Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ জানুয়ারি ২০১৭

তথ্যবিবরণী 8 January 2017

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৭৬

রাষ্ট্রপতির সাথে নির্বাচন কমিশন গঠনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এর আলোচনা

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
    বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত (চেয়ারম্যান) হাফেজ মাওলানা ক্বারী শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর এর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করে।
    নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত (চেয়ারম্যান) রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতির আলোচনা একটি মহান উদ্যোগ। রাষ্ট্রপতি গোটা জাতির মুরুব্বি। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় একটি গুণগত পরিবর্তনের দ্বার উন্মোচিত হবে। তারা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী, দক্ষ ও যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন আবশ্যক। তারা সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন। তারা নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে একাধিক ধাপে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব করেন। নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ারও প্রস্তাব করেন।
    রাষ্ট্রপতি খেলাফত আন্দোলনের প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে নীতি-নৈতিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অপরিহার্য।
    রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়–য়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোঃ সরোয়ার হোসেন এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#

মাহমুদুল/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৪৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৭৫

রাষ্ট্রপতির সাথে নির্বাচন কমিশন গঠনে গণতন্ত্রী পার্টির আলোচনা

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
    গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী’র নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করে।
    নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় তারা ৮ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন যাতে আইন অনুযায়ী একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের ব্যবস্থা থাকবে। বিকল্প হিসেবে তারা সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে সার্চ কমিটি  ও নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে একজন নারী সদস্য রাখা এবং দন্ডিত যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবারের সদস্য বা যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের সাথে জড়িত কেউ যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে তারও প্রস্তাব করেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে শুভ সূচনা হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন এ নির্বাচন আগামী দিনে ‘মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হবে।  
    রাষ্ট্রপতি গণতন্ত্রী পার্টির প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান। নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠনমূলক প্রস্তাব প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি তাদের ধন্যবাদ জানান।  
    আলোচনাকালে গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেনসহ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
    রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়–য়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোঃ সরোয়ার হোসেন এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

মাহমুদুল/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৪০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৭৪

রাষ্ট্রপতির সাথে নির্বাচন কমিশন গঠনে গণফোরাম এর আলোচনা

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি):
    গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে।
    নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য গণফোরামের সভাপতি রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তারা বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশে আলোচনা অপরিহার্য। আলোচনার মাধ্যমে যে কোন সমস্যার সমাধান সম্ভব। তারা আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সক্ষম হবেন। স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ছাড়া জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি। তারা অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। এ কমিটিতে নারী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন। তারা আরো বলেন, আমাদের সংবিধানে ‘জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক’ আর তা বাস্তবায়নের জন্য আজকের আলোচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দলমত সবারই ঐকমত্য রয়েছে। গণফোরাম বিশ্বাস করে রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে সফল হবেন। এসময় দলের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী               ৯ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
    রাষ্ট্রপতি গণফোরামের প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমত সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক আস্থার সংস্কৃতি গড়ে তোলার বিকল্প নেই। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, রাজনৈতিক দলগুলো এ ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন।
    আলোচনাকালে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুসহ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
    রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়–য়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোঃ সরোয়ার হোসেন এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

হাসান/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৯৩২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৭৩

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
দশম জাতীয় সংসদের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৭তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি আলহাজ মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাধন চন্দ্র মজুমদার, এ কে এম ফজলুল হক, আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ (দুলাল), নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এবং নূরজাহান বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কমিটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে সুপারিশ করে।
বৈঠকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সকল প্রকল্পের প্লট/ফ্লাট বরাদ্দের জন্য একটি যুগোপযোগী বরাদ্দ নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া স্থান এলাকাভেদে বরাদ্দ নীতিমালা পরিবর্তন করা হলেও ক্যাটাগরি ও কোটার হার অপরিবর্তিত রাখারও সুপারিশ করা হয়।
কমিটি বাংলাদেশের ভূমির গঠন, ভূমিকম্পন প্রবণতা, পরিবেশ ও জনসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নির্মাণ পদ্ধতি অনুসরণ করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে যে কোন প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের প্রথমেই পুর্নবাসন করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে প্লট বরাদ্দের পরিবর্তে ফ্লাট বরাদ্দের প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটি মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পাশে অবস্থিত ন্যাম ভবন হতে সংসদে যাতায়াতের জন্য টানেল, গাড়ি চালকদের বসার ছাউনি, গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানসহ শোভাবর্ধনমূলক স্থাপনা নির্মাণের সুপারিশ করে। এছাড়া অগ্রাধিকারভিত্তিতে  সংসদ  সদস্য ভবনগুলোতে প্রতিটি ফ্লাটে সিসি ক্যামেরা সংযোজনের সুপারিশ করে।
    বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উদ্দিন খন্দকারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#

