তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৮
আমদানি স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত পণ্যের ছাড়পত্র প্রদান করছে বিএসটিআই
ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে):
করোনা পরিস্থিতিতে আমদানি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পণ্যের মান প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)। পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহ, জমাদান, ছাড়পত্র প্রদান, পরীক্ষণ প্রতিবেদন প্রদান, নতুন সনদের জন্য আবেদন গ্রহণের কাজ স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বিএসটিআই। বিশেষ করে, আমদানিকৃত পণ্যের ছাড়পত্র প্রদানের কাজ চলছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্রুতগতিতে। আমদানি স্বাভাবিক রাখা এবং বন্দরে কনটেইনার জট কাটাতে সর্বোচ্চ কম সময়ে বিএসটিআই আমদানিকৃত বাধ্যতামূলক পণ্যসমূহের অনুকূলে ছাড়পত্র প্রদান করছে।
আমদানি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বন্দর এলাকায় অবস্থিত বিএসটিআইয়ের অফিসসমূহ শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিনের প্রতিদিন বন্দরে ছাড়পত্রের আবেদনকৃত পণ্যের নমুনা সংগ্রহসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিক কাজ সম্পাদন করে থাকে। এরপর ল্যাবরেটরিতে উক্ত পণ্য পরীক্ষার মাধ্যমে বিল প্রদানের পরে দ্রুততম সময়ে ছাড়পত্র প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমদানিকৃত পণ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিটিজেন চার্টার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম সময়ে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
গত ২৬-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিএসটিআইয়ে ১৪১টি নমুনা জমা পড়েছে। ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম অফিসে ৫৯টি নমুনা জমা পড়েছে এবং এই সময়ে উক্ত অফিস থেকে ১৬টি পণ্যের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এই সময়ে আমদানিকৃত পণ্যের যে সকল নমুনা বিএসটিআইয়ে জমা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মিল্ক পাউডার, ইনফ্যান্ট ফর্মুলা, চিনি, ফ্রুট জুস, ফ্রুট কর্ডিয়াল, বাটার, বিস্কুট, সানফ্লাওয়ার অয়েল, চকলেট, লজেন্স, ইনস্ট্যান্ট নুডুলস, সফট ড্রিংকস পাউডার, ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট, স্কিন ক্রিম, শ্যাম্পু, সিরামিক টাইলস, স্যানিটারি ওয়্যার অ্যাপ্লায়েন্স, সিরামিক টেবিল ওয়্যার ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, পণ্যের ছাড়পত্র এবং মান সনদ প্রদানের পাশাপাশি দেশজুড়ে বিএসটিআই সার্ভিল্যান্স অভিযান জোরদার করেছে। পণ্যের গুণগতমান বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে দেশব্যাপী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে বিএসটিআই। পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তাসাধারণ যাতে মানসম্মত পণ্য পেতে পারে এবং অবৈধ ও নিম্নমানের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বাজারজাত রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খোলা বাজার/সুপার শপগুলোতে বিএসটিআই সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
#
মঈনুদ্দীন/মাসুম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/২০০০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৭
ঢাকায় প্রবেশে পোশাক শ্রমিকদের ফ্যাক্টরি আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে
-- কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর
ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে):
ঢাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে পোশাক শ্রমিকদের ফ্যাক্টরি আইডি কার্ড প্রদর্শনের নির্দেশনা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)।
আজ অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো শ্রমিকের কারখানার কাজের জন্য ঢাকায় আসার প্রয়োজন হলে তাকে ফ্যাক্টরি আইডি কার্ড সঙ্গে বহন করতে হবে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রদর্শন করতে হবে। অন্যথায় ঢাকার প্রবেশপথে, ঘাট ও স্থানসমূহে তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না।
#
আকতারুল/মাসুম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৯৫০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৬
জামিলুর রেজা ছিলেন প্রযুক্তি খাতের বটবৃক্ষ
-- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের জন্য প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ছিলেন বটবৃক্ষের মতো। এ খাতসম্পৃক্তরা তাকে আজীবন স্মরণ করবেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী স্মরণে বেসিস আয়োজিত স্মরণ সভায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বেসিস উপদেষ্টা আবদুল্লাহ হিল কাফি ও শেখ আবদুল আজিজ, প্রফেসর আবদুল মতিন পাটোয়ারি, সাবেক সচিব ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী এবং
ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রমুখ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত থেকে ড. জামিলুর রেজার জীবন ও কর্মের ওপর স্মৃতিচারণ করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে দেশে কম্পিউটার বিপ্লবে জেআরসি কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে জামিলুর রেজার অবদান তুলে ধরে বলেন, দেশের মানুষের কাছে কম্পিউটার সহজলভ্য করতে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মন্ত্রী এ সময়
ড. জামিলুর রেজার সাথে তাঁর বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী কার্যক্রমের স্মৃতিচারণ করেন।
#
শেফায়েত/মাসুম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৯৪৫ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৫
ভাইবার বটে লাইভ করোনা টেস্টের উদ্বোধন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে):
নাগরিকদের করোনার ঝুঁকি নির্ণয়ের জন্য ভাইবার বটে লাইভ করোনা টেস্ট চালু করেছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে https://vb.me/ict_bot_bangladesh2020_pr শীর্ষক ঠিকানার এ বটটির উদ্বোধন করেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ এবং এমসিসি’র সহায়তায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই সফটওয়্যারভিত্তিক ভাইবার বটের সাহায্যে যে কেউ তাঁর করোনা ঝুঁকির মাত্রা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। বটটি ব্যবহার করতে গেলে ব্যবহারকারীর অবশ্যই ভাইবার অ্যাপ ও ভাইবারে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। উল্লেখ্য, এ বট থেকে প্রাপ্ত ফলাফলকে অভিজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক স্বাস্থ্য পরামর্শ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে অবশ্যই ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনার বিষয়ে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ভাইবারের সিনিয়র ডিরেক্টর অনুভব নাইয়ার, এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ, এমসিসি লিঃ এর প্রধান নির্বাহী আশরাফ আবির এতে বক্তৃতা করেন।
#
শহিদুল/মাসুম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৯৪০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৭৪
কৃষি প্রণোদনা নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা
-- কৃষিমন্ত্রী
টাঙ্গাইল, ১৯ বৈশাখ (২ মে):
কৃষি প্রণোদনা নিয়ে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কৃষিখাতে ৫ হাজার কোটি টাকা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ প্রণোদনা ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর সাথে ৯ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সার্বিক কৃষিখাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার কৃষিঋণ ৯ শতাংশ সুদের স্থলে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আজ টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় ও বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে যে ফসল আছে তা যদি সঠিকভাবে ঘরে তোলা যায় তাহলে বাংলাদেশে আগামী ৭-৮ মাসের মধ্যে খাদ্যের কোনো ঘাটতি হবে না। বরং কিছু খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদন ধারা অব্যাহত রাখা এবং উৎপাদন বাড়াতে ভবিষ্যতের ফসলের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আউশের জন্য বীজ ও সার প্রভৃতি প্রণোদনা বিনামূল্যে সারা দেশে কৃষকের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। পাটবীজ ও তিলের বীজ দেয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির জন্যও প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যাতে বাংলাদেশে খাদ্য সংকট না হয়, বরং বিশ্বের খাদ্য সংকটেও যাতে বাংলাদেশ সহযোগিতা করতে পারে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, তানভীর হাসান ছোট মনির ও মোঃ ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আলমগীর, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রাজ্জাকসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/মাসুম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৯০০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৩
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (০২ মে):
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় গতকাল পর্যন্ত এক লাখ ২৩ হাজার ৮শত ৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৫৫২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭৯০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন-সহ এ পর্যন্ত এ রোগে ১৭৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৮২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
দেশে মোট ৩১টি প্রতিষ্ঠানে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। সর্বমোট ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯২টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে, তার মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৮টি এবং ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৭৬৪টি মজুত আছে।
সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে।
#
তাসমীন/মাসুম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৮০০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৭২
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে একদিনে ৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার মাছ বিক্রি
ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (০২ মে):
করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বিক্রির পাশাপাশি মাছ বিক্রিতেও ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেলা ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরসমূহের তত্ত্বাবধানে দেশের ৬৪ জেলায় আজ একদিনে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে খামারিরা ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ৭ শত ৩১ টাকা মূল্যের ৪ লাখ ২১ হাজার ২ শত ৫৮ কেজি মাছ বিক্রি করেছে।
একইদিন দেশের ৬৪টি জেলায় ৪১ কোটি ২১ লাখ ২১ হাজার ২ শত ৭২ টাকার দুধ, ডিম, পোল্ট্রি ও অন্যান্য প্রাণিজ পণ্য বিক্রি করেছে প্রান্তিক খামারিরা।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষি, খামারি এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি সুষম সরবরাহ ও বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সকল জেলা ও উপজেলায় কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। করোনার ফলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের আর্থিক ক্ষতি এবং ভোক্তাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
#
ইফতেখার/মাসুম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭৩০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৭১
হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনে এগিয়ে রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী
ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (০২ মে):
জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী। দেশে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন ধরনের অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরীতে দৈনিক এক হাজার দুই শত লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন চলছে। শিল্পনগরীতে অবস্থিত ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘টিম ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড’ প্রতিদিন ১০০ মিলি আকারের ১২ থেকে
১৫ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করছে। উৎপাদিত এ হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও সরবরাহ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি জীবনরক্ষাকারী বিভিন্ন প্রকারের ১০ হাজার প্যাকেট ওষুধ উৎপাদন করছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা ।
এছাড়া, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিল্পনগরীর আরো ৩টি প্রতিষ্ঠান ‘অশোকা ল্যাবরেটরি’, ‘হকস্ ফার্মা’ এবং ‘শাহী ল্যাবরেটরি’ সুনামের সাথে ইউনানী/আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদন করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান তিনটিতে সাধারণ জ্বর, সর্দি, হাঁপানিসহ জটিল ও কঠিন রোগের ওষুধ উৎপাদন কার্যক্রম চালু রয়েছে।
শিল্পনগরীতে উৎপাদনরত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৬টি খাদ্য ও খাদ্য সহায়ক উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে। এগুলোতে নিয়মিত চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, সেমাই, চানাচুর, বিস্কুট, কেক, পাউরুটি, সরিষার তেল, আইসক্রিম, বিশুদ্ধ খাবার পানি, গুঁড়া মরিচ, গুঁড়া হলুদ ইত্যাদি উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে ‘নোভা এশিয়া এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ’ নামে প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদিত খাদ্য পণ্যের শতভাগ আমেরিকা ও কানাডায় রপ্তানি করছে বলে জানান শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো: ওয়ায়েস কুরুনী ।
রাজশাহী বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর বায়েজীদ জানান, 'শিল্পনগরীর কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে শ্রমিকেরা পণ্য উৎপাদন করছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কারখানাগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সরকারের নির্দেশনায় কারখানাগুলোতে পণ্য উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ চেইন অব্যাহত রাখতে বিসিকের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে প্রায় ৯৭ একর জমির উপর রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয়। এতে তিন শত পঁচিশটি শিল্প প্লটের দুইশত চারটি শিল্প ইউনিট সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ শিল্পনগরীতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
#
জলিল/ওয়ালিদ/মহসীন/২০২০/১৪০০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৭০
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর উদ্যোগে দরিদ্র ও
অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (০২ মে):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি'র ব্যক্তিগত উদ্যোগে মৌলভীবাজারে তাঁর নির্বাচনী এলাকার দুই হাজার ছয়শত দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ শনিবার তাঁর নির্বাচনী এলাকা বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে চাল, ডাল ও আলুসহ এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উপলক্ষ্যে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিত্তবানদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ও পবিত্র রমজান মাস একই সাথে চলমান। ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এটাই সুযোগ। তিনি সরকারের পাশাপাশি নিজ নিজ ওয়ার্ড, গ্রাম ও ইউনিয়নের গরীব মানুষকে সাধ্যমতো সহায়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় বিত্তশালীদের প্রতি আহবান জানান। সবাইকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় অতি জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, ইতঃপূর্বে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি'র ব্যক্তিগত উদ্যোগে মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার তিন হাজারের অধিক অসহায় ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার উদ্দিন এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব কবিরুজ্জামান চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সমন্বয় করেন।
#
দীপংকর/ওয়ালিদ/মহসীন/২০২০/১৫৪০ ঘণ্টা/
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৬৯
ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সরকার
ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (০২ মে):
করোনা ভাইরাসের মত দুর্যোগে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সরকার। মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় চার কোটি মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে সরকার।
৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ০১ মে পর্যন্ত এক লক্ষ ২৪ হাজার মেট্রিক টন চাল ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে এবং বিতরণ করা হয়েছে ৯২ হাজার ৩৪১ মেট্রিক টন। বিতরণকৃত চালে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৯৩ লক্ষ ৩৮ হাজার এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ জন।
সারাদেশের ৬৪ জেলায় এ পর্যন্ত নগদ টাকা প্রায় ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে নগদ সাহায্য হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫২ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ৪১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৫১ লক্ষ ৭৭ হাজার এবং উপকারভোগী লোক সংখ্যা প্রায় দুই কোটি ৪২ লক্ষ জন।
শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ ১১ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৮ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা দুই লক্ষ ৬৩ হাজার এবং লোক সংখ্যা প্রায় পাঁচ লক্ষ ২৬ হাজার জন।
#
সেলিম/ওয়ালিদ/মহসীন/২০২০/১৩০০ ঘণ্টা