Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৬ ডিসেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ৫৯৪৫

 

বরিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন

 

বরিশাল, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর):

 

           দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় বরিশালেও আজ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষ ও মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করা হয়।

 

           ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে পঞ্চাশ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও  ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বধ্যভুমি অভিমুখে পদযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ,  শহিদ এডিসি কাজী আজিজুল ইসলামের কবর জিয়ারত ও দোয়া করা হয়। 

 

           বরিশাল নগরের লঞ্চঘাট, ত্রিশ গোডাউন, বঙ্গবন্ধু উদ্যান এবং অভিরুচি সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে টি-২০ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। লেডিস ক্লাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, বীরত্বগাঁথা স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

           মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার, জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার, পলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেনসহ সরকারের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ বাহিনী, আনসার সদস্য, নগরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুঁচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। বিভাগীয় কমিশনার বেলুন, ফেস্টুন, ও পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্‌যাপনের উদ্বোধন করেন।

 

           বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। 

          

#

 

বশার/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২৩.০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫৯৪৪

সিউলে ‘মহান বিজয় দিবস-২০২১’ উদ্‌যাপন

সিউল (দক্ষিণ কোরিয়া), ১৬ ডিসেম্বর :

                সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে ‘মহান বিজয় দিবস-২০২১’ উদ্‌যাপন করা হয়। সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চ্যান্সারি ভবনটিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। 

          রাষ্ট্রদূত মোঃ দেলওয়ার হোসেন কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতঃপর, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

          মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্ব বিকেলে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয়। অতঃপর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি,  প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি মুক্ত আলোচনা পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। আলোচকগণ স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগ এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। 

          রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে তিনি  জাতির পিতার সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। আলোচনা পর্বের পরে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত অতিথিবৃন্দের সাথে কেক কাটেন।

          অতঃপর উপস্থিত সকলে ঢাকা থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। 

          পরবর্তীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পরিবার ও কোরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিশেষে, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনন্দঘন এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। 

#

সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/সেলিম/২০২১/২১০০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                             Number: 5943

Bangladesh Embassy celebrates 50 Years Victory of Bangladesh in Tashkent

Tashkent (Uzbekistan), December 16:

The Embassy of Bangladesh in Tashkent celebrated 50 Years of Victory of Bangladesh in a befitting manner on 16th December 2021 with due solemnity and fervor at the Chancery of the Embassy in Tashkent. Events of the day started in the morning with the hoisting of the National Flag by Md. Zahangir Alam while the National Anthem of Bangladesh was played. Expatriate Bangladeshis along with diplomats, intellectuals, cultural personalities were present on the occasion. Among others, Ambassador of Russian Federation to Uzbekistan Oleg Malginov, CDA a.i. of the Embassy of India to Uzbekistan Arif Fateed, representatives of Foreign Ministry of Uzbekistan, Former Ambassador of Uzbekistan to India Sur’at Mirkasimov, Rector of Westminster University in Tashkent Mr. Bahrom Mirkasimov, Deputy Dean at University of World Economy and Diplomacy Sayyora Tillakhodjaeva, eminent poetess, professor and awardee of “Do’stlik” (Friendship) medal Begoyim Kholbekova were present.

Afterwards, floral wreath was offered on the portrait of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman by Md. Zahangir Alam, Bangladesh Ambassador and distinguished guests.

One-minute silence in tribute to Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, his family members and martyrs of Liberation War prayers was observed.  

Event followed by reading out of the special messages of President Md Abdul Hamid, Prime Minister Sheikh Hasina, Foreign Minister and State Minister for Foreign Affairs. 

Ambassador of Bangladesh in his speech paid due respect and honour to all the martyrs whose contribution made possible a sovereign Bangladesh. He paid rich tribute to the memories of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman who inspired and led the nation in achieving the independence and to all his family members. He also mentioned with great admiration the contribution of all freedom fighters of Bangladesh and people of friendly countries in Liberation War in 1971. 

A documentary film on Liberation War was screened on this occasion.

