তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৮
শেষ হলো জাতীয় ভূমি সম্মেলন
ঢাকা, ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) :
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘স্মার্ট ভূমি সেবায় আপনাকে স্বাগতম’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীতে শুরু হওয়া ২৯ থেকে ৩১ মার্চ তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন আজ রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে শেষ হয়েছে।
২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জাতীয় ভূমি সম্মেলন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৭টি নতুন উদ্যোগ উদ্বোধন করেন। ৭টি উদ্যোগ হচ্ছে: জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্থাপন করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স, রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ, স্মার্ট ভূমি নকশা, স্মার্ট ভূমি রেকর্ডস, স্মার্ট ভূমি পিডিয়া, স্মার্ট ভূমিসেবা কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
এছাড়া, তিন দিনে মোট চারটি প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ভূমি সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনায় মাঠ প্রশাসন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
‘সায়রাত, খাসজমি ও জনবান্ধব ভূমিসেবা’ শীর্ষক দ্বিতীয় দিনের প্যানেল ডিসকাশনে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন এবং ‘অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা, সরকারি মামলা’ ও ‘সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক অপর প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তৃতীয়দিন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। শেষ তিনটি প্যানেল আলোচনা রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল আলোচনায় অতিথিরা তাঁদের সেক্টর ও বিষয় সংশ্লিষ্ট বক্তব্য রাখেন। অংশগ্রহণকারীদের মিথষ্ক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত প্যানেল আলোচনাগুলো খুবই প্রাণবন্ত ছিল। স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ভূমি অফিসাররা প্যানেল আলোচনায় বিশেষ অতিথিদের কাছে প্রশ্ন করেন এবং মতামত ব্যক্ত করেন। সম্মেলনের সমাপনী সেশনে জাতীয় ভূমি সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরা এবং ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জসমূহ খুঁজে বের করে তা মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ করতে জাতীয় ভূমি সম্মেলনের আয়োজন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। জাতীয় ভূমি সম্মেলনের অন্যান্য লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে নাগরিক, সরকারি সংস্থা, অংশীজনদের অবহিত করানো, ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ভূমি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে ধারণা দেয়া। উল্লেখ্য, প্যানেল আলোচনা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
#
নাহিয়ান/রাহাত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২৩/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৭
আগে আন্দোলন ছিলো ডাল-ভাতের জন্য, এখন দাবি মাছ-মাংসের দাম কমানোর
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘দেশ এখন বদলে গেছে, মানুষের ভাগ্যও পরিবর্তন হয়েছে। গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। আগে মানুষ আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য। আর এখন মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হওয়ায় মাছ-মাংসের দাম কমানোর জন্য দাবি তোলে।’
আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এম শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত চার ইউনিয়নের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘দেশের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়েছে তা সবার কাছে বলতে হবে। যারা শুধু ভোট আসলে লাফালাফি করে, লুকিয়ে লুকিয়ে শহরে গিয়ে খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দেয়, তারা যে সড়ক কিংবা ব্রিজের উপর দিয়ে যায় সেটিও আওয়ামী লীগের করা। করোনাসহ কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাদের পাওয়া যায়নি, তাদের বয়কট করে আগামীতেও সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।’
দলের সাংগঠনিক বিষয়ে দৃক্পাত করে মন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। গ্রামে-গঞ্জে-মহল্লায় আমাদের দলকে এই নেতারাই ধরে রেখেছেন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাঙ্গুনিয়াসহ সারা দেশে সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের দাবিদার তৃণমূলের নেতারাও। দলের সুনাম বজায় রাখতে আমাদের দলের নাম বিক্রি করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাদের ছাড় দেয়া হবে না, প্রকাশ্যে শায়েস্তা করতে হবে।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং এমরুল করিম রাশেদ ও মাহমুদুল হাসান বাদশার যৌথ সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/রাহাত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২৩/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৬
দেশের সমৃদ্ধি যাদের পছন্দ হয় না, তারাই বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালায়
