তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০২১
দেশে সব ধর্মের মানুষ সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ধর্মীয় অধিকার ভোগ করছে
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের ধর্মীয় অধিকারও প্রদান করেছেন। ফলে দেশে সব ধর্মের মানুষ সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তাদের ধর্মীয় অধিকার ভোগ করছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশ্বজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা ও জাতীয় হিফজুল কোরান প্রতিযোগিতা- ২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিনই তাঁর সরকার আলেম-ওলামাগণের মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি কোরান-সুন্নাহর জ্ঞান আহরণ এবং তার প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রেখে যাবেন।
আনিসুল হক বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুই প্রথম আলেম-ওলামাগণের কোরান-সুন্নাহর জ্ঞান অর্জন এবং তার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কাকরাইল মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাঁর পিতার আদর্শ অনুসরণ করে অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ইসলামি অঙ্গনের শত বছরের স্বপ্ন ও দাবি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেড় শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী কওমী মাদ্রাসাকে বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং এর সর্বোচ্চ সনদকে মাস্টার্সের সমমান প্রদান করেছেন। নতুন ধারার দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে অসংখ্য কওমী আলেমের কর্মসংস্থান করেছেন। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে এর অধীনে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ প্রতিটি প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যার এইসব অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে হাজার বছরের ইতিহাসে তুলনাহীন অবদান ৬৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের গৌরবজনক কর্মটি প্রধানমন্ত্রীর নামকে বাংলাদেশের শাসন ও নেতৃত্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখবে।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান, ঢাকা ১৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা ইয়াহইয়া তালুকদার, ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সালে বিশ্বজয়ী ১০ জন হাফেজকে সংবর্ধিত করা হয়।
#
রেজাউল/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২২২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০২০
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন
--শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জৈষ্ঠ (১৯ মে):
ভূমি সেবা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষ্যে প্রদত্ত শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ যেন ঘরে বসে ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে কিংবা land.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে ভূমিসেবা গ্রহণ করতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”
আজ ভূমি সেবা সপ্তাহ ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত (রেকর্ডেড) শুভেচ্ছা বার্তা প্রদর্শন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এসময় সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং মোঃ হাবিবর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, “সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আপনারা ভূমি সেবা পেতে এই দু’টি প্ল্যাটফর্মের সহায়তা নিতে পারেন। দক্ষ, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব ভূমি সেবা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের অঙ্গীকার।“
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত তিনটি আইন মন্ত্রিপরিষদে পাশ হয়েছে। সবার সহযোগিতায় ভূমি মন্ত্রণালয় আজ একটি পর্যায়ে এসেছে, অর্জন করেছে মানুষের আস্থা। তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি কর্মকর্তাদের পারফরমেন্স মনিটরিং করা শুরু করেছে, অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতায় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এসময় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ভূমি সেবা সপ্তাহ ২০২২-এ পুরস্কার প্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।
অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগানো এবং ভালো কাজের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে আজ ৮ বিভাগ থেকে ৮ জন শ্রেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নিজ পদবীর ক্যাটেগরিতে ‘বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’ হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
‘বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’ হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন ঢাকা থেকে লাভলী ইয়াসমিন, চট্টগ্রাম থেকে কে এম আবু নওশাদ, রাজশাহী থেকে মোঃ কাউছার হাবীব, খুলনা থেকে মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী, বরিশাল থেকে আব্দুল কাইয়ুম, সিলেট থেকে উত্তম কুমার দাশ, ময়মনসিংহ থেকে কাউছার আহাম্মেদ এবং রংপুর থেকে মোঃ উজ্জ্বল হোসেন। এসময় ভূমিমন্ত্রী বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
এছাড়া, রংপুরের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আজমল হোসেন সেরা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার এবং ঢাকা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের চার্জ অফিসার মোঃ আব্দুল আজি ভুঁইয়া এবং রংপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের চার্জ অফিসার মোঃ আব্দুল আজি ভুঁইয়া সেরা চার্জ অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। মূল্যায়নে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের পুরস্কার হিসেবে ভূমিমন্ত্রী ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের ভূমি ব্যবস্থাপনা (ডোমেইন) বিশেষজ্ঞ সাবেক মুখ্যসচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্ত্র/সংস্থা ও মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
নাহিয়ান/নাইচ/রফিকুল/শামীম/২০২২/২১৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৯
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পঞ্চাশের দশক থেকেই নদী ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভাবতেন
--নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জৈষ্ঠ (১৯ মে):
