তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২০৪
কোভিড সম্মুখ যোদ্ধাদেরকে নিরাপত্তা সামগ্রী
প্রদান করলো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ কোভিড-১৯ যোদ্ধাদের সহযোগিতায় ২৫ হাজার মাস্ক ও ৫শত মেডিকেল গগলস সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর্স ডিপোতে হস্তান্তর করেছে। টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সার্ভিস সচল ও রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বিটিসিএল এর অংশীজন প্রতিষ্ঠান জেডটিই এবং এডিএন টেলিকম লিমিটেড এসব নিরাপত্তা সামগ্রী ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সম্মানে সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি ও বিটিসিএলকে প্রদান করে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ নূর-উর-রহমান আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর্স ডিপোতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর পক্ষ থেকে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন। বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন এবং জেডটিই’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ভেনসি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, কোভিড সম্মুখ যোদ্ধাদের জন্য মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশনায় এই সব নিরাপত্তা সামগ্রী হস্তান্তর করতে পেরে আমরা খুবই খুশি হয়েছি। আমাদের এই প্রতীকী উপহার কোভিড যোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২০৩
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন টিকিট বিক্রয় কেন্দ্র
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের গ্রাহকসেবার মান বাড়াতে চালু করছে তিনটি নতুন টিকিট বিক্রয় কেন্দ্র। আগামী ২১ জুন হতে চালু হতে যাওয়া কেন্দ্র তিনটি হলো :
(১) ধানমন্ডি বিক্রয় কেন্দ্র : প্লট ৬, ৮ এবং ১০, রোড ৫এ, সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল নম্বর : ০১৭৭৭৭১৫৬২০-৬২১, ই-মেইল : dhanmondidso@bdbiman.com, অফিস সময় : সকাল ১০ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা (শুক্র ও শনিবার বন্ধ)।
(২) ফার্মগেট বিক্রয় কেন্দ্র : ৮১ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ফার্মগেট, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫। মোবাইল নম্বর : ০১৭৭৭৭১৫৬২৫-৬২৬, ই-মেইল : farmgatedso@bdbiman.com, অফিস সময়: সকাল ১০ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা (শুক্র ও শনিবার বন্ধ)।
(৩) বিমান প্রধান কার্যালয় বিক্রয় কেন্দ্র : বিমান প্রধান কার্যালয় বলাকা গেট, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড, বলাকা ভবন, কুর্মিটোলা, ঢাকা-১২২৯। মোবাইল নম্বর : ০১৭৭৭৭১৫৬৩০-৬৩১, ই-মেইল : balakadso@bdbiman.com, অফিস সময় : প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৭ দিন খোলা।
বিক্রয় কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে যাত্রীরা বিমানের টিকিট ক্রয় সংক্রান্ত সকল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
#
তানভীর/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২০২
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৩ হাজার ৮০৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ২৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন-সহ এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ২৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ১৬৪ জন ।
এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৫ লাখ ২৪ হাজার ২৮৫টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫টি এবং মজুত আছে ১ লাখ ৯০ হাজার ২৮০টি।
সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
#
তাসমীন/মাহমুদ/সঞ্জীব/ জয়নুল/২০২০/১৮৪০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২০১
জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার
-- জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত অফিস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আজ তাঁর বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্পসমূহের মে ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি এবং গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে একটা মহাপরিকল্পনা থাকা জরুরি। লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ এলপিজি, সিএনজি বা অন্যান্য সিলিন্ডার ট্র্যাকিং করার উদ্যোগ নিলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে যাবে।
সভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের আরএডিপিতে বরাদ্দ ও মে ২০২০ পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত ৩২ টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, করোনার জন্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকায় মালামাল আনতে না পারার জন্য মে ২০২০ পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ৫৬ দশমিক ৮০ শতাংশ যা ৩০ জুনের মধ্যে ৮৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ভার্চুয়াল এই সভায় এ সময় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, বিপিসির চেয়ারম্যান মোঃ সামছুর রহমান এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২০০
উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত বিএনপি'র বক্তব্য উদভ্রান্তের প্রলাপ
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং একইসাথে নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ায় সেই ঈর্ষা ও শঙ্কা থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ যে বক্তব্যগুলো রাখছেন তা উদভ্রান্তের প্রলাপের মতো।’
আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নির্বাহী পরিষদের সভার শুরুতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে বিএনপি ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ বলে আখ্যা দিয়েছে -এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন। তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন -বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন -ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি গত ১১ বছরে কোনো বাজেটের প্রশংসা করতে পারে নাই। প্রতিবারই তারা বাজেটকে উচ্চকাঙ্ক্ষী ও বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলেছেন। দেশের আরো কিছু প্রতিষ্ঠানও বিএনপির সাথে একই সুরে কথা বলেন। কিন্তু তাদের সমস্ত শঙ্কা, বিশেষজ্ঞতা ও বিরূপ মতামত ভুল প্রমাণ করে বাংলাদেশে গত ১১ বছর সব বাজেট বাস্তবায়িত হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নের হার উন্নয়ন বাজেট-সহ ৯৩ থেকে ৯৭ শতাংশ।’
তথ্যমন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদের করোনাভাইরাসের সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশে প্রায় তিনশত সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ ক’জন সাংবাদিক বন্ধু করোনাভাইরাসে ও আরো ক’জন এ রোগের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এসমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও দুঃখজনকভাবে অনেক মিডিয়া হাউজ সঠিক সময়ে বেতন ভাতা দেয়নি। অনেক হাউজে অনেক সাংবাদিক চাকুরিচ্যুতির শিকার হয়েছেন।’
Ôএ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই প্রেক্ষাপটে দুস্থ, অসহায় হয়ে পড়া সাংবাদিকদেরকে যাতে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়, জানান ড. হাছান। সেই লক্ষ্যে আমরা পূর্বের সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সভায় যারা চাকুরিচ্যুত, দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না এ ধরণের যারা অসহায় অবস্থায় নিপতিত সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম’, বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, ‘আজকে সেই অনুদানের প্রথম পর্যায়ে যারা সহায়তা পাবেন তাদের তালিকাটি চূড়ান্ত করবো। এই তালিকাটি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দই চূড়ান্ত করেছেন এবং ট্রাস্টের নীতিমালা অনুযায়ী সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ডেপুটি কমিশনারদের মাধ্যমে যেগুলো এসেছে অর্থাৎ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বা অন্য কোন সংগঠনের মাধ্যমে পাওয়া তালিকাও যে তারা বিবেচনায় নেননি তা নয়। সেই তালিকা আজকের সভায় উপস্থাপনের পর সেটি
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করা হবে। প্রথম পর্যায়ে দলমত নির্বিশেষে দেড় হাজার সাংবাদিকের তালিকা আমরা চূড়ান্ত করবো। পরবর্তী পর্যায়ে আরো সাংবাদিক এ সহায়তা পাবে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তারা চেক গ্রহণ করবেন।’
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৯৯
আমার -আপনার একটু রক্ত অন্যের জীবন বাঁচাতে পারে
- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :
‘রক্তদান শ্রেষ্ঠ উপহার’ উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমার-আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী একটু রক্ত অন্যের জীবন বাঁচাতে পারে। তিনি স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচাতে সুস্থ সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিশ্ব রক্তদান দিবস উপলক্ষে ফেসবুক গ্রুপ ‘ব্লাডম্যান’ আয়োজিত ‘ফেইসবুক ব্লাড ডোনেশন টুল’ ব্যবহারের মাধ্যমে হাসপাতাল এবং ব্লাড ব্যাংকে রক্তদাতা খুঁজে পাবার ট্রেনিং কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে ডিজিটাল প্রেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই টুল আইসিটি বিভাগ, ফেসবুক এবং ব্লাডম্যানের সাথে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সাথে সেতুবন্ধন তৈরি করবে। একই সাথে রক্তদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে ডিজিটাল সেতু হিসেবে কাজ করবে।
করোনাকালে রক্তদান ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মতো মানবিক সেবা সবার কাছে পৌঁছে দিতে মোবাইল অপারেটরদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে এই সেবাগুলো সহজেই পেতে ব্লাড ডোনেশন অপশনে চ্যাটবট সুবিধা চালুর জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
করোনাকালের মতো মহামারির সময়ে রক্তদান ও মানসিক স্বাস্থ্যের মতো সেবার অ্যাপগুলি ব্যবহার বিনামূল্যে করে দিতে মোবাইল অপারেটরদের প্রতি আহবান জানান পলক। তাঁর এই আহ্বানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেসবুকের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার হেড অব পলিসি প্রোগ্রামস শেলিথা করাল ইতিবাচক সাড়া দেন।
ব্লাডম্যান ও মনের বন্ধুর মতো যেসব সামাজিক উদ্যোগ রয়েছে সেগুলোর উদ্যোক্তাদেরকে ওয়েব, মোবাইলঅ্যাপ, কনটেন্ট ও টিউটোরিয়াল তৈরির পরামর্শ প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়া ও সেন্ট্রাল এশিয়ার পলিসি প্রোগ্রামস প্রধান শেলিথা করাল, ব্লাডম্যান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ শাহরিয়ার হাসান জিসান বক্তব্য রাখেন এবং অনলাইনে সংযুক্ত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
ফেসবুকে রক্তদাতা হিসেবে নিবন্ধন করতে লিংক: http://facebook.com/donateblood।
কীভাবে ফেসবুক রক্তদানের ফিচারটি কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য ভিজিট করার লিংক- https://socialgood.fb.com/health/blood-donations/।
