Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ জুলাই ২০১৭

তথ্যবিবরণী ৬ জুলাই ২০১৭

Handout                                                                                                           Number : 1781

7th Bangladesh - Thailand Joint Commission concluded

Dhaka, 6 July:

            ÒBangladesh-Thailand 7th Joint Commission held after two decades is a major milestone  and a harbinger for a vibrant chapter in our bilateral relations”, agreed Bangladesh Foreign Minister A H Mahmood Ali and his Thai counterpart Don Pramudwinai in the concluding session of the 7th Bangladesh-Thailand Joint Commission on Cooperation held this morning at the State Guest House Padma. During the session the entire gamut of bilateral relations was discussed. Thailand’s Foreign Minister paid a rich tribute to the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and Bangladesh’s Foreign Minister paid high tribute to the Thailand’s late King Bhumibal Adulyadej.

            Foreign Minister A H Mahmood Ali led the Bangladesh delegation while Don Pramudwinai, Foreign Minister of Thailand led the Thai delegation. Thai Foreign Minister is currently visiting Bangladesh with an 18-member delegation.

            Diplomatic visa exemption agreement, easing of tourist visa scheme for Bangladeshi tourists, creating a security dialogue for combatting transnational crimes, enhancing bilateral trade and investment and concluding a number of bilateral instruments on tourism, energy, ICT and digital economy, fisheries and livestock, sports and culture, agriculture, maritime and coastal  shipping connectivity, mutual recognition of standards and Bangladesh’s membership bid to number of regional organizations including Mekong-Ganga Cooperation(MGC), Eat West Economic Corridor and ASEAN Sectoral Partnership were among the key agenda discussed. The Bangabandhu Chair in Thailand’s prestigious Asian Institute of Technology (AIT) under the endowment of the Bangladesh Government, to promote higher level applied research in innovative technologies in the energy sector of Bangladesh, was discussed at length.

While both sides agreed to work for increasing the bilateral trade volume which currently stands at around USD 1 Billion, Bangladesh requested Thailand to expand Duty Free Quota Free (DFQF) market access facility to include more Bangladeshi products having export potential to Thailand. Bangladesh also handed over a list of 36 products for Thailand’s consideration in the review of DFQF list in this year.Thai side agreed to give due consideration to the Bangladesh’s request.

            Bangladesh and Thailand agreed to work on the proposal for creating a bilateral mechanism of periodic “dialogue” for cooperation in preventing and combating Trans-National Crimes. They have discussed the proposal of establishing coastal shipping connectivity between Chittagong Port of Bangladesh and Ranong Port of Thailand and agreed to speed up the process. Bangladesh requested Thailand to revive the proposal of recruiting Bangladeshi skilled, semi-skilled and unskilled workers for the labour deficit sectors in Thailand.

            Both sides agreed to establish the Joint Working Groups (JWG) on Agricultural cooperation and ICT and digital technology, update the existing Agreement on cooperation in the Fisheries sector,institutionalize cooperation in the energy sector through a Framework cooperation MoU, and work on proposed MOUs in the areas of Culture and Tourism.

#

Khaleda/Mahmud/Salimuzzaman/2017/21.45 Hrs

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৭৮০
 
  তিন কর্মকর্তাকে ৬০০০ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই ) :    

    তথ্য অধিকার আইনে প্রার্থিত তথ্য যথাসময়ে না দেওয়ায় গণপূর্ত বিভাগের তিন কর্মকর্তাকে ৬০০০ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে তথ্য কমিশন। এই অর্থ আবেদনকারীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করতে হবে।

    আজ তথ্য কমিশন কার্যালয়ে এক শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুনানিতে অংশ নেন প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম রহমান, তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার এবং তথ্য কমিশনার অধ্যাপিকা ড. খুরশীদা বেগম সাঈদ।

    মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগের আওতাভুক্ত নিজস্ব অফিস, বাসা-বাড়ি ও অন্যান্য যে নামে টেন্ডার আহ্বান করা হয় তার পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা, উক্ত প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত এপিপি ও সংশোধিত আরএপিপি এর বিগত ৫ অর্থ বছরের ফটোকপি, প্রকল্পের আওতাভুক্ত মৌজার সংখ্যা কত এবং কোন মৌজায় কতটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আছে তাদের নামের তালিকা, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারওয়ারি প্রদানকৃত টাকার পরিমাণ কত প্রভৃতি তথ্য জানতে চেয়ে মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে ৩টি আবেদন করেছিলেন আক্তার হোসেন বাবুল।

