Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

তথ্যবিবরণী 20/02/2016

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৫৫৯

ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

ডেনমার্ক, ফেব্রুয়ারি ২০ :

    ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহাগেনে আজ প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক আবহে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। নবপ্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও এশিয়া হাউসের যৌথ উদ্যোগে এশিয়া হাউসের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    কোপেনহাগেনে চীন, থাইল্যান্ড, আর্মেনিয়া এবং নেপালের রাষ্ট্রদূতসহ ডেনমার্কের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিগণ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিরা আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস নিয়ে নির্মিত সংক্ষিপ্ত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

    কোপেনহাগেন বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানপ্রিত জানিযা অনুষ্ঠানে মূল নিবন্ধ পাঠ করেন। তিনি তাঁর নিবন্ধে বলেন, ভাষা হলো সংস্কৃতির যান, আর সংস্কৃতি মানুষের জীবনধারা তৈরি করে, তাই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সংস্কৃতি ও আদিবাসী ভাষা রক্ষায় একুশের চেতনা সমুন্নত করা জরুরি।

    বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ এ মুহিত তাঁর বক্তব্যে ভাষাশহিদদের আত্মত্যাগ ও কারাগার থেকে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত ২১ ফেব্রুয়ারিকে  ইউনেসকো কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বাণী সকলের মাঝে পৌঁছে দেন।

    অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ভাগে উপস্থিত শ্রোতা বাংলাদেশ, চীন, নেপাল এবং থাইল্যান্ডের বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ওপর শিল্পীদের মনোমুগ্ধকার পরিবেশনা উপভোগ করেন।

#

আফরাজ/নবী/রেজাউল/২০১৬/২৩২৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৫৫৮

মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া সমৃদ্ধশালী জাতি বিনির্মাণ সম্ভব নয়
                               -- এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী

রংপুর, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :

এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া সুখী, সমৃদ্ধশালী ও আত্মনির্ভরশীল জাতি বিনির্মাণ সম্ভব নয়।

প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর মহানগরে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর ও নবনির্মিত তোরণ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতা মো. সামসুল আলম, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের সকল অঞ্চলে সুষম উন্নয়ন নীতিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি ও ভৌত অবকাঠামো খাতে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি অঞ্চলকে একেকটি আদর্শ জনপদে পরিণত করা সম্ভব হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি, খেলাধুলা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চায় মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী রংপুর মহানগরের কামারপাড়ায় কুতুবিয়া জামে মসজিদের সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।   

#

আহসান/আফরাজ/নবী/রেজাউল/২০১৬/২২৪৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৫৫৭

বাঙালির ইতিহাস বীরত্বে গাঁথা
            -- ডেপুটি স্পিকার

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :

    ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, বাঙালি জাতি বীরের জাতি, বাঙালির ইতিহাস বীরত্বে গাঁথা। পৃথিবীতে এমন কোনো জাতি নেই যারা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য এত রক্ত দিয়েছে।

    আজ পুরানো পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অডিটোরিয়ামে মানবাধিকার জোট আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার একথা বলেন।

    ডেপুটি স্পিকার বলেন, ১৯৫২ সালে স্বাধীনতার বীজ বপন হয়েছিল। এসময়ই বাঙালি জাতির মধ্যে ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবোধ, দেশপ্রেম এবং বাঙালি জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছিল।

    তিনি বলেন, ভাষার জন্য যারা তাজা প্রাণ রাজপথে উৎসর্গ করল তাদের শুধু একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে স্মরণ করলেই আমদের দায় শেষ হয়ে যায় না। আমাদের উচিত যে রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছি, সেই রক্তের মর্যাদা রক্ষা করা। বাংলাভাষার সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগ এবং ভাষাকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করাই হবে আমাদের এই প্রজন্মের নৈতিক দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  বাংলাভাষার প্রতি অনুরাগের কারণেই বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হয়েছে এবং তারই দেশপেমে ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলা একদিন জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা লাভ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ডেপুটি স্পিকার।

    অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য কাজী রোজী, ভাষাসৈনিক বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, ভাষা সৈনিক মীর্জা মাজহারুল ইসলাম এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলা বক্তব্য রাখেন।

#

স্বপন/আফরাজ/নবী/রেজাউল/২০১৬/২২২২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৫৫৬

আগামীকাল পাবনায় এডওয়ার্ড কলেজ প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শাশুড়ীর নামাজে জানাজা

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের শাশুড়ী বেগম লুৎফা আলমের নামাজে জানাজা আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর পাবনা এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। পরে পাবনা রাঘবপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব ঢাকায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে মরহুমার কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।
 
    উল্লেখ্য, বেগম লুৎফা আলম গত শুক্রবার বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি ৮ ছেলে ও ৫ মেয়ে রেখে গেছেন।

#

পরীক্ষিৎ/আফরাজ/নবী/রেজাউল/২০১৬/২২১৬ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৫৫৪

একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে বিটিসিএল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্যাকেজের চার্জ কমছে

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :

গ্রাহকবৃন্দকে স্বল্পব্যয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিটিসিএল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিসের বিভিন্ন প্যাকেজের মূল্য প্রায় শতকরা ৩৫ ভাগ কমবে। বিটিসিএলের টেলিফোনে ‘কথা বলা ও একইসাথে  ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার’ এর সুবিধাসহ বিকিউব (এডিএসএল) সার্ভিসের বিভিন্ন প্যাকেজে এ পরিবর্তন হচ্ছে।
বিটিসিএলের নতুন সব প্যাকেজেই থাকছে সীমাহীন ডাটা ব্যবহারের সুযোগ। একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে বিকিউব ইনফিনিটি ২৫৬ প্যাকেজের স্পিড/ব্যান্ডউইথ ২৫৬ কেবিপিএস এর মাসিক চার্জ ৪৫০ টাকা থেকে কমে ৩০০ টাকা; বিকিউব ইনফিনিটি ৫১২ প্যাকেজের স্পিড/ব্যান্ডউইথ ৫১২ কেবিপিএস এর মাসিক চার্জ ৭৫০ টাকা থেকে কমে ৫০০ টাকা; বিকিউব ইনফিনিটি ১০০০ প্যাকেজের স্পিড/ব্যান্ডউইথ ১ এমবিপিএস এর মাসিক চার্জ ১১৫০ টাকা থেকে কমে ৭০০ টাকা এবং বিকিউব ইনফিনিটি ১৫০০ প্যাকেজের স্পিড/ব্যান্ডউইথ ১ দশমিক ৫ এমবিপিএস এর মাসিক চার্জ ১৬০০ টাকা থেকে কমে ১০০০ টাকা হবে। সকল মূল্যের সাথে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।
ডাটা লিমিট বা ভলিউম বেজড পূর্বের সব প্যাকেজ বিলুপ্ত হচ্ছে। ফলে ৪ জিবি লিমিটের বিকিউব সুপারসেভার গ্রাহকবৃন্দকে ’বিকিউব ইনফিনিটি ২৫৬’ প্যাকেজে, ১০জিবি লিমিটের বিকিউব স্ট্যান্ডার্ড গ্রাহকবৃন্দকে  ’বিকিউব ইনফিনিটি ৫১২’ প্যাকেজে এবং ২৫ জিবি লিমিটের বিকিউব প্রিমিয়াম গ্রাহকবৃন্দকে ’বিকিউব ইনফিনিটি ১০০০’ প্যাকেজের সীমাহীন ডাটার সুবিধা প্রদান করা হবে।

#

আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৯০৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৫৫৩

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করলেন ভূমিমন্ত্রী  

ঈশ্বরদী (পাবনা), ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :

ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, যতদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি মানুষের মনে যতদিন জাগ্রত থাকবে, ততদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা সরকার অব্যাহত রাখবে।

    ভূমিমন্ত্রী আজ পাবনায় ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদে হাট-বাজারের ইজারালব্ধ অর্থ হতে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ভূমিহীন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রত্যেক গৃহহীন পরিবারকে ঘর ও অর্থ দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলে স্ত্রী, পুত্র বা কন্যাকে সরকারি ভাতা দেয়া হবে।

মন্ত্রী ১৫০ জন অস্বচ্ছল ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করেন। এছাড়া ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদান হিসেবে ৭টি মসজিদের জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং হিন্দু ধর্মীয় উপসনালয়ের মেরামত মঞ্জুরি খাতে ৩০ হাজার টাকার অনুদান বিতরণ করেন।