Cultural part of the event was started with recitation of poetry dedicated to Mother Land by Miss. Umidakhon Nurmatova, student of University of World Economy and Diplomacy. It was followed by Bangla song by Miss. Shirin Habibullaeva, member of Indian Cultural Center in Tashkent. Four students of Uzbek State University of World Languages also recited poetry “Hellowed name” dedicated to Bangabandhu written by Shihab Sarkar translated by Begoyim Kholbekova in English and Uzbek. The event was flourished by Bangla dance performance of  Shirin Habibullaeva.

The second part of the event included competition in throwing ball into basket for gents and musical chair for ladies. Bangladesh and Uzbek nationals, invited guests from different countries, members of Bangladesh Community, children and officials of the Embassy with their family members participated in a festive mood in the competitions.

#

Nripendra/Sahela/Rahat/Enayet/Rafiqul/Mahmud/Salim/2021/20.00 Hrs.

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৫৯৪২

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের শপথ গ্রহণ

ঢাকা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর) :

          স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীর সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ শপথ গ্রহণ করেছেন।

          আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে শপথ বাক্য পাঠ করান। এসময় দেশবাসীর সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এই শপথ গ্রহণ করেন।

#

মোহসিন/সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৯৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৫৯৪১

উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার

প্রত্যয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শপথ গ্রহণ

ঢাকা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর) :

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণকে উপলক্ষ্য করে নতুন প্রজন্মসহ দেশবাসীকে জাতির পিতার আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার মহতী প্রয়াসে আজ বিকাল সাড়ে ৪ টায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ পরিচালনা করেন।

          সরাসরি সম্প্রচারের (লাইভ টেলিকাস্ট) মাধ্যমে এতে যুক্ত হয়ে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একাত্ম হয়ে শপথ গ্রহণ করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

          প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে তারা দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারণ করেন, ‘শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না-দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব।’

          সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নির্দেশনায় সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঢাকায় অবস্থিত সকল দপ্তর-সংস্থার প্রায় শতভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। এরপর তারা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করেন।

          উল্লেখ্য, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সরাসরি সংসদের দক্ষিণ প্লাজা  থেকে অংশগ্রহণ করেন এবং অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করেন।

#

ফয়সল/সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৯৪৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৫৯৪০

 

বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রিটোরিয়ায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন

 

প্রিটোরিয়া (১৬ ডিসেম্বর) :

          সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের লাখো শহিদের প্রতি সম্মান জানানোর মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার ভাষ্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন হাইকমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া স্থানীয় আওয়মী লীগের নেতা-কর্মীগণ এবং সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র  কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ। বাণী পাঠের পর হাইকমিশনারের পরিচালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে প্রবাসী বাংলাদেশিগণ বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে বঙ্গবন্ধুর মহান অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

          আলোচনায় অংশ নিয়ে হাইকমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের কালরাতে শাহাদত বরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যদের  স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দানকারী ত্রিশ লাখ শহিদ, সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা-বোন আর অসংখ্য যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানি শোষণ নির্যাতন থেকে মুক্ত করার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করাই একমাত্র পথ ছিল, রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তনের ক্রমাগত ব্যর্থতার বিপরীতে গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের বিশ্বস্বীকৃত অব্যাহত সাফল্যই তার প্রমাণ। এলডিসি থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণ, বাংলাদেশি টাকার মান পাকিস্তানি রুপির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হওয়া, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, উন্নয়নের সব সূচকে আমাদের এগিয়ে থাকা প্রমাণ করে যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করা ছিল একটি সময়োপযোগী ও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। তিনি আরও বলেন যে, একদার কথিত তলাবিহীন ঝুঁড়ি আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। পশ্চিমা বিশ্বই এখন বলছে যে, ২০৩২ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য তিনি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আত্মনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান।

          আলোচনা পর্ব শেষে তিনি উপস্থিত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় দিবসের কেক কাটেন এবং সবাইকে নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

#

খালেদা/সাহেলা/রাহাত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/২০০০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর: ৫৯৩৯

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর):

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৫ হাজার ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে।  এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৯ জন। 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪১ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ১১৪ জন।

#

ইউনুস/সাহেলা/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৮২৩ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৫৯৩৮

টোকিওতে বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপিত

 টোকিও, জাপান (১৬ ডিসেম্বর) :

           টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবসের ৫০ বছর বা সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। পতাকা উত্তোলন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।   

          দূতাবাসের তৃতীয় তলায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন এবছরের বিজয় দিবস উদ্যাপনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। উপস্থিত অতিথি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ভাস্কর্যটি উন্মেচন করেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।      

          পরে অনুষ্ঠিত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো সকল বীর মা-বোনদের। তিনি জাপান প্রবাসীসহ সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান।  

          রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আজ সমগ্র বিশ্বে স্বীকৃত। করোনা ভাইরাসের মহামারির সংকট মোকাবিলা করেও বাংলাদেশে আশাব্যঞ্জক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এবং বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান । 

          আলোচনা পর্বে জাপানের সংসদ সদস্য ও ফরেন এফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিনোরু কিউচি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে গিয়েছি এবং সেখানে উন্নয়ন দেখে আমি মুগ্ধ’। বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যের শিল্পী ড. ওতসুবো ওসামু, সাবেক রাষ্ট্রদূত মাতসুহিরু হরিগুচি, জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, টোকিও সেক্রেড হার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসাকি ওহাসি, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর কিওকো নিওয়া। বক্তারা দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ও বাংলাদেশের উন্নয়ন তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ হবে আরো উন্নত ও আধুনিক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের পরম বন্ধু তাকাশি হায়াকাওয়ার পুত্র ওসামু হায়াকাওয়া। এছাড়া উন্মুুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাপান প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

          এছাড়া সন্ধ্যায় বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর শপথ বাক্য পাঠের সাথে দূতাবাস পরিবারের সদস্যগণও অনলাইনে সরাসরি শপথ গ্রহণ করেন। পরে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয় দিবসের কেক কাটা হয়।

#

শিপলু/সাহেলা/রাহাত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৫৯৩৭

বিজয় দিবসে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় পতাকা ও ব্যানার প্রদর্শন

ক্যানবেরা, অস্ট্রেলিয়া (১৬ ডিসেম্বর) :

          অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনে ছিল ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কমনওয়েলথ ব্রিজের দু’পাশে আজ সকালে প্রদর্শন করা হলো ৩২টি জাতীয় পতাকা ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ ব্যানার।

          জাতীয় পতাকা ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ব্যানার এখানে সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শন করা হবে যার উপরের অংশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও ১৯৭১ সাল লেখা এবং নিচের অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও ২০২১ সাল লেখা। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেমন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর উন্নয়ন অগ্রযাত্রা শুরু হয়, তেমনই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে।

          বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার দেড় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।

          কমনওয়েলথ সড়ক সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভে আয়োজিত প্রাতঃকালীন সমাবেশ উৎসবমুখর হয় হাইকমিশন ও  প্রবাসী বাংলাদেশিদের পদচারণায়। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে

১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাংস্কৃতিক  সংগঠন ধ্রুপদ ও জলসা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন পরিবারের সদস্যরা সমবেত জাতীয় সঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

          পরে বাংলাদেশ হাইকমিশন চত্বরে হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

          সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কয়েকজন সংগীত শিল্পী দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। এছাড়া কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করা করা হয়।

#

তৌহিদুল/সাহেলা/রাহাত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৯০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৫৯৩৬

আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই হাজার বছরের

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

                                                   --  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর) :

          আজ বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজ পতাকার স্থান পাওয়ার দিন। যেসব বীর সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র এসেছে, তাঁদের শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমেই এই দিবসের মহিমা প্রকাশ পাবে আজ, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু দেশ, বহু জাতি দাসত্ব ও পরাধীনতার শেকল পরে আছে এবং তারা যুদ্ধ করে যাচ্ছে বছরের পর বছর, কিন্তু বিজয়ের মুখ দেখছে না, স্বাধীনতার সুখ তারা পাচ্ছে না। আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই হাজার বছরের পরাধীন এ জাতি আজ স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পেরেছে।

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবনে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

          এবার বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী বা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্যাপনও এই বছর অব্যাহত আছে বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জিত হয়েছে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির আত্মগৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারের অধীনে পরিচালিত দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। ৩০ লাখ শহিদের আত্মদান আর দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও গৌরবগাঁথা গণবীরত্বে পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাঙালি জাতি। ষাটের দশকে স্বাধীনতা আন্দোলন - সংগ্রামে রাজপথের লড়াকু এই সৈনিক বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ’৪৮-এ বাংলা ভাষার আন্দোলনের পথ বেয়ে ’৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ’৫৬-এর সংবিধান প্রণয়নের আন্দোলন, ’৫৮-এর মার্শাল ’ল বিরোধী আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ সালের ৬-দফার আন্দোলন, ৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান,’৭০-এর ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,’ খ্যাত কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ ও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের পথ বেয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ একটি জনযুদ্ধে রূপ নেয়।

#

শেফায়েত/সাহেলা/রাহাত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৮১০ঘণ্টা

 তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৫৯৩৫

কলকাতায় বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের উদ্বোধন

কলকাতা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর) :

          কলকাতায় বাংলাদেশের প্রথম ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

          কলকাতার সল্ট লেকের সেক্টর ফাইভের এই আবেদন কেন্দ্র থেকে প্রতি সপ্তাহের সোম থেকে শুক্রবার আবেদনকারীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নিজেদের আবেদন জমা দিতে পারবেন এবং দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিজেদের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। সব রকমের ভিসা প্রসেসিং এর জন্য মূল্য ধার্য করা হয়েছে জিএসটিসহ ৮২৬ রুপি। বর্তমানে বাংলাদেশের ভ্রমণার্থীদের ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদনের খরচের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই ফি ধার্য করা হয়েছে।

          উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন বহির্বিশ্বে স্থাপিত সব বাংলাদেশি মিশনের মধ্যে সর্বাধিক ভিসা ইস্যুকারী মিশন। ভারতীয় নাগরিকদেরকে উন্নত ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কলকাতা মিশনে ভিসা আউটসোর্সিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যেখানে ক্রমবর্ধমান সেখানে সময়োপযোগী এই সংস্কারের প্রয়োজন অনুভূত হয়। তাই ভারতে এই প্রথমবার খোলা হলো নতুন বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার।

          ১৩ হাজার বর্গ ফুটের বিশাল আয়তনের সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (ইউঠঅঈ) কলকাতার সল্টলেক সেক্টর ফাইভের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। কলকাতায় এটি হবে শহরের বৃহত্তম একদেশীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র। আবেদনকারীদের স্বাচ্ছন্দ আরো বাড়িয়ে তুলতে এই ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে থাকছে ভিসার আবেদনপত্র পূরণে সহায়তার জন্য হেল্প ডেস্ক, ফটো ডেস্ক, ফটোকপি পরিষেবা, প্রাইভেট লাউঞ্জ, কুরিয়ার পরিষেবা, ইলেক্ট্রনিক কিউইং মেশিন, ফ্রি ওয়াই ফাই, ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা। এখানে সব ধরনের কোভিড-১৯ বিধি মেনে আবেদনকারীদের সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ভারতে অবস্থিত অন্যান্য বাংলাদেশ মিশনেও অনুরূপ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে।

          আগামী সোমবার থেকে এই ভিসা সেন্টারের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। বর্তমানে ট্যুরিস্ট ভিসা ব্যতীত অন্যান্য ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। বাংলাদেশ সরকারের পরবর্তী ঘোষণা সাপেক্ষে ট্যুরিস্ট ভিসা প্রদানের উদ্যোগ

2021-12-16-17-16-0a4adcd2e17890eb7728eaa19b5e665e.doc