Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ জুন ২০১৬

তথ্যবিবরণী 19.06.2016

তথ্যবিবরণী                                                            নম্বর : ২০১৫

রূপকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকারের বিকল্প নেই
                              -- এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):


    স্থানীয় সরকার বিভাগ সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মূল হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন জরুরি। আর গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য সমবায়ভিত্তিক অর্থনীতি একমাত্র বাহন।
   
    আজ রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে এক ইফতার মাহফিলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার, পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
 
    এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আরেকটি উদ্ভাবন রয়েছে। যা পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক চিন্তায় মাইক্রোসেভিংস পদ্ধতি গ্রামীণ পর্যায়ে শক্তিশালী অবস্থান গড়েছে। এটি এমন একটি জিনিস যা মানুষকে ঋণগ্রস্ত করবে না, বরং ঋণমুক্ত রাখবে। প্রকল্পটি হচ্ছে- একটি বাড়ি একটি খামার।

    খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যে ৪০ লাখ সদস্য মাইক্রোসেভিংসের আওতায় এসেছে। এদের মূলধন দুই হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা বিশ্বের জন্য রোল মডেল।

    অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবদুল মালেক, পল্লিউন্নয়ন সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব প্রশান্ত কুমার রায়। সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমসহ এলজিআরডি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

#

শহিদুল/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/২০১৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২০১৪

৩১০টি মডেল বিদ্যালয়কে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সরঞ্জাম প্রদান
                                                                                            
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :  

    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। সরকারের এসব কার্যক্রম গ্রাম ও শহরের মধ্যে শিক্ষার সুযোগ ও গুণগতমানের পার্থক্য হ্রাসে ভূমিকা রাখছে।

    শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দেশের ৩১০টি মডেল বিদ্যালয়কে আইসিটি ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সরঞ্জাম প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে এসব স্কুলকে ৩৫২০টি কম্পিউটার, ২১৭০টি ল্যাপটপ, ২১৭০টি প্রজেক্টর, ১৬০টি ফটোকপি মেশিন ও আসবাবপত্র প্রদান করা হয়।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত ৭ বছরে সারাদেশে ৬ হাজার ২৩৫ টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় নতুন ভবন নির্মাণ ও ভবন সংস্কারের কাজ করেছে। বর্তমানে আরো ৩ হাজার ২৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ ধরনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

    তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাদান পদ্ধতি আকর্ষণীয় করতে সারাদেশে ২৪ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারে নবনির্মিত ১২৫টি উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশন (ইউআইটিআরসিই) গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় এ ধরনের ইউআইটিআরসিই গড়ে তোলা হচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান।

    মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং প্রকল্প পরিচালক কে এম রফিকুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।
 
#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৮৪৭ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                            নম্বর : ২০১৩

পরিবেশের ক্ষতি না করেই উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে
                                                       -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):
    বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করেই উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। চ্যাম্পিয়ন অভ্ আর্থ খ্যাত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকার পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সরকার গৃহীত কোনো প্রকল্প পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না।
    প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বিদ্যুৎ ভবনে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পরিবেশ ও প্রতিবেশ এবং বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট নিয়ে এক আলোচনাসভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
    প্রতিমন্ত্রী বলেন, আনুষঙ্গিক ও স্ট্যাটিস্টিক্যাল সুবিধার কারণে বাগেরহাটের রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিবেশের জন্য উদ্বেগজনক সকল অনুঘটককে আন্তর্জাতিক অনুশাসনের আওতায় রেখেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হবে।    
    সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল,  তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, বুয়েট কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসাইন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম. তামিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার কল্লোল মোস্তফা, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী বায়োজিদ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, এনার্জি এন্ড পাওয়ার পত্রিকার সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন, ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ নির্বাহী পরিচালক শরীফ জামিলসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তারা সুন্দরবন ও পরিবেশের প্রেক্ষাপটে নানাবিধ বিষয় উল্লেখ করেন। পরিবেশবিদদের পক্ষ থেকে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থানান্তরের দাবি জানালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের সাথে সমন্বয় করেই আমাদের আগামী দিনের কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে।
    আলোচনাকালে বৈশ্বিক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন,  মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার হোসেন, বিউবো’র চেয়ারম্যান মো. শামসুল হাসান মিয়া ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন।
#

আসলাম/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                            নম্বর : ২০১১

ঢাকার নদীসমূহ দূষণমুক্ত রাখতে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে
                                                   -- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকার পার্শ্ববর্তী নদীসমূহ দূষণমুক্ত রাখতে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে ঢাকা ওয়াসা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।

মন্ত্রী আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু নদীসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী নদীসমূহ দূষণমুক্ত রাখা সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, কঠিন ও তরল শিল্প বর্জ্য এবং মানব বর্জ্যরে কারণে ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। এসকল বর্জ্যরে কারণে নদীর পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ঢাকাকে ক্লিন সিটি করতে হলে ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানি দূষণমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। তবে এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসকল নদীর পানি দূষণমুক্ত, পরিষ্কার, স্বচ্ছ ও ব্যবহার উপযোগী রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নদীতে কোন প্রকার কঠিন বর্জ্য যেন না যায় এবং পরিশোধন ব্যতীত কোন তরল বর্জ্য প্রবেশ না করে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

মন্ত্রী পানি দূষণমুক্ত রাখা, পানিশোধন প্লান্ট স্থাপন ও কারখানাসমূহে ইটিপি স্থাপন নিশ্চিত বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন।

#

শহিদুল/আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭৩৫ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                নম্বর : ২০১০

ঈদে নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে সভা
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):
ঈদে লঞ্চ যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পশ্চিমে একটি নতুন টার্মিনাল ঈদের আগেই চালু করা হবে। ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে নতুন তিনটি পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। লঞ্চ যাত্রীদের টিকিটের জন্য সদরঘাটে টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানে সিসিটিভি স্থাপন করা হবে। সরকার নিরাপদ ও সুষ্ঠু নৌ চলাচল এবং যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান আজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনের  সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ, স্টিমার, ফেরি সার্ভিস ও বিভিন্ন জলযানের নিরাপদ চলাচল বিষয়ক এক সভায় এসব কথা বলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের সময় কোনোক্রমেই লঞ্চে যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। লোড লেভেল ক্রস করার আগেই লঞ্চ ছেড়ে দিতে হবে। সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার পর পথিমধ্যে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা বা অন্য কোনো মাধ্যমে যাত্রী বা মালামাল উঠানো যাবে না।
সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের সময় লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া যাবে না। লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতকল্পে নৌপথে সকল মাছ ধরার জালের ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। লঞ্চে যাত্রীর ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের পূর্বে ৩ দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলায় (সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত) সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। মাওয়া ও পাটুরিয়াঘাটে অধিক যাত্রী হলে প্রয়োজনে ফেরি দিয়ে যাত্রী পার করা হবে। সূর্যাস্তের পর স্পিডবোট চলবে না। স্পিডবোটের যাত্রীদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পড়তে হবে।  
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সার্বিক অবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভিজিলেন্স টিম গঠন করবে। ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটসমূহে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার সেক্টরে ঈদের ছুটি পুনর্বিন্যাস করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজেএমইএ, বিকেএমইএকে অনুরোধ জানানো হবে। ফেরি ঘাটে সিরিয়াল প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রকার অনিয়ম করা যাবে না। যাত্রীসেবা নিশ্চিত ও নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
    সভায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, নৌপরিবহণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর এম জাকিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌ-পুলিশের মহাপরিচালক, লঞ্চ মালিক, শ্রমিক, সড়ক পরিবহণ ফেডারেশন, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭১৪  ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                            নম্বর : ২০১২

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

দশম জাতীয় সংসদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে কমিটি সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ কে এম ফজলুল হক, মো. ফরিদুল হক খান, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং সেলিনা জাহান লিটা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

কমিটি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র প্রভাবে বাংলাদেশ পানিউন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো দ্রুত গতিতে মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।

বৈঠকে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের চলমান কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয় এবং এ কার্যক্রমের গুণগতমান বজায় রাখা ও নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে দক্ষ জনবল নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

    বাংলাদেশ পানিউন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

#

রুমা/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭৩৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                            নম্বর : ২০১১

ঢাকার নদীসমূহ দূষণমুক্ত রাখতে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে
                                                   -- এলজিআরডি মন্ত্রী


ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):


স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকার পার্শ্ববর্তী নদীসমূহ দূষণমুক্ত রাখতে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে ঢাকা ওয়াসা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।

মন্ত্রী আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু নদীসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী নদীসমূহ দূষণমুক্ত রাখা সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, কঠিন ও তরল শিল্প বর্জ্য এবং মানব বর্জ্যরে কারণে ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। এসকল বর্জ্যরে কারণে নদীর পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ঢাকাকে ক্লিন সিটি করতে হলে ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানি দূষণমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। তবে এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসকল নদীর পানি দূষণমুক্ত, পরিষ্কার, স্বচ্ছ ও ব্যবহার উপযোগী রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নদীতে কোন প্রকার কঠিন বর্জ্য যেন না যায় এবং পরিশোধন ব্যতীত কোন তরল বর্জ্য প্রবেশ না করে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

