তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৭০
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৩৪১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৭২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন-সহ এ পর্যন্ত এ রোগে ৬০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১শত ৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪টি জেলায় ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৩৪ কোটি ৭৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা জিআর (ক্যাশ) নগদ এবং ৭৫ হাজার ৪ শত ৬৭ মেট্রিক টন জিআর চাল জেলা প্রশাসকের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
#
তাসমীন/মামুন/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৯৪৫ ঘন্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ১৩৬৯
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও অব্যাহত রাখতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল):
করোনা ভাইরাস জনিত পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ ও বিপণনে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের স্বার্থে সার, সেচ, ইক্ষুচাষ-সহ কৃষিখাতে ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে বোরো ধান কাটার শ্রমিকের সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাওর অঞ্চলের ধান কাটার জন্য জরুরিভিত্তিতে নতুন ১৮০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১৩৭টি রিপার সরবরাহের বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। হাওরে গমনেচ্ছুক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক প্রভৃতি উপকরণ প্রদান, নিরাপদ যাতায়াতের জন্য আলাদা গাড়ি, নির্বিঘ্ন গমনাগমন, ধান কাটা স্থলে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রাখার ব্যবস্থা ইত্যাদি কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষি শ্রমিকগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাওরে যাওয়া শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, হাওরে ধান কাটায় কোনো সমস্যা হবে না।
কৃষিমন্ত্রী আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে করণীয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিয়ে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ আরিফুর রহমান অপু, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল এবং বিএডিসির চেয়ারম্যান মোঃ সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কৃষিখাতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদান করেছেন। এর সুদ ৪% হলেও কৃষিখাতে ৯০০০ কোটি টাকার ভর্তুকিসহ অন্যান্য প্রণোদনা বিবেচনায় নিলে এটি অত্যন্ত ভালো। এ প্রণোদনার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করে কৃষির সকল সেক্টরে (মৎস্য ও প্রাণি খাতসহ) সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হবে।
এছাড়া, কৃষিযান্ত্রিকীকরণে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটি টাকার মাধ্যমে প্রায় ৮০০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ৪০০টি রিপার-সহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ১০০ কোটি টাকা দিয়ে সমপরিমাণ কৃষি যন্ত্রপাতি অচিরেই কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
#
কামরুল/মামুন/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/২০০০ ঘন্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ১৩৬৮
যে কোনো পরিস্থিতিতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেবা অব্যাহত রাখা হবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেবা অব্যাহত রাখা হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারিতেও সারা দেশে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি নির্বিঘ্নে সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতে আরো পেশাদারিত্বের সাথে একাজ সম্পন্ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় তাঁর বারিধারাস্থ বাসভবন থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রমজান ও গ্রীষ্মকালে কোথাও যেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কোনো ঘাটতি না হয়। ডিজেল, এইচএফও, গ্যাস বা এলপিজি ব্যবহার সমন্বিতভাবে করতে হবে। প্রয়োজনে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা বা এলপিজি বিপণন ও উৎপাদন সংস্থার সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ দিয়ে প্রতিমিন্ত্রী, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং কোম্পানিসমূহের ওপর বৈশ্বিক এই মহামারির প্রভাব বা করণীয় নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।
ভার্চুয়াল এই সমন্বয় সভায় এ সময় অন্যান্যদের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, বিদ্যুৎ সচিব ডঃ সুলতান আহমেদ, বিপিসির চেয়ারম্যান মোঃ সামছুর রহমান, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ, পিডিবির চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/মামুন/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৯৪৫ ঘন্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ১৩৬৭
রাষ্ট্রপতির সাথে নবনিযুক্ত আইজিপি ও র্যাবের মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে আজ বঙ্গভবনে পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত আইজিপি ও র্যাব মহাপরিচালককে অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জঙ্গিবাদ দমন ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ ইতিবাচক অবদান রেখে আসছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে সচেতন করতে পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও দেশ ও জনগণের কল্যাণে পুলিশের প্রতিটি সদস্য কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, র্যাব আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দেশের যে কোনো প্রয়োজনে এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য ভবিষ্যতেও সাহসী ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।
এ সময় নবনিযুক্ত আইজিপি ও র্যাব মহাপরিচালক দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
#
ইমরানুল/মামুন/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৮৩০ ঘন্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ১৩৬৬
জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের জন্য ২য় ধাপে
২৪ হাজার মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল):
জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২য় ধাপে দেশের ২০টি জেলার জাটকা সম্পৃক্ত ৯৬টি উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত থাকা ৩ লাখ ১ হাজার ২৮৮টি জেলে পরিবারের জন্য ২৪ হাজার ১০৩ দশমিক শূন্য চার মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। ১৫ এপ্রিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি প্রদান করেছে। ভিজিএফ চাল ০৭ মে ২০২০ তারিখের মধ্যে যথানিয়মে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আওতায় এপ্রিল-মে দুই মাস প্রতিটি নিবন্ধিত জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি হারে চাল প্রদান করা হবে।
এর আগে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ দুই মাস একই উপজেলাসমূহে ২,৮০,৯৬৩টি জেলে পরিবারকে ২২,৪৭৭.০৪ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল প্রদান করা হয়েছে। চাল বিতরণের ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে খাদ্য সহায়তা না পাওয়া জেলেদের অগ্রাধিকার প্রদানের জন্য নতুন মঞ্জুরি আদেশে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ০১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া প্রতিবছর ০১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দেশের ০৫ (পাঁচ)টি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সকল ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ০৪ (চার) মাস সরকার মৎস্যজীবীদের মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।
#
ইফতেখার/মামুন/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৯৩০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৬৪
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। আমি এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান-কে যাঁদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার পরিচালনার মাধ্যমে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ত্রিশ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থনকারী সকল স্তরের আপামর জনগণকে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামের যে পথ চলা শুরু হয়, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলে মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭০ এর নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকার আত্মপ্রকাশ করে। এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে। জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা ও যুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণে মুজিবনগর সরকার যে ভূমিকা পালন করছে তা বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবগাঁথার সাক্ষর হয়ে থাকবে।
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, পেয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ২০৪১ সালে একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এ জন্য ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ। আমি মুজিবনগর দিবসে দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের Ôসোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে- এই প্রত্যাশা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরানুল/মামুন/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭০০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৬৫
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এদিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন করা হয়। সেদিন থেকে এ স্থানটি ‘মুজিবনগর’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
ঐতিহাসিক এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের শহিদ এবং নির্যাতিত মা-বোনদের। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর নির্দেশে মুক্তিকামী বাঙালি জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।
স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলসমূহ, সশস্ত্রবাহিনী, পুলিশ ও তদানীন্তন ইপিআরসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই সরকার দীর্ঘ ৯ মাস দক্ষতার সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মিত্রশক্তির সহায়তায় চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে সমূলে ধ্বংস করার লক্ষ্যে আড়াই মাসের ব্যবধানে ৩রা নভেম্বর জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
জাতির পিতাকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র ছিল না। আইনের শাসন ও জনগণের অধিকার সামরিক স্বৈরাচারের বুটের তলায় পিষ্ট হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়। স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করা হয়। জনগণের ভোটে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশে আবারও গণতন্ত্র ফিরে আসে। মানুষ ফিরে পায় তাদের অধিকার। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনকাল ছিল বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রচলিত আদালতে বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি দায়মুক্ত হয়েছে। জেলখানায় নিহত চার জাতীয় নেতা হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। ’৭১-এর মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। আমরা পাকিস্তানি বাহিনী এবং তার দোসরদের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ শুরুর দিন ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছি।
ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো আমরা বাস্তবায়ন করছি। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হচ্ছে। আমরা আজ আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।
দেশবাসীকে আমি ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মামুন/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭১০ ঘণ্টাতথ্যববিরণী নম্বর : ১৩৬৩
মুজিবনগর দিবসের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা জোগাবে
-- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের শিক্ষা ও চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা ও শক্তি জোগাবে । তিনি মুজিবনগর দিবসের শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে সকলকে নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার আহ্বান জানান।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক গৌরবোজ্জ্বল ও অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। এ ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।
মন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতম হামলার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে এ দেশের মানুষ খুব দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে এবং দেশের সর্বত্র প্রতিরোধ গড়ে উঠে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণার কেন্দ্রে ধারণ করে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক মুজিবনগর সরকার দেশপ্রেমিক মুক্তিপাগল জনতাকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধকে একটি সফল জনযুদ্ধে পরিণত করে। আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সহযোগিতা আদায়ে তাঁরা অনন্য ভূমিকা পালন করেন। ফলে নয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
বাণীতে মন্ত্রী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও প্রাণপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান-সহ সকল শহিদ, বীরাঙ্গনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিবনগর সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
#
মারুফ/মামুন/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭৩০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৬২
পরিবেশ মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মহীন ১২৫০ জন শ্রমিকের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল):
করোনা ভাইরাসের কারনে অসহায় হয়ে পড়া মানুষকে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে আজ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার ১ হাজার ২শত ৫০জন কর্মহীন পরিবহন শ্রমিকের বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন এবং বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন-সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ৮০০ জন এবং জুড়ী উপজেলার ৪৫০ জন পরিবহন শ্রমিকের বাড়িতে এসব খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেয়া হয়। এ সময় প্রত্যেক শ্রমিককে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু ও ১ কেজি করে ডাল প্রদান করা হয়।
খাদ্যদ্রব্য বিতরণ বিষয়ে পরিবেশ মন্ত্রী জানান, তাঁর নির্বাচনী এলাকার কেউ না খেয়ে থাকবে না। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অতি জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে হবে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে, পরিবেশ মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁর নির্বাচনী এলাকার ১৭০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়।
#
দীপংকর/মামুন/সেলিম/২০২০/১৬২০ ঘন্টা
Handout Number : 1361
Prime Minister sends emergency medicines for Bhutan
Dhaka 16 Apil :
Prime Minister Sheikh Hasina sent two consignments of emergency medicines for the safety of senior citizens of Bhutan to prevent them from attacks of COVID-19 virus.
The Prime Minister sent these medicines from her Relief and Welfare Fund at the request of the King of Bhutan as a gesture in view of historic excellent relations with Bhutan which is the first country to extend recognition of Bangladesh after her independence.
The medicines include 10 lakh units of Multi-Vitamin Bextram Gold manufactured by BEXIMCO Pharma and 5 lakh units of Vitamin C Ceevit manufactured by Square Pharma. The first consignment already left Dhaka by road today and will reach Burimari Border Port in Lalmonirhat, Rangpur in the afternoon for onward transportation to Thimphu. The 2nd consignment is likely to reach the border port by Sunday, 19 April 2020. It may be mentioned that Bangladesh had earlier sent emergency medical equipment to Bhutan including hand sanitizers.
#
Tohidul/Zakir/Dalim/2020/1540 Hours