তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩৬
২৫ ডিসেম্বর বিটিভির ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলা ভাষায় প্রচারিত প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’-বিটিভি ৫৩ বছরে পর্দাপণ করছে। দিনটি উদ্যাপনের জন্য ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ রামপুরাস্থ বিটিভি ভবনের আঙ্গিনায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত এক প্রীতি সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
একটি দৃশ্যমান শ্রুতিনির্ভর গণমাধ্যম হিসেবে ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন ঢাকা শহরের ডিআইটি ভবনের নিচতলায় এনইসি কর্পোরেশন জাপানের সহায়তায় ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্রের আত্মপ্রকাশ। ১৯৬৭ সালে টেলিভিশন কর্পোরেশন ও স¦াধীনতার পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’ একটি সরকারি গণমাধ্যমে রূপান্তরিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করে ১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইটির ক্ষুদ্র পরিসর থেকে রামপুরার বৃহত্তর পরিম-লে টেলিভিশন কেন্দ্র স্থানান্তর করা হয়।
সারাদেশের নানা প্রান্তের শ্রোতা দর্শকদের জন্য বিটিভির ১৪টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্র থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান রিলে করা হয়ে থাকে। ১৯৯৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপিত হয়। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহরগুলোয় বিটিভির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র চালুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। দেশের সীমানা পেরিয়ে ২১ এপ্রিল ২০০৪ থেকে পৃথক চ্যানেলে বিটিভি ওয়ার্ল্ডের আত্মপ্রকাশ এবং ৫ নভেম্বর ২০১২ থেকে বিটিভির অনুষ্ঠানমালা দর্শকদের জন্য ২৪ ঘণ্টা স্যাটেলাইট সম্প্রচার শুরু হয়।
বিটিভির ৫৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিটিভির সব শিল্পী, কলাকুশলী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, অনুষ্ঠান নির্মাতা, বিজ্ঞাপনদাতা, বিটিভির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সকল শুভানুধ্যায়ীকে ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
#
মাছুদুল/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩২
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
দশম জাতীয় সংসদের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪৯তম বৈঠক কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তমের সভাপতিত্বে আজ সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, তালুকদার আব্দুল খালেক, মোঃ আব্দুল হাই, এম আব্দুল লতিফ, রনজিৎ কুমার রায় এবং মমতাজ বেগম এডভোকেট বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং বর্তমান সরকারের আমলে চট্টগ্রাম বন্দরে জনবল নিয়োগ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং বর্তমান সরকারের আমলে মংলা বন্দরে জনবল নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লাবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য পশুর চ্যানেলে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩৮ দশমিক ৮১ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কার্যসম্পন্ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক বছরে প্রায় ৪৫ লাখ মেট্টিক টন কয়লা নির্বিঘেœ পরিবহণ করা সম্ভব।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ, মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
সাব্বির/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩৫
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সাথে এশিয়ান এথলেটিকস এসোসিয়েশনের সভাপতির সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশে সফররত এশিয়ান এথলেটিকস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও আইএএএফের সহসভাপতি জেনারেল দাহলান আল-হামাদ আজ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদারের সাথে সচিবালয়স্থ তাঁর দপ্তরে সাক্ষাতে মিলিত হন।
এসময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ মাসুদ করিম ও বাংলাদেশ এথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে দাহলান আল-হামাদ বাংলাদেশ এথলেটিকস কর্মকা-ের প্রশংসা করে বলেন, আন্তর্জাতিক এথলেটিকস এসোসিয়েশন বাংলাদেশের এথলেটিকসের উন্নয়নে সব রকম সহযোগিতা প্রদান করবে। তিনি উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানে আন্তর্জাতিক এথলেটিকস এসোসিয়েশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে দক্ষ কোচ প্রেরণের বিষয়েও আশ্বাস প্রদান করেন।
সাফ অনূর্ধ্ব ১৫ নারী ফুটবল দলকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দন
সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভূটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৫ নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার।
আজ এক অভিনন্দন বার্তায় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলা উপহার দিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হবে।
#
শফিকুল/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩১
আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই
খালেদা জিয়ার লিগ্যাল নোটিশের জবাব দেওয়া হবে
---- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ প্রসঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, লিগ্যাল নোটিশ হচ্ছে একটি আইনি প্রক্রিয়া তাই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এর জবাব দেওয়া হবে। মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল লিড্রেন’স টাস্কফোর্স আয়োজিত ‘চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশন-২০১৭’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
‘শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাইল্ড পার্লামেন্টের ১৫তম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, শিশুদেরকে সমতা এবং বৈষম্যহীন পরিবেশে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ওপর নির্ভর করছে আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ। তাই শিশু অধিকার আইন বাস্তবায়নে ও শিশু অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সরকার তার সবই করবে। শিশু নির্যাতন করে কেউ পার পাবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক শিশু ও তরুণ ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম, বাল্যবিবাহ, উন্নতমানের স¦াস্থ্যসেবার অভাব, অপুষ্টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার, সহিংসতা ও নির্যাতন ইত্যাদি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে যা সরকারের নজরে আছে। তাদের এসব অবস্থার উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা সর্বদা আন্তরিক।
মন্ত্রী বলেন, শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যমগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশু অধিকার সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং পিতা-মাতা, শিশু ও তার চারপাশের মানুষকে এ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এছাড়া পারিবারিক নির্যাতনের ফলে শিশুর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে পরিবারকে সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাজের সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে।
#
রেজাউল করিম/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৯
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
দশম জাতীয় সংসদের ‘সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৭৪তম ও ৭৫তম বৈঠক কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, পঞ্চানন বিশ্বাস, মোঃ রুস্তম আলী ফরাজী, আ ফ ম রুহুল হক, মোঃ আফছারুল আমীন, মোঃ শামসুল হক টুকু, রেবেকা মমিন এবং ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের রির্পোটভুক্ত অডিট আপত্তির মধ্য থেকে ত্রিপক্ষীয় সভা এবং বিএসআর জবাবের ভিত্তিতে সর্বমোট ২২২ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা এবং ৯ হাজার ৯০৩ মার্কিন ডলার এর ২১২টি অডিট আপত্তি বাংলাদেশের মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক অনুমোদন করায় চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।
¬¬¬বৈঠকে বাংলাদেশের মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
হালিম/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৮
বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে প্রয়োজন
অর্থশাস্ত্র ও নৈতিকতার মাঝে সমন্বয় সাধন
---স্পিকার
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে প্রয়োজন অর্থশাস্ত্র ও নৈতিকতার মাঝে সমন্বয় সাধন। নৈতিকতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়নের সময় অর্থনীতির সাথে নৈতিকতাকে যুক্ত করতে হবে-- তবেই দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব হবে। তিনি আজ ইনস্টিটিউশন অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিবি) ভবনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ২০তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন-২০১৭ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। এসময় তিনি সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
স্পিকার বলেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি প্রয়োজন প্রবৃদ্ধির সুবিধা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া। সম্পদের সমবণ্টন নিশ্চিত করতে পারলে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, তবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হবে।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, এফসিএ এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্যবৃন্দ।
#
তারিক/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩৩
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
উখিয়া (কক্সবাজার), ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ২৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৩৯ ট্রাকের মাধ্যমে ৩৯ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১৪ হাজার ৩ শত ৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১ হাজার প্যাকেট শিশুখাদ্য, ৪ শত প্যাকেট রান্না করা খাবার, ২৩ হাজার ৭ শত ৯৬ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
#
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৯৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩৪
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং -১ ক্যা¤েপ ৪ শত ৪৩ জন পুরুষ, ৫ শত ১১ জন নারী মিলে ৯ শত ৫৪ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৮ শত ৫ জন পুরুষ, ৮ শত ২৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৬ শত ৩৪ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৭ শত ৯৯ জন পুরুষ, ৯ শত ১০ জন নারী মিলে ১ হাজার ৭ শত ৯ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৪ শত ১০ জন পুরুষ, ২ শত ৮৬ জন নারী মিলে ৬ শত ৯৬ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৩ শত ৭০ জন পুরুষ, ৩ শত ১৫ জন নারী মিলে ৬ শত ৮৫ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ৭ শত ৭ জন পুরুষ, ৭ শত ৬০ জন নারী মিলে ১ হাজার ৪ শত ৬৭ জন, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ৭ শত ৯৯ জন পুরুষ, ৮ শত ৩০ জন নারী মিলে ১ হাজার ৬ শত ২৯ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ৮ হাজার ৭ শত ৭৪ জনের জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৮ লাখ ৯১ হাজার ৯ শত ৯৪ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮ শত জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
#
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৯৫৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৭
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি’র জন্য শিপ-টু-শোর
গ্যান্ট্রিক্রেনসহ ৫১টি যন্ত্রপাতি সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার জন্য শিপ-টু-শোর গ্যান্ট্রিক্রেনসহ ৫১টি যন্ত্রপাতি সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি সংগ্রহ হয়েছে। ৫১টি যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ১০টি গ্যান্ট্রিক্রেন, ২০টি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রিক্রেন (আরটিজি), ১০টি স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার (এসসি), একটি রেল মাউন্টেড ইয়ার্ড ক্রেন, একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, পাঁচটি কন্টেইনার মোবার ও চারটি খালি কন্টেইনার হ্যান্ডিলিং রিচ স্টেকার।
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন) মোঃ শাহাদৎ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর জুলফিকার আজিজ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ছয়টি গ্যান্ট্রিক্রেন সংগ্রহের এলসি খোলা এবং চারটি গ্যান্ট্রিক্রেন সংগ্রহের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তিনটি আরটিজি এনসিটি-তে সংযোজিত হয়েছে এবং আরো চারটি আরটিজি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে; দু’টি আরটিজির শিপমেন্ট করা হয়েছে ও দু’টি আরটিজির জন্য এলসি খোলা হয়েছে; ছয়টি আরটিজি সংগ্রহের দরপত্র মূল্যায়নাধীন আছে; তিনটি আরটিজি সংগ্রহের দরপত্র আগামী জানুয়ারিতে আহ্বান করা হবে।
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৬
সেবার মনোভাব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে হবে
----শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উপযুক্ত পরিবেশ ও নির্ধারিত শর্তপূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে এখনো যায়নি, যারা একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া তারা আর কোন পথ খোলা নেই।
শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলী খান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা বাদ দিয়ে জনকল্যাণ, সেবার মনোভাব ও শিক্ষায় অবদান রাখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও পরিচালনা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে উন্নতমানের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরো সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য নতুন প্রজন্মের মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাতে হবে। তাদেরকে দায়িত্বশীল দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ, সৎ এবং নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জ্ঞান ও মেধার প্রয়োগে সৃজনশীল হওয়ার জন্য তিনি তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি নতুন গ্রাজুয়েটদের সমাজের কম আলোকিত, কম সৌভাগ্যবান এবং অনগ্রসর মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্যও আহ্বান জানান।
অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. শহীদুল কাদির পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং উপাচার্য ড. কে এম মোহসীন বক্তব্য রাখেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এক হাজার ৬১১ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ২ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর এওয়ার্ড, ৭ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর এওয়ার্ড এবং ৩ জনকে ডিনস্ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে পদক ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।
#
আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৫
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৩০ ডিসেম্বর
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৭ এর ফল প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ঐদিন দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করবেন।
একই দিন সকাল ১১.০০ ঘটিকায় গণভবনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও ফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ ফল প্রকাশ ও ফলের পরিসংখ্যানের কপি হস্তান্তর করা হবে।
#
রবী/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৫৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৪
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর মৃত্যুতে মন্ত্রণালয়ে শোকসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ এক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত শোকসভায় মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্থ দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ মন্ত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং তার কর্মময় জীবনের ওপরে আলোকপাত করেন।
বক্তাগণ মন্ত্রীর দুর্নীতিবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি এবং মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কঠোর মনোভাবের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তার দৃঢ় মনোভাবের দরুণ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। বিশ্বে মৎস্য ও ছাগল-উৎপাদনে বাংলাদেশের চতুর্থ স্থান লাভসহ উভয় খাতে স্বয়ম্ভরতার্জন তারই স্বাক্ষরবহন করে। তাঁর উৎসাহে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পর পর দু’বার ইলিশের ব্যাপক উৎপাদনের ফলে জাতি সস্তায় ইলিশ খেতে সক্ষম হন বলেও তারা উল্লেখ করেন।
মরহুম ছায়েদুল হকের সততা ও অনাড়ম্বর জীবনাচরণের কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, তাঁর মতো একজন অতিসজ্জন ব্যক্তিকে হারানোয় দেশ ও জাতি অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তারা মরহুমের কর্মময় জীবনের আদর্শ অনুসরণ করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে সচিব মোঃ মাকসুদুল হাসান খান বক্তৃতা করেন। পরে মন্ত্রীর আত্মার শান্তির জন্য মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
#
শাহ আলম/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৫৭ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২৩
বিমা মেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমা মেলা উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিমাশিল্পের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে সিলেটে ‘বিমা মেলা-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জনগণের জীবন এবং সম্পদের ব্যবস্থাপনায় আর্থিক সুরক্ষার মাধ্যম হিসেবে বিমার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিমাশিল্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০১০ সালে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন প্রণয়ন করে এবং ২০১১ সালে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করে। বিমা আইন ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা ‘জাতীয় বিমা নীতি ২০১৪’ প্রণয়ন করেছি। সরকারের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল: বাংলাদেশ ২০১৫ এ মানুষের নিরাপত্তা, বার্ধক্যকালীন ঝুঁকি, অক্ষমতা, সামাজিক অবহেলা, বেকারত্ব এবং মাতৃত্বকালীন ঝুঁকির ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে একটি সামাজিক বিমাব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।
আমাদের অর্থনীতিতে বিমার অবদান বৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী ও গবেষণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিমাশিল্পে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অতিসহজে বিমা গ্রাহক বিমাপলিসি গ্রহণ করার পাশাপাশি বিমাকারী দ্রুততা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে দাবি নিষ্পত্তি করতে পারে। আমরা এশিল্পে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
সামাজিকবিমা পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এর আওতা ও পরিধি সম্প্রসারণের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সরকার এটিকে সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচি হিসেবে রূপায়ন করবে। ২০২১ সালে সারাদেশে এই স্কিম চালু করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা কৃষিবিমা, স্বাস্থ্যবিমা, শিক্ষাবিমা এবং প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিমা পরিকল্পনা প্রণয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
আমি আশা করি, আগামী ১৫ বছরে ১শ’ টি ইপিজেড ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করে বিমাশিল্পের চাহিদা বৃদ্ধি করতে আমরা সক্ষম হব।
বিমাখাতে কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের বাস্তবায়ন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং পুঁজিবাজারে বিমাখাতের অবদান বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘বিমা মেলা- ২০১৭’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১০৫২ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২২
বিমা মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৭ পৌষ (২১ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিমা মেলা উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘বিীমা মেলা-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল বিীমা গ্রাহক, মেলার আয়োজকসহ বিমা সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বিমা আধুনিক যুগের অন্যতম আর্থসামাজিক নিরাপত্তা সেবা ব্যবস্থা। এটি প্রপ্রত্যক্ষভাবে শিল্প, বাণিজ্য, ব্যাবসা ও ব্যক্তিকে সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির বিপরীতে সুবিধা প্রদানন করার পাশাপাশি পরোক্ষভাবে দেশের আপামর জনসাধারণকে আর্থিকসুরক্ষা প্রদান করে থাকে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে বিমা শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের সুবিধার্থে ১৯৭২ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশের সকল বিমা কোম্পানিসমূহকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে দু’টি সরকারি কর্পোরেশনসহ মোট ৭৮টি বিমা কোম্পানি দেশের জনসাধারণের জীবন ও সম্পত্তির আর্থিক নিরাপত্তায় সেবা প্রদান করছে।
প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ এবং দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট জীবন ও সম্পদের অপ্রত্যাশিত ঝুঁকি মোকােিবলায় বিমা শিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক প্রমিতমান অনুসরণ, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বিমাকে সার্বিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। আমি এ খাতের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত টেকসই বিধিবিধানসমূহ প্রতিপালনের আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আশা করি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত বিমা মেলা একটি সেবামুখী বিীমাখাত প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ক্ষুধা -দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
আমি ‘বিমা মেলা-২০১৭’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১০৫৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না