‘প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান, নৌ নিরাপত্তায় রাখবে অবদান’। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ থেকে দেশব্যাপী নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২২ শুরু হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ ঢাকায় সদরঘাট নৌবন্দরে এম.ভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চে ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২২’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রীলংকার পরিস্থিতির কথা বলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে; বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। দেশের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্ন করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সারাবিশ্ব টালমাটাল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, দায়িত্বহীন মানুষেরা দেশ চালিয়েছিলেন বলে আমরা নিরাপত্তা দিতে পারিনি। এখন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশ চালাচ্ছেন বলে নিরাপত্তা দিতে পারছি। সড়ক, রেলপথে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এমনকি আকাশ পথে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও উন্নয়ন হয়েছে। নৌপথেও উন্নয়ন হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। আরো বাজেট আসবে। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে আমরা নদী ও নৌপথ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি। কিন্তু অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মহাবিজয়ের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই পঞ্চাশের দশক থেকে নদী ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভাবতেন। তিনিই এদেশের সমুদ্র, নদ-নদী, নৌপথ এবং নৌপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রথম পদপ্রদর্শক। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই কলঙ্কিত অধ্যায় ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সব কিছুই যেন ওলট পালট হয়ে যায়। ২০০৯ সালের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর পরই নেওয়া হয়েছে নানাবিধ উদ্যোগ। বিলুপ্ত ও বেদখল হওয়া নদীগুলোকে পুনরুদ্ধার করে খননের মাধ্যমে প্রবাহমান করা এবং নৌপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নের কঠিন কাজে প্রধানমন্ত্রী নিজেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হারিয়ে যাওয়া নৌপথ উদ্ধার ড্রেজার সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। নৌপথের নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আর কোনো ড্রেজার সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে; আরো ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এ জেড এম জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, এমপি; সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী; বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান আহমেদ শামীম আল রাজী; বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক; বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সাবেক প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি; বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল; বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মনজুরুল কবীর এবং বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া।
#
জাহাঙ্গীর/নাইচ/রফিকুল/শামীম/২০২২/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৮
আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দের শোক
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে) :
প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলাম লেখক ও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ কালজয়ী গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক; অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন; পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী; খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন; রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন; ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদু্ল্লাহ।
এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ; সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু; শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান; নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক; জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য; পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক; গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ; সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী; মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
#
আকরাম/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৯৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৭
ই-কমার্স খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে সিঙ্গাপুর
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে) :
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন এবং এই খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সিঙ্গাপুর। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর ট্রেড ইন্ডাস্ট্রির সাথে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের আলোচনা সভায় এই আশ্বাস দিয়েছে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন ও সহযোগিতার বিষয়ে আজ সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং এ খাতে সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া ই-কমার্স খাতে পারস্পরিক লেনদেন, ব্যবসা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক তথ্যের নিরাপত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্বস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, ক্রসবর্ডার পেমেন্ট সিস্টেম এবং ডাটার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরেন। তিনি অনলাইন ব্যাংকিং, ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার ও এটিএম কার্ড ব্যবহার দেশে ই-কমার্সেরও ব্যাপক প্রসার ঘটাচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ই-কমার্সের আকার ছিল ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা করোনা মহামারির সময়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ দেশীয় ই-কমার্সের বাজার ২৫ হাজার কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলেও তিনি জানান।
