তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৬৪
শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে):
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এর সঙ্গে আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি Paul J. Thoppil, CPA এর নেতৃত্বে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ, যা কানাডাসহ বৃহৎ ও উন্নত দেশগুলোকে আকর্ষণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ অনেক দেশ বৃহৎ আকারে বিনিয়োগ করছে। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশে রয়েছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, কম মজুরিতে দক্ষ শ্রমিক এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিসহ অবকাঠামো উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছে। ইতোমধ্যে আমরা পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ বেশ কয়েকটি বড় উন্নয়ন প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আরো বেশ কয়েকটি বৃহদাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এসব বিবেচনায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য বলে পরিগণিত।
কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি Paul J. Thoppil, CPA বলেন, আমরা সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিয়োগে আগ্রহী। এর মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে ও উভয় পক্ষ লাভবান হবে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে যথা- শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও শ্রম নীতি প্রতিপালন এবং ট্যারিফ নির্ধারণ এর মতো ইস্যুগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব। তিনি আরো বলেন, কানাডা বহুসংস্কৃতিবাদ ও বৈচিত্র্যে বিশ্বাসী। বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ সেখানে দীর্ঘকাল ধরে সহাবস্থান করে আসছে। কানাডাতে দক্ষ ও বিশ্বমানের সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম রয়েছে উল্লেখ করে কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা সেক্টরে দেশটির কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর নেতৃত্বে আইসিটি বিভাগ এক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা কানাডা থেকে ভালো মানের বড় বিনিয়োগ চাই। আমরা কানাডার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান আমাদের শিল্পখাতের সার্বিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই। তিনি বলেন, পোশাক শিল্প ছাড়াও বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস্, চামড়া ও জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে শিল্পায়ন ও সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিটাক শিল্পখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিএসটিআই গুণগত মানের পণ্য উৎপাদনে নিবিড় মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে। তিনি এসময় কানাডাকে বাংলাদেশের শিল্পখাতে দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার Lilly Nicholls, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, এস এম আলম ও কামরুন নাহার সিদ্দীকা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৬৩
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসের অনন্য মাইলফলক
-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসের অনন্য মাইলফলক। তাঁর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুদৃঢ় হয়েছে। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় আইডিইবি'র মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা : মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাংবিধানিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে করনীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই মূলত বাঙালি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কুশাসনে অতিষ্ঠ বাঙালি জাতি আজ বিশ্বে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন এক জাতিতে পরিণত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত স্বাধীনতাবিরোধীদের অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীনতার মূল্যবোধে এগিয়ে নেয়ার জন্য এই দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে উন্নয়ন প্রকল্পে মেধাশ্রম দেয়ার জন্য তিনি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ইনস্টিটিউট অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) মোহাম্মদ আফিজুর রহমান।
#
এনায়েত/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৬২
রাজস্ব আহরণের জন্য করদাতাকে সেবার মাধ্যমে পুরস্কৃত করতে হবে
--- অর্থ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে):
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, রাজস্ব আহরণের জন্য করদাতাকে সেবার মাধ্যমে পুরস্কৃত করতে হবে। রাজস্ব বৃদ্ধি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার ডিজিটালাইজেশনে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। রাজস্ব আহরণের পরিকল্পনা স্মার্ট হতে হবে, তাহলেই সেটি অর্জন সম্ভব হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এর অগ্রাধিকারসমূহ বাস্তবায়নের প্রথম বাজেট এটা। এ বাজেটে রাজস্ব আদায়ে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের আলোচনায় ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ার কথা উঠে এসেছে। যদি বড় ব্যবসায়ীরা ক্যাশে ট্রানজেকশন করতে চায়, তবে আমরা কিভাবে ক্যাশলেস ইকোনোমিতে পরিণত হবো।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় লেকশোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আয়োজিত ‘ডিজিটালাইজেশন অভ্ দ্য ট্যাক্সজেশন সিস্টেম ইন বাংলাদেশ : দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার ফর হায়ার রিসোর্স মবিলাইজেশন’ ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম বক্তব্য রাখেন। কিনোট প্রেজেন্টার ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশের উন্নয়নে খাতভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ এবং দেশীয় সম্পদের পূর্ণ ব্যবহারে গুরুত্ব দেন। রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও রূপান্তরকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অভিঘাত মোকাবিলা করে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম বলেন, রাজস্ব বোর্ড কর দাতাদের করভার কমিয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে করের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আলোচনায় বক্তারা রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে রাজস্ব ব্যবস্থাপনার ডিজিটালাইজেশন ও কর প্রদান সহজ করার ওপর জোর দেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি এনরিকো লরেঞ্জো (Enrico Lorenzon) বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদল সৈয়দ খালেদ আহসান, বিজিএমই'র পরিচালক শামস মাহমুদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য (কর নীতি) মোঃ আলমগীর হোসেনসহ প্যানেলিস্ট ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
#
আলমগীর/সায়েম/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৬১
দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই
---মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
গাজীপুর, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, একটি দেশ গঠনের জন্য দক্ষ জনশক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ জনশক্তির উপর ভিত্তি করে স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।
আজ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ইউসেপ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ৫০ বছরপূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বিশ্বে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটাতে সরকার কারিগরি শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কারিগরি শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউসেপ বাংলাদেশ কার্যক্রম শুরুর দিন থেকেই দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোরদের কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে তাদের দারিদ্র্যতা বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইউসেপ বাংলাদেশ স্বাধীনতা-পরবর্তী যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অসহায় শিশুদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
প্রতিমন্ত্রী তরুণদের উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশপ্রেম শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে এবং দেশের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি এবং ইউসেপ এসোসিয়েশনের সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার, ইউসেপের সদস্য ড. ওবায়দুর রব, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়াম্যান অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নেসার ইজাজ বিজয় উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন বিকেলে প্রতিমন্ত্রী বিখ্যাত সু-ব্র্যান্ড লোট এর বৃক্ষরোপণ অভিযানের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন এবং রাউৎকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিওিপ্রস্তর স্হাপন এবং পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৩ শীর্ষক প্রকল্পের (RERMP-03) নারী কর্মীদের জমাকৃত সঞ্চয়ী টাকার চেক ও সনদ হস্তান্তর করেন। একইসাথে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ করেন।
#
নূর আলম/সায়েম/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৬০
তিনটি দিবস বাঙালির জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে
---বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
খুলনা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে):
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। বাঙালি জাতির জীবনে তিনটি প্রত্যাবর্তন দিবস গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, ১৯৮১ সালের ১৭ মে এবং ২০০৭ সালের ৭ ই মে। এই তিনটি দিবস বাঙালির জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।
মন্ত্রী গতকাল খুলনায় খালিশপুর প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলস লিঃ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সাল বাঙালি জাতির ইসিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। দেশের স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে ঘাতকচক্রের হাতে ধানমন্ডির নিজ বাসবভনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এখনো বাংলাদেশে বিচরণ করছে। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ার পৌঁছে দিয়েছেন। পহেলা জানুয়ারি প্রায় ৩৬ কোটি বই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে ৩৪ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর দিয়েছেন, ঠিকানা দিয়েছেন ও আশ্রয় দিয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়ে গিয়েছিলো, লুটপাট করেছিলো।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনার যত উন্নয়নের দৃশ্যপট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। অন্য কোনো সরকারের পক্ষে এতো উন্নয়ন হয়নি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম ছানাউল্লাহ নান্নুর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম বাশার। এ সময় খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাহমুদুল/পাশা/সায়েম/রানা/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৫৯
বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার
-তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে):
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই একসাথে ব্যর্থ হয়ে যাব। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, শুধু আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প আমরা তুলে ধরব। আবার পুনরায় জাগরণের গল্প আমরা তুলে ধরব।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অন্যায়ের সাথে আপস না করে, অন্যায়ের কাছে পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে লড়াইয়ের, সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদের এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে জয়ের গল্প, সে গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুদের কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ এমপি'র সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এমপি ও মির্জা আজম এমপি প্রমুখ।
#
ইফতেখার/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৫৮
আব্দুল গাফফার চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে):
আজ প্রখ্যাত সাহিত্যিক-সাংবাদিক-কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘আব্দুল গাফফার চৌধুরী স্মৃতি সংসদ’ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর উদ্যোগে গঠিত ‘আব্দুল গাফফার চৌধুরী স্মৃতি সংসদ’ দিবসটি পালনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে চিত্র প্রদর্শনের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ও সদস্য সচিব সামাদুল হকসহ অন্যরা।
স্মরণ সভায় স্মারক বক্তৃতা করেন লেখক-গবেষক ও রাজনীতিবিদ মোনায়েম সরকার। সভায় আব্দুল গাফফার চৌধুরীর স্মরণে বক্তব্য করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, রাশেদ খান মেনন, এমপি, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, দীপ্ত টিভির সিইও ফুয়াদ চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বিশিষ্ট অভিনেতা পীযুষ বন্দোপাধ্যায় এবং আরমা দত্ত, এমপি।