    তথ্য না পেয়ে আবেদনকারী পরবর্তীতে আপিল করেন। আপিল করেও তথ্য না পেয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে আজ শুনানি শেষে মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, মাদারীপুর গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ৬০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং তথ্য প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
    তথ্য কমিশন আজ ১০টি অভিযোগের শুনানি করে ৪টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করে। ৫টি অভিযোগের পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়। ১টি অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়।

#

লিটন/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১৭৭৯
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই ) :    
দশম জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৬৭তম বৈঠক আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুস শহীদ, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, আ.ফ.ম রুহুল হক এবং গোলাম দস্তগীর গাজী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
    বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের বিদ্যুতের ব্যবস্থাপনা লোকসান কমানোর লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত ত্রুটি হ্রাসকল্পে গৃহীত প্রকল্পসমূহের উপর প্রণীত সম্পাদনা নিরীক্ষা (পারফরমেন্স অডিট) প্রতিবেদন নভেম্বর ২০১১ এর ৬.১.১, ৬.১.২, ৬.১.৩, ৬.২.১, ৬.২.২,৬.২.৩, ৬.২.৪,  ৬.৩.১, ৬.৩.২, ৬.৩.৩, ৬.৩.৪, ৬.৪.১, ৬.৪.২, ৬.৪.৩, ৬.৫.১ এবং ৬.৫.২  সর্বমোট ১৬টি অনুচ্ছেদের উপর বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং বৈঠকে  গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে আপত্তিগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে  প্রকল্প এলাকা খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও বরিশাল এলাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলেই সিস্টেমলস হ্রাস পেয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি কারিগরি লস কতটুকু কমেছে তার পরিসংখ্যান প্রদান, সিস্টেমলসের কারিগরি ও অকারিগরি লসের বিভাজন সংরক্ষণ, পরিমাপ করার সক্ষমতা অর্জন, বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কৌশল দলিলে সন্নিবেশ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কমিটিকে অবহিত করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে ৫ শহর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি  প্রি-পেমেন্ট মিটারিং ইউনিটের ক্রয়কার্য সম্পাদন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে প্রয়োজন ব্যতীত মালামাল ক্রয় এবং প্রকল্প সমাপ্তিতে উক্ত অব্যবহৃত মালামাল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি অব্যবহৃত মালামালের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং সে সময়কার স্টোরের দায়িত্বে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে অনধিক এক মাসের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কমিটিকে অবহিত করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কারিগরি সিস্টেমলস কি পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে তার পরিসংখ্যান/ প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি সিস্টেমলসের কারিগরি ও অকারিগরি লসের বিভাজন সংরক্ষণ ও সিস্টেমলস কমিয়ে আনার সুপারিশ করে।
বৈঠকে প্রাক্কলিত মূল্য অপেক্ষা অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যে কতিপয় চুক্তিপত্র সম্পাদনের পাশাপাশি অস্বাভাবিক নিম্নমূল্যে কতিপয় চুক্তিপত্র সম্পাদন মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে একনেক অনুমোদিত মূল পিপি অনুযায়ী নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নেয়ার কারণে প্রকল্প সংশোধনের ক্ষেত্র সৃষ্টিসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় ৩৯২ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা বৃদ্ধি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে প্রাক্কলিত মূল্য অপেক্ষা অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যে  কতিপয় চুক্তিপত্র সম্পাদনের পাশাপাশি অস্বাভাবিক নিম্নমূল্যে কতিপয় চুক্তি সম্পাদন মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি প্রাক্কলিত মূল্যের  সাথে সামঞ্জস্য রেখে চুক্তি সম্পাদনের সুপারিশ করে এবং অব্যয়িত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমাদানের সুপারিশ করে।
বৈঠকে প্রয়োজনের পূর্বে অতিরিক্ত মালামাল ক্রয় করায় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ সৃষ্টি হয়েছে মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি অতিরিক্ত মালামাল ক্রয় জনস্বার্থে প্রয়োজন মর্মে মন্তব্য করে এবং কম্পিউটার অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে হিসাব সংরক্ষণ করার সুপারিশ করে।
  বৈঠকে ডিপিডিসির সিস্টেমলস যথাযথ নয় মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি সিস্টেম লস যথাযথ করার এবং ভাসমান এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুৎ সংযোগ বৈধ করার ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুপারিশ করে।
বৈঠকে মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা যাচাই করা হয়নি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি মন্ত্রণালয় কর্তৃক  তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক ১ মাসের মধ্যে বিষয়টি কমিটিকে অবহিত করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে গুণগতমান নিশ্চিত করা হয়নি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি ত্রিপক্ষীয় মিটিং আহ্বান করে এগুলো পুনঃ যাচাইয়ের সুপারিশ করে।
বৈঠকে বিল ভাউচার ব্যতীত প্রকল্পের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তরসহ বিপুল পরিমাণ অর্থ (প্রায় ৫৯ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করা হয়েছে মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি নিবিড় তদারকির মাধ্যমে চলমান মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে গ্রহণপূর্বক আত্মসাৎকৃত অর্থ দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে বীমা প্রিমিয়ার বাবদ প্রদেয় ২৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা সরকারের ক্ষতি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি সাধারণ বীমার মাধ্যমে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করে এবং  প্রকল্প বাস্তবায়নে সুফল পাওয়া যায়নি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি এবিষয়ে প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্ত^বায়নের সুপারিশ করে।
বৈঠকে অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যে দরপত্র গ্রহণ/ ঠিকাদার নির্বাচন করায় ডিপিপি প্রাক্কলিত মূল্য এবং চুক্তিমূল্যের পার্থক্য ৮২ কোটি ২৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং পিডিবির সিস্টেমলস এর লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জনে তারতম্য মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি এগুলো নিষ্পত্তির সুপারিশ করে।
বৈঠকে জ্বালানি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, অডিট অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#