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, অব্যাহতভাবে দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, দরিদ্রতা কমছে, দেশের সমৃদ্ধির সাথে প্রতিটি মানুষের সমৃদ্ধি এবং স্বচ্ছলতা এসেছে, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেকের পছন্দ হয় না।
মন্ত্রী বলেন, ‘সেজন্য দেখা যায়, কিছু কিছু পত্রিকায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নেগেটিভ রিপোর্ট করা হয়। বিদেশ থেকে চিহ্নিত ব্যক্তিবিশেষ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু এতে বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখা যায়নি।’
আজ চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসায় সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্য জগতের প্রসিদ্ধ মার্কিন গণমাধ্যম সংস্থা ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে করোনা মহামারি এবং বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি যেভাবে অব্যাহত আছে, পৃথিবীর বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এটির প্রশংসা করছে। সম্প্রতি ব্লুমবার্গ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেখানে তারা বলেছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং করোনার মধ্যেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষমতার কারণে আগামী নির্বাচনেও জননেত্রী শেখ হাসিনার জয়লাভের সম্ভাবনা এবং তিনি চতুর্থ মেয়াদের মতো নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গত পরশুদিন আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন আমাদের দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ছিল ৪১ শতাংশ, কিছুদিন আগে সেটা কমে ২০ শতাংশে নেমেছিল। এই করোনা মহামারি এবং বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও এখন সেটি কমে ১৬ শতাংশে দাড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দরিদ্রতা ১৭ শতাংশ।’
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) রিপোর্ট উদ্ধৃত করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, এই করোনা মহামারির মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে এবং ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি তখন আমাদের অর্থনীতির আকার ছিল পৃথিবীর ৬০তম, এখন আমরা জিডিপিতে পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। গত ১৪ বছরে আমরা ২৫টি দেশকে অতিক্রম করেছি। সেই ২৫টি দেশের মধ্যে মালয়েশিয়াও আছে। আর পিপিপিতে আমরা পৃথিবীর ৩১তম অর্থনীতি।
ড. হাছান মাহ্মুদ উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আজকে বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যে যেখানে যুক্তরাজ্য এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পণ্যের সংকট হয়েছে, আমাদের দেশে কোনো পণ্যের সংকট হয়নি। ইউরোপের সুপার মার্কেটে একসাথে এক লিটারের বেশি ভোজ্য তেল, ছয়টার বেশি ডিম কিনতে দেয়া হয় না, কারণ সেখানে পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের দেশে পণ্যের মূল্য বেড়েছে, কিন্তু পণ্যের সংকট তৈরি হয়নি। এখানেই তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য।’
‘দোষটা তাদের, যারা কূটনীতিকদেরকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য অনুনয় করে’
দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের গ্রেপ্তার বিষয়ে আমেরিকাসহ ১২টি দেশ বিবৃতি দিয়েছে, এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘১২টি দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। ভারতের দিকে তাকানোর অনুরোধ
করে তিনি বলেন, সেখানে কয়েকদিন ধরে বিবিসির কার্যালয়ে তল্লাশি করা হয়েছে, সেখানে কি এ ধরনের বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রকাশ, বিবৃতি দেওয়া হয়েছে? দেয়া হয়নি। কারণ ভারত বড় দেশ, ভারতের শক্তি সামর্থ্য বেশি, সেজন্য সেখানে সেই সাহস দেখাতে পারেনি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে কূটনীতিকদেরকে আচরণ সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। আমরা বাজেটের জন্য ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াই না। বরং আমাদেরকে সাহায্য দেওয়ার জন্য তারাই এখন অর্থের ঝুলি নিয়ে আমাদের কাছে আসে। আমাদেরকে খাটো করার সময় চলে গেছে।’
বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে ইফতারে বিএনপির মহাসচিব দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাদের সহায়তা কামনা করেছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমরা তো প্রথম থেকেই বলে আসছি তারা জনগণের কাছে যায় না, তারা বিদেশি কূটনীতিকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে পদলেহন করে। আমি আশা করেছিলাম তারা দুস্থ মানুষের সাথে ইফতার করবে, সেটি না করে ফাইভ স্টার হোটেলে বসে কূটনীতিকদের সাথে ইফতার করেছে। সেখানে গিয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য অনুনয় বিনয় করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে দোষটা কূটনীতিকদের চেয়েও আমাদের অনেকের অনেক বেশি, কারণ আমরা গিয়ে তাদের হাতে পায়ে ধরি একটু কিছু বলার জন্য, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য। এটি আসলে দেশবিরোধী এবং দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শামিল।’
