তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০১
শেখ রাসেল বিচ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৫) বালক ও বালিকা-২০২২ এর উদ্বোধন
কক্সবাজার, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
আজ ক্রীড়া পরিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত কক্সবাজারে শেখ রাসেল বিচ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৫) বালক ও বালিকা -২০২২ এর উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৫ বছর বালক এবং বালিকাদের নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে বিচ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এবছর শেখ রাসেল ডেভেলপমেন্ট কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের বাছাইকৃত ৮ টি বিভাগীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রথমবারের মতো শেখ রাসেল বিচ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিচ ফুটবলের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। আমাদের রয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সী বিচ কক্সবাজার, কুয়াকাটা বিচ, ইনানী বীচ এছাড়াও ১০ টি সমুদ্র উপকূলীয় জেলা যেখানে বিচ ফুটবল আয়োজনের মাধ্যমে খেলাটির জনপ্রিয়তা এবং খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়া বিচ খেলাকেন্দ্রিক পর্যটন আকর্ষণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলাতেই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এবং পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে এখানে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক এ ক্রীড়া কমপ্লেক্সে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও শেখ কামাল ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। অচিরেই মূল প্রকল্পের কাজ করে শুরু হবে। এ সকল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কক্সবাজার হবে দেশের অন্যতম স্পোর্টস সিটি। মূলত, কক্সবাজারে স্পোর্টস ট্যুরিজমের বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক কে এম আলী রেজা স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিনসহ মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, স্হানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/২২৪৫ঘণ্টা
Handout Number : 800
Regarding the situation of Bangladeshis in Ukraine
Dhaka, 27 February :
Poland:
Till today, around 400 Bangladeshis have safely crossed the Ukranian border and reached Poland. Among them, 46 Bangladeshis are in temporary shelter arranged by the Bangladesh Embassy in Warsaw. The rest of them are in their own arrangements as per their own choice though they were offered shelter by the Embassy. The Embassy is working to rescue and relocate 28 Bangladesh nationals ( as of now) through ICRC, Ukraine. The Embassy is also working to evacuate Bangladeshis who are in jail/ detained in Ukraine through IOM, Ukraine.
Austria:
Around 15 Bangladeshi students have arrived in Hungary who are now being looked after by the Bangladesh Embassy in Vienna. The number is likely to go up in the next few days. They are also willing to return to Bangladesh now.
Romania:
Three Bangladeshis have so far enetered Romania who are now being looked after by the Bangladesh Embassy in Bucharest. Seven more Bangladeshis are expected to enter Romania soon. They are also willing to return to Bangladesh immediately.
The Government of Bangladesh is arranging their repatriation.
#
Mohsin Reza/Sahela/Sanjib/Joynul/2022/2140hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৯৯
কক্সবাজারে হচ্ছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স
কক্সবাজার, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার শহীদ শেখ কামালের নামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশে এই প্রথম ৩টি খেলার মাঠ ও ১টি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট প্র্যাকটিস মাঠ নিয়ে তৈরি হচ্ছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স। এতে থাকবে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়াম, শেখ কামাল আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও একটি হকি স্টেডিয়াম এবং একটি পূর্ণাঙ্গ প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। এছাড়া ক্রীড়া কমপ্লেক্সটিতে অন্যান্য খেলাধুলার সুযোগ থাকবে। প্রায় ৫০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক মানের এ ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি।
এ ব্যাপারে আজ কক্সবাজারের স্থানীয় একটি হোটেলে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের মতো এতো সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় এ ধরনের স্থাপনা সরকার করতে যাচ্ছে। এটি পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত আগ্রহের কারণে সম্ভব হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে আধুনিকভাবে ফুটবল স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম হচ্ছে। এ জেলার প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনাও সরকার হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় রামুতে বিকেএসপিও করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামকেও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। একই সাথে নান্দনিক ইনডোর স্টেডিয়ামও নির্মাণ করা হচ্ছে।
