Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ August ২০২২

তথ্যবিবরণী ৩০ আগস্ট ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :   ৩৫৩২

 

দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের সমূলে উৎপাটন করা হবে

                                   -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ -মানবিক আদর্শ। যাত্রীদের প্রতি মানবিক হতে হবে। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি-তারা বাংলার মানুষের অধিকারের কথা বলি। বাংলাদেশকে ভাল রাখার চেষ্টা করছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের চেষ্টা করছি। ৩০ লাখ শহিদ এবং দু’লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের মর্যাদার জন‍্য রাজনীতি করছি। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বাংলার মানুষের জন‍্য রাজনীতি করে; নিজের জন‍্য নয়। ১৫ আগস্ট জীবন দিয়ে  বঙ্গবন্ধু আমাদের ঋণী করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ঋণ শোধ করার ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। সোনার বাংলা বিনির্মাণের মাধ‍্যমে তাঁর ঋণ শোধ এবং আদর্শকে শ্রদ্ধা জানাতে পারব।

 

প্রতিমন্ত্রী  আজ ঢাকা সদরঘাটস্থ নতুন টার্মিনাল ভবনে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগের সভপতি শেখ মোঃ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন‍্যান্যের মধ‍্যে বক্তব‍্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম‍্যান কমডোর গোলাম সাদেক, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন লিটন এবং সহসভাপতি নুর ইসলাম।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল। বাঙালি জাতির বহু আকাঙ্খিত পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গের ২১টি জেলার সাথে যুক্ত হয়েছে, ফলে মানুষ আজ সুফল ভোগ করছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে, টেকনাফ পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের এত উন্নয়ন বিরোধীদের অন্তরজ্বালা। তারা দেশের পক্ষে, বাংলার মানুষের পক্ষে কথা বলেনা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। আগস্ট মাসের শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের সমূলে উৎপাটন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। মানবতার ইতিহাসে এত বড় জঘন্য অপরাধ আর কখনো সংঘটিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। তিনি বলেন, মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ মানবাধিকার নিয়ে এখন অনেক কথা বলছেন। কিন্তু তারা কি কখনো শিশু রাসেল হত্যা, গর্ভবতী মাকে হত্যার প্রতিবাদ করেছেন? কোথাও কথা বলেছেন?

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

#

 

জাহাঙ্গীর/রফিক/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :  ৩৫৩১

 

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতী বিপ্লব ছিল শোষকের পরিবর্তে শোষিতের শাসন

                                   -- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,  বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব ছিল শোষকের পরিবর্তে  শোষিতের শাসন চালু করা।  বঙ্গবন্ধুর তিন বছর সাত মাসের  শাসনকালে, শিক্ষা, স্বাস্থ‌্য, যোগাযোগ, শিল্প-বাণিজ‌্যসহ দেশের এমন কোনো খাত নেই যার ভিত্তি তিনি তৈরি করেননি। সংবাদকর্মীদের জন‌্য আইন সেটিও বঙ্গবন্ধুই করে গেছেন। বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র স্থাপন,  আইটিইউ এবং ইউপিইউ’র সদস‌্য পদ অর্জনের মধ‌্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বীজ বঙ্গবন্ধু রোপণ করেছেন।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নিউজ নাউ বাংলা-জাগরণ টিভি’র  উদ‌্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ‌্যে ‘দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলেও তাঁর বিরুদ্ধে অসত্য, গুজব প্রচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ’৭৫ সালে যে কর্মসূচি নিয়েছিলেন এর প্রেক্ষিত আছে। তিনি কেন দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন তারও কারণ আছে। ৭৪ সালে কিভাবে দুর্ভিক্ষে অপপ্রচার, লুটপাট, সন্ত্রাস, অস্ত্র লুট, খুন এর যে বিস্তৃতি ছিলো তা নিয়ন্ত্রণ করতে বঙ্গবন্ধুকে কঠোর হতে হয়েছিলো। বঙ্গন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে বাকশালকে গালি দেয়া হয়। তিনি বলেন, যেসব সংবাদপত্র নিবন্ধনকৃত তাদের নিয়ে আমাদের চিন্তা কম করতে হয়। প্রতিদিন মিডিয়া বাড়ছে কিন্তু দায়িত্বশীল সম্পাদকের সংখ্যা বাড়ছে না। যার কারণে অনেকে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করেন না। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন ‍উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাংবাদিক সমাজের ভূমিকা অপরিসীম বলে উল্লে করেন।

 

নিউজ নাউ এর প্রধান সম্পাদক শামীমা দোলার সভাপতিত্বে এবং জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা, বিএফইউজে সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব এবং শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. ফেরদৌস খন্দকার বক্তৃতা করেন।

 

#

 

শেফায়েত/রফিক/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :  ৩৫৩০

 

উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই

                                             -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

নওগাঁ, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বর্তমান সরকারের সময় দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে পুনরায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। ‘কারণ বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে আবারো সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস, বোমাহামলা আর জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে এবং যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছিল, যাদের সময় বিদ্যুৎ আর সারের জন্য মানুষ হত্যা করা হয়েছিল, যারা দুর্নীতিতে পর পর ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না’ বলেন তিনি।

 

আজ নওগাঁ নওজোয়ান ঈদগাহ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ’১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিশাল শোক সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সমাবেশে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁর শহিদুজ্জামান সরকার এমপি, ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন এমপি, মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার এমপি এবং মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপি বক্তব্য রাখেন।

 

ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি’র সময় বিদ্যুতের খাম্বা রাজনীতির কথা সবার জানা আছে। সে সময় বিদ্যুৎ আর সারের জন্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপি’র সময় মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ আসতো। আর এখন মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ যায়।

 

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতে কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে, বাংলাদেশও এর বাইরে নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও জ্বালানি-বিদ্যুৎ সংকটে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, সেখানে সরকারিভাবে মানুষকে সাশ্রয়ী করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে আশার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সুদূরপ্রসারী নেতৃত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আর কিছুদিনের মধ্যেই মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।’

 

ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘মানুষের এই সাময়িক কষ্ট দেখে বিএনপি মায়াকান্না দেখাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি’র এই অধিকার নেই। কারণ দেশের মানুষের দুঃখ-কষ্ট আওয়ামী লীগের মতো আর কেউ বোঝে না। তবে সরকারের উদারতা দেখে বিএনপি যদি আবারো আগুনসন্ত্রাস, নাশকতা, মানুষ হত্যার রাজনীতি শুরু করে সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না। জনগণকে সাথে নিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সরকারও চুপচাপ বসে থাকবে না, প্রশাসন শক্ত হাতে তা প্রতিরোধ করবে।’

#

 

আকরাম/রফিক/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২০৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩৫২৯

 

রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কুয়েত

এবং নেপালের রাষ্ট্রদূতদ্বয়ের পরিচয়পত্র পেশ

 

ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :

 

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে আজ বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত Faisal Mutlaq Aladwani এবং নেপালের রাষ্ট্রদূত Ghanshyam Bhandari পরিচয়পত্র পেশ করেন।

 

নতুন দূতগণ বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অভ্‌ অনার প্রদান করে।

 

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রথমে কুয়েতের নতুন রাষ্ট্রদূত তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। এরপরই পরিচয়পত্র পেশ করেন নেপালের রাষ্ট্রদূত।

 

কুয়েতের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, কুয়েত বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার এবং শ্রমশক্তির গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে আরো দক্ষ ও আধাদক্ষ জনশক্তি নিতে কুয়েত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

 

বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের পণ্য আমদানি করার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সফর বিনিময় ও আলোচনার ওপর জোর দেন ।

 

নেপালের নতুন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নেপাল সফর এবং ২০২১ সালে নেপালের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ সফরের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। তিনি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

সাক্ষাৎকালে কুয়েত ও নেপালের নতুন রাষ্ট্রদূতগণ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে নেপালের নতুন রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে নেপালকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

 

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

ইমরানুল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২০১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩৫২৮

 

শৈশব থেকেই বাঙালির হাল ধরার ব্রত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু

                                                -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শৈশব থেকেই বাঙালির হাল ধরার ব্রত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর জীবনটাই ছিল বাংলাদেশের মানুষকে নিজের অধিকার ও স্বাধিকার সম্পর্কে সচেতন করার কাজে। সেজন্য  পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে সবসময়  চরমশত্রু মনে করতো এবং  তাঁকে বারবার কারাগারে পাঠায়। তিনি বলেন, খুনিরা জানতো যে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে শেষ করতে পারলে বাংলাদেশকে হত্যা করা সম্ভব।

          আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেডে হামলার প্রতিবাদে  ‘শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট’ র্শীষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আয়োজক বঙ্গবন্ধু পরিষদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

আইনমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাদের পরাজয়ের গ্লানি মেনে নিতে পারেনি। সেজন্য তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর সকলকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি, কোন বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে।

আনিসুল হক বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই রাজাকার ও আইয়ুব খানের মন্ত্রী সভার সদস্যদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। খুনিদের কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। এটা প্রমাণ করতে রকেট সায়েন্স লাগে না। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন না করলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শেষ হতো না। কারণ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই মামলার আপিল শুনানি হাইকোর্টে স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। সাতজন বিচারপতি এই মামলার আপিল শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সবরকম পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র তারা করেছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের চিহ্নিত করতে অবশ্যই কমিশন হওয়া দরকার। এদের চিহ্নিত করতে না পারলে আবারও বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে পারে এরা, বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের  ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।

          কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এস এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

#

রেজাউল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৯৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর :  ৩৫২৭

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ

ফোরাম ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :

 

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভা আজ ঢাকায় তথ্য ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

 

আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে ১৫ই আগস্টের মতো এমন নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড আর ঘটেনি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড  সংঘটিত  হয়।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটায়। হত্যাকারীরা চেয়েছিলো স্বাধীনতার চেতনা এবং আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে।

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কময় দিন। এই ঘটনার সাথে পাকিস্তান জড়িত ছিল। পাকিস্তানের সাথে হত্যাকারীদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল।

 

বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম, ঢাকার সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব মোঃ সাইদুর রহমান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তথ্য সচিব মোঃ মকবুল হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

#

শিবলী/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৯২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৫২৬

 

ইতিহাস বিকৃতিরোধে সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে

                                                --- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :

          পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম  বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলা স্লোগানকে বিএনপি নিষিদ্ধ করে দেয়, বন্ধ করে দেয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার। গণমাধ্যম থেকে পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার অপপ্রয়াস চালানো হয়। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়ার পর খালেদা জিয়াও যুদ্ধাপরাধীদের এমপি-মন্ত্রী করেছেন। দেশের ইতিহাস বিকৃতির জনক বিএনপি, তারাই ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমানকে বারবার ইতিহাসের নায়ক বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। তাই ইতিহাস বিকৃতিরোধে সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ, গণমাধ্যম হলো সমাজ ও রাষ্ট্রের দর্পণ। সাংবাদিকরা হলেন জাতির বিবেক।

          জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          উপমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির হাজার বছরের আরাধ্য যে কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জিত হয়। তিনিই স্বাধীনতার ঘোষক। কোনো মেজরের হুইসেলে স্বাধীনতা হয়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি গুপ্তচর। জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নানাভাবে পুরস্কৃত করে। জিয়া ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করেন। সেদিন সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মধ্যে দিয়ে তাঁর আমলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বাধাগ্রস্ত করা হয়। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষাকারী এবং এই হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল কুশীলব।

          এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি অরাজকতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিএনপি-জামায়াত কখনো জনগণের বন্ধু হতে পারে না। আস্তাকুঁড়ে বিএনপি কখনো আর দাঁড়াতে পারবে না। ক্ষমতায় যেতে হলে  নগণের কাছে পাশে থাকতে হয়। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না৷ খালেদা জিয়াতো এতিমের টাকা মারার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় বাসায় থাকতে পারছে খালেদা জিয়া, এটা ভুলে গেলে চলবে না। সুতরাং ক্ষমতায় আসতে হলে সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য হলেও বিএনপির নির্বাচনে আসা উচিত। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আনবে জনগণ।

           টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক জীবনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এমপি, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমএ কাদের খান, ডিইউজে’র সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ডিআরইউ’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব।

#

গিয়াস/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২২/১৯১০ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৩৫২৫

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তি ছিল দেশপ্রেম

                                    --- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :

          আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তি ছিল দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা। এখন আমাদের কর্তব্য তাঁর প্রতি ভালোবাসা দেখানো।

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৪৭ তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতি এ সভার আয়োজন করে।

          আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। এরপর তিনি বাঙালির অধিকার ও স্বাধীকার অর্জনের প্রত্যেকটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ঘরে বসে রাজনীতি করেননি, মাঠের রাজনীতি করেছেন। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এবং  বেনাপোল থেকে তামাবিল পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে সশরীরে গিয়ে দেশের মানুষকে দাবি আদায়ে সচেতন করেছেন। তারপর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনিই একমাত্র বাঙালি রাজনীতিক যিনি তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের সাথে আপস করেননি। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে পালিয়ে যাননি। এজন্য তাঁকে ১৪ বছর জেল খাটতে হয়েছে। এজন্যই তাঁর ডাকে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি  সারা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।

          আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানি সামরিক শাসকরাও যাকে মারার সাহস দেখাতে পারেনি, তাঁকে এদেশেরই কিছু সংখ্যক কুলাঙ্গার সন্তান দেশি-বিদেশি অপশক্তির সহায়তায় সপরিবারে  হত্যা করেছে। ২৫ বছর এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে  হাইকোর্টের সাতজন বিচারপতি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আপিল শুনানি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেছিলো। এই ছিলো তাদের চিন্তাধারা ও কর্ম।

          মানুষের আয় ও সঞ্চয় অনুযায়ী দেনমোহর নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে কাজীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যুগের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, অর্থনৈতিক সক্ষমতাও বেড়েছে। তিনি বলেন, ১৪-১৫ বছরের মেয়ের সুস্থ সন্তান হতে পারে না। সবকিছু বিবেচনা করে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ করা হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সী  মেয়েদের বিয়ে নিবন্ধন না করার নির্দেশ দেন তিনি।

          বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতির সভাপতি কাজী মোঃ মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সমিতির মহাসচিব হাফেজ সাগর আহমেদ শাহীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার  বিভাগের  সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।

          অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

#

 রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২২/১৯০০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৩৫২৪

সারের কৃত্রিম সংকট রোধে ৩৮৩ ডিলার-ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ টাকা জরিমানা

                                                                                                --- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :

            কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারের কৃত্রিম সংকট ও কারসাজি রোধে সারা দেশে আগস্ট মাসে ৩৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অনিয়মে জড়িত ৩৮৩ জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

            আজ সচিবালয়ে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত Pham Viet Chien এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

            মন্ত্রী বলেন, শুধু জরিমানা নয়, সার কারসাজিতে জড়িত ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সেজন্য, লাইসেন্স বাতিলের জন্য তাদের নাম শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের কাজ চলছে।

            মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সারের মজুতে কোন সমস্যা নেই। গুদামে পর্যাপ্ত সার রয়েছে। একই সাথে, গত বছরের তুলনায় এ বছর বরাদ্দও বেশি দেয়া হয়েছে। তারপরও কোথাও কোথাও সারের সংকটের কথা   শোনা যাচ্ছে। এটি হতে পারে না। ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসন বা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কারো গাফিলতি পাওয়া গেলে-তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

            এমওপি সার প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, আগস্ট মাসে আজ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানিকৃত ১ লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ১ লাখ ১৬ হাজার টন সার দেশে পৌঁছবে। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন  ও অক্টোবরে ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুত অনেক বেশি থাকবে।

            উল্লেখ্য, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (২৫ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুত ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুত বেশি।

            চালের দাম শিগগিরই কমবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। জিটুজি ভিত্তিতে এ চাল আনা হচ্ছে। চাল আসতে ১৫-২০ দিন লাগতে পারে। এছাড়া, রাশিয়া থেকে ৩ লাখ টন গম আনা হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশে প্রায় ১৮ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দেয়া হবে। এছাড়া, টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করা হবে। ওএমএসেও চাল বিক্রি করা হবে। সব মিলিয়ে চালের দাম শিগগিরই কমবে।

            এর আগে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে দু’দেশের কৃষি সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত পাম ভিয়েট চিয়েন বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কৃষি সহযোগিতার জন্য ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করার প্রস্তাব প্রদান করেন। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কৃষি সহযোগিতা রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতার ফলে ভিয়েতনামের কৃষি উন্নত হয়েছে। যেহেতু তিনটি দেশই ডেল্টা, কাজেই তাদের পারস্পরিক সহযোগিতায় সবপক্ষই উপকৃত হবে।

            ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত জানান, কাজুবাদাম রপ্তানিতে ভিয়েতনাম বর্তমানে প্রথম এবং কফি রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থানে র

2022-08-30-16-28-28cbfcb225cc2de1fbbf96c4e9999a44.docx