পরে মন্ত্রী মাছ আহরণ করে যারা জীবিকা নির্বাহ করে এমন ১ হাজার ৮১০ জেলের মাঝে নিবন্ধন কার্ড ও ১ হাজার ৪৭৫ জনকে পরিচয়পত্র প্রদান করেন। মৎস্য অধিদপ্তরের জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্পের মাধ্যমে এ পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো, পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিব, ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান মিন্টু, ঈশ্বরদী উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান মাহজেবিন শিরীন পিয়া ও পাবনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আ. জলিল মিয়া বক্তব্য রাখেন।

#

রেজুয়ান/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮৪৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৫৫৩

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করলেন ভূমিমন্ত্রী  

ঈশ্বরদী (পাবনা), ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :

ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, যতদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি মানুষের মনে যতদিন জাগ্রত থাকবে, ততদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা সরকার অব্যাহত রাখবে।

    ভূমিমন্ত্রী আজ পাবনায় ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদে হাট-বাজারের ইজারালব্ধ অর্থ হতে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ভূমিহীন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রত্যেক গৃহহীন পরিবারকে ঘর ও অর্থ দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলে স্ত্রী, পুত্র বা কন্যাকে সরকারি ভাতা দেয়া হবে।

মন্ত্রী ১৫০ জন অস্বচ্ছল ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করেন। এছাড়া ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদান হিসেবে ৭টি মসজিদের জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং হিন্দু ধর্মীয় উপসনালয়ের মেরামত মঞ্জুরি খাতে ৩০ হাজার টাকার অনুদান বিতরণ করেন।

পরে মন্ত্রী মাছ আহরণ করে যারা জীবিকা নির্বাহ করে এমন ১ হাজার ৮১০ জেলের মাঝে নিবন্ধন কার্ড ও ১ হাজার ৪৭৫ জনকে পরিচয়পত্র প্রদান করেন। মৎস্য অধিদপ্তরের জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্পের মাধ্যমে এ পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো, পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিব, ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান মিন্টু, ঈশ্বরদী উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান মাহজেবিন শিরীন পিয়া ও পাবনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আ. জলিল মিয়া বক্তব্য রাখেন।

#

রেজুয়ান/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮৪৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৫৫২

বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে
                                            -- ভূমিমন্ত্রী  

বড়াইগ্রাম (নাটোর), ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির কাছে সঠিকভাবে তা তুলে ধরছে।
    গতকাল নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একুশে বইমেলা-২০১৬ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী একথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলন শুধু ৫২’র ২১শে ফেব্রুয়ারি নয়। এর শুরু হয় ১৯৪৮ সালে, আর শেষ হয় ১৯৫৬ সালে পার্লামেন্টে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতিদানের মধ্য দিয়ে। মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষা সম্বন্ধে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নেতারা বলতেন, বাংলা ভাষা সুধীজনদের ভাষা নয়, এ ভাষা চাষাভূষাদের জন্য। বাংলার বিরুদ্ধে এধরনের মনোভাব গ্রহণ করেই তারা শান্ত ছিল না। ২১শে ফেব্রুয়ারি রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারকে গুলি করে হত্যা করে।
মন্ত্রী বলেন, সেইসময় পাবনায় ভাষা আন্দোলনে আমাদের অংশ নেওয়া মিছিলেও মুসলিম লীগের নেতারা গুলি করেছিল। আহমেদ রশিদ সেদিন গুলিবিদ্ধ হওয়ায় আমাদের মিছিলটি প- হয়। আহমেদ রশিদকে কাঁধে করে আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। তখন ভাষা আন্দোলনের মিছিল, সংগ্রাম, সভা ছাত্রসমাজের মাধ্যমেই পরিচালিত হতো। মন্ত্রী বলেন, একুশ আমাদের চেতনার মর্মমূলে ভাবের উন্মেষ ঘটায়। তিনি একুশের মূল প্রেক্ষাপট জানার জন্য সকলকে অধিক বই পড়ার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সকলকে মায়ের ভাষা বাংলাকে সঠিকভাবে আত্মস্থসহ আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী ১০ দিনব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন করেন এবং স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
বইমেলা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শামসুর রহমান শাহীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নাটোরের জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান, পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো, নাটোর জেলার এসপি শ্যামল কুমার মুখার্জী, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদ, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন ও ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মালিথা বক্তব্য রাখেন।

#

রেজুয়ান/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৫৪৯

শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী  

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
“মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা ভাষাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
    মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৫২ সালের এ দিনে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত ও জব্বারসহ আরও অনেকে।
    আজকের এ দিনে আমি ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই বাংলাভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল ভাষাসৈনিকের প্রতি।
    ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সংগ্রাম পরিষদ ধর্মঘট ডাকে। এদিন সচিবালয়ের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধুসহ অনেক ছাত্রনেতা গ্রেফতার হন। ১৫ মার্চ তাঁরা মুক্তি পান। ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ মুজিবুর রহমান। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।
    ঐ বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি মুক্তি পান। ১৯ এপ্রিল আবারও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জুলাই মাসের শেষে তিনি মুক্তি পান। ১৪ অক্টোবর ঢাকায় বঙ্গবন্ধুকে আবার গ্রেফতার করা হয়। কারাগার থেকেই তাঁর দিকনির্দেশনায় আন্দোলন বেগবান হয়। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা শহিদরা।
মহান একুশে ফেব্রুয়ারির সেই রক্ত¯œাত গৌরবের সুর বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মানুষের প্রাণে অনুরণিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কানাডা প্রবাসী সালাম ও রফিকসহ কয়েকজন বাঙালি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করে। যার ফলে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আজ সারাবিশ্বের সকল নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণার উৎস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
বিশ্বের ২৫ কোটি মানুষের ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতিদানের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দাবি উত্থাপন করেছি। বিশ্বের সকল ভাষা সংক্রান্ত গবেষণা এবং ভাষা সংরক্ষণের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি।
অমর একুশে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও নিরক্ষরতামুক্ত এবং আধুনিক ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের সরকার দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত সাত বছরে আমরা দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করেছি। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি।
আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হই। পবিত্র সংবিধান ও গণতন্ত্র এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখি। দেশ ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার শপথ নেই।
আমি সকল ভাষাশহিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
    জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
    বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

নুরএলাহি/আফরাজ/মোশারফ০/রেজাউল/২০১৬/১৬৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৫৪৮

শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারি) :

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :   
    “আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান ‘শহিদ দিবস’। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে আমি বাংলাভাষীসহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সেই সাথে মহান ভাষা আন্দোলনে শহিদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
    মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এ আন্দোলন ছিল আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষারও আন্দোলন। অমর একুশের অবিনাশী চেতনা পরবর্তীকালে স্বাধিকার ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে যুগিয়েছে অসীম প্রেরণা ও শক্তি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। আমি আজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি মহান ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী ভাষা শহিদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ ভাষার দাবিতে সোচ্চার তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তসহ সকল ভাষা সৈনিককে, যাঁদের অসীম ত্যাগ, সাহসিকতা, দক্ষ সাংগঠনিক ক্ষমতা ও ত্বরিত কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। বাঙালি পায় মাতৃভাষার অধিকার।
    মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ বিশ্বে বিরল ঘটনা। মাতৃভাষার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে বাঙালি জাতি যে ইতিহাস রচনা করেছিল, শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্ব আজ তাকে স্মরণ করছে সুগভীর শ্রদ্ধায়। ১৯৯৯ সালে কয়েকজন মাতৃভাষাপ্রেমী বাঙালির প্রাথমিক উদ্যোগে এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ ও ঐকান্তিক চেষ্টায় জাতিসংঘ কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে জাতিসংঘ এ বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ''ছঁধষরঃু বফঁপধঃরড়হ, ষধহমঁধমব(ং) ড়ভ রহংঃৎঁপঃরড়হ ধহফ ষবধৎহরহম ড়ঁঃপড়সবং''. শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণকালে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা অর্জনের উপর এ প্রতিপাদ্যে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আমি মনে করি নিজস্ব মাতৃভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
    আমরা গর্ববোধ করি এই ভেবে যে, অমর একুশের চেতনা আজ দেশের গ-ি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। আমাদের শহিদ দিবস এখন বিশ্বজুড়ে নিজস্ব স্বকীয়তা রক্ষার চেতনার উৎস। এ চেতনাকে ধারণ করে পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের সাথে যোগসূত্র স্থাপিত হোক, লুপ্তপ্রায় ভাষাগুলো আপন মহিমায় নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উজ্জীবিত হোক, গড়ে উঠুক নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির বর্ণাঢ্য বিশ্ব - মহান ভাষা দিবসে এই কামনা করি।
    মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় ঐক্য ও বিজয়ের প্রতীক হয়ে উঠুক- এ কামনা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৬৩৮ ঘণ্টা

 

Todays handout (10).doc