Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 13.12.2017

তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর :  ৩৪১৮

জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য রেকর্ড  শুরু আগামী বছর
                                    -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য রেকর্ড করে সংরক্ষণ করা হবে। পরে তা উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক সংকলন করা হবে। এলক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। আগামী বছর কার্যক্রম শুরু হবে।     আজ  চট্টগ্রামে  বিজয় মেলার বিজয় মঞ্চে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট সাবেক কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ।

     মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সকল তথ্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। এখন বিশ্বের যেকোন প্রান্ত হতে একজন মুক্তিযোদ্ধা তার তথ্য দেখতে পারবেন। আর কষ্ট করে মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবেনা। তিনি বলেন, পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের কথা যেমন বলা হবে তেমনি হানাদার বাহিনীর দোসর যুদ্ধাপরাধীদের কথাও পাঠ্যপুস্তকে লেখা থাকবে। তাহলে নতুন প্রজন্ম তাদের ঘৃণিত কর্মকা- সম্পর্কে জানতে পারবে।     তিনি আরো বলেন,  মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনের করা হবে, একইভাবে পাক হানাদারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের স্থান ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা হবে।

    স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান শেষে বিজয় মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

#

মারুফ/সেলিম/আলী/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৩০ ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                          Number : 3417

 

Information Minister at AIBD-BTV Workshop on SDG

Year 2020 be South Asian Year Against Poverty

 

Dhaka, December 13 :

            Information Minister Hasanul Haq Inu proposed year 2020 to be called  'South Asian Year Against Poverty' and urged media for all out campaign to bring people out of poverty.  

            The minister proposed this in his speech as chief guest at the inaugural session of two-day Sub-regional SDG Workshop for Broadcasters on Ending Poverty, began at BTV Conference Hall in Dhaka today.

            Principal Coordinator-SDG Affairs of Prime Minister’s Office Abul Kalam Azad and Information Secretary Martuza Ahmed spoke as special guests while AIBD Director Chang Jin and Director General of BTV S M Haroon-Or-Rashid gave the welcome and concluding speech respectively in the session.

            Hasanul Haq Inu said, 'The European Union had observed 2010 as 'European Year Against Poverty'. I urge that, South Asia should better be late than never, to observe 2020 as South Asian Year Against Poverty.'

            'Let all South-Asian nations work together, involving respective media, and come up with specific road maps by 2020 and join together to uproot poverty ahead of the SDG timeline of 2030', he added.

            The minister said, 'The role of broadcasters have grown over time and they play a key role in making people's mindset. They must focus on achieving prosperity void of poverty and discrimination and building a democracy void of terrorism.'

            In a 10-point charter, the Information Minister urged broadcasters to sensitize society more on poverty, promote social economy, advocate politics of zero-poverty, emphasize gender balance in education and work, address climate change and disaster risk factors causing poverty, open public forum utilizing the social media, treat poverty reduction stories with glory, train journalists on addressing poverty, engage media specialists for stronger role on ending poverty and to shed light on works of state and non-state actors for poverty eradication.

            28 participants from broadcasters and affiliates of Afghanistan, Bhutan, India, Maldives, Nepal, Srilanka and host country are attending the workshop jointly organised by the Asia-Pacific Institute for Broadcasting Development (AIBD) and Bangladesh Television. 

#

Akram/Selim/Sanjib/Salimuzzaman/2017/19.30 Hrs.

 

Handout                                                                                                         Number : 3416

Information Minister to CPJ

Bangladesh zero tolerant to terrorism

 

Dhaka, December 13 :

 

            Information Minister Hasanul Haq Inu said, 'Bangladesh maintains zero tolerance to terrorism and the massmedia is on highest flourish in history.'

 

            The minister was speaking to Steven Butler, the Asia Program Coordinator of the New York based Committee to Protect Journalists (CPJ), when called on at his ministry office today.

 

            'The government of Sheikh Hasina focussed on free flow of information with the expansion of media. And terrorism and fanaticism are threats to both the government and media' said Inu. The minister also briefed the CPJ coordinator on the ongoing trials to bring the murderers of bloggers to justice.

 

            Steven Butler, who is on weeklong visit to Dhaka said, he was aware of the media expansion in Bangladesh and requested speeding up the trial process to set example of quick justice of blogger-killings. 

 

           

#

 

Akram/Selim/Sanjib/Salimuzzaman/2017/19.20 Hrs.

তথ্যবিবরণী                                                                        নম্বর :  ৩৪১৫

মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে

উখিয়া (কক্সবাজার), ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

    কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।

আজ কুতুপালং-১ ক্যা¤েপ ৫ শত ৭৮ জন পুরুষ ও ৫ শত ৮৫ জন নারী মিলে ১ হাজার ১ শত ৬৩ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৯ শত ৮৬ জন পুরুষ ও ১ হাজার ১ শত ৭১ জন নারী মিলে ২ হাজার ১ শত ৫৭ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৭ শত ১৫ জন পুরুষ ও ৮ শত ৬৪ জন নারী মিলে ১ হাজার ৫ শত ৭৯ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৯ শত ৮১ জন পুরুষ ও ১ হাজার ১ শত ১০ জন নারী মিলে ২ হাজার ৯১ জন,  থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৩ শত ২৩ জন পুরুষ ও ২ শত ৭৮ জন নারী মিলে ৬ শত ১ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ২১ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৪ শত ১৭ জন নারী মিলে ২ হাজার ৫ শত ৩৮ জন, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ৭ শত ৯৪ জন পুরুষ ও ৮ শত ৩৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৬ শত ৩৩ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ৭ শত ৬২ জনের জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
¬¬
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৭ শত ৩৬ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।

    উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৩ শত ৪০ জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।

#

সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৩০ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪১৪

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা
                               --- বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বৈষম্য, বঞ্চনা, দারিদ্র্যকে দূর করে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য। কিন্তু স্বাধীনতার অব্যবহিতপরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে তার ইতি ঘটে। এর পরবর্তী শাসকচক্র দারিদ্র্যবিমোচনে কোন প্রয়াস না নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার অপপ্রয়াস চালায়। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দারিদ্র্যবিমোচনে অন্তহীন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। নগর থেকে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত অনেকগুলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বার্ষিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান হিলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তৃতা করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরফিন আরা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৬ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ ছিল বর্তমানে তা ২৪ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ১২ দশমিক ৯ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ থাকলে ২০৪১ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে একটি সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। এ জন্য আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।
#
তুহিন/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর : ৩৪১৩

মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

উখিয়া (কক্সবাজার), ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

    কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

         উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ১৬ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২১ ট্রাকের মাধ্যমে ২২ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ২ শত ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩ শত ৩০ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ৫০ পিস কাপড়চোপড়, ২১ হাজার ৩ শত ৩৩ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।  

#

সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪১২

স্বার্থ সংরক্ষণে জোরালো অবস্থানে থাকতে হবে
                                                         --- বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
আর্জেন্টিনায় ডব্লিউটিও মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সে যোগদানকারী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশই একমাত্র স্বল্পোন্নত দেশ যে দেশ ডব্লিউটিও কর্তৃক প্রদত্ত শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা গ্রহণ করে অর্থনৈতিকভাবে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটছে। দারিদ্র্যবিমোচন হচ্ছে এবং ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন একটি পরিচিত নাম। স্বল্পোন্নত দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সদস্যদেশগুলোকে জোরালো ও শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গত ১১ ডিসেম্বর  আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিও-এর এমসি-১১ এ আঙ্কটার্ড  আয়োজিত “মাল্টিলেটারেল ট্রেডিং সিসটেম টাইম টু রি-এনার্জি” শীর্ষক আঙ্কটার্ড হাইলেভেল মিটিংয়ে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
আঙ্কটার্ড সেক্রেটারি জেনারেল মুকিশা কিতুয়ি (গঁশযরংধ করঃুঁধ)- এর সভাপতিত্বে আঙ্কটার্ড হাইলেভেল মিটিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-কোষ্টারিকার বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী আলেকজেন্ডার মর্ক (অষবীধহফবৎ সড়ৎয়), ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভূ, নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য এবং উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী সিগরিড কাজ ( ঝরমৎরফ কধধম), সেন্টার ফর ইকনোমিক এন্ড পলিচি রিভার্স(সিইআরপি) এর পরিচালক ডিবোরাহ জামস (উবনড়ৎধয ঔধসং), এবং কানেকশন ফর লেটিন আমেরিকা এন্ড দ্য কেরিবিয়ান (ইসিএলএসি) এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আলিসিয়া বার্সিনা (অষরপরধ ইধৎপবহধ)। এছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি-এ হাই লেভেল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন।
#
বকসী/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪১১
 

জনশক্তি প্রেরণখাতে অনিয়ম বরদাশত করা হবে না
                                          --- বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী


ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :
আজ রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘অভিবাসন কূটনীতি: সাফল্য, সীমাবদ্ধতা ও করণীয়’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি.এসসি।
মন্ত্রী বলেন, জনশক্তি প্রেরণ খাতে দুর্নীতি, হয়রানি ও অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। অভিবাসন ব্যয় কমানো, ভিসা ট্রেডিং বন্ধ করা, নতুন শ্রমবাজার তৈরি করা, দক্ষকর্মী প্রেরণ, ডায়াসপোরাদের সম্পৃক্ত করা, নারীকর্মীদের সুরক্ষাসহ অভিবাসী কর্মীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ বিধান করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। অভিবাসন খাতে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক ৯ লাখ ৬৪ হাজার কর্মীর বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান, অনলাইন ভিসা চালু, কর্মী প্রেরণে ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতির ব্যবস্থা, স্মার্ট কার্ড প্রবর্তনসহ অভিবাসন কূটনীতিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তারপরেও অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনাসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮০০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৪১০

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি সম্ভাবনাময় খাত
                                     -- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :  

    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিরাট সম্ভাবনাময় একটি খাত। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর মধ্যে প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন, বিকল্প মাধ্যমের উদ্ভাবনা, বিশ্বায়নের প্রতিফলন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চিতকরণ, প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের সংস্কার ও নতুন কার্যক্রমের সূচনা ইত্যাদি অন্যতম। বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সেশনজট নিরসনপূর্বক দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখছে।

    শিক্ষামন্ত্রী আজ সাভারের খাগানে অবস্থিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। তারা সকলেই আমাদের সন্তান এবং জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সকলের জন্যই মানসম্মত শিক্ষা এবং সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই।

    মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য, যা অর্জনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা প্রশংসনীয়। দেশে মানসম্মত শিক্ষার জন্য যেসকল প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যারা ভালো কাজ করছেন, দেশের জন্য কাজ করছেন, তারা অবশ্যই অনুকরণীয় হবেন এবং সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সাদ আন্দালিব বক্তব্য রাখেন। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন দৃক পিকচার লাইব্রেরি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শহিদুল আলম।

    অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পদক বিতরণ করেন।
#

আফরাজুর/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৮১০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪০৫ 
এনপিও এবং বিডব্লিউসিসিআই’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) : 
জাতীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা জোরদারের লক্ষ্যে যৌথ অংশীদারিত্বে কাজ করতে সম্মত হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডব্লিউসিসিআই)। আজ এ লক্ষ্যে দুপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্র উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে এনপিও’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান এবং বিডব্লিউসিসিআই’র পক্ষে সংগঠনের সভাপতি বেগম সেলিমা আহমাদ স্বাক্ষর করেন। 
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠান পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। বিডব্লিউসিসিআই এর সদস্যদের শিল্পকারখানার উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে এনপিও জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এপিও) সহায়তায় টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সার্ভিস প্রদান করবে।  
অনুষ্ঠানে শিল্পসচিব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগকে বেসরকারিখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে দেশে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়াস জোরদার হবে। ফলে শ্রমিক, মালিক, ভোক্তাসহ সকল স্টেকহোল্ডার এবং রাষ্ট্র এর উপকার ভোগ করবে। এ উদ্যোগ মহিলা শিল্প উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নারীর ক্ষমতায়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সকলখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে কাম্য অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। 
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিডব্লিউসিসিআই’র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
#
জলিল/অনসূয়া/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১২১৫ ঘণ্টা 
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪০৪ 
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
“শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গভীর কালো অধ্যায়। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। 
আমি শহিদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। তাঁদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।  
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে মুক্তিকামী জনসাধারণকে সংগঠিত করে স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় জামাত ও কয়েকটি ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দল। এরা আলবদর, আলশামস ও রাজাকারবাহিনী গঠন করে পাক হানাদারবাহিনীকে সহায়তা করার পাশাপাশি হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজসহ অসংখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে আমার শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াসউদ্দীন, ডা. ফজলে রাব্বি, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজউদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা প্রমুখ। এই স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীরা পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। বাংলাদেশকে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়ার জন্যই এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।     
স্বাধীনতাবিরোধী এই পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র কখনও থেমে থাকেনি। মুক্তিযুদ্ধের এই পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। মুক্তমনা শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়। সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটায়। খুন হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালায়। এই সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব চালায়, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়। জনগণের জীবন দুর্বিসহ করে তোলে।  
জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনেছি। ইতোমধ্যে অধিকাংশ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। বাকি দ-প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর করা হবে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি এই বিচার বানচাল করতে দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমরা দৃঢ়তার সাথে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য পরিচালনা করছি। কোনো ষড়যন্ত্রই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারবে না। আমরা সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করবই। যারা ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় নানা অপচেষ্টা করছে তাদেরও একদিন বিচারের আওতায় আনা হবে।
আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। আমি বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব। 
আজকের এই দিনে আমি দেশবাসীকে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মহান ত্যাগকে স্মরণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাই।   
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/আশরোফা/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১১২০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

তথ্যবিবরণী                                           নম্বর:৩৪০৩               

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ(১৩ডিসেম্বর):

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 

“১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের, যাঁরা ১৯৭১ সালে বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদারবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে বহু আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে মুক্তিসংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁরই আহ্বানে বাঙালি জাতি মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে চূড়ান্ত বিজয়। হানাদারবাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আলবদরবাহিনীর সহযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

বুদ্ধিজীবীরা দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির রূপকার। তাঁদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড, উদার ও গণতান্ত্রিক চিন্তাচেতনা জাতীয় অগ্রগতির সহায়ক। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ প্রদানসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে বিপুল অবদান রাখেন। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য, বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদারবাহিনী পরিকল্পিতভাবে এ দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতির জন্য এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সমাজ গড়তে পারলেই তাঁদের আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে।

বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের পথ বেয়ে বাংলাদেশ জ্ঞানভিত্তিক, প্রজ্ঞাময় সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হোক, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এ প্রত্যাশা করি।

 খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

আজাদ/অনসূয়া/আশরোফা/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১০১৪ ঘণ্টা 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

Todays handout (7).docx