তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৬৩
যে দল নিজেদের অফিসের তালা খোলার মানুষ খুঁজে পায় না, তারা কী আন্দোলন করবে
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বিএনপি বলেছিল তাদের জোটের সঙ্গীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সঙ্গীরাই তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। গতকাল জেনারেল ইব্রাহীমের নেতৃত্বে কয়েকটা দল তাদের জোট থেকে বের হয়ে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নয়াপল্টনের অফিসে তালা সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ লাগায়নি, নিজেদের লাগানো তালা নিজেরাই খোলার জন্য একজন মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না। যে দল নিজেদের অফিসের তালা খোলার জন্য একজন মানুষ পর্যন্ত খুঁজে পায় না, তারা আবার কী আন্দোলন করবে।’
আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাঙ্গুনিয়ার এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক এম ইসকান্দর মিয়া তালুকদার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসরাইলিরা ১৪ হাজার মানুষ মেরে ফেলেছে, তার মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার শিশু এবং নারী। ইসরাইলিদের যারা মদদ দেয় তারা রাগ করবে বলে বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি, একটি অক্ষর কথাও বলেনি। তাদের ওপর আল্লাহর আরশের গজব নাজিল হয়েছে।
‘অথচ গাজায় শিশু ও নারীদের হত্যার বিরুদ্ধে তেলআবিবে স্বয়ং ইহুদীরাই প্রতিবাদ জানিয়েছে, মিছিল করেছে’ উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন, আমি প্রতিদিন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।’
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অনেক অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে সেটি অভাবনীয়। বিএনপি এখন ইঁদুরের ন্যায় গর্তে ঢুকে গেছে। গর্ত থেকে উপরের দিকে উঁকি দিয়ে ক’দিন পরপর কর্মসূচি দেয় এবং তাদের কর্মসূচি কী? গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো এবং স্কুলের মধ্যে আগুন দেয়া। তাই তাদের সাথে এখন আর মানুষ নেই।’
মন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশে অভুতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানির নিচ দিয়ে এভাবে টানেল নেই, কক্সবাজারেও ট্রেন গেছে। আজ থেকে একশত তেত্রিশ বছর আগে কক্সবাজারে ট্রেন নেওয়ার জন্য সমীক্ষা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেটি বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এম হারুণ উর রশিদ উদ্বোধক ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রধান বক্তা হিসেবে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার এবং স্থানীয় মৎস্যজীবী লীগ নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৬২
দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও ইন্টারনেট সংযুক্তির আওতার বাইরে থাকবে না
-- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য দেশের প্রতিটি মানুষকে ইন্টারনেট সংযুক্তির আওতায় আনতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় উন্নত বিশ্বের সমান্তরালে আমরা চতুর্থ বা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণের সক্ষমতা অর্জন করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট সংযুক্তি অপরিহার্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযুক্তির আওতার বাইরে থাকবে না।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম আয়োজিত বাংলাদেশের সকল মানুষকে ক্ষমতায়িত করতে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক অধিবেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য টেলিযোগাযোগ প্রযু্ক্তি খাতে উদ্ভাবন ও গবেষণার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, আমাদের বড় সমস্যার নাম ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানব সম্পদ। টেলিযোগাযোগ খাতে আরএন্ডডিতে যথাযথ বিনিয়োগ করতে পারলে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে।
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টু-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করেন। তার হাত ধরেই ২০১৩ সালে থ্রি-জি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এদেশের মানুষ সহজেই প্রযুক্তি আয়ত্তে আনতে সক্ষম। এ প্রসংগে তিনি সীসার হরফের পরিবর্তে ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলা প্রবর্তনের পর দৈনিক পত্রিকাসহ প্রকাশনা শিল্পে কর্মরত সীসার হরফে কম্পোজিটের কাজে কর্মরতদের চাকরি হারানোর আশংকা সৃষ্টি হলে তিনি কম্পোজিটরদের তোপের মুখে পড়েন এবং তার বিরুদ্ধে স্লোগান- আন্দোলন শুরু হয় উল্লেখ করে তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে তাদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে তাদের ডিজিটাল প্রকাশনার কারিগর হিসেবে তৈরি করার পর তাদের প্রিয়ভাজনে পরিণত হন এবং তাদের হাতেই ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলা প্রকাশনা জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হয় বলে জানান ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার এই উদ্ভাবক।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালাম, এমটব এর জেনারেল সেক্রেটারি লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার, সাংবাদিক রাশেদ মেহেদী এবং বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু বক্তৃতা করেন।
ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানব সম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে অনুষ্ঠানে বক্তারা ইন্টারনেট বিকাশে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি এবং সহজলভ্য করার বিষয়ে করণীয় বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
#
শেফায়েত/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৬১
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার
--- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধের জন্য বর্তমান সরকার অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নিচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রোধকল্পে বর্তমান সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনের যথাযথ ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো আপসের সুযোগ নেই। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে এমন মানহীন অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য ঔষধ যারা তৈরি করবে, ব্যবহার করবে বা এটি নিয়ে যারা ব্যবসা করবে তাদের বিশেষ আদালতে বিচার করা হবে। এজন্য সরকার বিশেষ আইন ও বিশেষ কোর্টের ব্যবস্থা করেছে। এভাবেই সরকার অ্যান্টবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরপরও কিছু ফার্মেসিতে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা হচ্ছে, কিছু চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার করছেন। আইনানুগভাবে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধই শুধু না মানবস্বাস্থ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য যা কিছু ক্ষতিকর সেটি নিয়ে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ওয়ান হেলথ ধারণা সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। বর্তমান সরকার ওয়ান হেলথ ধারণা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার সমন্বিতভাবে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে কাজ করছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে কোনো শৈথিল্য বা গাফিলতি সরকার মেনে নিচ্ছে না। এ বিষয়ে তিনি আরো যোগ করেন, মানুষের সুস্বাস্থ্য, নিরাপদ খাবার এবং জীবনমান উন্নত করার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা, ঔষধের যথাযথ ব্যবহার, গুণগত মানের ঔষধ তৈরি এবং এটি তৈরিতে নজরদারির ক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের সবাইকে স্ব স্ব জায়গা থেকে সচেতন থাকতে হবে, দায়িত্বশীল হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, একসময় মানসম্পন্ন ঔষধ উৎপাদন না করার কারণে সরকার বিপুল সংখ্যক ঔষধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে। ঔষধে ভেজাল দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে তৈরি হওয়া অনেক ঔষধ গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। তাই ঔষধের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য সরকার নজরদারি করছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোঃ এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআর’র পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন, বাংলাদেশে এফএও-একটাড’র কান্ট্রি লিড এরিক ব্রাম, এফএও-একটাড’র জ্যেষ্ঠ কারিগরি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার কনসালটেন্ট নূর ই আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি গ্র্যান্ট’র টিম লিড ডা. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
#
ইফতেখার/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৬০
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। এ সময় ৫৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৭৪৩ জন।
#
সুলতানা/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৭১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫৯
নির্বাচন কমিশনের জনবল নিয়োগ/পদোন্নতির কার্যক্রম সম্পন্ন
যোগদান আগামী ২৬ নভেম্বর
ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে বিপুল সংখ্যক জনবল নিয়োগ/পদোন্নতি প্রদানের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ৪র্থ গ্রেডে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পদে ৯ জন, ৫ম গ্রেডে উপসচিব/সমমানের পদে ১১ জন, ৬ষ্ঠ গ্রেডে সিনিয়র সহকারী সচিব/সমমানের পদে ১৩ জন, ২য় শ্রেণি হতে ১ম শ্রেণির সহকারী পরিচালক/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/নির্বাচন কর্মকর্তা পদে ২৩ জন, ৩য় শ্রেণি হতে ২য় শ্রেণির সহকারী উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে ১৬১ জন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ২ জন এবং ১৮ থেকে ১৬ তম গ্রেডে ৫০ জনকে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।
৩য় শ্রেণির ১১টি পদে কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান সহকারী, হিসাব সহকারী, স্টোর কিপার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, গাড়িচালক, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রভৃতি পদে রাজস্ব খাতে মোট ৪১৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন কার্যালয়ের শূন্য পদ পূরণে ৪০ তম বিসিএস এর নন-ক্যাডার হতে ১ম শ্রেণির পদে ৯০ জন এবং ২য় শ্রেণির সহকারী উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা/সমমানের পদে ৩১৩ জনকে নিয়োগ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭২৮টি আবেদন জমা পড়েছিল। এমসিকিউ, লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ৪১৪ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্লিখিত সংখ্যক কর্মচারীগণ আগামী ২৬ নভেম্বরে যোগদান করবেন।
#
শরিফুল/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৬১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫৮
বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন : সাংবাদিকদের প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আন্দোলনের নামে গুহা থেকে বের হয়ে অনলাইনে চেহারা দেখিয়ে বিএনপির কর্মসূচির নামে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো, আগুন সন্ত্রাস চালানো, মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপের কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে দয়া করে আপনারা কলম ধরুন, কথা বলুন।
আজ রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের নামে ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে টানা-হেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে তাকে পেটানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি হচ্ছে বিএনপি বিটের সাংবাদিক। তাদেরকে তারা চেনে তারপরও মেরেছে। বাংলাদেশে একদিনে এতো সাংবাদিককে আহত করার ঘটনা আগে কখনো ঘটে নাই।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, শুধু তাই নয়, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন খুলনার হুমায়ুন কবীর বালু, মানিক সাহা, যশোরের সাইফুল ইসলাম মুকুল, শামসুর রহমানসহ ৭ বছরে ১৪ জন সাংবাদিককে শুধু খুলনা-যশোর এলাকাতেই হত্যা করেছে। সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি-জামাতের কেন জানি ক্ষোভ এবং তারা যখনই ক্ষমতায় ছিলো সাংবাদিকদের হত্যা করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল, জোটের সমর্থন নিয়ে তারা দুর্বার আন্দোলনের চেষ্টা করছে, নির্বাচনটাকে ঠেকিয়ে দেবে। অথচ যারা তাদের বাতাস দিয়েছিলো তাদেরও বাতাস ফুরিয়ে গেছে আর গতকালই তাদের ১২ দলীয় জোট থেকে ৩টি নিবন্ধিত দলসহ ৬টি দল বের হয়ে গেছে। জোটের শরিকরাও পালিয়ে যাচ্ছে আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে। আমার শংকা, যেভাবে তৃণমূল বিএনপি আগাচ্ছে তাতে বিএনপি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
বিএনপি অফিস তালাবদ্ধ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, এই তালা প্রশাসন দেয়নি, ওরাই তালা মেরে চলে গেছে। একটা তালা খোলার মানুষ নাই তাদের। একটা তালা খুলে ওখানে বসার সাহসটাও তারা হারিয়ে ফেলেছে, তারা কীভাবে রাজনীতি করে! আর বিএনপির পুলিশ আমাদের অফিসে তালা দিয়েছিলো, আমি ছিলাম সেখানে, আমরা তালা ভেঙ্গে ঢুকেছি।
যথাসময়ে উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আসুন সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এই অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্যের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করি; আমাদের সরকার এই আগুন সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী দেশবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সাংবাদিকবান্ধব, এই ট্রাস্ট তার অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালে এককালীন সহায়তা হিসেবে ১০ হাজারের বেশি সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ জন্য ১০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন।
মন্ত্রী ও অতিথিবৃন্দ এ দিন ১৮৬ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের হাতে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এর আগে তথ্য ভবন কমপ্লেক্সে পুরাতন ডিএফপি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন অফিস উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানদ্বয়ে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, গণযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, ট্রাস্টের পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/জামান/সিদ্দিকী/রাসেল/মাসুম/২০২৩/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫৭
আমন সংগ্রহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী
অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেয়া হবে না
ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর):
চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মন্ত্রী আজ চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ধানের দামও এখন কম। এ অবস্থায় চালের দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ খাদ্য-শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে আমনের ফলনও ভালো হয়েছে। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুত আছে। চালের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে প্রসাশন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেয়া হবে না। মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে সাধন তিনি বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সাথে কোনো আপস হবে না। এ সময় তিনি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ধান চাল সংগ্রহের পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী বলেন, কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির শিকার না হয় সেটা খাদ্য কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে। ফুডগ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন ধান চালের অবৈধ ব্যবসা করতে না পারে সেদিকে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেন তিনি। একই সাথে তিনি পাক্ষিক মজুত বিক্রির রিপোর্ট প্রেরণের নির্দেশনা দেন। এর আগে, গত ৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি আমন ধান ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আমন সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং আমন আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়। এবছর আমন মৌসুমে দুই লাখ টন আমন ধান, চার লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মিল মালিক, কৃষক প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীগণ সংযুক্ত ছিলেন।
#
কামাল/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৬১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫৬
সিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রদূত বেলালকে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর অভিনন্দন
ঢাকা, ৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল টানা দ্বিতীয় মেয়াদে কমন ফান্ড ফর কমডিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বিজয়ী হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আজ এক শুভেচ্ছা বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে এই গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জন্য আরো কাজ করার সুযোগ পাবেন রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল। তার নেতৃত্বে কমন ফান্ড ফর কমডিটিজ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন।
গতকাল নেদারল্যান্ডের রাজধানী দ্য হেগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাষ্ট্রদূত বেলাল একমাত্র প্রতিপক্ষ ইতালির ড. মাসিমিলানো ফাবিয়ানের বিরুদ্ধে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বেলাল ২০২৪ সাল থেকে ৪ বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে কমন ফান্ড ফর কমডিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, সিএফসি একটি জাতিসংঘ অনুমোদিত আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা। এটি তার সদস্য দেশগুলোতে পণ্যমূল্য চেইনের সাথে জড়িত প্রকল্পগুলোতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সংস্থার লক্ষ্য হল পণ্য উৎপাদন ও বাণিজ্যের সাথে জড়িত ব্যবসা, সমবায় এবং প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিয়ে টেকসই উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখা।
#
মাসুম বিল্লাহ/জামান/ফাতেমা/সিদ্দীক/রবি/সাজ্জাদ/কামাল/২০২৩/১০৩৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫৫
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে: মার্কিন সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান
ওয়াশিংটন ডিসি, 2৩ নভেম্বর:
৫২তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
গতকাল দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মার্কিন সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ম্যাটলক। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহেদুল ইসলামও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ম্যাটলক তার বক্তৃতায় জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে জনগণের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা ও নিঃস্বদের আশ্রয় প্রদান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনয়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে বাংলাদেশকে বিশ্বের বৃহত্তম সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশি সেনাদের এই অবদানে বিশ্ব আজ কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বর্তমান অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী বছরগুলোতে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য এই অংশীদারিত্ব আরো মজবুত হবে।
রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের জন্য তিনি সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যসহ ত্রিশ লাখ শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র অতীতে বাংলাদেশের উন্নয়নের অভিযাত্রায় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করেছে এবং বাংলাদেশ এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
ইউএস মেরিন কোরের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল গেরি, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিমাস হুইটসেলও এবং বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমাদ কায়কাউসসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও ডিফেন্স অ্যাটাচে এবং পেন্টাগন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও অন্যান্য মার্কিন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
সাজ্জাদ/জামান/ফাতেমা/সিদ্দিকী/রবি/রাসেল/মাসুম/২০২৩/১০১০ ঘণ্টা