তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪৭২
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা
-- সমবায় প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৭ মার্চ):
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা, যে ভাষণকে কেন্দ্র করে নির্যাতিত, নিপীড়িত, নিরস্ত্র, নিরন্ন জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়লেন মুক্তি সংগ্রামে। জাতির পিতা যদি সেদিন আমাদের উজ্জীবিত না করতেন আমরা পরাধীনতার অন্ধকারেই থেকে যেতাম।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমবায় অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমবায় অধিদপ্তর চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাম্রাজ্যবাদীরা ত্রিশটি বছর আমাদের এই ভাষণ শুনতে দেয়নি। সত্য ইতিহাস থেকে একটি জাতিকে বঞ্চিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি আজ সত্যকে জানতে পারছে। স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদীরা চক্রান্ত করে সমস্ত অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, ৯ মাসের ব্যবধানে বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি জাতি উপহার দিলেন।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি নিষ্ঠার সাথে দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেন তবেই জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়িত হবে। সম্মিলিতভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে সামনে এগিয়ে নেওয়াই হবে আমাদের কাজ।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরীফুল ইসলামসহ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
হাবীব/ফয়সল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২২৩০ ঘণ্টা
Handout Number : 3471
Bangladesh and Nordic countries to strengthen collaboration
for a greener and more resilient future
- Environment Minister
Dhaka, 7 March :
Minister of Environment, Forest and Climate Change Saber Hossain Chowdhury said, Bangladesh and Nordic Countries pledge to further collaboration for a greener and more resilient future. Commending the Nordic nations for their exemplary commitment to environmental stewardship Environment Minister said, Bangladesh is also making ongoing efforts to create a sustainable future.
The Environment Minister delivered this statement as the chief guest during the `Nordic Day’ commemoration event held at Hotel Radisson in Dhaka today. The event, celebrated the rich cultures and collaborative partnerships of Denmark. Finland, Norway, and Sweden.
Environment Minister said, this occasion symbolizes the deep-rooted friendship and collaborative spirit between Bangladesh and the Nordic countries—a partnership founded on mutual respect, shared values and a commitment to sustainability and prosperity.
Reflecting on the historical significance, the Minister highlighted the recognition of Bangladesh's independence by the Nordic countries on February 4, 1972, which laid the cornerstone for a relationship based on solidarity and support.
The Minister underscored the Nordic Council's vision to make the region the most sustainable and integrated system globally aligns seamlessly with Bangladesh's aspirations for a sustainable future. Emphasizing the importance of preserving the environment, the Minister lauded the Nordic region's breathtaking natural landscapes and highlighted the shared commitment to sustainability within the partnership.
The Minister outlined the diverse sectors of collaboration, including climate resilience, technological advancement, education, and health. The joint efforts exemplify the shared dedication to creating a more sustainable and equitable future for both nations.
Looking ahead, the Minister expressed excitement about the endless possibilities for continued collaboration, aiming to deepen cooperation in addressing global challenges such as climate change and fostering innovation and cultural exchange. The Minister said, the friendship between Bangladesh and the Nordic countries, stands as a beacon of hope, demonstrating the power of unity in building a better future for all.
Alexandra Berg von Linde, Ambassador of Sweden in Dhaka; Espen Rikter-Svendsen, Norway Ambassador to Bangladesh; Christian Brix Moller, Ambassador of Denmark in Dhaka; Dr. Tito Gronow is the Deputy Head of Mission at the Embassy of Finland in New Delhi, India also spoke in the occasion. Ambassadors, High commissioners, Political leaders, Representatives from international organisations, government high officials and people from different walks of society were present in the celebration.
#
Dipankar/Faishal/Shafi/Rafiqul/Shamim/2024/1010 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪৭০
আম্মানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপিত
আম্মান, জর্ডান (৭ মার্চ):
বাংলাদেশ দূতাবাস, আম্মান আজ যথাযথ মর্যাদায় ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদযাপন করেছে। সকালে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশীগণ এবং দূতাবাসের কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’-এর তাৎপর্যের ওপর বিশেষ আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশের জন্যই ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং পৃথিবীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে জন্ম হয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশের।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমিত শক্তির উৎস হিসেবে উল্লেখ করে এই ভাষণের উদ্দীপনাকে সকলের মাঝে ধারণ ও লালন করার আহ্বান জানান। সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
#
মাহমুদুল/ফয়সল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৪৬৯
বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন
--- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৭ মার্চ):
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উপলক্ষ্যে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা, প্রামাণ্য চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্যে দুই ধরনের উপাদান ছিল। একটি হচ্ছে অস্পষ্টতা, আরেকটি হচ্ছে স্পষ্টতা। এ ভাষণে দুই ধরনের বার্তা ছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সন্দিহান ছিল, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তারা ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে দ্বিধান্বিত হয়ে গিয়েছিল, তাদের জন্য ভাষণটি ছিল অস্পষ্ট। আর যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল তারা পরিষ্কার বার্তা পেয়েছিল, কী বলা হচ্ছে, কী করতে হবে। যারা অবস্থানগতভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল এবং সুস্পষ্ট বার্তাটি পায়নি, তারাই ভাষণটি নিয়ে পরবর্তীতে অনেক ধরনের বিতর্কিত কথা বলার চেষ্টা করেছে।
অধ্যাপক আরাফাত বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্যে যে বার্তা বঙ্গবন্ধু দিতে চেয়েছেন, এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ সেটা সুস্পষ্টভাবে বুঝেছিল। যারা বোঝার তারা বার্তা পেয়েছিল এবং তারা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল। স্বাধীনতার প্রতিটি ধাপে ধাপে সে প্রস্তুতি আমরা দেখেছি। যাদের সাহসী উদ্যোগের ফলে ৭ই মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম দেখতে ও শুনতে পেয়েছে তাদের এ সময় ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, আগামী প্রজন্মকে ৭ই মার্চের ভাষণের ইতিহাস জানাতে হবে। দেশের জনগণের কাছে গল্পের মতো করে এ ভাষণের ইতিহাস বলতে হবে, যেনো তারা এটি শুনে ও বুঝে আত্মস্থ করতে পারে। স্বাধীনতার নায়কদের আগামী প্রজন্মের কাছে বড় করে তুলে ধরতে হবে। তাহলে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম আরো বড় আকারে জাগ্রত হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরে কেনো স্বাধীন দেশে সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ৭ই মার্চের ভাষণ লুকিয়ে রাখতে হলো? তাহলে কি ’৭৫ এর পরে সেই পাকিস্তানি হানাদাররা এদেশে ফিরে এসেছে? এরা কারা? এরা কি স্বাধীনতার পক্ষের হতে পারে? এ সাধারণ প্রশ্নটি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পূর্বে ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ নিজামূল কবীর এবং প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ আলী সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২২২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪৬৭
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অভ্ গভর্নরসের সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৭ মার্চ):
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নবগঠিত বোর্ড অভ্ গভর্নরসের প্রথম সভা আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বোর্ড অভ্ গভর্নরসের চেয়ারম্যান ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান।
সভায় কমিটির সদস্যগণ আগামীদিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সারাদেশে ব্যাপক পরিসরে বিস্তৃতি ঘটানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানের সকল কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তাছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে নামে তাঁর নামে দুইটি ক্যাটেগরিতে পুরস্কার প্রবর্তনের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। ক্যাটেগরি দু’টি হলো-ইসলামিক গবেষণা ও সমাজকল্যাণ। এছাড়া, ঈদে মিলাদুন্নবী প্রোগ্রামটি পক্ষকালের পরিবর্তে সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে আরো জোরালোভাবে উদ্যাপন করা এবং শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম নিবিড় তদারকি আওতায় আনার বিষয়ে কমিটির সদস্যগণ গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় বোর্ড অভ্ গভর্নরসের সদস্য ঢাকা -১৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ধর্ম সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শেখ আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সরকারি মাদ্রাসা-ই আলিয়া ঢাকার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রশিদ ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়েখ আল্লামা খন্দকার গোলাম মাওলা নকশাবন্দী উপস্থিত ছিলেন।
#
সিদ্দীক/ফয়সল/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৪৬৫
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপন
কলকাতা, ২৩ ফাল্গুন (৭ মার্চ):
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের ৫৩ বছরপূর্তি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা। আজ সকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।
এরপর উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস উপ-হাইকমিশনের রাজনৈতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষা, বাণিজ্য, কনস্যুলার এবং প্রেস উইং-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাগণকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া কলকাতায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাগণ বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসের সভাপতিত্বে উপ-হাইকমিশনের ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’তে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী।
আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটি প্রদর্শিত হয়। এরপর কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী এবং কাউন্সিলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান।
অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী তাঁর বক্তব্যে বিশ্বে বাঙালি জাতির যে গর্বিত অবস্থান, তা বঙ্গবন্ধুর অবদান বলে উল্লেখ করেন। বংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক পবিত্র সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
সভাপতির ভাষণে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেন। তিনি বিলেন, ৭ কোটি মানুষকে ১৯৭১ সালে যেমন দাবিয়ে রাখা যায়নি, একইভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এখন বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একতাবদ্ধ।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) তুষিতা চাকমা ।
#
রঞ্জন সেন/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪৬৪
মিয়ানমারে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপিত
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৭ মার্চ):
ইয়াংগুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে আজ ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা ও রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য।
বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের শহিদ এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী নির্যাতিতা নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে জাতির জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা, মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার গঠন এবং যুদ্ধকালীন দেশের অর্থনৈতিক নীতির রূপরেখা হিসেবে অভিহিত করেন। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু এই ভাষণের মাধ্যমে জনগণের আবেগ ও আকাঙ্ক্ষাকে কূটনৈতিকভাবে অসাধারণ বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় একসূত্রে বেঁধেছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের চুম্বক অংশ ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরোক্ষ ঘোষণা যা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে আসে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে পৃথিবীর ইতিহাসের বিখ্যাত ভাষণগুলোর সাথে তুলনা করে ড. হোসেন বলেন, ভাষণটি শুধু রাজনৈতিক বক্তব্যই নয়, মানুষের কাছে আবেদন ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে এটি একটি কালজয়ী অনন্যসাধারণ দলিল। ভাষণটির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ২০১৭ সালে UNESCO এটিকে ‘World’s Documentary Heritage’ এর মর্যাদা দিয়ে ‘Memory of the World International Register’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে সঠিক পথে রয়েছে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপন আমাদেরকে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের শিক্ষা এবং উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের সুযোগ দেয়।
অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪৬৩
চট্টগ্রামের এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়
পরিবেশের ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৭ মার্চ):
চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর ইউনিয়নে অবস্থিত ব্যক্তি মালিকানাধীন এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লি: এর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব নিরূপণ, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ এবং এ ঘটনায় বর্ণিত ক্ষতির প্রশমন ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ/প্রস্তাবনা প্রদানের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের স্বাক্ষরে গঠিত এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক (অতি. দায়িত্ব) হিল্লোল বিশ্বাস। কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে আছেন মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (পিএইচডি), অধ্যাপক, ইনস্টিটিউট অভ্ ফরেস্টি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড. আসিফুল হক, অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অভ্ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও পরিচালক, ইনস্টিটিউট অভ্ রিভার, হারবার এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সদস্য হিসেবে আছেন মো: কামরুল হাসান, উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম গবেষণাগার। কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন ফেরদৌস আনোয়ার, উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়।
কমিটি প্রয়োজনে অন্য যে কোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিটিকে আগামী ৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে সুষ্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, বরাবর প্রেরণ করার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
#
দীপংকর/ফয়সল/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪৬১
বার্লিনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপন
বার্লিন, জার্মানী (৭ মার্চ):
বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিন আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদ্যাপন করেছে। রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি’র নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভায় গুরুত্বপূর্ণ এই দিনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য আলোচনা করে রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণসমূহের একটি হল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ। এই ভাষণ একটি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে উদ্বুদ্ধ করে এবং জনমনে স্বাধীনতা ও মুক্তির স্পৃহা জাগ্রত করে। এটি শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্যে পাকিস্থান সরকারের বৈষম্য, অত্যাচার, শোষণ এবং বাঙালির অধিকার আদায়ে আন্দোলনের বিষয় ও দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে পাকিস্তানি শাসকদের ষড়যন্ত্রের মুখে বাংলার জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, বাংলা ভাষা যত দিন থাকবে, বাঙালি যত দিন থাকবে, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা যত দিন প্রবাহিত থাকবে, বাঙালির হৃদয়ে আবেগ-অনুভূতি ও উত্তাপ যত দিন থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে এবং বঙ্গবন্ধুকে বাঙালির হৃদয়ে চিরদিন বাঁচিয়ে রাখবে।
#
ফয়সল/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩৪৬০
৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর মুক্তিকামী জনতার প্রেরণার উৎস
--- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৭ মার্চ):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পৃথিবীর কোন ভাষণের সাথেই বঙ্গবন্ধুর ভাষণের তুলনা হয় না। এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু অক্ষরে অক্ষরে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। ৭ মার্চের মঞ্চ একদিনে তৈরি হয়নি। হাজার বছরের বঞ্চনার মঞ্চ ৭ই মার্চ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এতই শক্তিশালী যে, সামরিক জান্তারা এ ভাষণ প্রচারের জন্য মানুষকে হত্যা করেছিল, নির্যাতন করেছিল, নিপীড়ন চালিয়ে ছিল। তিনি বলেন,৭ মার্চের ভাষণ এখনো আমাদের জীবনে প্রাসঙ্গিক। শুধু জাতীয় জীবনে নয়; সমগ্র পৃথিবীর মুক্তিকামী জনতার প্রেরণার উৎস। কীভাবে একটি জাতি মুক্তি লাভ করতে পারে-সেটার নির্দেশনা এ ভাষণে রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উপলক্ষ্যে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু শুনলে হবে না, প্রতিটি শব্দ পড়তে হবে, এটার ভিতরে যেতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাদ দিয়ে, বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাদ দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই মুক্তির পথ যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের দেখিয়েছেন। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নতুন প্রজন্মের নিকট পৌঁছে দেয়া। যার জন্য আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার বিষ উপড়ে ফেলতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক সংকট আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে সাহস ও শক্তি এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় অর্জন ও সম্পদ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এ সাহস ও শক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ডাক্তার মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ, মেজর হাফিজুর রহমান (অব.), জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিকুল করিম সাবু।
#
জাহাঙ্গীর/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪৫৮
৭ই মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে
-তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৭ মার্চ):
৭ই মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ রাজধানীর বনানীতে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের ৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায় না, এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না’-এই ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। এ কথাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা দেখেছি, বাঙালিকে বারবার দাবিয়ে রাখার অপচেষ্টা করে ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু বাঙালি সব ষড়যন্ত্র থেকে ঠিকই বেরিয়ে আসে, মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আরাফাত আরো বলেন, স্বাধীনতার চেতনা শুধু অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এই পাঁচ মৌলিক চাহিদা পূরণ নয়, স্বাধীনতার চেতনা মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এবং কেউ দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করলে মাথা নত না করা। সেটি হলো স্বাধীনতার মূলমন্ত্র এবং সেই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করছেন তাই নয়, তার কারণে আজকের বাস্তবতায় বাংলাদেশে আমরা অনেক কিছু দেখছি। আজ থেকে বিশ বছর আগে বাংলাদেশ এরকম ছিল না। এখন তোমাদের বড় স্বপ্ন দেখার সাহস বেড়ে গেছে। তোমরা এখন অনেক বড় বড় চিন্তা করো এবং সামনের দিনে তোমরা আরো এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ দেশে আজ থেকে বিশ বছর আগে মেট্রোরেল ছিল না, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ছিল না। এ দেশে আজ থেকে দশ বছর আগেও পুরো বাংলাদেশ বিদ্যুতের সাথে সংযুক্ত ছিল না, আজ থেকে দশ-পনেরো বছর আগেও এ দেশে নদীর তলদেশে টানেল ছিল না। আজ বাংলাদেশ স্যাটেলাইট নিয়ে অন্তরিক্ষে পৌঁছে গেছে, সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছে গেছে সাবমেরিন নিয়ে, নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতুর মতো বিশাল একটি সেতু বানিয়েছি। পৃথিবীর খুব কম দেশেই একইসাথে এসব কিছু আছে। এটা থেকেই বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশকে কত অল্পসংখ্যক দেশের মর্যাদায় নিয়ে গেছে। পৃথিবী