে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে শ্রমিক হিসেবে ১০ বছরের জন্য বিক্রির ঘোষণা দেন। হৃদয়বিদারক এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নজরে আসে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের। তাৎক্ষণিক মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী।
আজ রাতে মন্ত্রীর বান্দরবান শহরের বাসভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম মামুনের মায়ের চিকিৎসা চালানোর জন্য ৬ লাখ টাকা প্রদান করেন। এসময় মন্ত্রী মামুনের মায়ের চিকিৎসা চালানোর জন্য তার হাতে ২ লাখ টাকার একটি চেক এবং নগদ ৪ লাখ টাকা প্রদান করেন। তিনি মামুনকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে প্রয়োজনে আরো সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী তার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২ লাখ টাকার সংস্থান করেছেন। মামুন-এর মায়ের চিকিৎসার অর্থ প্রদানকালে উপস্থিত সমবেতদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, অসুস্থ মাকে বাঁচাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামুনের আকুতি এবং প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে খবরটি আমি জানতে পারি। আমি সংবাদটি দেখে অসহায় পরিবারটিকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমি আমার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা এবং বান্দরবানের বিভিন্ন দানশীল ও বিশিষ্ট সমাজসেবকদের কাছ থেকে আরো ৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করে সর্বমোট ৬ লাখ টাকার ব্যবস্থা করেছি। আমি এই টাকাগুলো মামুনের মায়ের চিকিৎসায় ব্যয় করার জন্য মামুনের হাতে দিলাম। তিনি বলেন, মামুনের মায়ের চিকিৎসা মানে আমাদের মায়ের চিকিৎসা। জনদরদী মন্ত্রীর পক্ষ থেকে মানবিক এ সহায়তা পেয়ে মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং মন্ত্রী ও অন্য সহায়তাকারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অপর সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সৌরভ দাশ শেখরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২৫
সাংবিধানিক সরকার উচ্ছেদের হুংকার নির্বোধের হুংকার
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
সাংবিধানিক সরকার উচ্ছেদের হুংকার নির্বোধের হুংকার বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিম উদ্দীন হল মাঠে শেখ কামাল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বৈধ গণতান্ত্রিক সরকার, সাংবিধানিক সরকার। সাংবিধানিক সরকার উচ্ছেদে ১০ তারিখ, ১২ তারিখ, এই ঈদের পর, ওই ঈদের পর বলে যারা হুংকার দিচ্ছে, এগুলো হচ্ছে নির্বোধের হুংকার। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগের শঙ্কা কিন্তু রয়েছে। অশুভ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করার বিকল্প নেই। দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের পক্ষে আছে। তিনি আরো বলেন, ইতিহাসের গৌরবময় অর্জনের মূল নেতৃত্বে ছিল ছাত্রলীগ। '৫২ এর ভাষা আন্দোলন, '৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট, '৬২ এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, '৬৬ এর ছয়দফা আন্দোলন, ৬৮ এর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, '৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, '৭০ এর নির্বাচনে বিজয় এবং '৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের কাছে জাতির প্রত্যাশাও অনেক।
মন্ত্রী আরো বলেন, কখনও কখনও হোঁচট খাই, রাজনীতির গৌরবময় অধ্যায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে কিনা। তবু আশাবাদী থাকি, ছাত্রলীগের আদর্শিক কর্মী যারা, আদর্শিক নেতৃত্বে যারা, তারা কখনও হারবে না। বাঙালি জাতির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ছাত্রলীগ ঘিরেই উৎসমূল। ছাত্র রাজনীতি যেন হয় শিক্ষার কল্যাণে, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিষ্ঠ ভ্যানগার্ডের ভূমিকায়। তিনি আরো বলেন, নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা না করলে এক সময় বিদেশি সংস্কৃতি আমাদের মৌলিকত্বকে গ্রাস করে ফেলতে পারে। সেজন্য ক্রীড়া ও অপরাপর সংস্কৃতি চর্চার আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান অতিথি বলেন, ছাত্রলীগকে নিজেদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর রাখতে হবে। নেতৃত্ব বিতর্কিত হয় এমন কোনো বক্তব্য এমন কোনো বিবৃতি দেওয়া যাবে না। এটা সংগঠনবিরোধী কাজ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে হবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাস রাখতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্তর সঞ্চালনায় ও সভাপতি আজহারুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিললাল হোসেন, তিতাস গ্যাস পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক সাইফুদ্দিন নাছির, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
#
ইফতেখার/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২৪
বান্দরবানে দাঁতভাঙ্গা পাড়া বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
বান্দরবান, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, ধর্ম মানুষকে ধৈর্য ও সহনশীল হতে শিক্ষা দেয়। মানুষের সেবা করা মহৎ ধর্ম। তবে সমাজে কিছু দুষ্ট লোক থাকে। যে দুষ্ট লোকের কোনো ধর্ম নেই, বর্ণ নেই, সম্প্রদায় নেই। তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতাও নেই। সমাজে এ ধরনের দুষ্ট লোক থেকে নিজেদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান জেলার দাঁতভাঙ্গা পাড়া বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংপু মারমা, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অংসাহ্লা মারমা, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য অজিত তঞ্চঙ্গ্যাসহ বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রীতির সূতিকাগার বলা হয়ে থাকে বান্দরবান জেলাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য এলাকার প্রত্যেক ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এখানে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর জন্য মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার ও গির্জা নির্মাণের ফলে সানন্দে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারছে সবাই। তিনি আরো বলেন, বান্দরবান জেলার মতো এত সম্প্রদায়ের মানুষের মিলেমিশে একত্রে বসবাস দেশের অন্য কোনো জেলায় নেই।
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-৪১ উন্নত বাংলাদেশ গড়ায় সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
#
রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২৩
শেখ রাসেল হত্যার দায় জিয়াউর রহমানের
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল হত্যার দায় জিয়াউর রহমানের। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে জিয়া ও তার মদতপুষ্ট স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। এতে বাদ যায়নি ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলও।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, জন্মদিন আমরা সাধারণত আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করে থাকি। জন্মদিনে নানা রঙের বেলুন উড়ানো হয়, শিশুরা গাইতে থাকে। কিন্তু শেখ রাসেলের জন্মদিন পালনের সময় আমরা বেদনায় নীল হয়ে যাই।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনা করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর।
সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন বিনয়ী, অতিথি পরায়ণ, বন্ধুবৎসল, ত্যাগী, সামাজিক এবং শিক্ষকের নিকট প্রিয় একজন শিশু। জাতীয়ভাবে শেখ রাসেল দিবস পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এরকম একজন প্রাণবন্ত, নির্মল ও নির্ভীক শিশু সম্পর্কে জানানো, যাতে তারা তার জীবন ও আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে, নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারে।
#
ফয়সল/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২২
জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ইমামগণকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে
-- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, শিশুরাই এদেশের ভবিষ্যৎ। শিশুদের সুরক্ষা প্রদানে সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণে দেশের খতিব ও ইমামগণ প্রশংসনীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামীতেও জনকল্যাণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ইমাম সাহেবদেরকে আরো সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ইসলামিক ফাউণ্ডেশন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় অডিটোরিয়ামে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত অবহিতকরণে পরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারির সময়ে নানা ধরনের গুজব প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে এদেশের খতিব- ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বলেন, কোনো ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ, দেশের আলেম ওলামাদের কর্মসংস্থানসহ ইসলামের খেদমতে অসংখ্য কাজ করে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য বিপিএম ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোঃ এনামুল হক।
এর পূর্বে প্রতিমন্ত্রী ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় নির্মাণাধীন ইসলামিক মিশন হাসপাতালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
#
আনোয়ার/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২১
হাত ধোয়ার চর্চা বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকা, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, হাত ধোয়ার চর্চা বাড়ানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি সকলকে একসাথে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা দরকার। নিজেকে সচেতন করলে নিজের পাশাপাশি সামষ্টিকভাবে দেশের উন্নয়ন হবে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ইউনিসেফ আয়োজিত হাত ধোয়ার চর্চা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা মোকাবিলা করতেও আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন, এজন্য শুরু থেকেই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি করতে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এফবিসিসিআই’র সভাপতি জসিম উদ্দিন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি জায়িদ জুরুজি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
রুবেল/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২০
ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে
--- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়লে তাদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশন হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ’র নতুন হাসপাতাল ইউনিট এবং লালকুঠি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দিতে পারবে ঠিকই কিন্তু এডিস মশা মারতে পারবে না। মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে এডিস মশা নিধনে বাসা বাড়িতে পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি করতে পরামর্শমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। মশা নিধনের গুরুত্ব তুলে ধরে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার প্রতিনিধিদেরকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এখন মশা কমলে ডেঙ্গু রোগীও কমে যাবে; হাসপাতালে রোগীর চাপও কমে যাবে।
আজ রাজধানীর শিশু হাসপাতালে ‘আবুল হোসেন রেসপাইরেটরি ও নিউমোনিয়া রিসার্চ সেন্টার’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম আমিরুল মোর্শেদ, অর্থদাতা শিল্প উদ্যোক্তা আবুল হোসেন, অর্থদাতা অধ্যাপক রুহুল আমীন, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোঃ জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, রিসার্চ সেন্টারটি নির্মাণে শিল্প উদ্যোক্তা আবুল হোসেন এক কোটি টাকা এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমীন ২০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন।
#
মাইদুল/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২১৯
উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বিজয়ী করতে হবে
--- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য হ্রাস ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। এজন্য ঘরে ঘরে যেয়ে নারীদের নিকট সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী কমিটি, পরিচালনা পরিষদ, জেলা-উপজেলা চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি সুযোগ চায় না। তারা সমান সুযোগ চায়। বঙ্গবন্ধু এমন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে রাষ্ট্র হবে শোষণ ও বঞ্চনা মুক্ত। যেখানে নারী-পুরুষ সমানভাবে নিজ নিজ যোগ্যতায় দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে নারীরা বর্তমানে পুরুষের সমান যোগ্যতা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। যা জাতির পিতার স্বপ্নেরই প্রতিফলন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীন উন্নয়ন প্রকল্প, ক্ষুদ্র ঋণ ও ডে-কেয়ার সেন্টার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট তাহমিনা সুলতানা ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য ফারজানা ইয়াসমিন বিপ্লবী বক্তৃতা করেন।
