তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২৭
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে
-ধর্মমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ মাঘ (১৮ জানুয়ারি) :
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে সকল গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ এশিয়ান টিভির একাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও দ্বাদশ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে রাজধানীর গুলশানে এশিয়ান টেলিভিশন ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, দেশ ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে দর্শকদের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে চলমান থাকে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ধর্মমন্ত্রী এশিয়ান টেলিভিশনের একাদশ বর্ষপূর্তিতে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলাকুশলী ও শুভানুধ্যায়ীদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এসময় এশিয়ান টেলিভিশনের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদসহ কলাকুশলী ও অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আবুবকর/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২২৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২৬
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৪ মাঘ (১৮ জানুয়ারি) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমানের সাথে আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর Abdoulaye seck (আব্দুলাই শেখ) এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে।
সভায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দেওয়ায় প্রতিনিধিদল সরকারের প্রশংসা করে। এসব শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক অব্যাহতভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে। কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পসমূহে ও ভাসানচরে কি ধরনের সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন সংক্রান্ত আরো নতুন প্রকল্প গ্রহণের বিষয়েও আলোচনা হয়।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও শরণার্থী সেলের প্রধান মোঃ হাসান সারওয়ার, অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ এবং শফিকুল হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
#
সেলিম/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২১৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২৫
কথা দিচ্ছি আমি পারবো
-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ মাঘ (১৮ জানুয়ারি):
আজ রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, সারাজীবন মানুষের সেবা করে গেছি। আমার দুই সন্তান দেশের বাইরে থাকে। এই মন্ত্রিত্ব থেকে আমার একটিই চাওয়া, আমি যেন দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পারি। প্রধানমন্ত্রীও সেটাই চান। এ জন্য আমি শুরু থেকেই ঢাকা সহ দেশের তৃণমূলের হাসপাতালগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে চাই। এরপর চিকিৎসা সেবাকে ঢেলে সাজাতে কাজ শুরু করে দেব। তবে, আমাকে কাজ শুরু করতে একটু সময় দিতে হবে। আমি গ্রামে-গঞ্জে চিকিৎসা সেবা দিয়ে এখানে উঠে আসা মানুষ। আমি কথা দিচ্ছি, সবাই আমাকে সহযোগিতা করলে আমি পারবো।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা প্রত্যেকেই আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে মন্ত্রী মহোদয়কে সহযোগিতা করতে চাই। মন্ত্রী মহোদয় উদার মনের পরিশ্রমী মানুষ; দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন রূপে সাজাতে আমরা একযোগে কাজ করব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান বলেন, ডা. সামন্ত লাল সেন কেবল একজন চিকিৎসক বা মন্ত্রী নন। তিনি একজন জীবন্ত আইকন আমাদের। তিনি যেভাবে অসহায়, দগ্ধ পোড়া রোগীদের কথা ভেবে মানবিক চিকিৎসা দেন, সেভাবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাবেন এবং সেবার মান উন্নত করতে আমাদেরকে সঠিক গাইডলাইন ও নির্দেশনা দিবেন এটিই আমরা প্রত্যাশা করছি।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউটের পরিচালক রেহেনা আওয়ালের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বিএসএমএমইউ এর ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউটের সাবেক পরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম সহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও হাসপাতালের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্সবৃন্দ।
#
মাইদুল/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২৪
উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে
-কৃষিমন্ত্রী
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ৪ মাঘ (১৮ জানুয়ারি) :
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদেরকে ভালো বীজ, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, যেভাবেই হোক ফসলের উৎপাদন আমাদেরকে বাড়াতে হবে। কোন অবস্থাতেই বীজ, সার প্রভৃতি কৃষি উপকরণের কোন রকম ঘাটতি হবে না, সংকট হবে না; উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি করে কৃষি উপকরণ দেওয়া হবে।
আজ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাত বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁর নির্বাচনি এলাকা শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পিছনে সিন্ডিকেট কাজ করে। কীভাবে এই সিন্ডিকেট ভাঙা যায়, তার কার্যকর পদ্ধতি আমরা বের করার চেষ্টা করছি। মজুতদারিদের রোধ করতে হবে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পুঁজি। এই আদর্শের কারণেই বঙ্গবন্ধু আমাকে ভালবাসতেন। স্বাধীনতার পর বিদেশে লন্ডনে গিয়ে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করি বলেই সেখানে যাইনি। দেশে থেকে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। এখন জনগণের ভালবাসাই আমার সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
পরে মন্ত্রী শ্রীমঙ্গলে ফুলছড়া চা বাগানের শীতার্ত ও অসহায় চা-শ্রমিকের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
#
কামরুল/শফি/সঞ্জীব/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২৩
সদরঘাট ফিটফাট আছে, তেমনি ফিটফাট থাকবে
--- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ মাঘ (১৮ জানুয়ারি) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) ‘সি’ ক্যাটেগরির কাউন্সিল নির্বাচিত হয়েছে। এতে বিশ্বে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। আমরা এ সম্পর্কিত একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স’ করব। কূটনৈতিক রিলেশনশিপ বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসির কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারেন- সামনে কী করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কেউ এরকম ভাবেননি। দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা বড় প্রাপ্তি। আরো ভালো থাকতে চাই। কীভাবে ভালো থাকব সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের কাছে গর্বের জায়গায় চলে গেছেন। মানুষের বিশ্বাস তিনি পারবেন। আপাতত তিনি না পারলে আর কেউ পারবেন না। সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে আমাকে পুনরায় দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিস্কার থাকতে চাই; তিনি যাতে বিব্রত না হন।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সাথে কথা বললে মূলচিত্র পাওয়া যায়। আমি সেখান থেকে জেনে বিভিন্ন সভায় অনেক কিছু উপস্থাপন করতে পারি। গতকালের অনাকাক্সিক্ষত ফেরি দুর্ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর মূল বিষয়টি জানতে পারব। আমরা যে যার চেয়ারে বসে আছি। পেশাদারিত্বটাকে খুব গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নৈতিকতার বিষয়ে খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। নৈতিকতার একটা ব্যাপার আছে। এক্ষেত্রে কিছু দুর্বলতা আছে। আমরা কথায় কথায় পশ্চিমা দেশের উদাহরণ দেই। আমাদের খুব কাছের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করতে পারি। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন। নৈতিকতার জায়গায় তিনি স্ট্রং ছিলেন। মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে তাঁর যে স্ট্রাগল, উঠানামা, জোয়ারভাটা- তিনি একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছেন। নীতি ও নৈতিকতা ঠিক থাকলে সবাইকে নিয়ে কিছু পাওয়া যায়। স্বাধীনতা-এটি জলন্ত উদাহরণ। আমাদের সব কিছু আছে। অনেকেই দূরে যেতে চায়- খেই হারিয়ে ফেলে। নৈতিকতা ও দুর্বলতার বিষয় আছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশ। এখানে এত নৌযান পরিবাহিত হয়। কী ধরনের জলযান তৈরি করব- সঠিক স্টাডি নেই। বড় ধরনের ব্যয়বহুল প্রকল্প নেই। এগুলোর ফিডব্যাক ভালো হয়নি। ছোট ছোট প্রকল্প নিয়ে আগানো যায়। সাতক্ষীরায় বসন্তপুর নদীবন্দর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। বিভিন্ন স্থান অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প নেওয়ার জন্য বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিটেইল স্টাডি করে বিভিন্ন ঘাটের প্রকল্প নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কীভাবে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কথা বলেছি। অনেক ক্ষেত্রে আমরা সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছি না।
উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগের উন্নয়নে সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া অঞ্চলের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। হাতিয়ার ব্যাপারে স্পেশাল অর্থের চেষ্টা করা হচ্ছে। খুলনা অঞ্চলের নদী নিয়ে কর্মশালা করেছি। বিআইডব্লিউটিএ খুলনা অঞ্চলের নদীগুলোর উন্নয়নে কাজ করছে। নোয়াপাড়া নদী বন্দরের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে; সেখানে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ঢাকার চারপাশের নদী তীর রক্ষা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ করা হচ্ছে। এর একটি পজিটিভ দিক হলো- নদী নিয়ে সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। নদীর পাশে মানুষকে নিতে পেরেছি। ঢাকা উদ্যান এলাকায় আগে কেউ যেত না; এখন লক্ষ লক্ষ লোক যাচ্ছে; এটি আমাদের প্রাপ্তি। দেশের ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। এজন্য বালু দরকার। বালুমহাল প্রয়োজন। এগুলো বন্ধ করা যাবে না। পরিকল্পিতভাবে যাতে সবকিছু হয় সে বিষয়ে কাজ করছি। ইটভাটা অটোমেশন হচ্ছে। ব্যবসায়িকভাবে সফল হলে তখন অন্যগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবেশের উন্নতি হবে। টঙ্গীতে রেল ব্রিজ এর বিষয়ে আলোচনা করেছি। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় জরুরি প্রয়োজনে সেটি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যখন সক্ষমতা হবে- তখন এ বিষয়ে দেখা যাবে। ঢাকার চারপাশের লোহাইটের ব্রিজগুলোর উচ্চতা বৃদ্ধি করা হবে। গোমতী সেতুর বিষয়ে কাজ করা হবে; যাতে সেটার নিচ দিয়ে বার্জ যেতে পারে।
ঢাকা চারপাশে বার্জ চালু করার বিষয়ে কাজ করছি। কেউ বার্জ তৈরির অনুমতি চাইলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার তথ্য দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কোন অসুবিধা নাই। নদী রক্ষায় জাতীয় নদীর রক্ষা কমিশন কাজ করছে। জেলা পর্যায়ে নদী রক্ষা সংক্রান্ত সবগুলো কমিটি হয়নি; সেগুলো হয়ে যাবে। উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করতে হবে। নদী রক্ষায় সমাজে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। নাগরিকরা এগিয়ে এসেছে। রংপুর অঞ্চলে তিস্তা ও ঘাঘর নদী নিয়ে অনেক নাগরিক ও সংগঠন কাজ করছে। ঢাকা সদরঘাটে আমাদের ব্যস্ততার কারণে অনেকে দোকানপাট বসিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। আমরা ব্যবস্থা নিব। সদরঘাট ফিটফাট আছে, তেমনি ফিটফাট থাকবে।
শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ এর সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দিন জেবেল, সাধারণ সম্পাদক আফরিন জাহান, সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, রাশেদ আলী, ফারুক খান, রাশিম মোল্লা, শামছুল ইসলাম, তাওহীদুল ইসলাম, মাহমুদ আকাশ, তরিকুল ইসলাম সুমন, গাজী শাহনেওয়াজ, আকতার হোসেন, রতন বালো, মেসবাহ উল্লাহ শিমুল, ইসমাইল হোসেন, মাসুদ রানা, শফিকুল ইসলাম সবুজ, হাবিব রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২২
গবেষণার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ না করেই রিপোর্ট দিয়েছে টিআইবি
--- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ মাঘ (১৮ জানুয়ারি) :
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একটি রিপোর্ট পেশ করেছে, তারা বলতে চাচ্ছে যে এটি গবেষণা গত ৭ জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনে গুণগত মান নিয়ে তারা গবেষণা করেছে এটি তাদের দাবি। নির্বাচন হওয়ার ১০ দিনের মাথায় তারা এই গবেষণাটি করেছে এবং বেশকিছু উপসংহারে তারা পৌঁছেছে। এতো অল্প সময়ে এতো বড় একটি কাজ করা কি করে সম্ভব, এটি আমার বোধগম্য নয়। টিআইবি’র এই গবেষণার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ না করেই রিপোর্ট দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩০০টি আসনের মধ্যে দৈব্যচয়ণের মাধ্যমে তারা ৫০টি আসন সিলেক্ট করেছে। তথ্য প্রদানকারী মূলত তাদেরকে তথ্য না দিয়ে তাদের মতামত দিয়েছে। যেটা মতামত সেটাকে তারা তথ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে। এই ৫০টি আসনে কতগুলো কেন্দ্র বা কতগুলো পোলিংবুথ তারা তাদের গবেষণায় নিয়েছে এটা উল্লেখ করেনি, তার কোন পদ্ধতি অনুসরণ করেছে সেটা উল্লেখ নাই। তিনি জানান, গোটা বাংলাদেশে ৪২ হাজার ৩শ’ ৫০টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৬১ হাজার ৫শ’ ৬৫টি পোলিংবুথ ছিলো। তারা ক্যালকুলেশনে পৌঁছে গেছে যে ৫১ শতাংশ আসনে পোলিংবুথে প্রকাশ্যে সীলমারা হয়েছে এবং জাল ভোট পড়েছে এটা একটা অসম্ভব বিষয়।
টিআইবিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকমানের কোনো জার্নালে তাদের এই গবেষণা প্রকাশ করবে না। কারণ এটি গবেষণার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের কোনো পদ্ধতি অনুসরণ করেনি। এটা গোঁজামিল দিয়ে একটি রিপোর্ট দাঁড় করানো হয়েছে খুবই দুঃখজনক হলেও সত্যি এই কাজটি করা হয়েছে এবং যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের নির্বাচন ও পলিটিক্যাল সাইন্স এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ড্রোনাল ট্রাম্পের নির্বাচনের পরে প্রতিষ্ঠানের ওপর যেভাবে আস্থা চলে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের সেগুলো খুব ভয়ানক। আমরা চেষ্টা করছি ইলেকশন কমিশনকে স্বচ্ছ করার। আপনারা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে ৮২টি নতুন রিফর্ম করা হয়েছে, ইলেকশন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য। ইলেকশন কমিশন গঠন আইন করা হয়েছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদি ইলেকশন কমিশনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। মানুষের আস্থা আনার চেষ্টা করছি। অথচ সত্যি কথা না বলে এ ধরণের গোঁজামিল হাজির করে অসত্য তথ্যের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করলে প্রতিষ্ঠান দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাবে বলেন প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।
বাংলাদেশের যে সুশীল সমাজ আছে তারা সততা, নিষ্ঠার সাথে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে ফলাফল জনগণের সামনে উপস্থাপন করবেন। গুণগত, কোয়ালিটিটিভ বা সংখ্যাগত বা কোয়ানটিটিভ দুটি মিশ্র পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। কিন্তু এখানে কনফিডেন্ট ইন্টারফেল কোথায়।
চলমান পাতা - ২
--- ২ ---
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআইবি তিনজন করে বেছে যে ১৪৯জন প্রার্থীর তথ্য সংগ্রহ করেছে সেই বিষয়টি কীভাবে নির্ধারণ করলেন। সেটার কোনো উল্লেখ নাই। কোনো সাইন্স নাই এই গবেষণায়। ইলেকশন কমিশন ৭৬২জনকে শোকজ করেছে এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যাদেরকে ৩ বার করে শোকজ করা হয়েছে। কেন শোকজ করেছে কিছু না কিছু অভিযোগ এসেছে, তাই করেছে। মামলাদায়ের করা হয়েছে ৬৩টি। কেন মামলাদায়ের করা হয়েছে। নির্বাচনের বিষয়ে কেউ কেউ হয়তো সঠিকভাবে মেনে চলেনি, সে জন্য করা হয়েছে।
১৪০টি কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরণের অনিয়মের অভিযোগ আসছে। ২১টি কেন্দ্রে পোলিং সাসপেন্ড করেছে ইলেকশন কমিশন, ৯টি কনস্টিটিউশনে ৪২ জনকে এরেস্ট করা হয়েছে। যেগুলোতে অনিয়ম হয়েছে সেগুলোতে একশন হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থীতাই বাতিল হয়েছে, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন । নির্বাচন কমিশনের এই যে শক্ত অবস্থান এটি কোথাও বলা হয়নি।
আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপিরা নমিনেশন নিয়ে অনেকে পরাজিত হয়েছে। শক্তিশালী নেতা যারা তারা দুর্বল স্থানীয় নেতার কাছে পরাজিত হয়েছে। আমাদের শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা পুলিশ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের যাদের অনেক আত্মীয়স্বজন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন নৌকার প্রার্থী হয়েছেন যেটি আইনানুগভাবে বৈধ কিন্তু পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যদি স্ট্রিক্ট্ রোল না নিতো নির্বাচন যদি প্রোপারলি ফি এণ্ড ফেয়ার না হতো তাহলে এ ঘটনাগুলো ঘটার সম্ভাবনা ছিলো কি না-এটা টিআইবির কাছে আমার প্রশ্ন।
টিআইবি বলছে যে, নির্বাচন কমিশনকে আরপিও সংশোধন করে দুর্বল করা হয়েছে। টিআইবি বলছে এই সংশোধনটি করা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নির্বাচন কমিশনকে দুর্বল করার জন্য দুটোই অসত্য কথা। প্রথম কথা এটি করা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নয়, এটি করা হয়েছে যারা ভোটার তাদের ভোটের রাইটস যেটা কনস্টিটিউশনে দেয় সেটা রাইটস্ করার জন্য। এই সংশোধনের মাধ্যমে ইলেকশন কমিশনের ক্ষমতা এক বিন্দুও কমেনি।
তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ৩টার সময় ২৭ শতাংশ এবং ৪টার সময় সেটা ৪০ শতাংশ কি করে হলো। গবেষণা করার উদ্দেশ্যে হলো প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া না। ৩টার সময় যে টার্ন আউটের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে সেটি কিন্তু ৩টার সময়ের রিপোর্ট নয়। প্রিজাইডিং অফিসাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের যে ভোটের তথ্য পাচ্ছে সেখান থেকে ঢাকা ইলেকশন কমিশনে পাঠাচ্ছে। এই যে তথ্য পাওয়া এবং এটাকে ক্যালকুলেট করা, যোগ করে ঢাকায় পাঠানো এবং পাঠিয়ে তারা রিসিভ করার পরে আবার যোগ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনের অফিসে পাঠানো এর মাঝখানে একটা গ্যাপ আছে। পুরো ঘটনা ঘটার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হাতে আসা পর্যন্ত এক থেকে দেড় ঘন্টার একটা গ্যাপ আছে। অর্থাৎ দেড় থেকে দু’ঘণ্টার আগের।
এটা সিইসি প্রক্সিমেট হিসাব দিয়েছে। তার হাতে যতো ডাটা আসছে। ৪টার সময় কিন্তু বলতে পারেন নাই ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ, সেটা আরো পরে দিয়েছে। শীতের সকালে ভোট পড়ার হার কম থাকে। যতো সূর্য উঠেছে দিন বেড়েছে ততো ভোটের হার বেড়েছে।
চলমান পাতা - ৩
--- ৩ ---
আমি মনে করি গণতন্ত্রকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে টিআইবি বা এদের মতো সংস্থাগুলোর অনেক অবদান আছে। কিভাবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য তার সারাজীবনকে রাজনীতিতে উৎসর্গ করেছেন। আজকে যে গণতান্ত্রিক পরিবেশের মধ্যে আছি এটা বঙ্গবন্ধুকন্যার অবদান। নির্বাচন কমিশনকে যেভাবে শক্তিশালী করা হয়েছে এটা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা একনলেজ করেছে।
বিএনপি এবং জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রমাণিত উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামাত যে ভায়েলেন্সটা করে যে কারণে এরা আবার সহিংসতা করার জন্য আরো উৎসাহিত হয়। মানুষকে পুড়িয়ে মারলেন, পরে সমাজে একটা কনফিসেশন তৈরি করলেন এবং কেউ তাদেরকে সরাসরি দায়ী করছে না। তখন তারা আবার উৎসাহী হয়। মানুষ তো আমাদের দায়ী করছে না। এই দায়িত্ব তো টিআইবি বা তাদের মতো সংস্থাগুলো পালন করে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশটাকে নিয়ে এসেছেন। এবং কতবড় ঝুঁকি নিয়েছেন, আমরা তো ওয়েলকাম করেছিলাম বিএনপিকে। বিএনপি আসলো না কেন। আমরা বিএনপি অনেক শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও ফিরে আসতে চেয়েছিলো। বিএনপি আসে নাই বা বিএনপিকে আসতে দেওয়া হয় নাই। সেই শীর্ষ নেতা যে পলাতক আসামি যে নির্বাচন করতে বিএনপিকে আসতে দেয় নাই। তার ফলে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের স্বার্থে ঝুঁকি নিয়েছে দলের ভিতরে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপেন করে দিয়েছে। সেটিকে প্রশংসা না করে সেটিকে বিভিন্নভাবে বিকৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু আমরা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করি, আমরা সহনশীলতা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ তো এমন একটি পর্যায়ে গেছে যে শুধুমাত্র সমালোচনা যে তা নয় অসত্য মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে যে বদনাম করা হয় সেগুলো আমরা অবজার্ভ করি সহ্য করি। আমাদের সেই সহনশীলতার জায়গা আছে। এগুলো সংস্থাকে আপনারাও চ্যালেঞ্জ করেন, জবাবদিহিতার আওতায় আনেন, তাদেরকে প্রশ্ন করেন। যারা এ ধরণের কথা বলছে তারা অনেক ক্ষেত্রে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের বক্তব্যকেও চ্যালেঞ্জ করা উচিত। সেটা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের স্বার্থেই উপকার হবে।
#
সায়েম/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২১
নির্বাচন ও গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির মুখে অস্ত্র তুলে দিতেই টিআইবি’র এমন প্রতিবেদন
--- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ মাঘ (১৮ জানুয়ারি) :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর বক্তব্যের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বিজ্ঞজনেরা বলছেন- বিএনপিসহ যারা নির্বাচন বর্জন করেছে, প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনও প্রয়াস চালাচ্ছে তাদের মুখে অস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্যই টিআইবি এমন প্রতিবেদন দিয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী সাহেব প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করে যে কথাগুলো বলেন সেগুলোকে একটু পরিশীলিতভাবে টিআইবি পরিবেশন করেছে, বিএনপি আর টিআইবি’র ভাষা মিলে গেছে সে কারণে টিআইবি’র এই রিপোর্ট আসলে কারও পক্ষের হয়ে দেওয়া কি না সেই প্রশ্ন রেখেছে অনেকে।’
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, টিআইবি’র একটি রিপোর্ট গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। টিআইবি সবসময় গবেষণালব্ধ রিপোর্ট বলে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে টিআইবি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো গবেষণা না করে কিছু 'শ্যালো' বিষয়, কিছু পত্রিকার রিপোর্ট এবং তড়িঘড়ি করে কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রেস ব্রিফিং করে। গতকালেরটাও আমার কাছে সে রকম মনে হয়েছে।
টিআইবি’র রিপোর্টকে একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট উল্লেখ করে নির্বাচন নয়ে এতে তোলা অভিযোগ খন্ডন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, প্রতিটি আসনেই অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন এবার যে বলিষ্ঠভাবে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, আইন-কানুন প্রয়োগ করেছে, তা অতীতে এতো কঠোরভাবে হয়েছে কি না তা আমার অন্তত মনে পড়ে না।
উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার পাঁচজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এমন কি নির্বাচনের দিন বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম ১৬ আসনে আমাদের দলের নৌকা মার্কার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। আমাদের দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমুকে নির্বাচন কমিশনে তলব করা হয়েছে, তিনি সেখানে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, নির্বাচনের পরের দিন বর্তমান ধর্মমন্ত্রীকে কমিশন সমন দিয়েছিল, তিনি সেখানে গিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন, এ কারণে যে তিনি সিলটি গোপন কক্ষে না দিয়ে বাইরে দিয়েছিলেন। বিদ্যুতের খুঁটিতে বা দেওয়ালে পোস্টার লাগানোর কারণেও কমিশন প্রার্থীদের নোটিশ করেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও নোটিশ দিয়েছে।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন যে কি রকম কঠোরভাবে, সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে, সেটির বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এইসব নজীর। কিন্তু এগুলোর কোনো প্রশংসা টিআইবি'র রিপোর্টে নাই। অথচ উনারা না কি গবেষণা করেছেন। আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা পর্যবেক্ষক, ওআইসি, সার্ক, কমনওয়েলথভুক্ত দেশ থেকে যারা এসেছিল সবাই যখন নির্বাচনের প্রশংসা করেছে এবং নির্বাচনের পর সবাই প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বিভিন্ন দেশ নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, সেটিকে ম্লান করার জন্যই টিআইবি’র এই প্রতিবেদন।’
টিআইবি’র সমালোচনা করলেও এ ধরনের সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন হাছান মাহ্মুদ। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো যারা সরকারের ভুলত্রুটি উপস্থাপন করে, সরকারের সমালোচনা করে আমরা সেগুলোকে সমাদৃত করার সংস্কৃতিটাই লালন করি। কিন্তু যখন রিপোর্ট কারও পক্ষ হয়ে যায় বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় তখন সেটি রাষ্ট্র, সমাজ ও সরকার কারো উপকারে আসে না; সেটি বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর মুখপাত্র হয়ে দাঁড়ায়।
টিআইবি যেন বিশেষ কোনো গোষ্ঠী বা নির্বাচনবিরোধী কিংবা গণতন্ত্রবিরোধী কোনো শক্তির মুখপাত্র না হয় তেমনটা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
টিআইবিকে সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নোটিশ করা হবে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশা করব, টিআইবি নিজেরা নিজেদের সংগঠনের যে মর্যাদা রাখবে। তাদের সম্পর্কে যে ধারণা মানুষ আগে পোষণ করত সেখান থেকে সরে এসে তারা নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির কিংবা গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির সহায়ক শক্তি হিসেবে যেন কাজ না করে সেটি আমাদের কামনা।
মতবিনিময়কালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর হবে। সফরসূচি নিয়ে কাজ চলছে।
উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার একটি ফ্লা