Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ৮ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ৪৪৭৭

 

আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকা আসরের শুভ উদ্বোধন

নতুন সক্ষমতার স্বীকৃতি হলো আইসিপিসি

-- পররাষ্ট্র মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর) :     

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের জন্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আজ ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) হলে অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং আইসিপিসি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. উইলিয়াম বি. পাউচার।

অন্যান্যের মধ্যে আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ কনটেস্ট এর পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  বলেন, ‘এই মর্যাদাপূর্ণ আইসিপিসি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা সবার জন্য সহজ, সুলভ এবং ন্যায়সঙ্গত সমাধানসহ একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বিশ্ব গঠনে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতীক। তিনি বলেন যে, প্রকৃতপক্ষে একটি নতুন বাংলাদেশ এবং এর অনেক নতুন সক্ষমতার স্বীকৃতি হলো এই প্রতিযোগিতা যেখানে ডিজিটালাইজেশনে রাষ্ট্রীয় নীতি এবং অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপে নিহিত আছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নকে সর্বদা উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।’

প্রোগ্রামিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের বিশ্বকে উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। তিনি বলেন, প্রোগ্রামিং হবে ভবিষ্যতের ভাষা। প্রোগ্রামিং সংস্কৃতি, ভাষা এবং সমাজের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে সহায়তা করতে পারে। তিনি আরো বলেন, এটি বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্পষ্ট। আমি বিশ্বাস করি যে প্রোগ্রামাররা আগামীদিনের সমস্যা সমাধানকারী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হলো দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। আমরা আইসিটি ব্যবহার করে সকল খাতে উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রগতি লাভ করেছি। প্রতিমন্ত্রী সৃজনশীলতা, সহযোগিতা এবং সহ-নির্মাণের গুরুত্বও ব্যাখ্যা করেন।

আগামী ১০ নভেম্বর ২০২২-এ বসুন্ধরার আইসিসিবিতে ৪৫তম আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ অনুষ্ঠিত হবে৷ সারা বিশ্ব থেকে ১৩৭টি দল এই বছরের আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রতিযোগিতাটি উদযাপন করতে ৭০টি দেশ থেকে এক হাজারের বেশি অতিথি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

#

সহিদুল/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ৪৪৭৬

 

শেখ হাসিনা আছেন বলেই সংস্কৃতি বেঁচে আছে

                           -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

মৌলভীবাজার, ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর) :     

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাঙালি সংস্কৃতি বেঁচে আছে। তিনি শুধু মূলধারার সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখেননি, দেশের ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় ও বর্ণিল সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছেন। এরই অংশ হিসেবে আজ মণিপুরী জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণের নিমিত্ত অসাধারণ শৈল্পিক স্থাপত্য নকশায় নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এ নান্দনিক স্থাপনা নির্মিত হয়েছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি প্রশিক্ষণ সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন, গেস্ট হাউস ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য অসীম কুমার উকিল এমপি।

 

প্রধান অতিথি বলেন, অসম্ভবকে সম্ভব করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। কল্পনাও হার মানে যেখানে সেখানে তিনি সফল হন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

 

উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে, ভূমি পতিত রাখা যাবে না। তিনি বলেন, মণিপুরী সম্প্রদায়সহ এ অঞ্চলের সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসারে একটি দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। এর পেছনে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও স্থপতিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের পুনর্গঠনে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর বলেন, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য একটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। মণিপুরী নৃত্য, মণিপুরী সংস্কৃতি বাংলাদেশের সেই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের একটি অংশ। বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি সংরক্ষণে ২০১০ সালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন প্রণয়ন করে। মণিপুরী ললিতকলা একাডেমিই প্রথম যার মধ্য দিয়ে একটি বিশেষ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ‘মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি প্রশিক্ষণ সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন, গেস্ট হাউস ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ শামীম খান, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান।

 

পরে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

#

ফয়সল/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ৪৪৭৫

 