হালিম/সেলিম/আলী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৭২

চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে সরকার আপোশ করবে না
                                            -- স¦াস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
     যে সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সরকারি নীতিমালার শর্ত পূরণ করতে পারে নাই তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে সরকার কোনো আপোশ করবে না। যে কলেজে মানসম্মত শিক্ষক নাই, লাইব্রেরি ও ল্যাবরেটরিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই, শিক্ষার্থীর সংখ্যার অনুপাতে হাসপাতালের শয্যা নেই সেই কলেজ চালনোর কোনো দরকার নেই। সরকার এ বছর চারটি কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে। যে সব কলেজ দ্রুত সময়ের মধ্যে নীতিমালার শর্ত পূরণ করতে পারবে না আগামী শিক্ষাবর্ষে তাদের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
    তিনি আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের কে-৭৪ ব্যাচের নতুন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
    কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইসমাইল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমডিসি’র সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, বিএমএ’র মহাসচিব অধ্যাপক এহতেশামুল হক, স্বাচিপ-এর মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ বক্তৃতা করেন।
    নতুন শিক্ষার্থীদেরকে পড়ালেখার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ভালো চিকিৎসক হতে গেলে পড়ালেখাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাজনীতিকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটালে সুচিকিৎসক তৈরি হয়।
    ইন্টার্নি চিকিৎসকদেরকে রোগী ফেলে রেখে ধর্মঘটে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের প্রথম কাজ রোগীর চিকিৎসা করা। কোনো ভুল বোঝাবুঝির কারণে রোগী ফেলে রেখে অযথা ধর্মঘট করা কোনো মানবিক গুণাবলির মধ্যে পড়ে না। তিনি বলেন, কোনো আন্দোলন ছাড়াই সরকার ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়েছে। তাই চিকিৎসা অবহেলা করে অযথা আন্দোলনে যাওয়ার কোনো অর্থ হয় না।
    তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসা শিক্ষার মানকে উন্নত করার লক্ষ্যে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত আগ্রহ রয়েছে। এ বছর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নিখুঁত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
    উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি থেকে সারা দেশের সকল মেডিকেল কলেজের নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হবে।
#
পরীক্ষিৎ/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৭১

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে জাপানি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি):
    নারী ও শিশুদের জন্য ঢাকায় একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান।
    আজ জাপানের লিংক স্টাফ কোম্পানি লিমিটেডের এক প্রতিনিধিদল ঢাকায় সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে এই আগ্রহের কথা জানান। জাপান সরকার ও জাপানি একটি হাসপাতালের সহায়তায় ঢাকায় এই হাসপাতাল স্থাপন করা হবে বলে জানান প্রতিনিধিদল।
    লিংক স্টাফ-এর প্রেসিডেন্ট ইয়াসুয়াকি সুগিতা (ণধংঁধশর ঝঁমরঃধ) চার সদস্যবিশিষ্ট এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
    স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই সময় বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতি সারা বিশ্বে প্রশংসা অর্জন করছে। দেশীয় উদ্যোক্তার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে আসছে স্বাস্থ্য স্থাপনা নির্মাণের আগ্রহ নিয়ে। তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এখন বিরাজ করছে বাংলাদেশে। সরকারও বেসরকারি উদ্যোগকে সব সময় স্বাগত জানায়।  
    পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণে বেসরকারি সংস্থা নিয়োগ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এসময় মালায়েশিয়ার একটি বেসরকারি সংস্থা এই কার্যক্রম প্রক্রিয়ার প্রস্তাবনা সম্পর্কে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করে।
    বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি সংস্থা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।
    সবকয়টি প্রস্তাবনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শীঘ্রই একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  

#

পরীক্ষিৎ/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৭৫৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৭০

১৭-২৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ রোল বল ওয়ার্ল্ডকাপ বাংলাদেশ
তথ্য সচিবের সভাপতিত্বে মিডিয়া উপকমিটির বৈঠক

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
    আগামী ১৭-২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ  রোল বল ওয়ার্ল্ডকাপ-২০১৭ আয়োজন উপলক্ষে মিডিয়া উপকমিটির বৈঠক আজ রোববার সকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশন এ আসর আয়োজন করছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ রোল বল ওয়ার্ল্ডকাপ উদ্বোধন করার কথা। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এবং ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ আয়োজনের মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  

    তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ সভায় জানান, ভারতের পুনে শহরে প্রথম ও তৃতীয় এবং কেনিয়ার নাইরোবিতে দ্বিতীয় আসরের পর রোল বল ওয়ার্ল্ডকাপের চতুর্থ আসর বাংলাদেশে হচ্ছে, যা অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫৫টি দেশের প্রায় সাড়ে সাতশত প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।

    ঢাকার মিরপুর ইনডোর ও তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়াম এবং শেখ রাসেল রোলার স্কেট কমপ্লেক্সে মূল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে, প্রতিযোগীদের আবাসন সম্পর্কে তথ্য সচিব বলেন, ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া কমপ্লেক্স ফেডারেশন ও ক্রীড়া পল্লিতে তাদের আবাসনের জন্য ইতোমধ্যেই উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে।

    তথ্য অধিদফতর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ চতুর্থ  রোল বল ওয়ার্ল্ডকাপ-২০১৭ সংক্রান্ত খবরাদি ব্যাপকভাবে প্রচার করবে বলে সভায় আশা প্রকাশ করেন মরতুজা আহমদ।

    প্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম শামীম চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এ এস এম হারুন-অর-রশীদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ কে এম নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কামরুন নাহার, বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ আসিফুলসহ  মন্ত্রণালয় এবং ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

#
আকরাম/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭২৬ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                             নম্বর : ৬৯ 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতার বিকল্প নেই
                                   -ত্রাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি) : 
    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, সরকার মাঠ পর্যায়ের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সক্ষমতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।  দুর্যোগে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতার বিকল্প নেই।    তিনি আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে মাঠ কর্মকর্তাদের ২৬টি গাড়ি ও ৪শত ৮৯ টি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ে ল্যাপটপসহ আইটি সরঞ্জাম সরবরাহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। 
        মন্ত্রী বলেন, বিগত দশকে বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২০০০ সালে ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০১০ সালে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে তা ২০ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি দারিদ্র্য হ্রাসকরণের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দুর্যোগে সাড়াদানে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। সুফলভোগী হিসেবে বৃদ্ধ, মহিলা, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে। এসকল কর্মসূচি দরিদ্রবান্ধব হলেও আধুনিকায়নের মাধ্যমে এক্ষেত্রে সম্পদের অপচয় রোধ ও সুষ্ঠু বণ্টন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুফলভোগী নির্বাচনে আরো উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
    তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অফিসসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব গাড়ি ও আইটি সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়। বিশ^ব্যাংক এ প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে। এ প্রকল্পের আওতায় সকল জেলা ও উপজেলা অফিসকে তথ্যপ্রযুক্তিগতভাবে আধুনিকায়ন করা হবে।
    সমাজের দরিদ্রতম পরিবারসমূহের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে প্রধান প্রধান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচিসমূহ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নকালে ভৌগলিক অঞ্চল  ও জেন্ডার ভিত্তিক সমতা আনয়ন এবং সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল এবং প্রকল্প পরিচালক সত্যেন্দ্র কুমার সরকার বক্তব্য রাখেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।                                                                                                         
#
ফারুক/অনসূয়া/নুসরাত/শহিদ/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৭/১৬১৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৬৮

