Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ জুলাই ২০১৬

তথ্যবিবরণী ১৮ জুলাই ২০১৬

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২২৬৬

এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই):

    মহেশখালী ফেøাটিং এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের লক্ষ্যে আজ ঢাকায় পেট্রোবাংলায় বাংলাদেশ সরকার এবং Excelerate Energy Bangladesh Limited’র মধ্যে Terminal Use Agreement এবং Implementation Agreement স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।  
    জ্বালানি ও খনিজ স¤পদ বিভাগের পক্ষ হতে উপসচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার Implementation Agreement এবং পেট্রোবাংলার পক্ষে সংস্থার সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান Terminal Use Agreement স্বাক্ষর করেন। Excelerate Energy Bangladesh Limitedর পক্ষে Chief Development Officer Daniel Bustos দু’টি ডকুমেন্টই স্বাক্ষর করেন। এ প্রকল্পের আওতায় গঠিত টার্মিনাল কো¤পানিতে International Finance Corporation (IFC) এর Equity Participationথাকবে।  
    এসময় উপদেষ্টা বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরণে এই এলএনজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে জ্বালানির সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য সংশি¬ষ্টদের আরো আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানান।
    বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের বিকল্প হিসেবে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতার এ বিশ্বে অন্যান্য দেশ এলএনজি ব্যবহার করতে পারলে আমরাও পারবো। তিনি Excelerate Energy Bangladesh Limitedকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টার্মিনাল নির্মাণের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান। এলএনজি যথাসময়ে আনতে পারলে গ্যাসের ওপর চাপ কমবে। আমাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতে ৩ হাজার ৫০০ এমএমসিএফডি অতিরিক্ত গ্যাস বা এলএনজি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ১০৮ টি নতুন কূপ খনন করা হচ্ছে-এতেও আমরা ভাল ফল আশা করছি।
    উল্লেখ্য, ফেøাটিং স্টোরেজ এন্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (FSRU) টার্মিনালটি প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার  ঘনমিটার এলএনজি ধারণ ক্ষমতাস¤পন্ন এবং দৈনিক প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতাস¤পন্ন।
    জ্বালানি সচিব নাজিমুদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট (Marcia Bloom Bernicat) ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/২১১০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২২৬৫
স্পিকারের সাথে নেপালি আইন কমিশন প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই):
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশে সফররত নেপাল আইন কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন ভেশ রাজ শর্মা (ইযবংয জধল ঝযধৎসধ)’র নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পৃথক প্রতিনিধিদল আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা  জনগণের খাদ্য, নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার বিষয়ে আলোচনা করেন।
সফররত নেপালি প্রতিনিধিদল স্পিকারকে অবহিত করেন, বর্তমান নেপাল সরকার দেশের জনগণের খাদ্যের অধিকারকে সাংবিধানিকভাবে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে একে আইনগত কাঠামোর  আওতায় আনতে ইচ্ছুক। প্রতিনিধিদল এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উদ্দেশ্যে এ দেশ  সফরে এসেছে বলে স্পিকারকে অবহিত করেন।
স্পিকার বলেন, জনগণের খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ একমত। জনগণের খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন নীতি অবলম্বন করা যেতে পারে। তিনি সমাজের দুঃস্থ এবং অতি দরিদ্র জনগণের জন্য সরাসরি খাদ্য বিতরণ, খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, খাদ্য উৎপাদনে কৃষককে সহায়তা প্রদান, খাদ্য মজুত নিশ্চিতকরণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপনন ব্যবস্থা জোরদারকরণ ইত্যাদি বিষয়ে নীতিমালা গ্রহণ করা হলে জনগণের খাদ্য অধিকার নিশ্চিত হবে বলে মত প্রকাশ করেন।
স্পিকার আরো বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন নীতিমালা গ্রহণ করায় বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকার বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় জনগণের খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। ফলে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।
নেপালি প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে মানি রাম ওঝা (গধহর জধস ঙলযধ), ইন্দিরা দাহাল (ওহফরৎধ উধযধষ), মুনা শর্মা (গঁহধ ঝযধৎসধ), হিমাল চন্দ্র আড়িয়াল (ঐরসধষ ঈযধহফৎধ অৎুধষ), রাজু প্রসাদ চাপাগেই (জধলঁ চৎধংধফ ঈযধঢ়ধমধর), ইন্দ্র মায়া শংকর(ওহফৎধ গধুধ ঝযধহশধৎ) ও বিজ্ঞান কৈরালা (ইরমধুধহ কড়রৎধষধ) এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধিদলে মাইক রবসন (গরশব জড়নংড়হ), ড. নূর এ খন্দকার ও  আদনান সালেহ উপস্থিত ছিলেন।
#
হুদা/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯১৫ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২২৬৪
শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই):
    বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র এম্বাসাডর পিয়েরে মায়াদুন (চরবৎৎব গধুধঁফড়হ) এর নেতৃত্বে ইইউ’র ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে তাঁর মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে সাক্ষাৎ করে।
    সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে, বিশেষ করে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারে ইইউ’র সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচ  না করে।
    মন্ত্রী বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে ইইউ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস ও চৌধুরী মুফাদ আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৮৪৪ ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২২৬৩
জনপ্রশাসন পদক দিচ্ছে সরকার
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই):
জনপ্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য সরকার এ বছর প্রথমবারের মতো ‘জনপ্রশাসন পদক ২০১৬’ প্রদান করতে যাচ্ছে।
জনপ্রশাসনে কর্মরতদের সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক দক্ষতা অধিকতর গতিশীল করে সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার উদ্দেশ্যে এ পদক প্রবর্তন করা হয়েছে। এ পদক প্রদান সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে আরো উৎসাহিত করবে এবং তাদের মেধা ও যোগ্যতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৩ জুলাই সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পদক বিতরণ করবেন।
#
মমিনুল/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮৪০ঘণ্টা

Handout                                                                                  Number: 2262

 

Pakistan High Commissioner calls on Shahriar Alam

 

Dhaka, July 18:

 

          Departing Pakistan High Commissioner Shuja Alam paid a farewell call on the State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam at the Ministry of Foreign Affairs in Dhaka today.

 

          During the call on, the Pakistan High Commissioner deeply appreciated Bangladesh’s socio-economic development and the warmth and hospitality of the people of Bangladesh.

 

          The State Minister wished the High Commissioner good health and more advancement in his career in future.

 

          The departing Pakistan High Commissioner expressed his gratitude to the government of Bangladesh for all the support extended to him for accomplishing his duties here.

#

Khaleda/Afraz/Sanjib/Abbas/2016/1728 Hours

থ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২২৬১

গত অর্থবছরে জাতীয় রপ্তানি আয় বেড়েছে ৯.৭২ শতাংশ

ঢাকা, ৩রা শ্রাবণ (১৮ই জুলাই):
   দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও উৎসে কর কর্তনের হার কমানো, বস্ত্রখাতের মূলধনি যন্ত্রপাতির শুল্কমুক্ত আমদানির সুবিধা, টেক্সটাইল খাতের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে বিগত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩১ হাজার ২০৮ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৩ দশমিক ৩৯ ভাগ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৩ হাজার পাঁচশ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জাতীয় রপ্তানি আয় বেড়ে দাড়ায় ৩৪ হাজার ২৪১ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় শতকরা ৯ দশমিক ৭২ ভাগ বেশি।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে যেসকল পণ্যসমূহের রপ্তানি বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে তন্মধ্যে প্রধান প্রধান পণ্যের আয় ও প্রবৃদ্ধি হচ্ছে যথাক্রমে-নিটওয়্যার পণ্যের রপ্তানি আয় ১৩ হাজার ৩৫৫ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ওভেন গার্মেন্টস ১৪ হাজার ৭৩৮ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৮১ শতাংশ, প্রকৌশল দ্রব্যাদি ৫১০ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, পেট্রোলিয়াম বাই প্রোডাক্ট ২৯৭ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ২৮২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ক্যাপ ১৪৮ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
এছাড়াও শুকনো খাবার, মসলা, রাবার, চামড়াজাত পণ্য, পেপার এন্ড পেপার প্রোডাক্ট, স্পেশালাইজড টেক্সটাইল, ফার্ণিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, হস্তশিল্প এবং ঔষধ সামগ্রী উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রপ্তানি আয় ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
একই সময়ে যেসকল পণ্যসমূহের রপ্তানি বিগত বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে তার মধ্যে হিমায়িত চিংড়ি ও কাঁকড়া, হিমায়িত মাছ, কাটফ্লাওয়ার ও ফলিয়েজ, প্লাস্টিক প্রোডাক্ট, চামড়া, হোমটেক্সটাইল, বাইসাইকেল, চা এবং টোবাকো উল্লেখযোগ্য।                                                                                        
#
রফিকুল/মোবাস্বেরা/খাদীজা/গিয়াস/কামাল/২০১৬/১৪৫৫ ঘণ্টা    
 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২২৬০
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩রা শ্রাবণ (১৮ই জুলাই) :  
    
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯-২৫ জুলাই ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬’ উদ্যাপন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
    “প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীসহ মৎস্যখাত সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬ এর প্রতিপাদ্য ‘জল আছে যেখানে, মাছ চাষ সেখানে’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
    দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মৎস্যখাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্যবিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে মৎস্যখাত তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় ১৪ লক্ষ নারীসহ দেশের ১১ শতাংশের বেশি মানুষের জীবন-জীবিকা মৎস্যখাতের ওপর নির্ভরশীল।  
    সরকার মৎস্যখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। লাগসই ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুচিয়াসহ সকল প্রকার মৎস্যসম্পদের উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবহার, জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব ও
উন্নত প্রযুক্তি মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণের ফলে দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৩৬ লক্ষ ৮৪ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষে বিশ্বে ৫ম স্থান অধিকার করেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিটি জলাশয়কে মাছ চাষের আওতায় আনা একান্তভাবে প্রয়োজন।
    মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আমরা গভীর সমুদ্রে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকার মালিকানা অর্জন করেছি। বিশাল এই সমুদ্র এলাকার মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে আমরা বঙ্গোপসাগরে গবেষণা ও জরিপ কার্য পরিচালনার জন্য ‘আর ভি মীন সন্ধানী’ নামে একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন গবেষণা ও জরিপ জাহাজ ক্রয় করেছি। এই জাহাজের মাধ্যমে আমরা সমুদ্র এলাকায় মৎস্য আহরণক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ, বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্যসম্পদের মজুদ নির্ণয় ও সর্বোচ্চ সহনশীল আহরণমাত্রা নির্ধারণ করতে সক্ষম হব। এছাড়া আমরা বিশাল সমুদ্র এলাকায় সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। এসকল পদক্ষেপ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা মৎস্য আহরণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।   
    আমাদের সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে। বিপুল সম্ভাবনাময় মৎস্যখাত এ লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মৎস্যখাতের সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাই আরো নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন-এটাই আমার প্রত্যাশা।
    আমি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।   
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#

মনিরুন/মোবাস্বেরা/খাদীজা/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১২৪৫ ঘণ্টা


 

    
 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২২৫৯
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩রা শ্রাবণ (১৮ই জুলাই) :      
    
    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৯-২৫ জুলাই ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬’ উদ্যাপন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :    
    “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষি, ব্যবসায়ী, মৎস্য বিজ্ঞানীসহ সংশি¬ষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
    জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের অবদান অপরিসীম। জনগণের শতকরা ৬০ ভাগ প্রাণিজ আমিষ সরবরাহসহ গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এ খাতের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সরকার মৎস্য খাতের বিপুল সম্ভাবনা ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এর উন্নয়নে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উন্নত প্রযুক্তির মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ, উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়ন, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, জাটকা সংরক্ষণ, মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীদের উন্নত প্রশিক্ষণ এবং মাঠ পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণসহ ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। ফলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মাছ আহরণে বিশ্বে ৪র্থ স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, যা মৎস্য খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের একটি উল্লে¬খযোগ্য সাফল্য বলে আমি মনে করি।
    বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয় দেশের অর্থনীতিতে বিশাল সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরে অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার উল্লে¬খযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
    দেশের সমৃদ্ধি ও রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে মৎস্য খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লি¬ষ্ট সকলকে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টার সাথে একাত্ম হয়ে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘জল আছে যেখানে, মাছ চাষ সেখানে’ যথার্থ এবং তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
    আমি ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬’ এর সফলতা কামনা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#

আজাদ/মোবাস্বেরা/খাদীজা/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১১৪৫ ঘণ্টা


 

 

Todays handout (4).doc