বহুবিষয়ে অগ্রগতি নেই, তবে বিশ্বনেতৃবৃন্দের যোগদান আশাপ্রদ : শারম আল শাইখে তথ্যমন্ত্রী

 

শারম আল শাইখ (মিশর)  ৮ নভেম্বর :     

 

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে বিশ্বরক্ষায় উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি, আন্তঃদেশীয় প্রাযুক্তিক সহযোগিতাসহ নানা ক্ষেত্রে তেমন অগ্রগতি না হওয়ার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি এবার কপ-২৭ সম্মেলনে বহু বিশ্বনেতৃবৃন্দের যোগদানকে আশাব্যঞ্জক বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ।

 

মিশরের শান্তির নগর বলে খ্যাত শারম আল শাইখ শহরে ৬ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের ২৭তম আসরে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানরত ড. হাছান মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, এ বছরের সম্মেলনে পৃথিবীর বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানরা অংশগ্রহণ করছেন, যেটি  প্যারিসে, কোপেনহেগেনে হয়েছিল, কিন্তু গত কয়েকটি কপে হয়নি। এটি আশার কথা। কারণ রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানরা যখন অংশ নেন তখন গ্লোবাল কমিউনিটি বা বিশ্বসমাজ, পরিবেশকর্মী এবং আমাদের মতো হার্ড-ভিক্টিম বা সর্বাধিক ভুক্তভোগীদের কথা তাদের কানে যায়। ফলে গ্লোবাল রেসপন্স ডেলিভার করার বৈশ্বিক দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে একটা নতুন মোমেন্টাম বা গতি সঞ্চারিত হয়। এটি ভালো দিক।

 

একইসাথে পরিবেশবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. হাছান বলেন, প্রতিটি কপ সম্মেলন থেকে অনেক আশা নিয়ে আমরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাই। যে আশার বাণীগুলো শোনানো হয়, সে অনুযায়ী পরবর্তী বছরে যে কাজগুলো হওয়ার কথা, সেগুলো যথাযথভাবে হয় না। এর সাথে নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হয়েছে, যেটি হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এখন ফোকাসটা অন্যদিকে চলে গেছে, অর্থনীতি একটা টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।

 

‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি- এ বিষয়গুলো বহু আগে থেকে আলোচিত হচ্ছে কিন্তু বছরে একশ’ কোটি ডলার যা ক্লাইমেট ফান্ড হিসেবে দেওয়ার কথা ছিল, তা আশাই থেকে গেছে, আরো নানা ইস্যুতেও তেমন অগ্রগতি হয়নি’, উল্লেখ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।

 

হাছান মাহমুদ জানান, ‘আমাদের অন্যতম দাবি ছিল টেকনোলজি ট্রান্সফার। অর্থাৎ যেসব দেশে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নেই, সে সব দেশে প্রযুক্তি সরবরাহ করা। এ বিষয়েও তেমন অগ্রগতি নেই।’

 

ঢাকা থেকে সোমবার ৭ নভেম্বর শারম আল শাইখে এসে পৌঁছান মন্ত্রী। মূল সম্মেলনের পাশাপাশি ১০ ও ১১ নভেম্বর সেখানে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে যথাক্রমে খাদ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থায় জলবায়ু সহনীয়তা’ ও ওয়াটার এইড সংস্থা আয়োজিত ‘দেশে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ওপর দুর্যোগজনিত ক্ষতি’ সেমিনার দু’টিতে যোগ দেবেন ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

উল্লেখ্য, মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি ৬ নভেম্বর উদ্বোধনী সাধারণ অধিবেশনে কপ-২৭ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২১ এ ১৯৬টি পার্টি স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় করণীয়গুলো কার্যকর করাসহ বিশ্বকে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে অন্তত ১২০টি দেশের শীর্ষ নেতারা এ বছর শারম আল শাইখে মিলিত হচ্ছেন। 

 

#

 

আকরাম/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ৪৪৭৪

 

৫জির মহাসড়ক দিয়েই ৫ম শিল্প বিপ্লব করব

                        -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর) :     

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ৫ম শিল্প বিপ্লবের সংযুক্তির মহাসড়কের  নাম ফাইভ-জি প্রযুক্তি। অন্যদিকে ডিজিটাল প্রযুক্তি হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায়  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথ বেয়ে আমরা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশসহ ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক গড়ে তুলছি। এই মহাসড়ক দিয়েই আমরা পঞ্চম শিল্প বিপ্লব করব।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে টেলিযোগাযোগ বিট সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি ও মোবাইল অপারেটর রবি'র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফাইভ-জি প্রযুক্তি : সম্ভাবনা ও করণীয়’  বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিসিএল এমডি ড. রফিকুল মতিন এবং টিআরএনবি  সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন প্রমূখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইনস্টিটিউট অভ্‌ বিজনেস স্টাডিজ)  ড. খালেদ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে টেলিটক, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, হুয়াওয়ে, ফাইভার এট হোম, আইএসপিএবি. মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ ফাইভজি প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ ফাইভ-জি প্রযুক্তি বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন।

মন্ত্রী ফাইভ-জি নিয়ে বাংলাদেশ এগুচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, আমরা ২০১৮ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশ ফাইভ জি যুগে প্রবেশ করেছে। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফাইভ-জি ব্যবহারকারী তৈরি করা। মন্ত্রী ফাইভ-জি হোমনেটওয়ার্ক তৈরি, শিল্প বাণিজ্যে ফাইভ জি প্রয়োগ এবং কৃষি ও মাছ চাষে এর প্রয়োগে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আইএসপির জন্য একটিভ শেয়ারিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন. আমরা মোবাইল অপারেটরদের জন্য টাওয়ার শেয়ারিং চালু করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আমরা যা করছি তার গতি বাড়াতে হবে। সবাই বলছে ২০৩০ সালে ৬জিতে যাব। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব আমরা অতিক্রম করেছি এখন আমাদের ৫ম শিল্প বিল্পবের প্রস্তুতি নিতে হবে।

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত গ্রাহক সেবার মান উন্নত করতে মোবাইল অপারেটরসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গ্রাহক গুণগত সেবার মান পাওয়ার অধিকার রাখে। গ্রাহক সেবা যদি উন্নত করতে না পারেন তাহলে গ্রাহক পাওয়া ও ধরে রাখা কঠিন হবে। ৪জি প্রযুক্তি গ্রাহক কত শতাংশ ব্যবহার করছে তা দেখতে হবে। সাধারণ মানুষের জন্য ৪জি সেবা প্রকৃত সেবা। ১ জানুয়ারি থেকে ৩জি সেট আমদানি ও দেশে তৈরি করা যাবে না।

তিনি বলেন, ৫জির জন্য পরিবেশটা তৈরি করেছি, গত মার্চে যে তরঙ্গ নিলাম করেছি তার শুধু দাম কমাইনি তা ৪জি ও ৫জিতে ব্যবহার করতে পারবে। ৫জি নিয়ে ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। ৫জি প্রয়োগ করার বিষয়টিতে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে। সামনের বছর ৫জি তরঙ্গ নিলাম করতে পারি. এ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

            বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, সবাই ৫জির জন্য মানষিক প্রস্তুতি নিয়েছে এখন ইউস কেইস নিয়ে সার্ভে দরকার। কোথায় কবে ৫জি শুরু করা যায় তার জন্য প্লান করতে হবে। বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ রফিকুল মতিন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে ৫জিতে কানেক্ট করছি। আমরা চেষ্টা করছি ৫জি যখন আসবে তার সংযোগে যেন কাজ করতে পারি। সরকারের সকল কানেকটিভিট করে ফেলেছি, সরকারি হাসপাতালসহ অন্যান্য অফিসগুলোকেও কানেক্ট করা হয়েছে। সব অপারেটরদের সাথে আমরা একসাথে কাজ করছি এবং অবকাঠামো শেয়ারিং করা হলে আমরা এগিয়ে যাব।

#

শেফায়েত/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ৪৪৭৩

 

খাদ‍্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে

-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

বিরল (দিনাজপুর), ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর) :     

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে খাদ‍্য নিরাপত্তার যে ঝুঁকির কথা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কথাবার্তা। দেশের মধ‍্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের দেশে যে পরিমাণ রিসোর্স আছে; সেটি আমরা পুরোপরি ব‍্যবহার করতে পারি নাই। যদি পুরোপরি ব‍্যবহার করতে পারি তাহলে খাদ‍্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নয়; খাদ‍্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। বর্তমান সরকার সে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

 

আজ দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনএটিপ ফেজ-২ প্রকল্পের ম্যাচিং গ্রান্ডের মাধ্যমে সিআইজি সদস্যদের মাঝে বকনা গরু ও পিকআপ ভ্যান বিতরণ এবং এলডিডিপি প্রকল্পের মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওসার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

 

এ সময় অন‍্যান্যের মধ‍্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল হক, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার আহমেদ সাগর এবং সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিপ্রধান বাংলাদেশকে এবং কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে আরো বেশি গতিশীল করার জন‍্য কৃষি গবেষক ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার লক্ষ‍্যে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন। কৃষিবিদরা শুধু বাংলাদেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাননি; তাদের গবেষণার ফলে আমরা বারোমাস সব ধরনের তরিতরকারি ও ফলমূল পাচ্ছি। ধানের উৎপাদন বিঘা প্রতি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যার পর গবেষণা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণার জন‍্য অর্থায়ন করেছেন। আজকে তার ফল পাচ্ছি। বর্তমান সরকার কৃষি গবেষণাকে উৎসাহ দিচ্ছে। সরকার যোগাযোগ অবকাঠামোসহ সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করছে। বিরলে যুব কমপ্লেক্স এবং স্টেডিয়াম নির্মাণ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নীরবে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন।

 

পরে প্রতিমন্ত্রী বিরলে দুর্গাপুর কালিপূজা পরিদর্শন করেন।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/ সেলিম/২০২২/২০১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ৪৪৭২

 

সাবেক পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে ভূমিমন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর) :     

 

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সাবেক পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী, চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, চিটাগাং চেম্বার অভ্‌ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

 

মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

 

#

 

নাহিয়ান/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আরাফাত/সেলিম/২০২২/১৮৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ৪৪৭১

 

বান্দরবানে মহাপিণ্ড দান অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা

 

বান্দরবান, ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর) :     

 

            বান্দরবান জেলা শহরে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপিত মহাপিণ্ড দান অনুষ্ঠানের প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মহাপিণ্ড দান অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির সুখ-শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

 

আজ বান্দরবান জেলা শহরের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তিন শতাধিক ভিক্ষু র‌্যালিতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ড দান করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী।

 

পিণ্ডদান অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নগদ টাকা, চাল, ফলমূল, মিষ্টি, মোমবাতি, আগরবাতি ইত্যাদি দান করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান পালন শেষে মানুষের আগামী দিনের সুখ-শান্তি প্রত্যাশা করে মহাপিণ্ড দান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।

 

মহাপিণ্ড দান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সৌরভ দাস শেখর, বান্দরবান জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মারমা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারি অমল কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

রেজুয়ান/পাশা/রাহাত/রফিকুল/আরাফাত/সেলিম/২০২২/১৮৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ৪৪৭০ 

 

দুস্থ মহিলা ভাতা ও পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমে শতভাগ নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

                                                              -- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

বরিশাল, ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর) :     

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা দুস্থ মহিলা ভাতা এবং পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমে শতভাগ নারীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমসমূহে নারী অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে বিভিন্ন পর্যায়ের নারী সংগঠকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন কঠোরভাবে দমনে সরকার কার্যকর কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচি, দরিদ্র নারীদের জন্য মাতৃকালীন ভাতা ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ দশটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। কোভিডকালীন ‘নির্যাতিত দুস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিল’ হতে বিপুল সংখ্যক দুস্থ নারী ও শিশুদের অনুদান দেয়া হয়েছে।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে এলাকার সর্বস্তরের নারী ও শিশুদের কল্যাণে অধিকতর কল্যাণধর্মী কার্যক্রম গ্রহণের পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

 

#

 

আহসান/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আরাফাত/সেলিম/২০২২/১৭৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর :৪৪৬৯

 

 

সরকারি কর্মচারীদের অনিয়ম দুর্নীতি গ্রহণযোগ্য নয়

                                 --তথ্য ও সম্প্রচার সচিব

ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর): 

 

সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, গতিশীলতা, দায়বদ্ধতা এবং সমন্বয়ের পাশাপাশি নারী সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

 

আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এসব কথা বলেন। সভায় সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানরা নিজ নিজ সংস্থার চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

 

সচিব হুমায়ুন কবীর সভায় দপ্তরগুলোর কার্যক্রমের ওপর উপস্থাপনা দেখেন এবং কর্মক্ষেত্রে জনবলের স্বল্পতা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কার্যক্রমের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দেশ ও মানুষের কল্যাণে তথ্যখাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের আন্তরিকতার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন জনগণকে উপকৃত করবে, দেশকে এগিয়ে নেবে।

মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, দপ্তরগুলোর প্রধান ও প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

#

আকরাম/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/আরাফাত/লিখন/২০২২/১৭০৮ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৪৬৮

জীবনের প্রথম ভোট নৌকায় দেয়ার আহ্বান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

মৌলভীবাজার, ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর) :  

তরুণ প্রজন্ম ও নবীন ভোটারদেরকে জীবনের প্রথম ভোট নৌকায় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

প্রতিমন্ত্রী আজ মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন মৌলভীবাজার আয়োজিত দুই দিনব্যাপী (৮-৯ নভেম্বর) ‘মৌলভীবাজার জেলা সাহিত্যমেলা ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌকা হচ্ছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির শিখরে রয়েছে। এ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আগামী নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মের নৌকায় ভোট দেয়া জরুরি।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক জেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রথম বারের মতো দেশের ৬৪ জেলায় সাহিত্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী বছর উপজেলা পর্যায়ে সাহিত্যমেলা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল উপজেলায় সাহিত্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, মৌলভীবাজার সাহিত্য-সংস্কৃতি সমৃদ্ধ একটি জেলা। এ জেলায় দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিকের পাশাপাশি অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন যাদের অনেকেই জাতির পিতার সান্নিধ্য লাভ করেছেন। কে এম খালিদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগের জন্ম মৌলভীবাজার জেলায় যিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তখন ৮৭৭ জন ছাত্রের বিপরীতে তিনি ছিলেন একমাত্র ছাত্রী। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা শতকরা ৪০ ভাগে উন্নীত হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার আরেকজন বিখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী যিনি রম্য সাহিত্য ও ভ্রমণ কাহিনী লিখে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ ধরনের বহু লেখক-সাহিত্যিকের জন্ম হয়েছে এ জেলার পবিত্র মাটিতে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে ‘জেলা সাহিত্য মেলা মৌলভীবাজার ২০২২’ এর উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অসীম কুমার উকিল। আরো আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক নূরুন্নাহার খানম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান ও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান।

#

 

ফয়সল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/আরাফাত/রেজাউল/২০২২/১৭১৪ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৪৬৭

একনেক সভায় ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকার ৭টি প্রকল্প অনুমোদন

ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর) :  

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩২২ কোটি ২১ লাখ ট

2022-11-08-16-46-0f374f2bcb655fafc0504aeef1deecb9.docx