Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ মে ২০২০

তথ্যবিবরণী ২০.৫.২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ১৮৪৮

 

ঘূর্ণিঝড় আম্পান

মোংলা ও পায়রার জন্য ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের

জন্য ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বজায় থাকবে

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

 

        বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিন নম্বর ৩৬ অনুসারে উপকূল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

 

          ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কি. মি.  যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কি. মি.  পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল থাকবে।

               

          মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

               

          চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

               

          ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে এ অঞ্চলসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ-সহ ঘন্টায় ১৪০-১৬০ কিঃ মিঃ বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

 

          উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

 

#

 

রশিদ/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২০/২৩০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৮৪৭

 

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খেলোয়াড়দের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

          আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক অনাড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।  এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

 

          প্রাথমিক পর্যায়ে আজ ২৪টি ফেডারেশন থেকে মনোনীত প্রায় ছয় শতাধিক খেলোয়াড়দের  প্রত্যেককে  ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের পক্ষে তাদের নিজ নিজ ফেডারেশনের প্রতিনিধিবৃন্দ চেক গ্রহণ করেন।

 

          চেক বিতরণকালে  যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান মানবিক  এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।  ইতোমধ্যে

খেলোয়াড়দের সহায়তা করার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। ঈদের পরে আরো অধিক  সংখ্যক খেলোয়াড়কে সহযোগিতা করতে পারার বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

          অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আকতার হোসেন এর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

আরিফ/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/২১৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৮৪৬

 

আম্পানের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে

                                                   --  মৎস্য  ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

          দুর্যোগকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদক, চাষি ও খামারিদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

          মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ এর প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ প্রদান করেন।

 

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্মসচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, চট্টগ্রাম-এর পরিচালক মোঃ লতিফুর রহমান এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপপরিচালকগণ ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।

 

          এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘দুর্যোগের সময়ে মাছ এবং গবাদিপশুর খাবার সংকটের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিরাপদ আশ্রয়ে গবাদিপশু ও হাঁসমুরগী সরিয়ে নেয়ার জন্য মানুষদের বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে। কি পরিমাণ মাছ ধরার ট্রলার বড় নদী বা সমুদ্রে আছে তার তথ্য কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। উপকূলীয় প্রতিটি জেলার হালনাগাদ তথ্য তথা কি পরিমাণ গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে, মাছের কতটি ঘের সংরক্ষণ করা হয়েছে সে রিপোর্ট দিতে হবে। তিনি বলেন, এখনও যেসকল মৎস্য নৌযান সমুদ্রে বা বড় নদীতে রয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।”

 

          কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদক, চাষি ও খামারীরা বিপন্ন হলে দেশের অর্থনীতি বিপন্ন হয়ে পড়বে। এ জন্য তাদের লালন ও পরিচর্যা গভীরভাবে করতে হবে। প্রতিটি জেলার কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে হবে। গবাদিপশুর খাদ্য বিতরণ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সঠিকভাবে মনিটর করতে হবে, যাতে বরাদ্দকৃত খাদ্য প্রকৃত খামারীদের কাছে পৌঁছায়। তৎপরতার সাথে কাজ করলে দুর্যোগে মৎস্যজীবী বা খামারিদের ক্ষতি অতীতের মতো হবে না। জরুরি পরিস্থিতিতে আরো অধিক নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

 

#

ইফতেখার/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/২০৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ১৮৪৫

 

পর্যাপ্ত রাসায়নিক সারের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে

                                           -- শিল্প প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

          করোনা পরিস্থিতিতে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের সর্বত্র কৃষকদের নিকট পর্যাপ্ত রাসায়নিক সারের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিসিআইসি’র সার কারখানাসমূহে উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করার প্রেক্ষিতে সারের উৎপাদন চলমান রয়েছে। 

 

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর মিরপুরের ইব্রাহিমপুরে অবস্থিত মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে গরীব দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণকালে এ কথা বলেন।

 

          করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নং ওয়ার্ডের আয়-রোজগারহীন মানুষের মাঝে শিল্প প্রতিমন্ত্রী তাঁর ব্যক্তিগত পক্ষ হতে আজ ঈদের উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। প্রায় ২ হাজার পরিবারকে আজ সেমাই, চিনি, আটা, আলু, চাল, ডাল বিতরণ করা হয়।

 

          এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এবার বোরো ধানের উৎপাদন ভাল হওয়ায় করোনায় দেশের কোথাও খাদ্যের সংকট হবেনা। করোনা পরিস্থিতিতে কলকারখানায় শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত হলে উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

 

          স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

মাসুম/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/২০৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ১৮৪৪

 

ঘূর্ণিঝড় আম্পান

মোংলা ও পায়রার জন্য ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জন্য ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

 

        বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিন নম্বর ৩৫ অনুসারে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন  উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকাল ৪টা নাগাদ সাগরদ্বীপের পূর্বপাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ  উপকূল অতিক্রম করেছে এবং এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ  উপকূলীয় এলাকায় (সুন্দরবন এলাকা) অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে আজ বিকাল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

 

          ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কি. মি.  যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কি. মি.  পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সাগর এলাকা উত্তাল রয়েছে।

               

          মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

               

          চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

               

          ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে এ অঞ্চলসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ-সহ ঘন্টায় ১৪০-১৬০ কিঃ মিঃ বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

 

          উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

 

#

আবুল কালাম/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিম/২০২০/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর :  ১৮৪৩

 ঘূর্ণিঝড় 'আম্পান' মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যাবলী

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

            বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'আম্পান' এর সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর- ৯৫৭৩৬২৫।

            স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহে ইতোমধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জল প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম ভান্ডার বিভাগে ১৫ টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং ১০ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট  মজুদ করেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকায় এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া-

  • সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি জেলায় ২ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রেরণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য আক্রান্ত  প্রতিটি বিভাগের স্টোরে ১০ লাখ পানি  বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ রাখা হয়েছে।
  • প্রতিটি জেলায় প্রতি ঘন্টায় ২ হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন ৩টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পাঠানো হয়েছে,
  • ১০লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৫০০০ টি জেরিকেন প্রতিটি জেলায় পাঠানো হয়েছে, 
  • প্রতিটি জেলার জন্য ৫০০টি করে হাইজিন কিট পাঠানো হয়েছে,
  • প্রতিটি জেলার একটি করে ওয়াটার ক্যারিয়ার পাঠানো হয়েছে,
  • প্রতিটি জেলায় নলকুপ মেরামতের প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হয়েছে,
  • প্রতিটি জেলার সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ব্লিচিং পাউডার পাঠানো হয়েছে,
  • প্রতিটি জেলার ১০০০ টি নতুন নলকূপ স্থাপনের জন্য মালামাল পাঠানো হয়েছে,
  • প্রতিটি জেলার ৫০০ টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণের মালামাল পাঠানো হয়েছে,
  • প্রতিটি জেলার ২০০০টি নলকুপ জীবাণুমুক্তকরণের মালামাল পাঠানো হয়েছে,
  • প্রতিটি জেলার ২০০০টি নলকূপ উচুকরণের মালামাল পাঠানো হয়েছে, 
  • পার্শ্ববর্তী জেলা হতে প্রতি জেলায় অতিরিক্ত নলকূপ মেকানিক প্রেরণ করা হয়েছে।

            স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দুর্যোগকালীন দেশব্যাপী পল্লী সড়ক নেটওয়ার্ক নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে উপকূলীয় জেলাসমূহে কর্মরত এলজিইডি'র সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দুর্যোগকালীন অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এবং কোভিড-১৯ এর কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে স্ব-স্ব কর্মস্থলে অবস্থান করে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

            জলোচ্ছ্বাস/বর্ষার আপদকালীন সময় রাস্তার যে কোনো জায়গায় বা অংশে যে কোনো সময় ক্ষতিগ্রস্ত বা ভেঙ্গে গেলে এলজিইডি’র পল্লী সড়ক ও কালভার্ট মেরামত কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা’তে আপদকালীন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।

#

হাসান/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ১৮৪২

 

ত্রাণে অনিয়ম : এবার বরখাস্ত একই ইউনিয়ন পরিষদের ৭ জন

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

          ত্রাণ ও চাল আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান ও একই ইউপি'র ৬ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। আজ স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

 

          করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর এ নিয়ে মোট ৬৬ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।  এদের মধ্যে ২১ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪২ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য এবং ২ জন পৌর কাউন্সিলর।

 

          আজ সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সদস্যরা হলেন গোপালপুর ইউপি'র ১ নং ওয়ার্ডের মোঃ ওবায়দুর রহমান, ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ বাকিয়ার রহমান, ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইব্রাহিম শেখ, ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ রেজাউল করিম, ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ অলিয়ার রহমান, এবং ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য স্বপ্না বেগম।

 

#

 

হাসান/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/২০৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৮৪১

 

আলোকচিত্র সাংবাদিক মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

          বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ও আলোকচিত্র সাংবাদিক মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

 

          ড. হাছান মাহ্‌মুদ তাঁর শোকবার্তায় আলোকচিত্র সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মিজানুর রহমানের দীর্ঘ অবদানের কথা স্মরণ করেন। মন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 

 

#

 

আকরাম/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/২০৪০ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৮৪০

 

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গ্রাহক অসন্তোষ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে

                                                  --বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গ্রাহক অসন্তোষ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। গ্রাহকদের সাথে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করে কল সেন্টারগুলো অধিকতর গ্রাহকবান্ধব করতে হবে।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ তাঁর বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড ( ডেসকো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো),  নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো),   পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি (পিজিসিবি) ও পাওয়ার সেলের সাথে চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

 

          বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সভায় আসন্ন ঘুর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংস্থাগুলোর প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন। দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগ কালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী প্রস্তুতি সন্তোষজনক জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালনে যে কোন বিঘ্ন দ্রুত মেরামত করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ অব্যাহত রাখতে হবে।

 

          নসরুল হামিদ এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) –এর নারায়ণগঞ্জস্থ ফতুল্লায় নবনির্মিত ১৩২/৩৩ কেভি জিআইএস গ্রীড উপকেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন।

 

          ভার্চুয়াল এ সভায় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব ডঃ সুলতান আহমেদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, পাওয়ার গ্রীড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কাওসার আমীর আলী, ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শফিক উদ্দিন ও নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম  উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

আসলাম/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৮৩৯

 

সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান

এম শামসুল আলমের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

          সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান, রিলায়েন্স ইনসিওরেন্স লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যাংক এশিয়ার পরিচালক এম শামসুল আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ।

 

          এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শামসুল আলম ছিলেন আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে দীর্ঘ দিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর পরামর্শ আমাকে ধন্য করেছে। শামসুল আলমের মৃত্যুতে আমরা বীমা শিল্পের একজন অভিভাবককে হারালাম।  

 

          ড. মোমেন মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

 

          শামসুল আলম দীর্ঘদিন কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। আজ ভোরে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

 

#

 

তোহিদুল/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/১৯৪০ ঘণ্টা

 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৮৩৮

 

মসজিদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ১২২ কোটি টাকা অনুদান

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশের মসজিদসমূহের জন্য ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছেন। বিশ্বব্যাপী বিরাজমান করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণসহ নানাবিধ কারণে দেশের মসজিদগুলোতে মুসল্লিগণ স্বাভাবিকভাবে ইবাদত করতে পারছে না। এতে দানসহ অন্যান্য সাহায্য কমে যাওয়ায় মসজিদের আয় হ্রাস পেয়েছে। ফলে মসজিদের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে মসজিদসমূহের আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী এ অনুদান প্রদান করেছেন।

 

          আজ অনুদানের অর্থ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক বা উপ-পরিচালকগণের সমন্বয়ে উক্ত অনুদানের অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে।

 

#

 

আনিস/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ১৮৩৭

 

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাত কাজ করছে

                                     -- স্বাস্থ্য মিডিয়া সেল

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

          স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত স্বাস্থ্য মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মোঃ হাবিবুর রহমান খান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতের ১৯৩৩টি দল কাজ করছে। এগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে ১২১২টি, খুলনায় ৩০৩টি ও বরিশালে ৪১৮টি স্বাস্থ্য দল রয়েছে। এই দলগুলো আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া ১৪ থেকে ২০ লাখ মানুষের ঔষধ সরবরাহসহ জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করবে।

 

          আজ দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মিডিয়া সেল কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

          ব্রিফিংকালে সেলের আহ্বায়ক বর্তমান সমসাময়িক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সর্বাধিক আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান তামাক ও তামাক সংক্রান্ত শিল্প সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা সংক্রান্ত কিছু প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু নির্দেশনা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের কিছু নির্দেশনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে বলে অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান খান জানান। প্লাজমা থেরাপি ও আমেরিকার ঔষধ রেমডিসিভির সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, প্লাজমা থেরাপি বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই থেরাপি ৪৫ জনের দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। আর রেমডিসিভির ঔষধ দেশে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। আগামীকাল ২১ মে মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট বেক্সিমকো ফার্মা কর্তৃক কিছু রেমডিসিভির ঔষধ জমা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

 

          বর্তমানে ঢাকায় ১৪টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড-১৯ হিসেবে ডেডিকেটেড করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২ হাজার শয্যার ডেডিকেটেড অস্থায়ী হাসপাতালটিও এখন আমাদের হাতে নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহর ও বাইরের সব মিলিয়ে বর্তমানে দেশে অন্তত ১১০টির মতো কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাততাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান সেলের আহ্বায়ক।

           

#

 

মাইদুল/মাহমুদ/রেজ্জাকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/১৯১০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ১৮৩৬

 

ফটোসাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে নৌপ্রতিমন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ৬ জ্যৈষ্ঠ (২০ মে):

 

          বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এবং দৈনিক বাংলাদেশ খবরের  ফটো সাংবাদিক (আলোকচিত্রী) এম মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, মিজানুর রহমান খান পেশাগত দায়িত্বের মাধ্যমে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের আলোকচিত্র ধারণ ও প্রচার করেছেন যা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজের গতিকে বেগবান করতে সাহায্য করেছে। নিবেদিতপ্রাণ ফট

2020-05-20-23-08-96bb1c4251f148456a2bc80b2a9af5b6.docx