হুদা/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ১৭৭৮

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) :
দশম জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মোঃ আবু জাহির, আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নাছিম) এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিকতা, গ্যাস উৎপাদন ও মজুদের বর্তমান অবস্থা এবং খাতওয়ারি প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ও বিতরণ পরিস্থিতি এবং এলএনজি আমদানির মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা ও পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটি কনডেনসেটের অপব্যবহার রোধে গৃহীত সকল পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করে। এছাড়া কনডেনসেটের অপব্যবহার সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বিশেষ আইন (বিদ্যুৎ) অনেক গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সর্বক্ষেত্রে এর প্রয়োগ না করে পিপিআর পদ্ধতি অবলম্বন করে বিভিন্ন সেবা ও দ্রব্যাদি ক্রয়ের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া কমিটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ আইনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। কমিটি কনডেনসেট এবং বিশেষ আইন নিয়ে আলাদা বৈঠক করার সুপারিশ করে। বৈঠকে বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#

হালিম/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৩৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১৭৭৭  

ডিজিটাল বাংলাদেশের ছায়াতলে নারী
ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) :

    ডিজিটাল বাংলাদেশের ছায়াতলে নারীদেরকে নিয়ে আসতে সরকার জোর দিচ্ছে। এটাই হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের আশাপ্রদ বৈশিষ্ট্য এবং অনুষঙ্গ। তাই, বাংলাদেশে ওয়াইফাই এর মত উদ্যোগের প্রবর্তন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী। গতকাল ৫ জুলাই হোটেল সোনারগাঁও এ উইমেন আইসিটি ফ্রন্ট্রিয়ার ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইফাই) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্পিকার  ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।
    ওয়াইফাই উদ্যোগের যাত্রা শুরুকে স্বাগত জানিয়ে স্পিকার বলেন, প্রযুক্তি-নির্ভর লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে সমাজের অর্ধেক জনশক্তি তথা নারীর সম্পৃক্ততা জরুরি। কারণ নারীদের ইতিবাচক অগ্রগতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার স্বীকৃত। এছাড়াও, ই-কমার্স ও অনলাইন মার্কেটিং এ আজ নারীদের দৃশ্যমান অংশগ্রহণ রয়েছে। ফলে, ওয়াইফাই এর মতো উদ্যোগ নারীদের ই-কমার্স ও অনলাইন মার্কেটিং এ আরও বেশি পরিমাণে অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং আগ্রহী করতে ভূমিকা রাখবে।  
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রকল্প প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মূল ¯্রােতে নিয়ে আসতে সহযোগিতা করবে এবং নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
    সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড গভার্নেন্স, সাপোর্ট টু কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক, লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পসহ নানাবিধ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় লক্ষাধিক নারী-পুরুষকে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। এ সকল প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে আমরা নূন্যতম ৩০ ভাগ নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের বাধ্যবাধকতা রেখেছি। এছাড়াও, শুধু মহিলাদের জন্য সম্প্রতি ‘শি পাওয়ার’ নামে আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
    প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারী পুরুষের সমান সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। আশা করি, সে লক্ষ্যে উইমেন আইসিটি ফ্রন্ট্রিয়ার ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইফাই) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।   
    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রেৃর রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জুলিয়া নিবলেট, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব(ভারপ্রাপ্ত) সুবীর কিশোর চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, আইসিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা প্রমুখ।
    উল্লেখ্য যে, ওয়াইফাই এর আওতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ৩০ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ইউএন-এপিসিআইসিটি কৌশলগত সহযোগিতা প্রদান করবে আর বাংলাদেশ সরকার অর্থসংস্থান করবে। বাংলাদেশের আগে কম্বোডিয়া, কাজাকিস্তান ও শ্রীলংকায় এই প্রকল্প চালু হয়।
#
                  
নাছের/অনসূয়া/নুসরাত/গিয়াস/আসমা/২০১৭/১৫৪০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৭৭৬
সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনে হাইকোর্টের ২৫ দফা নির্দেশনা প্রদান

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) :

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনে ২৫ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছে। নির্দেশনা সমূহ হচ্ছে :
ক্স    মহাসড়ক (নিরাপত্তা, সংরক্ষণ ও চলাচল) নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০১ এর ৮(১) এর ধারা থেকে ‘অধিদপ্তরের লিখিত অনুরোধ ব্যতিত’ শব্দটি বাদ দিতে হবে।
ক্স    রাস্তা নির্মাণ/মেরামতের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী ব্যতিত অন্য কোন সামগ্রী রাস্তার ওপর বা বা পার্শে¦ রাখতে  দেয়া যাবে না।
ক্স    কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মহাসড়কে বা তার স্লোপে বা কোন অংশে অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে নির্মিত হাটবাজার বা দোকান উচ্ছেদ করতে হবে।
ক্স    মহাসড়কের ১০ মিটারের মধ্যে কোন হাট বাজার ও বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরির অনুমতি দেয়া যাবে না।
ক্স    যানবাহন চলাচল ছাড়া মহাসড়কে জনসভা বা অন্যকোন ভাবে ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেয়া যাবে না।
ক্স    রাস্তার পার্শ্বে পরিকল্পনা মাফিক বাস স্টপেজ স্থাপন করতে হবে।
ক্স    সড়ক মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে।
ক্স    পর্যায়ক্রমে গবাদিপশু পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত খোলা ট্রাক/লরি ছাড়া সকল প্রকার খোলা ট্রাক ও লরি চলাচল বন্ধ করতে হবে।
ক্স    মহাসড়কে গতিরোধক কমিয়ে আনতে হবে এবং গতিরোধকে নিয়মিতভাবে উপযুক্ত রং ব্যবহার করতে হবে।
ক্স    যানজট কমানোর জন্য মহাসড়কে স্থান নির্ধারণ করে ফ্লাইওভার ওভারব্রিজ, ওভারপাস/আন্ডারপাস ও লেবেল ক্রসিং তৈরি করতে হবে।
ক্স    দূর্ঘটনার পর দ্রুত যানবাহন অপসারণের জন্য হাইওয়ে পুলিশকে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আরো কার্যক্ষম করতে হবে।
ক্স    মহাসড়কে পথচারী পারাপারের জন্য উপযুক্ত ক্রসিং নির্ধারণ করে আন্ডারপাস/ওভার পাস নির্মাণ হবে। যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধে উঁচু লোহার রেলিং দিতে হবে।
ক্স    মহাসড়কে রোড ডিভাইডার দিতে হবে এবং দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে গতিসীমা সীমিত রাখার জন্য রাস্তার পার্শ্বে সাইনবোর্ড লাগাতে হবে।
ক্স    মহাসড়কের ওপর চাপ কমানোর জন্য রেলপথ ও নৌপথের সুবিধা বাড়াতে হবে।
ক্স    কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গাড়ীর মূল কাঠামোর কোন পরিবর্তন করা যাবে না।
ক্স    মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওজন মাপার যন্ত্র স্থাপন করতে হবে।
ক্স    সড়ক মহাসড়কে রাস্তার পার্শ্বে পর্যাপ্ত স্লোপ ও ড্রেন নির্মাণ করতে হবে।
ক্স    চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
ক্স    ইলেক্ট্রনিক ও পয়েন্ট বেজড ড্রাইভিং লাইসেন্স চালু করতে এবং তার ডাটা বেজ তৈরি করতে হবে।
ক্স    প্রত্যেকটি দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে।
ক্স    মটরযান মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যক্রম মনিটরিং এর আওতায় আনতে হবে।
ক্স    স্কুলের পাঠ্যক্রমে ট্রাফিক রুল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ক্স    জনগণকে সচেতন করতে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
ক্স    যানজট ও দুর্ঘটনা হ্রাসের গাইড লাইন প্রস্তুত কমিটির সুপারিশ জাতীয় সংসদের গোচরে আনা যাতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা যায়।
ক্স    এ নির্দেশনা পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
    উল্লেখ্য, হিউম্যান রাইটস্ এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়কে ট্রাফিক জ্যাম ও দুর্ঘটনা রোধে নির্দেশনা চেয়ে ১৫৪৬/২০১১ নম্বর রিট পিটিশন সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করে। হাইকোর্ট বিভাগ শুনানি শেষে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনে উক্ত ২৫ দফা নির্দেশনা প্রদান করে।
#
মাহফুজুল/অনসূয়া/শহিদ/আসমা/২০১৭/১৫০০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                            নম্বর : ১৭৭৫

দেশের বয়স্ক ব্যক্তিদের মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
                                                         - রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন
নিউইয়র্ক, ৬ জুলাই :
    দেশের বয়স্ক ব্যক্তিদের মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ সরকার- জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ৫ জুলাই ওপেন ইন্ডেড ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এজিং এর ৮ম সেশনে একথা বলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
    বাংলাদেশ সংবিধান দেশের বয়স্ক নাগরিকসহ সকল নাগরিকের সম-অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে, একথা উল্লে¬খ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের ডেমোগ্রাফিক ট্রান্সিশনের প্রতি সংবেদনশীল, যেখানে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার নতুন জনসংখ্যা বয়স্ক ক্যাটাগরিতে প্রবেশ করছে।
    রাষ্ট্রদূত বলেন ‘মাদ্রিদ প্ল্য¬ান অভ্ অ্যাকশন’ এর আলোকে বাংলাদেশ ‘বয়স্ক নীতিমালা’ প্রণয়ন করেছে যেখানে ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের নাগরিকদের বয়স্ক নাগরিক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং একই সাথে তাঁদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে দারিদ্র্য বিমোচন ও স্বাস্থ্যসেবাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিধানাবলী সন্নিবেশিত হয়েছে।
    বয়স্ক ব্যক্তিদের মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকার গৃহীত বয়স্ক ভাতা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য, কাজের বিনিময়ে অর্থ, ভারনারেবল গ্রুপ ফিডিং কর্মসূচিসহ চাকুরি হতে অবসরের বয়স ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত করার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে উল্লে¬খ করেন।
#

অনসূয়া/গিয়াস/শহীদ/জসীম/আসমা/২০১৭/১০৩০ ঘণ্টা

Todays handout (4).docx