Handout Number : 2052
Shahriar Alam joins celebration of 50th anniversary of ASEAN
Dhaka, August 8:
State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam joined the celebration of 50 years of establishment of ASEAN, as chief guest, held today at the Royal Thai Embassy in Dhaka.
ASEAN Dhaka Committee, comprising of Embassy/High Commission of Myanmar, Thailand, Malaysia, Indonesia, Singapore, Vietnam, Brunei Darussalam and Philippines, organized the celebration. Ambassadors and High Commissioners along with officials of all 8 ASEAN countries in Dhaka were present during the celebration. Members of diplomatic corps in Dhaka also joined the celebration.
State Minister congratulated the governments and peoples of the ASEAN Countries on this joyous occasion. He hailed remarkable success achieved by the ASEAN in the last 50 years. He also noted contribution of the ASEAN in facilitating extraordinary economic development, peace and prosperity in the region. He mentioned Bangladesh shares a common agenda for peace, security and economic prosperity with the member countries of the ASEAN and wants to intensify political, trade, economic and cultural connectivity with the ASEAN. Referring to Bangladesh’s interest to institutionalize relations with ASEAN, he sought ASEAN member countries’ support in favour of Bangladesh’s initiative to become Sectoral Dialogue Partner of the ASEAN.
Nur Ashikin Mohd. Taib, High Commissioner of Malaysia in Dhaka, spoke on the occasion as the Chair of ASEAN Dhaka Committee. Embassies/High Commission of all eight ASEAN countries in Dhaka organized a 'Food Festival' as part of the celebration. Mr. Alam visited all the stalls and exchanged pleasantries with the respective country representatives. At the end, he tasted food displayed at different stalls.
#
Maruf/Mahmud/Sanjib /Salim/2017/2010 Hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৫১
ইকোনমিক জোনে স্থাপিত শিল্প কারখানায় দ্রুত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ইকোনমিক জোনে স্থাপিত শিল্প কারখানায় দ্রুত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। যত্রতত্র শিল্প কারখানা করার জন্যই লোড সমস্যা হচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ। সেবা নিয়ে সংস্থাগুলো জনগণের কাছে যাবে, জনগণকে সেবার জন্য আসতে হবে না।
তিনি আজ ঢাকায় ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি সান এর গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ‘জ্বালানি নিরাপত্তা এবং ভিশন ২০৪১’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। চীন ও কমে¦াডিয়া বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানি করতে চাচ্ছে। জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে নেপাল, ভূটান ও ভারতের সাথে আলোচনা এগিয়ে চলছে। ক্লিন ও গ্রিন এনার্জি সরবরাহে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বেইজ লোড, ইন্টারমিডিয়েট লোড ও পিক লোড এর জন্য আলাদাভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শহর ও শহরতলীতে সাবস্টেশন ও কেব্ল (তার) ভূগর্ভস্থ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সকল উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথেই পরিবেশকে সম্পৃক্ত রাখা হয়েছে। তিনি সকলকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী হতে শিল্প কারখানায় জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
ডেইলি সান পত্রিকার সম্পাদক এনামুল হকের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সম্পাদক শিহাবুর রহমানের এর সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মাঝে আরইবি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মইনউদ্দিন, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম, বিআইএফপিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ডিসিসিআইয়ের সহসভাপতি কামরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/মাহমুদ/শেফায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৫০
জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে বঙ্গমাতার ভুমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল
Ñচিফ হুইপ
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট ) :
চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেছেন- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আজীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে সাহস এবং অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। জাতির পিতার রাজনৈতিক সাফল্য এবং বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে বঙ্গমাতার ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তিনি আজ সংসদ ভবনের মেডিকেল সেন্টারের সামনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পার্লামেন্ট মেম্বার’স ক্লাবের সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
চিফ হুইপ বলেন, বঙ্গমাতার জীবনী নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি, এটা আমাদের ব্যর্থতা।
রক্তদান কর্মসূচিতে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুুুুুুুুুুুুুুুুুুুর রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে হুইপ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সরকার, জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুর ই আলম চৌধুরী, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সংসদ সদস্য রেজাউল করিম হীরা, বি এইচ হারুন, সলিম উদ্দিন তরফদার, স্বপন ভট্টাচার্যসহ সংসদ সচিবালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