#
শহিদুল/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/কুতুব/২০২০/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৯৮
শ্রম মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থায় "করোনা ট্রেসার বিডি অ্যাপ" ব্যবহারের নির্দেশ
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইসিটি বিভাগ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালুকৃত ‘করোনা ট্রেসার বিডি অ্যাপ’ ডাউনলোড করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সকল অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থায় ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আইসিটি সেল থেকে মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় তহবিল, নিম্নতম মজুরি বোর্ড, শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল এর প্রধান বরাবরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
পত্রে বলা হয়েছে, সারা দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে নাগরিকদের জন্য আইসিটি বিভাগ "করোনা ট্রেসার বিডি অ্যাপ" তৈরি করেছে। অ্যাপটি করোনা পজিটিভ ব্যক্তিদের সনাক্তের চেষ্টা করবে এবং কেউ যদি আক্রান্তের কাছাকাছি চলে যায় তাহলে সে স্মার্ট ফোনে এ্যালার্ট মেসেজ পাবে। স্মার্ট ফোনে ( https://play. google. come,/store/apps/detail/?id=com.shohoz.tracer) লিংকে ক্লিক করে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।
#
আকতারুল/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/কুতুব/২০২০/১৫২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৯৭
সমুদ্র বন্দগুলোতে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালণ শীল মেঘমালা তৈরী হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার এর দুর্যোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ছয় টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিন বা দক্ষিন-পুর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কিঃ মিঃ বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সকল এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
#
পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/কুতুব/২০২০/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৯৬
গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব রোধে ব্যবস্থা নিতে মৎস্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :
গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের বিস্তার রোধে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। একইসাথে এ রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গতকাল এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পত্র জারি করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দিনাজপুর জেলার সদর, খানসামা ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশে প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরকে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উল্লিখিত নির্দেশনা প্রদান করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনা পত্রে আক্রান্ত এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অথবা একজন ভেটেরিনারি সার্জন বা একজন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়। লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত প্রতিটি গবাদিপশু পরীক্ষা করে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য মেডিকেল টিমকে নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি এ চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক মনিটরিং-এর জন্য বিভাগীয় ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আক্রান্ত জেলার পাশ্ববর্তী জেলা বা উপজেলা থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের মেডিকেল টিমে দায়িত্ব প্রদানেরও নির্দেশনা দেয়া হয়। একইসাথে সংশ্লিষ্ট প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে চিকিৎসাপ্রাপ্ত গবাদিপশুর মালিকের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ ঠিকানা সম্বলিত তালিকা প্রতিদিন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।
#
ইফতেখার/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/কুতুব/২০২০/১৫৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৯৫
করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :
করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট দুর্যোগে দেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে সরকার । এ পর্যন্ত সারাদেশে দেড় কোটির বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে ।
৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন এবং বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৯৪৫ মেট্রিক টন । এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা এক কোটি ৫৪ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৪ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ছয় কোটি ৭৯ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩।
নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে সাধারণ ত্রাণ হিসেবে নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ৮৩ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার ৯২০ টাকা।
শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ২৩ কোটি ০৩ লাখ ৮৩ হাজার ২০৯ টাকা । এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা সাত লাখ ৪১ হাজার ৯৮৮ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৯।
#
সেলিম/পরীক্ষিৎ/কুতুব/২০২০/১১১৬ ঘণ্টা