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি) : 
জাতীয় সংসদের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২২তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এবং ডা. মো. এনামুর রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
    বৈঠকে ‘পাট বিল-২০১৬’,  বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট এর কার্যক্রম, বিজেএমসিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনের প্রদর্শনীর আয়োজন সম্পর্কে  বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া ‘পাট বিল-২০১৬’ আগামী সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কমিটি সুপারিশ করে।
    ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলির মেলায় বাংলাদেশের ঐতিহাবাহী উৎপাদিত বস্ত্র ও পাটজাত পণ্য, জয়িতা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, সোলার প্যানেল, আইসিটির অগ্রগতি, কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্যের অগ্রগতিকে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। একই সাথে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলো কিভাবে তৈরি হয় এবং কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ তা প্রদর্শনীতে তুলে ধরতে সুপারিশ করা হয়। 
    বৈঠকে জানানো হয় বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন (বিজেএমসি) কে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে  পাটক্রয় কার্যক্রমে আরো স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনয়নের জন্য অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ, মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
                                                                                                                                                  
#
সাব্বির/অনসূয়া/নুসরাত/শহিদ/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৭/১৫৪৮ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৬৪
উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি) : 
    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘উন্নয়ন মেলা’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
    “বর্তমান সরকার সূচিত বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম জনসাধারণের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে তিনদিন ব্যাপী ‘উন্নয়ন মেলা ২০১৭’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। উন্নয়ন মেলা আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
    বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। নেয়া হয় জনকল্যাণে নানা কর্মসূচি। সরকারের লক্ষ্য ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। সে লক্ষ্য অর্জিতও হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে প্রথম মেয়াদে এবং ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি দেশের অর্থনীতি, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। 
    একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো কর্মসূচি অর্থনীতির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধিসহ দারিদ্র্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মানুষের আয় ও জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) সাফল্যের সঙ্গে অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (এসডিজি) গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যও অর্জনে সফল হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
    বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। সরকার গৃহীত ‘ভিশন ২০২১’ এবং ‘ভিশন ২০৪১’ এর আলোকে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, ইন্শাআল্লাহ।
    উন্নয়ন মেলা’র মাধ্যমে সরকারের অর্জিত সাফল্য এবং জনকল্যাণে গৃহীত কর্মসূচি দেশবাসী জানতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি উন্নয়ন মেলার সার্বিক সফলতা কামনা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/নুসরাত/দীপংকর/শহিদ/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৭/১০৩০ ঘণ্টা 


তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৬৫ 
উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি) : 
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    “দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় ৯ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে ৩ দিনব্যাপী ‘উন্নয়ন মেলা’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। 
    এই উন্নয়ন মেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের চলমান উন্নয়ন সাফল্যকে জনগণের সামনে তুলে ধরে তাদের সরকারের উন্নয়ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। পাশাপাশি সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রচার এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এ মেলা বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি কর্মকর্তাগণের পরস্পরের মধ্যে মতবিনিময়ের মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা ও সম্ভাবনাসমূহ চিহ্নিতকরণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও  বাস্তবায়নেও এই মেলা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
    উন্নয়ন মেলায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, সংস্থা, ব্যাংক-বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অংশগ্রহণ করবে।
    মেলায় একটি বাড়ি একটি খামার, কমিউনিটি ক্লিনিক, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার জন্য বাসস্থান, শিক্ষা সহায়তা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, পরিবেশ সুরক্ষা, বিনিয়োগ বিকাশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।
    মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন সভা, সেমিনার, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন, ছবি ও পোস্টার প্রদর্শন এবং দেশাত্মবোধক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশনের আয়োজন থাকবে।
    সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা নি¤œ-মধ্য আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করেছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য-আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠিত করা।
    আসুন, দলমতনির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে নিজেদের নিয়োজিত করি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, সুন্দর এবং বাসযোগ্য বাংলাদেশ উপহার দেই।
    ‘উন্নয়ন মেলা’ ২০১৭ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আমি মেলার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আসিফ/অনসূয়া/নুসরাত/দীপংকর/শহিদ/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৭/১০৩০ ঘণ্টা  

 

Todays handout (8).docx