#
নুরুল/অনসূয়া/নুসরাত/শহিদ/জসীম/শামীম/২০১৭/১৫০৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৯
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট ) :
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩১তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করার বিষয়ে অগ্রগতিসহ বিকেএসপির সার্বিক কার্যক্রম এবং ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক কমিটি অভ্ বাংলাদেশ-এর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কর্মসংস্থান ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৭ জন উদ্যোক্তা তৈরি করেছে এবং ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৭৩ জনকে ঋণপ্রদান করে স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কর্মসংস্থান ব্যাংক কর্তৃক আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত যুবক যুবতীদের মাঝে ৯৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
কর্মসংস্থান এবং আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক ও যুবতীরা যাতে সত্যিকার অর্থে ঋণ সহযোগিতা পায় সেজন্য প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট প্রদান করার পরপরই কর্মসংস্থান ব্যাংকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক কমিটি অভ্ বাংলাদেশ এর ওপর আন্তর্জাতিক প্যারা অলিম্পিক কমিটির যে স্থগিতাদেশ রয়েছে তা প্রত্যাহারের জন্য একাধিক কমিটি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) অনার্স এবং মাস্টার্স কোর্স আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু করার এবং বিষয় ও সিলেবাস নির্বাচনে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুসরন করার সুপারিশ করা হয় ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
মিজানুর/অনসূয়া/গিয়াস/শহিদ/শামীম/২০১৭/১৪৩৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৮
ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের প্রতিনিধিদলের জাতিসংঘ সদর দপ্তর ও বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শন
নিউইয়র্ক, ৮ আগস্ট ২০১৭ :
সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ সফলতার সাক্ষর রেখে চলেছেন"- ৬ আগস্ট বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে অংশগ্রহণকারী একটি প্রতিনিধিদল নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন পরিদর্শনকালে স্বাগত ভাষণে একথা বলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি আরো বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ একটি বিশ্বস্ত নাম। জাতিসংঘসহ পিস কিপিং অপারেশনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দেশ সবসময়ই বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারি দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করে আসছে যা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ মর্যাদার আসনে তুলে ধরছে’।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন প্রয়োজনীয় সকল কূটনীতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে মর্মে রাষ্ট্রদূত মাসুদ প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। তিনি আরো জানান এ ক্ষেত্রে আমরা ডিপার্টমেন্ট অভ্ পিস কিপিং অপারেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছি।
বাংলাদেশ মিশনে আসার আগে প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যান। তারা ডিপার্টমেন্ট অভ্ পিস কিপিং অপারেশনসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন করেন। চলতি ২০১৭ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে অংশগ্রহণকারী সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ২৫ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেজর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এনডিইউ, পিএসসি।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবেই প্রতিনিধিদল গত পহেলা আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে যান। প্রতিনিধিদলের মধ্যে নেপালের ১ জন এবং নাইজেরিয়ার ৩ জন উচ্চপদস্থ সামরিক অফিসার রয়েছেন।
#
অনসূয়া/গিয়াস/জসীম/শামীম/২০১৭/১৩১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৭
শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট ) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতৃবৃন্দের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর এবং মহাসচিব মো. সাহেদুল খবির চৌধুরী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
সাক্ষাৎকালে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা দূর করা এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা বলেন, অনেক শিক্ষক যথাসময়ে পদোন্নতি না পাওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং সামাজিকভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। তারা ব্যাচভিত্তিক এবং সিনিয়রিটির ভিত্তিতে পদোন্নতির দাবি জানান। তারা বলেন, অনেক কলেজ সরকারি হলেও দীর্ঘদিন পদসৃষ্টি হয় নাই। নতুন পদ সৃষ্টি করে জনবল ঘাটতি পূরণের আহবান জানান তারা। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রচলিত প্যাটার্ন মোতাবেক ১ হাজার ২০০ অধ্যাপকসহ ১২ হাজার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন আছে। এ বিষয়ে তারা শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন। শিক্ষামন্ত্রী ধৈর্য সহকারে তাদের বক্তব্য শোনেন এবং যথাসম্ভব সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিপুলসংখ্যক কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় কলেজগুলোতে শিক্ষকের পদ সংখ্যা বাড়েনি। প্রয়োজনের তুলনায় পদ সংখ্যা অনেক কম। তাই আরো শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা জরুরি। তিনি বলেন, শিক্ষকদের মর্যাদা-সম্মান ও ইজ্জত বাড়াতে চাই। তারা জাতি গঠনে কাজ করেন, তাই তাদের যথাযথ সম্মান-মর্যাদা দিতে হবে।
