তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬২৬
শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করছে সরকার
---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিশুদের সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যতটি প্রোগ্রাম আছে তার অধিকাংশই শিশুদের নিয়ে। শিশু পরিবার, মুক ও বধির বিদ্যালয়, শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই শিশুদের নিয়ে কাজ করছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তরে সিএসপিবি প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও নতুন শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীদের প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওআইসি প্রতিনিধি এমা ব্রিগাম (Emma Brigham), ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা প্রধান নাতালি ম্যাক কলি (Natalie McCauley) ও সিএসপিবি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ সারোয়ার হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, শিশু সুরক্ষায় সমাজকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের কাজ কমিউনিটি ভিত্তিক হবে। কোনো শিশু অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে কি না, শারীরিক মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি না, তা শনাক্ত করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের শহরগুলোতে অনেক শিশু রাস্তায় বসবাস করে। অনিরাপদ পরিবেশে বসবাস করে। কাজেই এ সকল শিশুদের সুরক্ষা, তাদের অধিকার সংরক্ষণ এ বিষয়গুলোতে কাজ করতে হবে।
এরপর মন্ত্রী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষকদের হাতে সনদ তুলে দেন।
#
জাকির/ফয়সল/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২০২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬২৫
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান (Yousef Ramadan) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন এবং অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী হাছান অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের আইনি পরিণতি সম্পর্কে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশের দেওয়া জোরালো বিবৃতির কথা উল্লেখ করে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং সব পক্ষের সংকল্পের কোনো বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত দৃঢ় সমর্থন, আন্তরিক সহযোগিতা ও গাজাবাসীদের সাহায্যপণ্যসামগ্রী প্রেরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। চলতি সংকট মুহূর্তে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরো সহযোগিতা কামনা করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
#
আকরাম/ফয়সল/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২০৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬২৪
উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্নের তাগিদ পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রামে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ও স্কিমসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জোর তাগিদ দিয়েছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তুলনা দিয়ে বলেন, সচিব এর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো অত্যন্ত সুচারুরূপে পদ্ধতিগতভাবে সম্পন্ন করে থাকেন। তিন জেলায় কর্মরত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু উন্নয়ন সভায় উপস্থিত থাকলেই চলবে না, মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজন অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ে আসতে হবে। সকল কাজের তদারকি, পরামর্শ গ্রহণ ও দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার কৌশলগুলো জানতে হবে।
আজ রাজধানীর বেইলী রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় ও এর অন্তর্ভুক্ত দপ্তরসমূহের উন্নয়ন পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে এলাকার মানুষের জন্য সুফল বয়ে আসবে। তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা, চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হতে পারে কিন্তু দেশ আমাদের-দেশের মানুষ আমাদের। দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরো বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের যে ধারা, সে ধারায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের সকলকে অধিকতর দায়িত্বশীল থেকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি পার্বত্য জেলা পরিষদকে সচল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হারুন-অর-রশীদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুসহ পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ, তিন জেলা পরিষদ ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/ফয়সল/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২০২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬২৩
২৩ নাবিক সুস্থ আছেন, তাদেরসহ জাহাজ ফেরত আনার লক্ষ্যে আমরা অবিচল
-- এমএইউ সচিব খুরশেদ আলম
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ বাংলাদেশি নাবিক সুস্থ আছেন, তাদেরকেসহ জাহাজ ফেরত আনাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য থেকে আমরা বিচ্যুত হব না বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পূর্বে অপহৃত দেশি জাহাজ 'জাহান মনি' এবং মালয়েশিয়ার জাহাজ 'আল-বেদো'তে কর্মরত সব বাংলাদেশি নাবিকদের অক্ষত উদ্ধারের কথাও সংক্ষেপে জানান সচিব।
জলদস্যুরা মুক্তিপণ চেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে মুক্তিপণের কথা প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা কল্পিত। আমাদের কাছে এখনো কোনো মুক্তিপণ তারা চায়নি, মুক্তিপণের ব্যাপারে কোনো যোগাযোগও করেনি।
খুরশেদ আলম জানান, জাহাজ চলাচলের নানা ঝুঁকির রুট থাকে। আমাদের এই জাহাজটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রুট দিয়ে যায়নি। তারপরও জলদস্যুরা অপেক্ষায়ই ছিল বা এ নিয়ে ভিন্নমত আছে। জলদস্যুরা জাহাজটির দখল নিয়ে সোমালিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে আজকে (বৃহস্পতিবার) ভোর নাগাদ সোমালিয়ার কাছাকাছি তারা নোঙর করেছে। জলদস্যুরা আমাদের সাথে এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খবর রাখছি, জলদস্যুদের প্রায় ৬০ জন জাহাজে অবস্থান নিয়েছে এবং বাংলাদেশি ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন।
সচিব বলেন, এ বিষয়ে আমাদের আগের অভিজ্ঞতা আছে। জাহান মনি নামের একটি জাহাজ ২০১০ সালে এমন ঘটনার মুখে পড়েছিল। ১০০ দিনের মাথায় সকল নাবিকসহ জাহাজটি আমরা ফেরত আনতে পেরেছিলাম।
এছাড়া মালয়েশিয়ান জাহাজ ‘আল-বেদো’ যখন জলদস্যুদের কবলে পড়ে তখন সাতজন বাংলাদেশি, দুইজন ইরানি, তিনজন ভারতীয়, দুইজন পাকিস্তানি ও পাঁচজন শ্রীলংকান নাবিক ছিল কিন্তু মালয়েশিয়ার মালিকপক্ষ কোনো দায়িত্ব না নেওয়ায় জাহাজটি আটকে থাকে, আড়াই বছর পর ডুবে যায়, কিছু প্রাণহানিও ঘটে উল্লেখ করে এডমিরাল বলেন, আমরা পুরো সময় জুড়েই কাজ করেছি এবং প্রায় তিন বছর চার মাস পরে আমরা নেগোসিয়েশন করে কেনিয়ার সেনাবাহিনী দিয়ে বাংলাদেশি নাবিকদের অক্ষত উদ্ধার করে এনেছি।
সরকারের তৎপরতা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টায় আছি। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক, জাহাজের মালিকসহ সব পক্ষের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।
সামুদ্রিক বিষয়ক ইউনিট সচিব বলেন, আমরা এখনও জানি না জলদস্যুদের কি দাবি-দাওয়া। আমরা যদি জানতে পারি, তখন হয়তো কৌশলগতভাবেই গণমাধ্যমকে পুরোপুরি জানাতে পারব না। তবে যেভাবে 'জাহান মনি'কে আনা হয়েছে, যেভাবে ‘আল-বেদো’ থেকে নাবিকদের অক্ষত আনা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ‘জাহান মনি’ আনতে একশ’ দিন লেগেছে, আর মালয়েশিয়ান জাহাজ থেকে সাতজন ক্রু ফেরত আনতে লেগেছে তিন বছর চারমাস। কাজেই সময় একটা ব্যাপার।
#
আকরাম/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬২২
সাফজয়ী ফুটবলার রাজিয়া খাতুনের মৃত্যুতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
সন্তান জন্ম দেয়ার কয়েকঘণ্টা পর মারা গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় রাজিয়া খাতুন (ইন্নালিল্লাহি --------- রাজিউন)। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন তিনি। সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যুকোলে ঢলে পড়েন রাজিয়া। নারী ফুটবলার রাজিয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ফুটবলার রাজিয়া খাতুন নারী ফুটবলে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তাঁর অকাল মৃত্যু নারী ফুটবলে এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের নারী ফুটবলের উন্নয়নে তার যে অনবদ্য অবদান তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ভুটানে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন রাজিয়া খাতুন ।
#
আরিফ/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬২১
ন্যায্যতাভিত্তিক উন্নয়নই সরকারের লক্ষ্য
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
জেনেভা, সুইজারল্যান্ড, ১৪ মার্চ:
শ্রমজীবী মানুষের জন্য ন্যায্যতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী গতকাল বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩৫০তম গভর্নিং বডি’র অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমগ্র জীবনের কর্ম ও দর্শন জুড়ে ছিল সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে ধারণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার কেন্দ্রে রয়েছে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা। সামাজিক ন্যায়বিচারকে উপজীব্য করে এক নতুন বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে এ ধারণার যথাযথ প্রতিফলন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করে মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন বিশ্বব্যবস্থার ধারণাকে বিশ্ব কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে যথাযথভাবে তুলে ধরতে কাজ করবে আইএলও।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব সামাজিক সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মূলনীতিগুলো বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক সংস্থাসমূহে জোরালোভাবে তুলে ধরতে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে অধিবেশনে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ১২ মার্চ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর সাথে আইনমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সরকার কর্তৃক গৃহীত আইনি সংস্কারসহ নানাবিধ পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি শ্রমক্ষেত্রের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করার অনুরোধ জানান।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়, অধীনস্থ অন্যান্য দপ্তর ও স্থায়ী মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফেরদৌস/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬২০
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
ময়মনসিংহ, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ এর আওতায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ সভা আজ বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, ময়মনসিংহ এর আয়োজনে জেলা পরিষদ এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) পরিকল্পনা, গবেষণা ও উন্নয়ন এ কে এম আব্দুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ড. মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক নিলুফা আক্তারসহ বিভিন্ন কার্যালয়ের দপ্তর প্রধানগণ, উপজেলা পর্যায়ের অফিসারবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ।
স্বাগত বক্তব্যে বিভাগীয় পরিচালক বলেন, অংশীজনের অংশগ্রহণে এ সভার অন্যতম কারণ হচ্ছে সেবাসমূহ অবহিতকরণ করা। যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি দপ্তরে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সেবাসমূহের ব্যাপারে জানতে পারবেন এবং একইসাথে সেবাসমূহ ভোগ করতে পারবে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বোর্ডকে একটি দক্ষ, যুগোপযোগী ও তথ্য-প্রযুক্তিসমৃদ্ধ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। যাতে বিভিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের অসামরিক কাজে নিয়োজিত বোর্ডের অধিক্ষেত্রে সকল কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের কল্যাণ সাধনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা যায়।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ চিকিৎসা অনুদান, মাসিক কল্যাণ অনুদান, যৌথবীমার এককালীন অনুদান, দাফন/অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার অনুদান, জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের সুস্পষ্ট ধারণা সকল দপ্তর এবং উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের জানানো।
এ সময় তিনি জানান, বর্তমানে যৌথবীমার এককালীন অনুদান ২ লাখ টাকা প্রদান করা হলেও ইতোমধ্যে এই অনুদানটি ৪ লাখ টাকা করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। সাধারণ চিকিৎসা অনুদানের ক্ষেত্রে প্রতিবছর একবার সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান দেয়া হয়। যা কর্মচারী নিজের জন্য আজীবন এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মচারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত এ অনুদান প্রদান করা হয়।
অক্ষমজনিত কারণে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে নিজে এবং কর্মরত/অবসর অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর ক্ষেত্রে তার পরিবারকে কর্মচারীর বয়স ৬৯ বছর বা অনূর্ধ্ব ১৫ বছর পর্যন্ত যেটি কম হয় তার ভিত্তিতে প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা করে কল্যাণ ভাতা কেন্দ্রীয়ভাবে ইএফটির মাধ্যমে প্রদান করা হয়। কর্মরত ও পিআরএল ভোগরত কর্মচারী শুধু নিজের জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা ব্যয় বাবদ সমগ্র চাকুরি জীবনে এক বা একাধিকবার সর্বোচ্চ ২ ণাখ টাকা অনুদান পেতে পারেন। এ অনুদান শুধু বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ঢাকা হতে প্রদান করা হয়। এ সময় তিনি সেবাসমূহের সুবিধা ভোগ করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের আত্মবিশ্বাস ও সততার মাধ্যমে আবেদন করার আহ্বান জানান।
#
রেজভী/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬১৯
সর্বজনীন পেনশন নিবন্ধন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে
নীলফামারীতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রংপুর, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
সর্বজনীন পেনশন নিবন্ধন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে নীলফামারী জেলাপ্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ নীলফামারী জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলাপ্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) ফারুক-আল-মাসুদ। সভায় উত্তরা ইপিজেডের কর্মকর্তা এবং ইপিজেডের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নীলফামারীর জেলাপ্রশাসক বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। পেনশন স্কিমে প্রত্যেক পেনশনারকে ইউনিক নম্বর প্রদান করা হয়। এই নম্বর দিয়ে পেনশনার যেকোনো সময় তাঁর অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। তাই পেনশন স্কিমে জমাকৃত অর্থ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। জেলাপ্রশাসক সর্বজনীন পেনশন নিবন্ধন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভার শুরুতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিভিন্ন দিক নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