গণমাধ্যম স্বাধীন আছে, অপসাংবাদিকতা কেউ সমর্থন করে না : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী সাংবাদিকদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করবে না বলার পর কিছু বড় পত্রিকায় ব্যানার হেডিং দিয়েছিল ‘পদ্মা সেতু আর হচ্ছে না’। কিন্তু বাংলাদেশে পদ্মা সেতু হয়েছে নিজেদের টাকায়। সে জন্য দেশের এসব বিষয়ে সাংবাদিক বন্ধুদের সতর্ক থাকতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানুষকে সঠিক তথ্য পেতে এবং সঠিক চিন্তা করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। একইসাথে মানুষকে বিশ্বপরিস্থিতিও জানাতে সহায়তা করে।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং তা অব্যাহত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতার নামে যদি আমরা কেউ অপসাংবাদিকতা করি তাহলে দেশের আপামর জনগণ এবং সাংবাদিক সমাজ নিশ্চয় সেটিকে সমর্থন করে না। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে, সাংবাদিকতার নামে রাজনীতি করা- সেটি যে সমীচীন নয় সে বিষয়েও নিশ্চয়ই আপনারা আমার সাথে একমত হবেন।’
এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সফর আলী উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/আরমান/রাহাত/রফিকুল/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/২০০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ সময় ৭২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৫ হাজার ৫৪৬ জন।
#
সুলতানা/আরমান/রফিকুল/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/১৭৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অর্থনীতির আঙিনায় অসীম সাহস ও দূরদর্শিতার প্রতীক
-- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
বরিশাল, ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান ও অগ্রযাত্রা সারা বিশ্বে এখন স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অর্থনীতির আঙিনায় অসীম সাহস ও দূরদর্শিতার প্রতীক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার নলচিড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে ইফতারপূর্ব এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি অর্জন করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নতুন প্রজন্মসহ দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ৪র্থ শিল্পবিপ্লব কাজে লাগাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে খাপ খাওয়াতে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা-মামলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ চাঞ্চল্যকর অন্যান্য মামলার রায় প্রদানের মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন, শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও প্রগতির ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশবিরোধী চক্র দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি এসব ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সংগঠনের কার্যক্রম আরো গণমুখী ও বরিশালবাসীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে দলীয় নেতা কর্মীদেরকে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।
#
আহসান/রাহাত/রফিকুল/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/২০১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৩
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ঢাকা, ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) :
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এনরিক এ. মানালো বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ড. মোমেনের কাছে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে এনরিক মানালো বলেন, উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে এবং আমাদের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সবধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা আরো জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে ফিলিপাইন।
#
মোহসিন/আরমান/রফিকুল/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৫৫৩ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২২
স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমকে অপবিত্র করবেন না: মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতিকর্মীরা
ঢাকা, ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) :
‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু এবং গণমাধ্যমকে অপবিত্র, অসম্মান করবেন না, দেশের মানুষ তা রুখে দেবে’ বলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতিকর্মীরা।
আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘স্বাধীনতা দিবসে শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে তার নামে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে ‘দৈনিক প্রথম আলোর দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন’ শীর্ষক সমাবেশে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম বলেন, ‘সাংবাদিকতার সাথে রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করবেন না, মানুষকে অসত্য তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকেও অপবিত্র করবেন না। ভালো হবে না। আমাদের মৌলিক বিষয়ের ওপর আঁচড় দিলে সহ্য করা হবে না। প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো আবার মুখে বাঁশি নেব, কোটি কোটি দেশপ্রেমিক মানুষ স্বাধীনতার সম্মান রাখতে, গণমাধ্যমকে পবিত্র রাখতে ছুটে আসবে।’
এ সময় উপস্থিত দেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেল এবং সংবাদপত্র ও অনলাইন মাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা চক্রান্তকারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হবেন না। সাংবাদিকতা পবিত্র পেশা, মিথ্যা নয় ঠিক সংবাদ পরিবেশন করুন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না।’
একুশে পদকে ভূষিত স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রথম আলো পত্রিকার দায়ীদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা সমাজের সবার পক্ষ থেকে এই দেশবিরোধী মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ডা. অরূপ রতন চৌধুরী তার বক্তৃতায় বলেন, ‘জাতিকে হেয় এবং বিভ্রান্তকারী হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সম্মান বজায় রাখতে সাংবাদিকতার নামে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী চক্রান্ত সাংবাদিকরাও মেনে নেবে না, কোনো মানুষই মেনে নেবে না। আইন অনুযায়ীই এ ধরনের অপরাধের বিচার হবে।’
স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় পরিষদ সভাপতি জিন্নাত আলী জিন্না, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, সৌদি আরব আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আনিসুর রহমান, অভিনয় শিল্পী তানভীন সুইটি, দোলাসহ সংগঠনের সদস্যদের সাথে মুক্তিযোদ্ধারাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষক, ছাত্ররা মানববন্ধনে স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার সম্মান বজায় রাখা ও অপসাংবাদিকতার দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে যোগ দেন।
#
আকরাম/আরমান/রফিকুল/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/১৭৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২১
গ্রামে-গঞ্জে মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে
-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম), ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজকে দেশ বদলে গেছে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ সরকারের নানা সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগী। গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। শুধু মূল সড়ক নয়, এখন মানুষের বাড়িতে যাবার রাস্তাও পাকা হয়েছে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে-মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এ সব উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।
গতকাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের নেতারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ, দলের রক্ত সঞ্চালন করেন আপনারাই। গ্রামে-গঞ্জে-মহল্লায় আমাদের দলকে আপনারাই ধরে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আপনাদের মাধ্যমেই আজকে যুগ যুগ ধরে দল টিকে আছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৪ বছরে রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৯ সালে যখন আমি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই তখন আমার বাড়িতেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। আজকে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে সারাদিন লেগে যেত, এখন এক ঘন্টায় যাতায়াত করা যায়। আগে যারা রাঙ্গুনিয়া থেকে ভোট নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা এ সব উন্নয়ন করেননি। তিনি বলেন, সরকার এবং দলের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় দৌড়াতে হয় আমাকে, তারপরও নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় প্রতি সপ্তাহে আসি, শুধু রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের জন্য।'
তিনি আরো বলেন, 'রাঙ্গুনিয়ার এমন একটি স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসা নেই যেটাতে নতুন বিল্ডিং হয়নি। এমন কোনো মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা নেই যেটি কয়েক দফা উন্নয়ন বরাদ্দ পায়নি। সারাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে সবগুলো সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারণে। করোনাকালে বর্তমান সরকার বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছে, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে। আমার পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পৌনে দুই কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছি রাঙ্গুনিয়ায়।'
নির্বাচন সন্নিকটে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা-বন্যাসহ কোনো দুর্যোগে বিএনপিকে দেখা যায়নি, তারা কারো দরজায় একমুঠো চাল নিয়ে যায়নি। কিন্তু ভোট আসলে শীতের পাখির মতো ধান খেতে আবার তাদের এলাকায় দেখা যাবে। কিন্তু সরকার এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা ঠিকভাবে তুলে ধরলে আগামী নির্বাচনে মানুষ নৌকা মার্কা ছাড়া অন্যখানে ভোট দেবে না। বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হবে ইনশাল্লাহ।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ নেতা এমরুল করিম রাশেদ ও মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতী, শাহজাহান সিকদার, মোহাম্মদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর প্রমুখ।
#
আকরাম/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/শামীম/২০২৩/১১১০ ঘণ্টা