মন্ত্রী পানি দূষণমুক্ত রাখা, পানিশোধন প্লান্ট স্থাপন ও কারখানাসমূহে ইটিপি স্থাপন নিশ্চিত বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন।

#

শহিদুল/আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭৩৫ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                নম্বর : ২০১০

ঈদে নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে সভা

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):
ঈদে লঞ্চ যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পশ্চিমে একটি নতুন টার্মিনাল ঈদের আগেই চালু করা হবে। ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে নতুন তিনটি পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। লঞ্চ যাত্রীদের টিকিটের জন্য সদরঘাটে টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানে সিসিটিভি স্থাপন করা হবে। সরকার নিরাপদ ও সুষ্ঠু নৌ চলাচল এবং যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান আজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনের  সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ, স্টিমার, ফেরি সার্ভিস ও বিভিন্ন জলযানের নিরাপদ চলাচল বিষয়ক এক সভায় এসব কথা বলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের সময় কোনোক্রমেই লঞ্চে যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। লোড লেভেল ক্রস করার আগেই লঞ্চ ছেড়ে দিতে হবে। সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার পর পথিমধ্যে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা বা অন্য কোনো মাধ্যমে যাত্রী বা মালামাল উঠানো যাবে না।
সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের সময় লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া যাবে না। লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতকল্পে নৌপথে সকল মাছ ধরার জালের ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। লঞ্চে যাত্রীর ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের পূর্বে ৩ দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলায় (সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত) সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। মাওয়া ও পাটুরিয়াঘাটে অধিক যাত্রী হলে প্রয়োজনে ফেরি দিয়ে যাত্রী পার করা হবে। সূর্যাস্তের পর স্পিডবোট চলবে না। স্পিডবোটের যাত্রীদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পড়তে হবে।  
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সার্বিক অবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভিজিলেন্স টিম গঠন করবে। ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটসমূহে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার সেক্টরে ঈদের ছুটি পুনর্বিন্যাস করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজেএমইএ, বিকেএমইএকে অনুরোধ জানানো হবে। ফেরি ঘাটে সিরিয়াল প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রকার অনিয়ম করা যাবে না। যাত্রীসেবা নিশ্চিত ও নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
    সভায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, নৌপরিবহণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর এম জাকিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌ-পুলিশের মহাপরিচালক, লঞ্চ মালিক, শ্রমিক, সড়ক পরিবহণ ফেডারেশন, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

জাহাঙ্গীর/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭১৪  ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                        নম্বর : ২০০৯

প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের দপ্তর পুনর্বণ্টন

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):


    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রুলস অভ বিজনেস, ১৯৯৬-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করেছেন।


    আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।


    জনাব নুরুজ্জামান আহমেদকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তিনি আজ থেকে উক্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন।

#

নাসিমা/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭০৫ ঘন্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                        নম্বর : ২০০৯

প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের দপ্তর পুনর্বণ্টন

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):
  

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রুলস অভ বিজনেস, ১৯৯৬-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করেছেন।
    আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।


    জনাব নুরুজ্জামান আহমেদকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তিনি আজ থেকে উক্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন।

#

নাসিমা/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭০৫ ঘন্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২০০৮

কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :  
      
    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কবি সুফিয়া কামালের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

    ‘‘নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের ১০৫তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

    সুফিয়া কামালের জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন। তৎকালে বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং ছোটবেলা থেকেই কবিতাচর্চা শুরু করেন। সুললিত ভাষায় ও ব্যঞ্জনাময় ছন্দে তাঁর কবিতায় ফুটে উঠত সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও সমাজের সার্বিক চিত্র। সুদীর্ঘকাল ধরে তিনি সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও নারী কল্যাণমূলক নানা কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

    কবি সুফিয়া কামাল নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় আদর্শ। দেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ একটি মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছিল সুফিয়া কামালের জীবনব্যাপী সংগ্রামের প্রধান লক্ষ্য। তাঁর রচিত সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মকে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে। কবি সুফিয়া কামালের জীবন, আদর্শ এবং তাঁর অমর সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

    আমি এ মহীয়সী নারীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা  করি।

    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’

#
হাসান/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                            নম্বর : ২০০৭

বৈশি^ক অর্থনীতিতে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল
                      -- পরিকল্পনামন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

    পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বৈশি^ক অর্থনীতিতে বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি রোল মডেল। জিডিপি প্রবৃদ্ধির সূচক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অর্জন সুস্পষ্ট করেছে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত এবং ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত ১০টি দেশের কাতারে শামিল হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশ এমডিজি’র সবক’টি লক্ষ্য অর্জনে সফলতা দেখিয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

    মন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে সিপিডি আয়োজিত সিপিডি বাজেট ডায়ালগ ২০১৬ শীর্ষক  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান। বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ এম সাইদুজ্জামানের  উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড .আবদুর  রাজ্জাক এবং সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    পরিকল্পনামন্ত্রী গত সাত বছরে দেশের অগ্রগতির বিভিন্ন সূচকের তুলনামুলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, মাত্র এক দশক আগেও আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে এর আকার বৃদ্ধি পেয়ে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির সব ধরণের উপাদান রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৭৬ ভাগ কর্মক্ষম জনসংখ্যা রয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বেগবান করার জন্য বিশাল এ কর্মক্ষম জনশক্তিকে সম্পদ হিসেবে কাজে লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

#

শেফায়েত/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৬৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ২০০৬ 

চীনা অনুদানে আরো তিনটি সেতু নির্মাণের এমওএম স্বাক্ষর

ঢাকা, ৫ আষাঢ়(১৯ জুন)ঃ 
    পটুয়াখালী, বাগেরহাট ও খুলনা জেলায় চীন সরকারের অনুদানে তিনটি সেতু  নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে আজ সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে মিনিটস অভ্ মিটিং (এমওএম) সই হয়।
    
    বাংলাদেশের পক্ষে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক এবং চীনের পক্ষে চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর খর এঁধহমলঁহ এমওএম-এ  স্বাক্ষর করেন।
    
    সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে এমওএম স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক ও সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক পরিমল বিকাশ সূত্রধর।

    এমওএম স্বাক্ষরশেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, দেশের যোগাযোগব্যবস্থা বিশেষ করে সড়ক-সেতু নির্মাণে চীনের অংশগ্রহণ দীর্ঘদিনের। ইতোমধ্যে চীনের অর্থায়নে ৭টি মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু বা বেকুটিয়া সেতু নির্মাণের বিস্তারিত নকশা প্রণয়নে গত সপ্তাহে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
    
    মন্ত্রী বলেন, স্বাক্ষরিত এমওএম অনুযায়ী সেতু ৩টি নির্মিত হবে পটুয়াখালী জেলার ডুমকি ও বাউফল উপজেলাধীন লোহালিয়া নদীর  উপর বগা সেতু বা ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু, বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলাধীন মংলা নদীর উপর মংলা সেতুু বা ১০ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু এবং খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলাধীন ঝপঝপিয়া নদীর উপর ঝপঝপিয়া সেতুু বা ১১তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। ২০১৬ সালে সেতু ৩টির কাজ শুরু হয়ে ২০২০ সালে শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 
    
    আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘেœ চলাচল নিশ্চিত করতে মহাসড়কসমূহের চলমান কাজ ঈদের ১০দিন পূর্ব থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ।    এছাড়া যানজটপ্রবণ ১৬টি স্পটে বাংলাদেশ রোভার স্কাউটস্-এর এক হাজার সদস্য সড়ক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে। ঈদের আগে প্রতিদিন ৩ শিফটে ৫দিন সড়ক স্বেচ্ছাসেবকগণ পুলিশকে পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে। পাশাপাশি আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী স্টেশন রোড, জয়দেবপুর চৌরাস্তা, ভোগড়া, মীরের বাজার এলাকায় কমিউনিটি পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করবে।

    সেতুমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘœ করতে যানজটপ্রবণ স্থানসমূহের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক সমন্বয় সভায় একথা জানান। তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কগুলোর যানজটপ্রবণ এলাকায় মহিলা ও শিশুদের জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য মহাসড়কের পাশে এবং ফেরিঘাটে অস্থায়ীভিত্তিতে টয়লেট নির্মাণ করা হবে।

    তিনি আরো বলেন, ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে টার্মিনালগুলোতে ভিজিলেন্স টিম কার্যকর থাকবে। ঈদের আগের ৩দিন ও পরের ৩দিন রপ্তানিমুখী এবং জরুরি সার্ভিস ছাড়া ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল মহাসড়কগুলোতে বন্ধ থাকবে।
    
    সমন্বয় সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ছাড়াও ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সড়ক পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।


#

 নাছের/মোবাস্বেরা/খাদীজা/

Todays handout (10).doc