এ সময় জাতীয় মহিলা সংস্থা ও জেলা-উপজেলা চেয়ারম্যানগণ মাঠ পর্যায়ে নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে নতুন প্রকল্প, কর্মসূচি গ্রহণ এবং ক্ষুদ্রঋণের টাকার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব সভায় তুলে ধরেন।
#
আলমগীর/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২১৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৪৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ সময় ৪ হাজার ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪১১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ২৮৫ জন।
#
কবীর/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২১৭
খাদ্য আমদানি কমাতে জনগণকে পলিশ চাল না খাওয়ার পরামর্শ খাদ্যমন্ত্রীর
ঢাকা,৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
খাদ্য আমদানি কমাতে জনগণকে পলিশ বা মেশিনের সাহায্যে মসৃণ করা চাল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ নওগাঁ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন ।
মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্ব আজকে বিপদে পড়েছে। যেখানে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য সংস্থাসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা বলছে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। তখন সেই বিপদের ছায়া বাংলাদেশের মতো দেশে পড়বে না তা তো আশা করা যায় না। কারণ আমরা আমদানি নির্ভরশীল দেশ। তবে কৃষিতে যদি আমরা সঠিকভাবে আবাদ করি আর যদি পলিশ করা চাল খাওয়া কমাতে পারি তাহলে আমাদের খাদ্য আমদানির প্রয়োজন হবে না ।
চাল পলিশ করার কারণে চালের খাদ্যাংশ নষ্ট হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে পলিশ করার জন্য বা চাল সিল্কি কিংবা মসৃণ করার জন্য চালের বাইরের কিছু অংশ নষ্ট হয়। প্রতি ১০০ মেট্রিক টন চালে ৫ মেট্রিক চাল কমে যায়। এই হিসেবে ৪ কোটি মেট্রিক টন চালে ২০-২২ মেট্রিক টন চাল নষ্ট হয়ে যায়। এই খাদ্যাংশটুকু ভাত, সুজি কিংবা আটা কোনোভাবেই ব্যবহার করা যায় না।
মন্ত্রী আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে বিশ্বের কিছু দেশে দুর্ভিক্ষের আলামত দেখা দিয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তারপরেও মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সেই কষ্ট দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করছেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তাদেরকে নৈতিকতা, মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে কোনো কাজ হবে না।
অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক। পরে মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
#
কামাল/রাহাত/রফিকুল/লিখন/২০২২/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২১৬
পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে বাণিজ্য ব্যবধান কমবে
---বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র এবং দেশটির সাথে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ভেজিটেবল ফ্যাট ও প্রচুর পামওয়েলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। উচ্চ শুল্কহারের কারণে সে পরিমাণ বাংলাদেশের পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা সম্ভব হয় না। এ কারণে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান অনেক বেশি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার Haznah Md Hashim এর সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ৩ হাজার ২৮৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে, একই সময়ে মালয়েশিয়ায় মাত্র ৩৩৭ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। বাণিজ্য ঘাটতি ২ হাজার ৯৫১ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। চলমান এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু রপ্তানি পণ্যের তালিকা শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের জন্য মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। এ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া গেলে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। মালয়েশিয়ার তৈড়ি গাড়ি বিশ্ব বাজারে বেশ জনপ্রিয়। উচ্চশুল্ক হারের কারণে এসব গাড়ি বাংলাদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। শুল্ক কমালে এগুলো বাংলাদেশে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির আরো অনেক সুযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়া এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিমসহ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এবং মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের কাউন্সিলর আনিস ওয়াজদি মোহা. ইউসুফ ও ফার্স্ট সেক্রেটারি Hohd Aszuan Abd Samat উপস্থিত ছিলেন।
#
আব্দুল/রাহাত/রফিকুল/লিখন/২০২২/১৯১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২১৫
ডিজিটাল প্রযুক্তির টেকসই মহাসড়ক নির্মাণে সরকার কাজ করছে
-টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগখাতের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তন। এখাতের সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে আমরা এসএমপিসহ সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির টেকসই মহাসড়ক নির্মাণে সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করতে বদ্ধপরিকর।
মালয়েশিয়াভিত্তিক ই-ডটকো গ্রুপের সিইও মোহাম্মদ আদলান আহমদ আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে তাঁরা মোবাইল টাওয়ার সম্প্রসারণসহ টেলিযোযোগখাতের অবকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়েও মতবিনিময় করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ইন্টারনেটসহ দেশের টেলিযোগাযোগখাতের টেকসই অবকাঠামো গড়ে তুলতে সরকার যুগান্তকারি কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন ক