কমপ্লেক্সে থাকবে গ্যালারি, ভিআইপি সুবিধা, রেস্তোরাঁ, মিডিয়া, স্টেডিয়াম প্রশাসন, সেবাকক্ষ, স্টোরেজ, টয়লেট। এছাড়া জিমনেশিয়াম ও ইনডোর অনুশীলনে- প্রধান ইনডোর নেটব্লক, সেবাকক্ষ, টিভি রুম, টয়লেট। একাডেমিতে- ডাইনিং, হলরুম, প্রশাসনিক ভবন, কনফারেন্স ভবন, অডিও-ভিজ্যুয়াল কক্ষ ও দৃষ্টিনন্দন পার্কিংয়ের জায়গা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স প্রকল্পে ডিপিপি প্রণয়নে অংশীজন সভায় সংসদ সদস্য আশিক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রুহুল আমিনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ, ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক কে এম আলী রেজা, বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিগণ ও সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন ।
#
আরিফ/সাহেলা/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২২১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৯৮
বেগম জিয়া ও তারেক অংশ নিতে পারবে না বলে বিএনপি নির্বাচনই চায় না
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বেগম জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বিধায় বিএনপি শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, নির্বাচনই চায় না। তারা বরং চোরাপথে কিছু করা যায় কি না সে চেষ্টায় রয়েছে, বলেন তিনি।
আজ ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে মন্ত্রী ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন এবং যে প্রক্রিয়ায় সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, বহু পুরনো গণতন্ত্রের দেশেও এটি করা হয় না। অত্যন্ত স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব যারা অতীতে অত্যন্ত সফলভাবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে এবং বলিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
'সবচেয়ে বড় কথা কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম বিএনপি ঘরোনার বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ প্রস্তাব করেছিলেন, সেখান থেকেই তার নামটা এসেছে এবং এজন্য জাফরুল্লাহ সাহেব অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন' উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'গণমাধ্যমে দেখলাম, তিনি কেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেছেন সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এবং বিএনপিসহ সবারই এই নির্বাচন কমিশনের সাথে কাজ করা উচিত, সেই আহ্বান জানিয়েছেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সবাইকে নিয়ে দেশে তিনি একটি অর্থবহ নির্বাচন করতে চান।'
আর বিএনপি আসলে নির্বাচন কমিশন শুধু নয়, নির্বাচনই চায় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির বড় সমস্যা হচ্ছে প্রথমত তারা মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসআশ্রয়ী রাজনীতি করে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে রক্ষা করার জন্যই তাদের পুরো রাজনীতিটা আবর্তিত হচ্ছে। আর দ্বিতীয়ত বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান আগামী নির্বাচন করতে পারবেন না কারণ তারা শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। সুতরাং বেগম জিয়া ও তারেক জিয়ার নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। যেহেতু তারা নির্বাচন করতে পারবেন না, এবং পরবর্তী নেতা কে কেউ জানে না। যেহেতু তারা নির্বাচন করতে পারবেন না সেজন্য তারা নির্বাচনটাই চায় না। তারা চায় চোরাপথে কোনো কিছু করা যায় কি না, যেটি এদেশের মানুষ কখনো হতে দিবে না।'
বাংলাদেশে নির্বাচনের সময়ে বর্তমান সরকারই কেয়ারটেকার বা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে, সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না, বলেন মন্ত্রী।
এসময় অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ উল্লেখ করে বলেন, ত্রিপুরার আগরতলা ও আসামের গুয়াহাটিতে চলচ্চিত্র উদ্বোধনের পাশাপাশি আসামের রাজ্যপাল এবং ত্রিপুরা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের সাথেও আমার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের সাথে রেল, সড়ক, নৌ ও বিমান পথে যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক উপাদান আদান-প্রদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে দু’দেশের সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাস্তবায়নাধীন বহু প্রকল্প অনেক দূর এগিয়েছে।
ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য সেই ক্ষেত্রে তারা যেমন উপকৃত হবে আমাদের অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে, উল্লেখ করেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
#
আকরাম/সাহেলা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/২১০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৯৭
বন্দুকের নলের ভয়ে অনেকে বঙ্গবন্ধুর নাম পত্রিকায় লিখতে পারেননি
--নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ঠিক সেই সময় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পত্রিকায় ‘বঙ্গবন্ধু’র নাম অনেকে লিখতে পারেননি। অনেকে লিখতে চাইলেও পরদিন চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে সেটি করেননি। দু’একটি পত্রিকা সাহসিকতার সাথে বঙ্গবন্ধুর নাম লিখতে পেরেছে। বন্দুকের নলের ভয়ে অনেকে বঙ্গবন্ধুর নাম পত্রিকায় লিখতে পারেননি।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলর (ডিএসইসি)-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপিত ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতন ও পৈশাচিকতা, মুক্তিকামী মানুষের লড়াই, পাকিস্তানি বন্দিশিবিরে বঙ্গবন্ধুকে নিপীড়ন ও নির্যাতনের কথা দেশের জনগণ এবং বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছেন। মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গত ৫০ বছরেও আমরা সংবাদকর্মীদের যথাযথ স্থান ও মর্যাদা দিতে পারিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারানো বাংলাদেশকে সত্য ও সুন্দরের পথে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন। গত ১৩ বছর ধরে তিনি সাংবাদিকদের অভিভাবকের ভূমিকায় আছেন; যা অতীতের কোনো সরকারপ্রধানকে হতে দেখিনি। তিনি নিজেই সাংবাদিকদের অধিকারের কথা বলেন। অষ্টম ওয়েজ বোর্ড এখনও পুরোপরি বাস্তবায়িত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাব-এডিটররা সাহসিকতার সাথে রসবোধ ও সাহিত্যবোধ দিয়ে একটি সংবাদকে পাঠক ও শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরতে বিরাট ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, সাব-এডিটররা সারা দিন-সারা রাত কাজ করেন, পরিবারেও অনেকে সময় দিতে পারেন না। বাইরে সংগঠন গোছানোর সুযোগ তাদের কম। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংগঠিত হয়ে দেশের গণমাধ্যম গঠনে আপনারা কাজ করবেন।
#
জাহাঙ্গীর/সাহেলা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/২১১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৯৬
উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পিরোজপুর, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ।
আজ পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের দক্ষিণ গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পিরোজপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সাত্তার হাওলাদার, পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি না থাকলে পদ্মা সেতু তৈরি হতো না, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল ভবন নির্মাণ হতো না। তিনি না থাকলে দক্ষিণাঞ্চলসহ উন্নয়নবঞ্চিত অঞ্চলের উন্নয়ন হতো না।
কেন শেখ হাসিনার সাথে থাকবেন না এই প্রশ্ন রেখে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, "শেখ হাসিনা করোনার সময় ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নগদ প্রণোদনা দিয়েছেন, ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছেন, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট করে দিচ্ছেন। মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়াচ্ছেন, বিনামূল্যে বই সরবরাহ করছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাধীনতার জন্য যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন একসময় তারা অবহেলায় ছিলেন। শেখ হাসিনা করোনার মধ্যেও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়িয়েছেন। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস করে দিচ্ছেন"।
তিনি আরো যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশে রাজাকারদের ঠাঁই হবে না। তবে মনে রাখতে হবে আবার স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
এর আগে মন্ত্রী পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নে পাঁচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গণকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন এবং দক্ষিণ জয়পুর রাস্তায় খালের উপর নির্মিত আরসিসি গার্ডার ব্রিজ উদ্বোধন করেন।
#
ইফতেখার/নাইচ/মোশারফ/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৯৫
“একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ
টিকা দিয়ে স্বাস্থ্যখাত বিশ্বে রেকর্ড স্থাপন করেছে”
---স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি একদিনে আমাদের এক কোটি ডোজ করোনা টিকা দেবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু দিন শেষে আমরা ১ কোটি ১১ লাখ প্রথম ডোজ এবং আরো ৯ লাখ টিকার ২য় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। এটি নিঃসন্দেহে বিশ্বে প্রথম ঘটনা। এর আগেও আমরা একদিনে ৮০ লাখ ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। এই কার্যক্রম সফল করতে আমাদের ১ লাখেরও বেশি মানুষ কাজ করছে। বিশ্বের বহুসংখ্যক দেশেরই ১ কোটির বেশি মানুষ নাই। সেখানে দিনে ১ কোটি ডোজ টিকা দেবার সক্ষমতা আমাদেরকে করোনা মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম করেছে এবং বিশ্বের ১০ম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।”
আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার নবনিয়োগকৃত চিকিৎসকের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় জানান, আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেশের মানুষকে দিতে সক্ষম হয়েছি। এতে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৩ ভাগ এবং আমাদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় শতভাগ সম্পন্ন করতে পেরেছি।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একটি দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা দরকার। টিকা গ্রহণে দেশের মানুষের উপচেপড়া উপস্থিতি দেখে আমরা আমাদের টিকাদান কার্যক্রম ২৬ ফেব্রুয়ারির পর আরো ২ দিন বাড়িয়ে দিয়েছি। এতে করে আমাদের ভাসমান জনগোষ্ঠীসহ অনেক টিকা অগ্রহণকারী ব্যক্তিও এই টিকার আওতায় চলে আসবে। এই টিকাদান কার্যক্রম সঠিকভাবে চলার কারণে এবং দেশের মানুষ অধিক হারে টিকা গ্রহণ করার ফলে আমরা এখন করোনায় বিশ্বে অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি। এতে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। দেশের জিডিপি এখন ৬ প্লাস হয়েছে। অথচ বিশ্বের অনেক দেশেরই জিডিপি মাইনাস হয়ে গেছে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় উপস্থিত নবনিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের নিজ নিজ পোস্টিংকৃত এলাকায় যোগদান করে নিজেদের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের নির্দেশনা দেন। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আগে দেশে মাত্র ১৮ হাজার চিকিৎসক ছিল। কিন্তু গত ৫ বছরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা নতুন করে ১৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। আগে দেশে নার্স ছিল মাত্র ২০ হাজার। গত ৫ বছরেই আরো নতুন করে ২০ হাজার নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং আরো অনেক নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া হবে। এর সাথে বেসিক বিষয়ের চিকিৎসকও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তবে, সব কিছুর লক্ষ্য হচ্ছে ভালো মানের চিকিৎসা সেবা। সেই ভালো মানের চিকিৎসা দিতেই সরকার আপনাদের নিয়োগ দিল। আপনারা নিজ নিজ কর্মস্থলে গিয়ে অসহায়, দরিদ্র মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। সরকার আপনাদেরকে আবাসন সুবিধাসহ সকল ধরনের সুবিধা বৃদ্ধি করবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহসহ অন্যান্য বক্তাগণ।
#
মাইদুল/নাইচ/মোশারফ/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭৯৪
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮৬৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ০১ শতাংশ। এ সময় ২১ হাজার ৫৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৯ জন। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩৩ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৬ হাজার ৬৮৯ জন।
#
জাকির/নাইচ/মোশারফ/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৯৩
শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহ ২০২১-২২ অর্থবছরের বাস্তবায়নাধীন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জানুয়ারি পর্যন্ত অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৬৩ ভাগ যা জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন অগ্রগতির তুলনায় বেশি।
আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ পর্যালোচনায় সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধানগণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে এডিপিতে মোট ৩৩টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২টি কারিগরি সহায়তা এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি খাতে ১ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন খাতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে মোট ২ হাজার ৫৬৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক। তবে কাজের গতি আরো বাড়াতে হবে। তিনি সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, বিসিক একটি বড় প্রতিষ্ঠান, তাই প্রতিষ্ঠানের সকলকে আরো কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তি ও সংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করা যাবে না।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর অনুকূলে সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি মন্থর গতিতে চলছে। কৃষকের দোরগোড়ায় সার সরবরাহ পৌঁছে দিতে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। দেশের কোথাও সারের মূল্য বৃদ্ধি, ওজনে কম, সারের বস্তায় ওজনে কম দেয়া ইত্যাদি পরিলক্ষিত হলে সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
#
মাহমুদুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/রবি/শামীম/২০২২/১৬২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৯২
নতুন নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে আশাবাদ কৃষিমন্ত্রীর
টাঙ্গাইল, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের ভাবমূর্তি খুবই উজ্জ্বল। অতীতে তারা স্ব স্ব পেশায় অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্বপালন করেছেন। আমি যতদূর জানি, তাদের তেমন কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এ কমিশন গঠনের পর থেকে সব মহলে বিতর্ক কমে গেছে, শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা সবার মাঝে তৈরি হয়েছে এবং সবাই মনে করছে এই নতুন কমিশনের মাধ্যমে একটা ভাল নির্বাচন হবে।
আজ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কোন আইন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ‘নির্বাচন কমিশন আইন’ প্রণয়ন করেছেন। এ আইনানুযায়ী রাষ্ট্রপতি গতকাল নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কাজেই, বিএনপি এ নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করুক বা না করুক- তাতে কিছু যায় আসে না। তারা যতোই আন্দোলনের হুমকি দিক, আগামী নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের সকল আন্দোলন মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে, দল আরো শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হবে। এই নতুন নেতৃত্ব আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
কামরুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/জাহাঙ্গীর/শাম্মী/রবি/মাসুম/২০২২/১৫১৭ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী &