তথ্যবিবরণী নম্বর:৫০৬৮
বাংলাদেশ ও জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে কোলাবোরেশন
বৃদ্ধিতে আগ্রহী বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন):
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংযোগ ও কোলাবোরেশন বৃদ্ধিতে ইচ্ছুক জাপান সরকার। জাপানে রোবোটিক্স ও ম্যনুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে যেসব চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে সেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পুনরায় প্রশিক্ষণ দিয়ে জাপানের শিল্প কারখানায় নিয়োগ দিতে ও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি। তাছাড়া ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে বাংলাদেশে আরো ইনভেস্ট করতে চায় জাপান। আজ জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এর মাঝে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ট্রেনিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে জাপান সরকারের যে কোনো উদ্যোগকে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় জাপানিজ ল্যাগুয়েজ শেখানো এবং জাপানের প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে শিক্ষক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
#
খায়ের/শফি/রানা/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২১২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৬৭
দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে
- প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন):
দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
আজ সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক আয়োজিত “বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এবার দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে। এসময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক প্রস্তুতি আমাদের আছে। চোরাচালানের মাধ্যমে কেউ দেশে পশু এনে থাকলে তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, রাতের অন্ধকারে কিছু গরু দেশে ঢুকছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তবে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। রাষ্ট্র কোনোভাবেই কোরবানির জন্য কাউকে পশু আমদানি করার অনুমতি বা বৈধতা দেয়নি। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ পথ অবলম্বন করছেন। দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৭ লাখ যেখানে কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ পশু, যা চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি।
এর আগে আজ সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটসহ সারা দেশে চলাচলকারী পশুবাহী ট্রাক থেকে যারা চাঁদা নেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ঘাটে পশুবাহী গাড়ির নজরদারির জন্য লাইভস্টক বিভাগের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে একটি বিশেষ টিম জরুরি সেবার জন্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার জন্য জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনও তদারকি করবে বলে জানান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
কর্মশালায় বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ দেশের সম্পদ, তাদের গবেষণার কারণে দেশের প্রান্তিক খামারি ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের খাদ্যের গুণগতমান যেমন নিশ্চিত করতে হবে তেমনি পশু খাদ্যেরও গুণগতমান সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে। পশুর জন্য কোন খাবারটি উপযুক্ত তা গবেষণার মাধ্যমে বের করে আনার জন্য কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রতি তিনি এ সময় আহ্বান জানান। এছাড়া গবেষণার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করার জন্য বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
#
নাজমুল/শফি/রানা/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৬৬
নির্মল বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দিতে কাজ করছে সরকার
--- পরিবেশ সচিব
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন):
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও তাঁর অধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ মোশাররফ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস; বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক ড. ফাহমিদা খানম, বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক শামিমা বেগম, রাবার বোর্ডের পক্ষে মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী নিজ নিজ দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দেশবাসীর জন্য একটি নির্মল বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দিতে নিবেদিত হয়ে কাজ করছে। তিনি এ সময় তাঁর অধীন দপ্তর প্রধানগণের উদ্দেশ্যে বলেন, স্ব স্ব দপ্তরের কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসনের অঙ্গীকার পূরণে সরকারের সকল পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।
এরপর মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর প্রধানগণের মধ্য হতে শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নাম ঘোষণা করা হয়। অধীন দপ্তর প্রধানগণের মধ্যে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপসচিব জেসমিন নাহার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেন ভূঁইয়া এবং অফিস সহায়ক মোঃ আরিফ হোসাইন শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
#
দীপংকর/পাশা/শফি/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৬৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৩৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমকি ৩৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ২১ জন।
#
দাউদ/শফি/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৬৪
“স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে করণীয়” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের করণীয় শীর্ষক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালা উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাফিজুর রহমান। কর্মশালায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ অবহিতকরণ ও তা বাস্তবায়নে করনীয় বিষয়ে কার্য অধিবেশন পরিচালনা করা হয়।
কার্য অধিবেশনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে Smart Land Service Delivery বিষয়ে একটি বিশেষ সেশন পরিচালনা করা হয়।
কর্মশালায় স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাকিলা জেরিণ আহমেদসহ বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার ২০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৪, ৫ ও ৬ জুন অনুরূপ পৃথক কর্মশালায় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জিয়াউল হক, সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক মোঃ শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তরের পরিচালক এস এম নিয়ামুল পারভেজ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২০ জন করে মোট ষাটজন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ এর আওতায় এসব কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
#
রেজাউল/পাশা/সায়েম/শফি/রানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২০৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৬৩
‘জয় বাংলা’ স্লোগান স্বাধীনতাবিরোধীদের সহ্য হয় না
---গণপূর্তমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান স্বাধীনতাবিরোধীদের সহ্য হয় না। এই স্লোগান শুনলে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়।
গতকাল রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বিল্ডিং টেকনোলজি এন্ড আইডিয়া (বিটিআই) ও দ্য ডেইলি স্টারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিটিআই-দ্য ডেইলি স্টার স্টেলার ওইমেন-২০২৩’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশ অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছিলো। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু ২০০১ সালে আবার ক্ষমতার পালাবদলে দেশ পিছিয়ে পড়ে। অবশেষে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে দেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন উচ্চপদে নারীদের পদায়ন করা হয়। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলেও শতকরা ৬০ ভাগের বেশি নারী শিক্ষার্থী বিদ্যমান। মন্ত্রী বর্তমান সরকারের সাধিত দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সর্ম্পকে তাঁর বক্তব্যে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তিনি বর্ণনা করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় নারীদেরকে পুরস্কৃত করার এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি বিটিআই ও ডেইলি স্টারকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বারোটি ক্যাটেগরিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বারোজন নারী উদ্যোক্তাকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজয়ী নারীরা হলেন: অবকাঠামো উন্নয়নে শামসিন আহমেদ, প্রযুক্তিতে তাসফিয়া তাসরিন, স্থাপত্যবিদ্যায় নাজলী হুসেইন, শিক্ষায় সাদিয়া জাফরিন, সংস্কৃতিতে রিদি শেখ, বাণিজ্যে শামীমা আক্তার, ক্রীড়ায় সালমা আক্তার মনি, কৃষিতে ড. সাকিনা খানম, বিশেষ সাহিত্যে লুৎফুন্নাহার পিকি, ব্যবসায়িক উদ্যোগে মনোষিতা আয়ারনী, সমাজকল্যাণে তৌহিদা শিরোপ এবং সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য রোজিনা ইসলামকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অভ্ অনার হিসাবে বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর খান, বিশেষ অতিথি হিসাবে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, বিটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নালাকা হাতিয়ারাচ্ছি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/পাশা/সায়েম/শফি/রানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৬২
সমাজে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে ভূমিমন্ত্রীর আহ্বান
শরীয়তপুর, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন):
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, আসুন সমাজে আমরা সবাই মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাই।
আজ শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভায় অবস্থিত সর্বজনীন শিব-পার্বতী সেবা সংঘ মন্দিরের নবনির্মিত মন্দিরগৃহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার এবং সাবেক সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আসুন, আমরা মানুষকে ভালোবাসি। পৃথিবীতে আমরা কিছুক্ষণের জন্য আসি। এই সময়ের মধ্যে আমরা ভেদাভেদ ভুলে বসবাস করি। জাতির পিতার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার মূলমন্ত্র ছিল মানুষকে ভালোবাসা। তিনি দেশের মানুষকে ও প্রকৃতিকে ভালোবাসতেন - মন্ত্রী যোগ করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, স্মার্ট নাগরিক হওয়ার অন্যতম শর্ত প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাগ্রত দেশপ্রেমিক নাগরিক হতে হবে। স্মার্ট নাগরিকই প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িকতামুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অবদান রাখতে পারেন।
শরীয়তপুর জেলাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের ধারক হিসাবে উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, সমগ্র বাংলাদেশ এই ঐতিহ্য ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, নড়িয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এম ইসমাইল হক এবং নড়িয়া পৌরসভা মেয়র এডভোকেট মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্দির কমিটির সভাপতি সরোজ কুমার ভৌমিক।
#
নাহিয়ান/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৬১
সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে
--- বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন):
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি-সহ নতুন করে বিভিন্ন সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক সাক্ষাৎ করতে আসলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, জনশক্তি রপ্তানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরো শক্তিশালী করতে এভিয়েশন খাতে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চার্টার্ড ফ্লাইট চলাচল করলেও এক্ষেত্রে বিদ্যমান এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট সংশোধন করার মাধ্যমে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নিয়মিত সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে এ দেশের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এবং প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।
সাক্ষাৎকালে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া সংশোধিত এয়ার সার্ভিস চুক্তির কপি বাংলাদেশ পক্ষকে প্রেরণ করেছে। আমরা আশা করি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দুই পক্ষ বিদ্যমান বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে খুব দ্রুতই চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারব। চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে তা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। সরাসরি বিমান যোগাযোগ দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
#
তানভীর/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৬০
বাংলাদেশ থেকে আরো দক্ষ কর্মী নেবে জাপান
--- প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন):
জাপানের কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাপানের বিভিন্ন কোম্পানির ১১জন প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে আরো দক্ষ, পেশাদার, কারিগরি ও নির্মাণ শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন করার অনুরোধ জানিয়েছি।
জাপানের প্রতিনিধিদলকে তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য টিটিসির ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে তারা আগ্রহী কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং যোগ্যদের বাছাই করতে সক্ষম হবে।
জাপান প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বলা হয় তাদের পর্যাপ্ত কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন জাপানের ইউরিগুমি মেরিটাইম কোম্পানি লিমিটেডের মাসাফুমি ইউরিগুমি।
মালয়েশিয়া শ্রমবাজার পরিস্থিতি, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন ও অভিযোগ করার সময়সীমা শেষ হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে তদন্ত শেষ হওয়ার পরে এ বিষয়ে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হবে। আশা করছি, যারা দোষী আছে তাদের কী ধরনের সাজা দেয়া যায় সেই ব্যাপারে সুপারিশ থাকবে। এছাড়াও, মালয়েশিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে যারা ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
#
সৈকত/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৫৯
বাসযোগ্য শহর গড়তে জাতীয় পরিকল্পনার সাথে সমন্বয় করে মাস্টার প্ল্যান করতে হবে
--- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, একটি আধুনিক, নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে দেশের জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা করতে হবে এবং এই মাস্টার প্লান সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সুস্থ ও উন্নত জীবনযাপন করতে হলে সময়কে কাজে লাগাতে হবে। দেশ-বিদেশের উন্নত ও সমৃদ্ধ নগরগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সময়োপযোগী ও স্মার্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। নগর পরিকল্পনায় ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মাস্টার প্ল্যান করতে হবে। বাংলাদেশ যেহেতু একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ভূমির পরিমাণ কম। তাই, যেকোনো মাস্টারপ্ল্যান করতে হলে আমাদের মাথায় রাখতে হবে, ৫০ বছর পর কী হতে পারে। ১০০ বছর পরে এই প্ল্যান কতটুকু কাজে আসবে। শুধু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নগর পরিকল্পনা করলে তা ভবিষ্যতে জনগণের শুধুই ভোগান্তি বাড়াবে।
আজ গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে উপস্থিত সুধিবৃন্দের প্রতি একথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সরকার ব্যবস্থায় একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। একটা পরিকল্পনা থাকে। আমাদের সরকারেও লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গঠন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমার গ্রাম, আমার শহর বাস্তবায়ন করছি। গ্রামীণ মানুষ যাতে নগরের অধিবাসীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পায়।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে ছোট এবং ঘণবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় এতগুলো মানুষের শহরে ঠিকমতো নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। কিন্তু তারপরও আমাদের গ্রাম অঞ্চলে শহরের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা, কাজের সুযোগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গ্রাম অঞ্চলে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার এই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে যুগোপযোগী মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের জন্য স্বাগত জানান।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জায়েদা খাতুন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ হাবিবুর রহমান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উপদেষ্টা আলহাজ¦ এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
#
পবন/পাশা/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৫৮
৪৫ বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের ১৩৪ সেনা ফিরলেন নিজ নিজ দেশে
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন):
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কারাগারে বন্দি ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরেছেন। একইসাথে মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১৩৪ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও অন্যান্য সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের জাহাজ ইউএমএস শিন ডুইন (UMS Chin Dwin) ৪৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে গতকাল সিট্যুয়ে বন্দর থেকে রওনা হয়ে কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে পৌঁছে এবং আজ মিয়ানমারের ১৩৪ সেনা ও অন্যদের নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তক্রমে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হলো। মিয়ানমার অনুবিভাগের সমন্বয়ে ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিট্যুয়েস্থ বাংলাদেশ কনসুলেটের কর্মকর্তাবৃন্দ সশরীরে সিট্যুয়েতে অবস্থান করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়, সাক্ষাৎকার ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা এবং ট্রাভেল পারমিট প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অণুবিভাগের মহাপরিচালক মাইনুল কবীর জানান, তার উইংয়ের পরিচালক জাহাজে গিয়ে বাংলাদেশিদের গ্রহণ করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রত্যাগত বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অন্যান্য কাজ এবং মিয়ানমারের সেনাসহ সকলকে ফেরতদান সম্পন্ন হয়।
দেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবি’র সার্বিক সহায়তায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। উক্ত স্থানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজযোগে আগত বিজিপি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে তিন পর্যায়ে মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য মোট ৭৫২ জন সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ইতোপূর্বে ২৪ এপ্রিল মিয়ানমার হতে আরো ১৭৩ জনসহ এ বছর মোট ২১৮ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
#
আকরাম/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০57
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