সভায় সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ম্যাগডালিন লো, সহকারী পরিচালক ভেরোনিক ব্যান, বিশ্লেষক ইউ জিন ই, সিঙ্গাপুর কাস্টমস্ এর নেটওয়ার্ক ট্রেড প্ল্যাটফর্ম (এনটিপি) অফিসের সিনিয়র অফিসার আমালিনা বিনতে কোমারিসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের প্রতিনিধিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের গ্লোবাল অ্যাডভাইজার সৌম্য বসু, প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, পরিচালক শেখ লিমাসহ ই-কমার্সের অন্য সদস্যগণ।
#
শহীদুল/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২২/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৬
আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যু এক কিংবদন্তীর প্রয়াণ
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে) :
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’চিরঞ্জীব গানের গীতিকার ভাষাসৈনিক, বরেণ্য সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, তাঁর মৃত্যু এক কিংবদন্তীর বেদনাবিধূর প্রয়াণ।
আজ লন্ডনে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ছ'টার দিকে ৮৮ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই সব্যসাচী প্রতিভার মৃত্যুসংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’চলচ্চিত্রের ট্রেইলার উদ্বোধন করতে ফ্রান্সে অবস্থানরত ড. হাছান তার শোকবার্তায় বলেন, ‘ভাষাসৈনিক, সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট, সাহিত্যিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যু বাংলাদেশ ও বাঙালির জন্য অত্যন্ত বেদনার।’
‘মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকার নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক আবদুল গাফফার চৌধুরী আজীবন তার সুচিন্তিত লেখনী দিয়ে দেশের প্রধান গণমাধ্যমগুলো তথা দেশের মানুষের মননকে সমৃদ্ধ করে গেছেন’বলেন হাছান মাহ্মুদ ।
‘বঙ্গবন্ধুর সাথে আবদুল গাফফার চৌধুরীর নিবিড় সম্পর্ক ছিল, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান’উল্লেখ করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বাঙ্গনেও অত্যন্ত সম্মানীয় আবদুল গাফফার চৌধুরী ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার এবং দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদকের পাশাপাশি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশাল জেলায় জন্ম নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ অনার্স ডিগ্রিধারী এবং মুক্তিযুদ্ধ সাংবাদিকতায় সাহসী সক্রিয় ভূমিকা রাখা আবদুল গাফফার চৌধুরী তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে মাসিক সওগাত এবং দিলরুবা, মেঘনা, ইত্তেফাক, আজাদসহ আরো কয়েকটি খ্যাতিমান পত্রিকায় সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, নাটকসহ প্রায় ত্রিশটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন, দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও লেখালেখি করেছেন। ১৯৭৪ সাল থেকে লন্ডনপ্রবাসী আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রবাস জীবনেও লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস অঞ্চলের অন্যতম সম্মানীয় ‘ফ্রিম্যান’ ছিলেন।
#
আকরাম/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২২/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। এ সময় ৫ হাজার ৮৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ১২৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৫৪ জন।
#
কবীর/রাহাত/মোশারফ/আব্বস/২০২২/১৮২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৪
সিঙ্গাপুরে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেস
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে) :
সিঙ্গাপুরে আজ থেকে শুরু হয়েছে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেস ২০২২। সম্মেলনের প্রথম দিনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল স্ট্যাটেজি এণ্ড প্র্যাকটিস বিষয়ে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। এ প্রবন্ধে কীভাবে ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা ঘোষিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাত দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এ সময় বলেন, ইন্টারনেট বাংলাদেশের জনসাধারণের জীবনকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করেছে, এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী নেতৃত্ব এবং এই খাতের সকল অংশীজনের সার্বিক সহযোগিতায় কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব সময়েও বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশন প্রকাশিত ২০২১ সালে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ সেক্টরে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৫বি (১), ৯সি (১)ও ১৭.৮(১) অর্জন অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে দেশের জনসাধারণকে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের সক্ষমতা অর্জনের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে ডিজিটাল সেবা কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেন।
হুয়াওয়ের আয়োজনে এই সম্মেলনে বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার; মালয়েশিয়ার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রী দাতো শ্রী ড. আদহাম বিন বাবা; হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু; আসিয়ান ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইয়াং মি ইং; থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব আজারিন পাত্তানাপাঞ্চাই; হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার হুয়াওয়ের ইন্টেলিজেন্ট ক্যাম্পাস সেশনেও যোগ দেন।
#
শেফায়েত/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৮২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০১৩
বাসযোগ্য দেশ গড়তে ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে
—পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জৈষ্ঠ (১৯ মে):
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ প্রতিষ্ঠায় ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে চলেছে। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে দেশের অর্থনীতি আজ সমৃদ্ধ। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য দেশ নির্মাণে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে ‘BANGLADESH DELTA PLAN- 2100: Implementation Process and Way Forward’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য খান মো.নুরুল আমিন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডেল্টা প্ল্যান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, যা বর্তমান ও আগামী প্রজন্