#
মামুন/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬১৮
রংপুর জেলায় জটিল রোগে আক্রান্তদের মাঝে ১২ কোটি টাকার চিকিৎসা সহায়তা প্রদান
রংপুর, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
গত ১০ বছরে রংপুর জেলায় বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের মাঝে ১২ কোটি ২৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সমাজসেবা অধিদফতর রংপুর জেলার ২ হাজার ৬৪৭ জন রোগীর মাঝে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
সমাজসেবা অধিদফতর ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত গরিব রোগীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। এই কার্যক্রমের আওতায় ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত রংপুর জেলার ২ হাজার ৪১৬ জন রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১২ কোটি ৮ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত রংপুর জেলার ২৩১ জন নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
#
মামুন/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬১৭
খুলনায় জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
খুলনা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমির খুলনা জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
খুলনার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এছাড়া এই প্রতিযোগিতায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাও অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মহেশ্বর মন্ডল, জান্নাতুল ফেরদৌস, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সাদ্দাম হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক ফারজানা আহমেদ, খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক দেবাশীষ মন্ডল, শিশু একাডেমির আর্ট প্রশিক্ষক কাকন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৭ মার্চ সকাল সোয়া নয়টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
#
সুলতান/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬১৬
কলিং অ্যাপ ‘আলাপ’কে জনপ্রিয় করে তুলতে কার্যকর
পদক্ষেপ গ্রহণে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিটিসিএল এর কলিং সেবা অ্যাপ ‘আলাপ’কে গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এই লক্ষ্যে আলাপ’কে ২০ লাখ গ্রাহক একসাথে ভিডিও কল করার সক্ষমতা তৈরি, আইডি ছাড়াই মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে হোয়াটস অ্যাপস এর মতো সহজে অ্যাপসটি ডাউনলোড করার উপযোগী করা এবং বিদ্যমান ল্যান্ড ফোনের নাম্বার হিসেবে অ্যাপটিতে ইনকামিং ও আউটগোয়িং কল করা ও কল গ্রহণের সুবিধা নিশ্চিত করতে তিনি নির্দেশ দেন। এছাড়া তিনি চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে জাতীয় অগ্রগতির ক্রম তালিকায় সর্বোচ্চ স্থান অর্জনের করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভায় এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল, টেশিসসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার অব্যবহৃত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ এর ৪টি মূল পিলার ইতোমধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় তুলে ধরেছেন। স্তম্ভসমূহ হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
এই চারটি পিলার শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আগামী ৫ বছরে এই মন্ত্রণালয় কী করবে তিনটি ধাপে ভবিষ্যত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসি, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, টেলিটক এবং টেশিসসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা প্রধানগণ এবং বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৬১৫
অবকাশকালীন ছুটির পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের
আপীল বিভাগের মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম মনোনীত
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
অবকাশকালীন ছুটির পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে মনোনীত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পূর্ব অর্থাৎ আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত আপীল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ১৩ মার্চ বুধবার, ১৮ মার্চ সোমবার এবং ২০ মার্চ বুধবার দুপুর ২ঘটিকা হতে আপীল বিভাগের চেম্বার কোর্টে মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য শুনানি গ্রহণ করবেন।
প্রধান বিচারপতি গত ২০ মার্চ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে বিচার কার্যে মনোনীত করেন।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপীল বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
&nb