#
সৈকত/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৫৭
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মিয়ানমারের বিদায়ি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে):
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন মিয়ানমারের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত অং কিও মো (Aung Kyaw Moe)।
রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই চলমান পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. হাছান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, চলতি বছর উগান্ডায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু করতে চান বলেই মতপ্রকাশ করেছেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি অন্ততপক্ষে শুরু করার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার তাদের সদিচ্ছার স্বাক্ষর রাখতে পারে।
রাষ্ট্রদূত অং কিও মো মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের সেনাবাহিনী ও বিবদমান গোষ্ঠীগুলোর চলমান সশস্ত্র সংঘাতকে এ ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে তার দেশ এ বিষয়ে আরো সচেষ্ট হবে বলেও আশ্বাস দেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয় ছাড়াও বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিকে আলোকপাত করেন তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমন্বয় সভা
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে 'সিনিয়র অফিশিয়ালস মিটিং'য়ে সভাপতিত্ব করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান
মাহ্মুদ।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পরিচালিত এ সভায় কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন মন্ত্রী। অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম ও সকল উইংয়ের মহাপরিচালকবৃন্দ সভায় অংশ নেন।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সাথে সমন্বয়, দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকি, প্রবাসী সেবার মানবৃদ্ধি, মিশনগুলোর ট্রেড টার্গেট বাস্তবায়ন ও কার্যক্রম ইনস্পেকটর জেনারেল অভ মিশনসের মাধ্যমে পরিদর্শনসহ মন্ত্রণালয় ও এর মিশনসমূহের নানা কার্যক্রমের ওপর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী ড. হাছান।
#
আকরাম/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৫৬
সংকট গভীর হওয়ার আগেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের স্থায়ী সমাধান জরুরি
- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জ্যৈষ্ঠ (১৯ মে):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার ও উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন সংকট এখন আঞ্চলিক সংকটে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংকট আরো গভীর হতে পারে। তাই দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক মর্যাদায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা জরুরি এবং এটাই একমাত্র স্থায়ী সমাধান। একইসাথে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ভারত ও চীনকে আরো নিবিড়ভাবে যুক্ত করা গেলে সংকট দ্রুত সমাধান সম্ভব বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি।
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) -এর ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কূটনৈতিক পথ অবলম্বন করছি। একইসঙ্গে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে গেছি। 'আমরা গাম্বিয়া ও ওআইসির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করেছি, সেই মামলায় এখন পর্যন্ত যে 'আউটকাম' এসেছে, সেটি আমাদের পক্ষে' জানিয়ে তিনি বলেন, গাম্বিয়া বলেছে, মামলা সঠিক পথে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত এই মামলার ইতিবাচক আউটকাম আসবে।
ড. হাছান বলেন, আমরা আশা করছি, আইসিজে'র মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক চাপ মিয়ানমারের ওপর পড়বে। আমরা ক্রমাগতভাবে চেষ্টা করেছি, আন্তর্জাতিকভাবে যেসব দেশের প্রভাব মিয়ানমারের ওপর আছে, তাদের এই বিষয়ে যুক্ত করার। কয়দিন আগে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। তার সঙ্গেও রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পরামর্শ তিনি আমাদের দিয়েছেন।
এ সময় বছরের শুরুতে উগান্ডায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই বৈঠক থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে, আন্তর্জাতিক সমালোচনা এড়ানোর জন্য হলেও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাখাইন প্রদেশে এখন যে পরিস্থিতি, সেখানকার সেনাবাহিনী পালিয়ে আমাদের এখানে আসছে। এটিকে অন্তরায় মনে হলেও গত ৬০-৭০ বছর ধরে মিয়ানমারের পরিস্থিতি কখনোই তেমন শান্ত ছিল না। তাই এর মধ্যেই আমাদের চেষ্টা এগিয়ে নিতে হবে।’
'রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন' উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ দিতে বলেছে। ক্যাম্পে তারা কিছু কাজ করছে। কিন্তু তাদের পুরোপুরি জীবিকা নির্বাহের নিশ্চয়তা আমরা কীভাবে দেব? রোহিঙ্গাদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করা সমাধান নয়। একমাত্র সমাধান হচ্ছে সব অধিকারসহ তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন।
চলমান পাতা-২
পাতা-২
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওকাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অবস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলছে। রোহিঙ্গারা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, সন্ত্রাসী তৎপরতা, পাচারের মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। অনেকে মানব পাচারকারীদের শিকার হচ্ছেন এবং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে ভ্রমণের চেষ্টা করছে। এমনকি তারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও এনআইডি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে মানবিক দিক ও প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে জোরারোপ করেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট এখনো বিশ্বব্যাপী একটি বড় সমস্যা। এই সংকটের আরো অনেক গভীরে যেতে হবে। যত দিন যাবে এই সমস্যার গভীরতা আরো বাড়বে৷ তাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এর সমাধানে আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে একযোগে উদ্যোগী হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শুরুর দিকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক যে সমর্থন ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বব্যাপী অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর