তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৪৯
এসডিজি অর্জনে সংসদ সদস্যগণকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে স্পিকারের আহ্বান
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সরকারের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য সংসদ সদস্যগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আজ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ইতোপূর্বে এমডিজির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সফলতা অর্জন করেছে এবং বর্তমানে এসডিজির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান। তিনি আরো বলেন, শুধু প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব নয়। বরং বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ নির্মাণই সবচেয়ে বড় কথা। তিনি এ কাজে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে এ কর্মসূচির অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে। স্পিকার আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এসডিজি বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এসডিজির লক্ষ্য ও টার্গেটগুলোকে সমন্বয় করেছে। এর ফলে এসডিজি আমাদের জন্য বাস্তবায়ন করা সহজতর হবে।
কর্মশালায় ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার এবং হুইপ মোছাঃ মাহবুব আরা বেগম গিনি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ স্বাগত বক্তব্য দেন। বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারন অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) এর সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় সংসদ সদস্যবৃন্দ অংশ নেন।
#
হুদা/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৪৮
বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বেতার সরাসরি সম্প্রচার করবে
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):
জাতীয় পর্যায়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামী ৮ মে সোমবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে নওগাঁর পতিসরে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনের অডিও আউটপুট থেকে বাংলাদেশ বেতার ঢাকা-ক অর্থাৎ ৬৯৩ কিলোহার্জে, এফ এম ৯০.০ ও ১০৩.২ মেগাহার্জে এবং ওয়েবসাইট িি.িনবঃধৎ.মড়া.নফ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করবে। বাংলাদেশ বেতার, রাজশাহী কেন্দ্রের মধ্যম তরঙ্গ ও সংশ্লিষ্ট এফ এম ব্যান্ডে অনুষ্ঠানটি ঢাকা থেকে একযোগে রিলে করবে।
#
আবদুল হক/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৯১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৪৭
উন্নয়ন কাজে আরো গতি আনতে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে
--- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, উন্নয়ন কাজে আরো গতি আনতে দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় করদাতার সংখ্যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। একই ব্যক্তির ওপর করের বোঝা বাড়াতে থাকলে দেশে উদ্যোক্তা কমে যাবে।
তিনি আজ ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন খাত শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, সরকার সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ছিন্নমূল মানুষের আবাসন নিশ্চিত করতে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষে বস্তিবাসীর জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করবে। এসব বাসায় ভাড়াভিত্তিক বসবাস করতে পারবে। সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ঢালাওভাবে ১৫ ভাগ ভ্যাট বেসরকারি আবাসনের জন্য কোনভাবেই সহায়ক হবে না।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে যেসব আবাসন গড়ে তোলা হয়, সেখানে বসবাসের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয় না। এ বিষয়ে বেসরকারি আবাসন মালিকগণ গুরুত্ব দেন না।
গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আল আমীন, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান ফারুখ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রার উপস্থাপক জিল্লুর রহমান।
#
কিবরিয়া/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৪৬
এইচবিআরআই, ক্রাউন সিমেন্ট ও জিপিএইচ ইস্পাতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):
¬¬
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), ক্রাউন সিমেন্ট ও জিপিএইচ ইস্পাতের মধ্যে আজ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলো। হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এ সমঝোতা স্মারকে এইচবিআরআইয়ের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক, ক্রাউন সিমেন্টের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান ও জিপিএইচ-এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আশরাফুজ্জামান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকের আওতায় এইচবিআরআইয়ের গবেষণা কার্যক্রমে ক্রাউন সিমেন্ট ও জিপিএইচ ইস্পাত সহায়তা করবে। একই সাথে এইচবিআরআই উদ্ভাবিত নির্মাণ উপকরণের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও তার প্রসারে সহায়তা করবে প্রতিষ্ঠান দুটি।
এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, জমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে ইট তৈরি করায় জমি উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে আগামীতে দেশ খাদ্য সংকটে পড়তে পারে। এইচবিআরআই নদী খনন করে উত্তোলন করা বালি ও পলিমাটি দিয়ে ইট তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ ইট মাটি পুড়িয়ে তৈরি করা ইটের চেয়ে দাম কম এবং ভবনের ওজন কমিয়ে দেয়। ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে ভবনের সহনশীলতা বাড়ায়। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যবহার না থাকা এবং প্রচারের অভাবে প্রযুক্তিটি জনপ্রিয় হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ জমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে ইট তৈরি বন্ধ করেছে। প্রচলিত ইটের পরিবর্তে বালি ও পলিমাটির এ ইটের ব্যবহারের বিষয়টি ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ইট ছাড়াও এইচবিআরআই বেশ কিছু নির্মাণ উপকরণ উদ্ভাবন করেছে। কিন্তু তার প্রচার না থাকায় বাণিজ্যিক উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে জিপিএইচ ইস্পাতের চেয়ারম্যান ও ক্রাউন সিমেন্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর কবীর বক্তৃতা করেন।
#
কিবরিয়া/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৪৫
স্পিকারের সাথে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লর্ডস সভার এমপি ব্যারোনেস এলিজাবেথ ব্রিজ (ইধৎড়হবংং ঊষরুধনবঃয ইবৎৎরফমব) আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। নাইজেরিয়ার সাবেক এমপি ড. ওবে জেকেউসিলি (উৎ. ঙনু ঊুবশবিংরষর) এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থিতিশীল বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এ সময় সিপিএ’র বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয় তুলে ধরেন।
সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, রাজনীতি ও সংসদীয় গণতন্ত্র সম্পর্কে বিশ্বের তরুণ সমাজকে আগ্রহী করে তুলতে সিপিএ কাজ করে যাচ্ছে। তরুণ সমাজকে গণতান্ত্রিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে বিশ্ব শান্তি সমৃদ্ধি ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে হবে ।
ব্যারোনেস এলিজাবেথ ব্রিজ বলেন, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) বিশ্বে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও গণতান্ত্রিক চর্চায় অবদান রেখে চলেছে যা প্রশংসার দাবিদার।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা ব্রিটেন ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ভবিষতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
কামাল/সেলিম/ফারহানা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৪৪
উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে সিম বিতরণের লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প (এইচএসএসপি)-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে সিম বিতরণের লক্ষ্যে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প’র পক্ষে প্রকল্প পরিচালক শ্যামা প্রসাদ বেপারী এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. গোলাম কুদ্দুস সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উপবৃত্তিগুলোর মূল লক্ষ্য মেয়েদের সাহায্য করা, যারা দারিদ্র্যের কারণে পড়ালেখা করতে পারে না। এ প্রকল্পের আওতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত ছাত্রদের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ এবং ছাত্রীদের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত মোট ৫১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখা, ঝরে পড়া রোধ এবং নারীর ক্ষমতায়নে এ প্রকল্পের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবছর ৬ লাখ শিক্ষার্থীকে এ উপবৃত্তি দেয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে তাদের উপবৃত্তির টাকা পাবে। অগ্রণী ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ করবে।
ডাক ও টেলিযেগিাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, এ সমঝোতা স্মারকের ফলে ২ লাখ ২৩ হাজার সিম বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দিন খান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল ইসলাম এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বক্তৃতা করেন। কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
আফরাজুর/নুসরাত/গিয়াস/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৬০৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৪৩
স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদেরকে প্রশিক্ষিত করা হবে
-এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটকে (এনআইএলজি) আধুনিকায়নের মাধ্যমে একটি যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিগণকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি)-র পরিচালনা বোর্ডের ৪৬ তম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন চালু করেছে। তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষে নিয়ে যেতে হলে এই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিগণ আরো সূচারুভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন।
মন্ত্রী এনআইএলজিকে গুণগত গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির ব্যাপারে নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ষাট হাজারেরও অধিক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি একযোগে দেশের জন্য কাজ শুরু করেন তাহলে দেশের উন্নয়ন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়নে সম্প্রসারিত ভবনসহ অন্যান্য সুবিধাদি বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনাধীন বলে জানান।
তিনি স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
অন্যদিকে, স্থানীয় সরকার সচিব আবদুল মালেক বলেন, এনআইএলজিকে মৌলিক গবেষণা ও উদ্ভাবনীর দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন - স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ ও এনআইএলজি’র মহাপরিচালক তপন কুমার কর্মকারসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
#
জাকির/নুসরাত/সুবর্ণা/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :১২৪২
১৫ মে থেকে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু
---প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পলিথিন ও প্লাস্টিক-ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে আগামি ১৫ মে থেকে সারাদেশব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু হবে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০ এ নির্ধারিত ১৭টি পণ্য যেমন ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা ও তুষ-খুদ-কুড়া পরিবহণ ও সংরক্ষণে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আজ সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহণ সেক্টরে জড়িত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দের এক সমন্বয়সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।
প্রতিমন্ত্রী পাটের অতীত গৌরবের বিবরণ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহেই আবার আমরা সোনালি আঁশের সুদিন এবং এর বহুমুখী ব্যবহার এমনভাবেই ফিরিয়ে আনবো যাতে জনগণ পাট উৎপাদনে আগ্রহী হয়। তিনি বর্তমানে দেশে পাট ও বস্ত্রের সংমিশ্রণে উন্নতমানের সার্ট ও প্যান্টসহ জিন্সকাপড়ের উৎপাদনের কথা উল্লেখ করে পণ্যের মোড়কে স্বাস্থ্যহানিকর পলিথিন ও প্লাস্টিকব্যাগ ব্যবহার বর্জনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এই আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশের সকল সড়কপথ, জলপথ, স্থলবন্দর, মালামাল পরিবহণকারী যানবাহন, উৎপাদনকারী, প্যাকেটজাতকারী, আমদানিকারক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। স্বরাষ্ট্র, বন ও পরিবেশ, সড়ক ও সেতু পরিবহণ, নৌপরিবহণ, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও র্যাবের সহায়তায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত অতি. সচিব কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ড. মো. মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ সমিতি, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওর্নাস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, ট্রাক এজেন্সি সমিতি, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এবং লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টোক হোল্ডারগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
জলিল/নুসরাত/আলমগীর/জসিম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫৩৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৪১
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর কৌশল প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):
রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের লক্ষ্যে এশিয়ার দেশগুলোতে সমন্বিত উৎপাদন ব্যবস্থা চালুর তাগিদ দিয়েছেন উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, প্রায় অভিন্ন ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ুর ফলে এশিয়ার দেশগুলোতে সমন্বিত উৎপাদন ব্যবস্থা পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব। এ পদ্ধতির প্রয়োগ এশিয়া অঞ্চলে কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারেও ইতিবাচক অবদান রাখবে।
জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর যৌথ উদ্যোগে এশিয়ার দেশগুলোতে ‘সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সফল দৃষ্টান্ত’ শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. দাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এনপিও’র পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এস এম আশরাফুজ্জামান এবং এপিও’র প্রতিনিধি ড. শেখ তানভীর হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। প্রায় ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ এখন দানাদার খাদ্য শস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সমন্বিত উৎপাদন ব্যবস্থা পদ্ধতির আওতায় একই সাথে ধান, হাঁস ও মাছের চাষ, খাদ্যশস্য ও প্রাণি সম্পদ উৎপাদন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্ শক্তিশালী হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে সমন্বিত উৎপাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে এশিয়া অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর কৌশল প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এশিয়ার ১৩টি দেশ থেকে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, ভারত ও স্বাগতিক বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন।
#
জলিল/নুসরাত/গিয়াস/আশরোফা/শহিদ/সুবর্ণা/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৪০
নীলফামারী জেলা পরিষদ সদস্যের শপথ গ্রহণ
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):
নীলফামারী জেলা পরিষদের নির্বাচিত ৭ নং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য মো. মিজানুর রহমানের শপথ গ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে শপথ বাক্য পাঠ করান।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
জাকির/নুসরাত/গিয়াস/আশরোফা/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩৮
বিএবি স্বীকৃত গবেষণাগারের সম্মেলন আগামীকাল
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) স্বীকৃত গবেষণাগারের সম্মেলন-২০১৭ আগামীকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। বিএবি থেকে অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত ৫০টি দেশি-বিদেশি টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন গবেষণাগারের কোয়ালিটি ম্যানেজারগণ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থার সাম্প্রতিক অবস্থা, বিএবি স্বীকৃত ল্যাবরেটরির সুবিধা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে।
#
জলিল/নুসরাত/গিয়াস/আশরোফা/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৪৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩৭
বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেডক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ৮ মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদ্যাপন করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সোসাইটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য, সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ, পৃষ্ঠপোষক ও শুভানুধ্যায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বিশ্বব্যাপী দুর্যোগকবলিত অসহায়, দুঃস্থ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ১৯৭১ সাল থেকেই বিপন্ন মানুষের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করছে।
জরুরি ত্রাণ, দুর্যোগে সাড়াদান প্রস্তুতি, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা, রক্তদান কর্মসূচি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা অর্জন, জীবন-জীবিকার মান উন্নয়ন, সহশিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও যুব রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজের মাধ্যমে এ সোসাইটি বাংলাদেশে এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আমি আশা করি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এর কার্যক্রমকে আরো সম্প্রসারিত করবে। মানুষকে আরো বেশি সেবা দিয়ে মানবতাকে সমুন্নত রাখবে। মানবসেবার পাশাপাশি আয়বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনার মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে।
আমি দিবসটিতে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা জীন হেনরি ডুনান্টের আত্মার শান্তি কামনা করছি। বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০১৭-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/নুসরাত/সুবর্ণা/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :১২৩৬
বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৮ মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ৮ মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষে আমি রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট মানবসেবার এক অনন্য হিতৈষী প্রতিষ্ঠান। যুদ্ধে আহতদের সেবার মহানব্রত নিয়ে হেনরি ডুন্যান্ট কর্তৃক ১৮৬৩ সালে গঠিত এ সংগঠনটি আজ সারাবিশ্বে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট যে কোন দুর্যোগে অসহায় মানুষের দ্রুত চিকিৎসাসেবাসহ তাদের বেঁচে থাকার মৌলিক উপকরণ সরবরাহ করে এ সংগঠনটি মানবসেবার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা খুবই প্রশংসনীয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং সদ্যস্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে এ সংগঠনটি যুদ্ধাহত মানুষের পাশে থেকে আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করেছে। হেনরি ডুন্যান্ট এর জন্মদিনে এ দিবসটি উদ্যাপিত হওয়ায় বিশ্ব বরেণ্য এ ব্যক্তির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে সক্ষম হবে এবং তাদের কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত করতে উদ্যোগী হবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশে দুর্যোগকালীন অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের কাছে তাদের সেবা পৌঁছে দিয়ে দেশবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সক্ষমতা অর্জনে এ সংগঠনটি যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তা দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি আশা করি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ও বিপন্ন মানুষের সেবায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেবা কার্যক্রম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
আমি বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস-২০১৭ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/নুসরাত/গিয়াস/শহিদ/সুবর্ণা/শামীম/২০১৭/১০৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩৫
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। বিশ্বসাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি বিস্তৃত করেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিসর। কালজয়ী এ কবি জীবন ও জগৎকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে যা তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ ও ভ্রমণ কাহিনী, সংগীত ও চিত্রকলায় সহ¯্রধারায় উৎসারিত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সাহিত্য, সংগীত ও শিল্পমাধ্যমের প্রতিটি শাখায় তাঁর অনায়াস বিচরণ সত্যিই বিস্ময়কর। বিশ্বকবির সমস্ত সৃষ্টির মূলে নিহিত মানবতাবাদ তাঁকে বিশিষ্টতা দান করেছে। শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের সাধক। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যের বৈশ্বিক যাত্রাকে বেগবান করেছেন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ২৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রবী ঠাকুরের লেখনী আমাদেরকে উজ্জীবিত করেছে। তাঁর জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। কবির প্রতি অন্তহীন ভালবাসায় ১৯৬১ সালে পাকিস্তানি শাসকচক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন করেছি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর কবিতা ও গান মুক্তিকামী বাঙালিকে উদ্দীপ্ত করেছে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। জীবনের প্রতিটি সমস্যা-সংকট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে আন্দোলিত করে।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন জীবনমুখী শিক্ষাদর্শনের পথপ্রদর্শক। তাঁর শিক্ষাভাবনা আমাদের বিজ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক শিক্ষায় অগ্রগামী হতে অনুপ্রাণিত করে।
বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের তিনি একান্ত আপনজন। শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে অবস্থানকালে এসব অঞ্চলের মাটি ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শিলাইদহ ও পতিসর অঞ্চলেই তিনি রচনা করেছিলেন ‘ছিন্নপত্র’র সিংহভাগ এবং অসামান্য কিছু গান। গ্রামীণ দরিদ্র ও অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের জন্য তাঁর পল্লিউন্নয়ন প্রচেষ্টা আজও আমাদের কাছে অনুসরণীয় হয়ে আছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কালোত্তীর্ণ এ কবির সৃষ্টিকে প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কবিগুরুর অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি জাতির পিতা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেন যা দেশের মানুষের মনে সঞ্চারিত করেছে দেশপ্রেমের নতুন প্রেরণা।
আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মননে বিশ্বকবির ব্যঞ্জনাময় উপস্থিতি শোষণ, বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতা ও অমানবিকতা প্রতিরোধের মাধ্যমে বাঙালির অগ্রযাত্রা