#
আফরাজুর/অনসূয়া/নুসরাত/গিয়াস/শামীম/২০১৭/১৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৫
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৮ আগস্ট জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার প্রেক্ষাপটে জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে সাশ্রয়ী ও সচেতন করে তুলতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০১৭’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
জ্বালানি উন্নয়নের পূর্বশর্ত। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করেছিলেন যে, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এ দূরদৃষ্টি থেকে তিনি ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বিদেশি কোম্পানি শেল অয়েল এর নিকট হতে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র ক্রয় করে দেশীয় কোম্পানির নিকট হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন। তাঁর এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় বিশাল অবদান রাখে। অধিকন্তু জাতীয় অর্থনীতির বিকাশে ইতিবাচক ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব রেখে চলছে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার এ অবিস্মরণীয় অবদানকে আমি বিন¤্র চিত্তে স্মরণ করছি।
দেশের প্রধান জ্বালানি সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাসের সুষ্ঠু ও পরিমিত ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পসমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব। রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে দেশের বিদ্যুৎ, শিল্প, বাণিজ্যসহ সকল খাতে নিরবচ্ছিন্ন প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) স্থাপন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনসহ অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহ গ্রহণ করেছে। এছাড়াও গ্যাসের চাহিদা ও যোগানের সমন্বয় সাধনের জন্য সরকার দেশের স্থলভাগে ও সমুদ্রাঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন, সঞ্চালন ও বিতরণে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানি অন্যতম উৎস। তবে তা অসীম নয়। অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রাকৃতিক গ্যাসসহ সকল প্রাথমিক জ্বালানির নিরাপদ, সাশ্রয়ী, ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং অপচয় রোধে সকলকে আরো যতœবান হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০১৭ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ আগস্ট জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের মতো এবারো ৯ই আগস্ট ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০১৭’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ৯ই আগস্ট ব্রিটিশ তেল কোম্পানি শেল অয়েল -এর কাছ থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় খাতে অন্তর্ভুক্ত করেন। ফলে দেশের সম্পদের ওপর জনগণের ব্যবহারের অধিকার নিশ্চিত হয়। এ গ্যাসক্ষেত্রগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেওয়ার পর থেকে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করছে।
আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিগত সাড়ে আট বছরে নতুন নতুন কূপ খননসহ গ্যাস সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে জানুয়ারিতে দৈনিক গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমানে ২ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। দেশের শিল্পায়ন দ্রুততর হচ্ছে।
আমাদের সময়ে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল ও রূপগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড সম্প্রসারণ এবং বিবিয়ানা-ধনুয়া গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। হবিগঞ্জের মুচাই এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কম্প্রেসর স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। গ্যাস নেটওয়ার্ক রাজশাহীতে সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
আমাদের সরকার এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের ঘাটতি পূরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস স্বল্প সময়ের মধ্যেই জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত গ্যাসের চাহিদার ওপর ভিত্তিকরে স্থল ও ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপদ, নিরবচ্ছিন্ন ও অপচয়রোধী জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্যে চট্টগ্রাম-ঢাকা ও জেট-১ ফুয়েল পাইপলাইন স্থাপন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০২১ সালের মধ্যে ১০৮টি গ্যাসকূপ খননের পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে।
আমরা বঙ্গোপসাগরের বিশাল সমুদ্র এলাকায় গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান এবং উৎপাদন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ‘ব্লু-ইকোনমি সেল’ গঠন, সমুদ্রাঞ্চলে গ্যাসসহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য দেশে এবারই প্রথম একটি ‘মাল্টিরোল অবশোর সার্ভে অ্যান্ড রিসার্চ ভেসেল’ ক্রয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসসহ সকল জ্বালানির অপচয় রোধ করে এর যথাযথ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে অবদান রাখতে আমি সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০১৭ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু