Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ অক্টোবর ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৯ অক্টোবর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৩৪৯

 

কলকাতায় ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে তথ্যমন্ত্রী

দুই বাংলার হৃদয়বন্ধন মানে না কাঁটাতারের বেড়া

 

কলকাতা (ভারত), ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :

 

কাঁটাতারের বেড়া কিংবা ভৌগোলিক সীমারেখা বেঁধে দিলেও এপার বাংলা-ওপার বাংলার মানুষের হৃদয়ের বন্ধন কেউ আলাদা করতে পারবে না বলেছেন কলকাতা সফররত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

আজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী আটশ’ বছরের পুরানো শহর কলকাতার রবীন্দ্র সদনে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ মৈত্রীর কথা বলেন।

 

বাঙালিরা অনেক মেধাবী উল্লেখ করে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ভারতবর্ষ থেকে যারা নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন তাদের অধিকাংশই বাঙালি। মেধায় বাঙালিরা বিশ্বের অনেককে পেছনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বের উন্নত সংস্কৃতিগুলোর অন্যতম।  ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি যেন কাঁটাতারের বেড়ায় আবদ্ধ হয়ে না যায়। শিল্পীদের ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। উত্তম-সুচিত্রা শুধু ভারতের নয়, আমরা মনে করি তারা বাংলার, তারা আমাদেরও।

 

বিশেষ অতিথি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী বাবুল সরকার বলেন, দুই দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমাদের যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে। এপার বাংলা-ওপার বাংলার শিল্পীদের মধ্যে আসলে কোনো দূরত্ব নেই।

 

সভাপতির বক্তৃতায় ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক এখনো কমেনি। দর্শকদের উৎসাহিত করতে দুই দেশের চলচ্চিত্রকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে।

 

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের
উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। শেষে দু’দেশের শিল্পীরা যৌথভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। কলকাতার নন্দন ১, ২ ও ৩ প্রেক্ষাগৃহে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৫টি চলচ্চিত্রের উন্মুক্ত প্রদর্শনী চলছে।

 

উৎসবে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে গুণিন, হৃদিতা, বিউটি সার্কাস, হাওয়া, পরাণ, পায়ের তলায় মাটি নাই, পাপ পূণ্য, কালবেলা, চন্দ্রাবতী কথা, চিরঞ্জীব মুজিব, রেহানা মরিয়ম নূর, নোনাজলের কাব্য, রাত জাগা ফুল, লাল মোরগের ঝুঁটি, গোর, গলুই, গণ্ডি, বিশ্ব সুন্দরী, রূপসা নদীর বাঁকে, শাটল ট্রেন, মনের মতো মানুষ পাইলাম না, ন-ডরাই, কমলা রকেট, গহীন বালুচর, ঊনপঞ্চাশ বাতাস। প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’, বধ্যভূমিতে একদিন, একটি দেশের জন্য গান, মধুমতি পারের মানুষটি শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে খড়, ময়না, ট্রানজিট, কোথায় পাবো তারে, ফেরা, নারী জীবন, কাগজ খেলা এবং আড়ং।

চলমান পাতা/২

 

--০২--

 

কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন’

 

এ দিন দুপুরে কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুরের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত 'বাংলাদেশের উন্নয়ন' আলোচনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন সফররত মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা বিশ্বের সকল উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে যখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, তখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম তিনটি দেশের একটি।

 

শেখ হাসিনার সরকার আঞ্চলিক উন্নয়নে বিশ্বাস করে কারণ, আঞ্চলিক উন্নয়ন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন হয় না উল্লেখ করে হাছান বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মানুষের মধ্যকার সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা এবং উন্নয়ন যাত্রায় ভারতের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে বাংলাদেশ।

 

‘সীমানা পেরিয়ে আমরা বাঙালি’

 

এর আগে সকালে স্থানীয় একটি হোটেলে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘সীমানা পেরিয়ে আমরা বাঙালি’ অনুষ্ঠানটি দুই বাংলার মিলনমেলায় পরিণত হয়।

 

ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব সভাপতি কিংশুক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ প্রধান অতিথি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী রথীন ঘোষ সম্মানিত অতিথি এবং কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং জয়া আহাসান, চঞ্চল চৌধুরী, মোশারফ করিমসহ দুই বাংলার শিল্পী ও গণমাধ্যমের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ  অনুষ্ঠানে প্রাণবন্ত মতবিনিময় করেন।

 

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, বাংলাদেশ হাই কমিশন, নয়াদিল্লীর প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

আকরাম/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আরাফাত/সেলিম/২০২২/২০২৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৪৩৪৮

ইতিহাসের সত্য তুলে ধরতে শিক্ষকগণকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে

                                                                   -ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ইসলামপুর (জামালপুর), ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, শিক্ষকগণ হলেন জাতি গঠনের মহান কারিগর। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইতিহাসের সত্য জানার বিষয়ে শিক্ষকগণকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের কথা জানতে বঙ্গবন্ধুর লিখিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

আজ ইসলামপুরে মোঃ ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইসলামপুর উপজেলা শাখা আয়োজিত ইসলামপুর উপজেলার সর্বস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লিখিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর কারাজীবনে সীমাহীন শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও কষ্টের শিকার হয়েছেন। তিনি অপমান, অবহেলাও কম সহ্য করেননি। এর মাঝেও তিনি দেশের জনগণের মুক্তি আর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখে গেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলার গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তেরো বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি, প্রযুক্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করেছে। তিনি বলেন, করোনা মহামারি উত্তর এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় আমাদেরকেও কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এ সময়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। 

সরকারি ইসলামপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এম রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. মোঃ রুহুল আমিন ফোরকান, পিএইচডি, ইউনিভার্সিটি অভ্‌ ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, ঢাকা এর চারুকলা অনুষদের চেয়ারপার্সন শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জামালপুর ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এডভোকেট মোঃ আব্দুস ছালাম। 

বই বিতরণ অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ইসলামপুর উপজেলার ১০৭টি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা ও ২৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধানের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লিখিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন।

#

আনোয়ার/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আরাফাত/শামীম/২০২২/২০২৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৪৩৪৭

 

সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে

                  ---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) : 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে অপরিহার্য। সৃষ্টিশীল সমাজ গড়তে সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে হবে।

 

আজ লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা সাহিত্য মেলা-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহমেদ শিবলী, ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হক বীর প্রতীক, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সুজন ও বাংলা একাডেমির উপপরিচালক আব্দুল্যাহ-আল ফারুক।  

 

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ ও চর্চার পরিবেশ তৈরি করে দিয়ে গেছেন। শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা মানুষকে মানবিক করে গড়ে তোলে। জঙ্গিবাদমুক্ত সৃজনশীল জাতি গঠনে সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে হবে।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, সাহিত্য মেলার মতো আয়োজন পাঠক ও লেখকদের মাঝে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করবে। নতুন প্রজন্মের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস তৈরির জন্য মন্ত্রী সকলকে আহ্বান জানান।

 

পরে মন্ত্রী সাহিত্য মেলা -২০২২ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি লালমনিরহাট জেলার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শেষ হয়।

 

                                                  # 

 

জাকির/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আরাফাত/আব্বাস/২০২২/১৮২৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪৩৪৬

 

বিএনপি দেশের মানুষকে না খাইয়ে মারতে চেয়েছে

আর প্রধানমন্ত্রী মানুষের মর্যাদা দিয়েছেন

                                ---নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর), ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) : 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। কোনো ধরনের ঝুঁকি নাই। আর এ ঝুঁকি মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপি দেশের মানুষকে না খাইয়ে মারতে চেয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের মর্যাদা দিয়েছেন। এটাকে ধরে রাখতে হবে।

আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে আব্দুর রৌফ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২’ উদযাপন উপলক্ষ্যে বোচাগঞ্জ থানা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন‍্যান্যের মধ‍্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আাসলাম, সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ আসলাম, এএসপি সার্কেল রওশন আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফছার আলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগ অধ্যাপক আবু তাহের মোঃ মামুন ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র সমাবেশে বাস মালিকরা তাদের বাসের ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে ধর্মঘট দিচ্ছে। এটার জন‍্য সরকার দায়ী নয়। বাস মালিকরা বলছে-বিএনপি গাড়ি পুড়িয়ে শ্রমিক, মালিক এবং জনসাধারণকে হত‍্যা করেছে। তারা কখনো বাস মালিক ও শ্রমিকের খোঁজখবর নেয় নাই। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্ব সংকটের সময়ে কিছু রাজনৈতিক লোক সুবিধা নিতে চাচ্ছে; রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। তারা দেশের অর্থনৈতিক সংকটের কথা বলে। আমরা বলি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক। যারা বলে স্বাভাবিক নাই তারা এদেশটাকে শ্রীলংকা বানাতে চায়। তারা ক্ষমতায় থেকে সংসদ সদস‍্যসহ রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ মানুষকে হত‍্যা করেছে। তাদের কাছে দেশের মানুষের কোনো প্রত‍্যাশা নাই। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছে তাদেরকে বিএনপি লালন পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের দমন করেছি, চিরতরে নির্মূল করতে পারিনি। আমাদের লক্ষ‍্য তাদেরকে চিরতরে নির্মূল করা। আপনারা নিশ্চিত থাকুন-তাদেরকে চিরতরে নির্মূল করব।

এর আগে কমিউনিটি পুলিশিং-ডে উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

                                                 # 

 

জাহাঙ্গীর/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আরাফাত/আব্বাস/২০২২/১৭৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৪৩৪৫

সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে

                                                          - স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বসবাসরত সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে। নাগরিক অধিকারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে রাজধানী দৃষ্টিনন্দন, নিরাপদ বাসযোগ্য ও টেকসই শহর হবে।

আজ রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্‌ প্ল্যানার্স-এ বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনঘনত্ব, বাসযোগ্যতা ও টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার হলো আমার গ্রাম আমার শহর। এর অধীনে সড়ক যোগাযোগ, ইন্টারনেট-টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সুপেয় পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হয়েছে। একটি উন্নত জীবনযাত্রার জন্য যে ব্যবস্থাপনা মানুষের প্রয়োজন তার সবই রয়েছে। গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা নিশ্চিত হলে শহরমুখী মানুষের চাপ কমবে। রাজধানীকে বাসযোগ্য করার জন্য ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ন করেছে সরকার। ড্যাপের বাস্তবায়ন রাজধানীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করবে। এটি সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে ঢাকাকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এগুলো বললে কিছু মানুষ সহ্য করতে পারে না। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের উন্নয়ন থেমে যায়। দেশ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, শিল্প-কারখানাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া জিডিপির প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থ-সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়েছে ৷

বিশেষজ্ঞ বক্তারা ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য ও টেকসই করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। আমার গ্রাম আমার শহর, বিকেন্দ্রীকরণের এবং ড্যাপ বাস্তবায়নের জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।

গোলটেবিল বৈঠকে দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্‌ প্ল্যানার্সের সভাপতি ফজলে রেজা সুমন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্‌ প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

#

রুবেল/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আরাফাত/শামীম/২০২২/১৮০৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৪৩৪৪

বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে সরকার দিন-রাত কাজ করছে

                                                                    - পরিবেশমন্ত্রী

বড়লেখা (মৌলভীবাজার), ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দিন-রাত কাজ করছে। তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও স্কুল কলেজ নির্মাণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে আরো নির্মাণ করা হবে।

আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের ধর্মদেহী-মুড়াগঞ্জ পাকা রাস্তা হতে ধর্মদেহী গ্রামের শেষ পর্যন্ত রাস্তা এবং ধর্মদেহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের গরিব ও অসহায় মানুষকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। জনগণকে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ধর্মীয় পরিচয় বিবেচনা করা হয় না। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাইকে সমানভাবে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে, আরো এগিয়ে যাবে।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উবায়েদ উল্লাহ খান ও উপজেলা কৃষি অফিসার দেবল সরকার।

এরপর মন্ত্রী অনাবাদি পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত কৃষক সমাবেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আগাম শীতকালীন সবজি বীজ বিতরণ করেন। সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত বড়লেখাস্থ ইটাউরী হাজী ইউনুস মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

#

দীপংকর/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আরাফাত/শামীম/২০২২/১৭৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৪৩৪৩

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) : 

 স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ৬৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪১৯ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮০ হাজার ১৪৮ জন।

 

                                               # 

 

কবীর/পাশা/আরাফাত/আব্বাস/২০২২/১৬৪০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                           Number : 4342

President's message on the International Collegiate Programming Contest World Finals

Dhaka, 29 October : 

            President Md. Abdul Hamid has given the following message on the occasion of the 45th International Collegiate Programming Contest (ICPC) World Finals:     

 " It is a great pleasure for me to know that The ICT Division, University of Asia Pacific and Bangladesh Computer Council are jointly hosting the 45th International Collegiate Programming Contest (ICPC) World Finals for the first time in Dhaka. I welcome and thank all the participants from home and abroad for joining this prestigious event.

ICPC is the world's largest programming contest for the college students. In this age of Globalization and Information Technology, programming is an essential tool for solving problems of diverse nature. As the world is transforming at an incredible pace, solving problems in an effective and timely manner requires greater knowledge, skills and expertise. I hope this ICPC would play a vital role as a platform for the young programmers to share and enrich their ideas and knowledge among themselves.

I have been informed that the participants are from the top ranked universities across the world and have already proven their deep coding knowledge, skills and abilities to solve intricate problems through diligence and fortitude. I believe that they would definitely become the great minds of the future to lead and provide solutions to the multidimensional problems of the world. I wish them all the success.

The ICT sector which has tremendous growth in last few years is one of the most promising sectors in Bangladesh. I hope this ICPC would play an inspirational role in motivating our young talents from ICT sectors.

I would like to express my sincere appreciation to the ICPC Foundation for selecting Dhaka to be the host of the 45th World Finals and wish the event a grand success.  

Joi Bangla.

Khoda Hafez, May Bangladesh Live Forever."

#

Hasan/Mehedi/Zulfikar/Robi/Shamim/2022/1453hours

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর:৪৩৪১

বিএনপির সন্ত্রাসী কার্যক্রম রাজপথেই মোকাবিলা করা হবে

                                                                              -এনামুল হক শামীম
শরীয়তপুর, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম  বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত। রাজপথে থেকেই আওয়ামী লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে। এ জন্য আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

আজ শরীয়তপুরের সখিপুরের চরভাগায় নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন করার লক্ষ্যে আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী শামীম বলেন, আন্দোলনের ভয় আওয়ামী লীগকে দেখিয়ে লাভ নেই। দীর্ঘ আন্দোলন, লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আজকের এ অবস্থানে এসেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারো কাছে ধরনা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করতে করতে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টাও করেছে বিএনপি। তাই এসি রুমে বসে আন্দোলনের প্রলাপ বকে। রাজপথের আন্দোলন আর এসিরুমে বসে প্রলাপ বকা এক কথা নয়। বিএনপি তো তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সারাদেশে একটা মিছিল করতে পারেনি। তারা আবার আন্দোলনের হুংকার দেয়। ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের কাছে যেতে হয়, তাদের জন্য কাজ করতে হয়। তিনি আরোও বলেন, বাঙালির সকল অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু তিলে তিলে আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ একাত্তরে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। জনগণের রায় ছাড়া কোনো প্রভু এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে না। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শক্তিই জনগণ। জনগণের রায় পঞ্চমবারের মতো শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় সরকার উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মনি'র সভাপতিত্বে সভায় স্হানীয় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

                                                   #
 গিয়াস/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/ইমা/২০২২/১৪২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর:৪৩৪০

 

৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সংস্কৃতিকে কেউ আঘাত করতে পারবেনা

                                                                          -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

দিনাজপুর, ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর):

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘যারা বলে পাকিস্তান এর থেকে ভাল ছিল, পাকিস্তানে ভাল ছিলাম, পাকিস্তান ভাল থাক’- আমরা তাদেরকে চিনি। আমরা সেদিকে তাকাবনা। আমরা ভীতসন্ত্রস্ত নই। আমরা অনেক সামরিক জান্তা দেখেছি। আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা অনেক রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে স্বাধীনতাবিরোধী নরপিশাচদের মোকাবেলা করে তাদের শাস্তির ব‍্যবস্থা করেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছি। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সংস্কৃতি পেয়েছি সে সংস্কৃতিকে কেউ আঘাত করতে পারবেনা। এ সংস্কৃতি এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল দিনাজপুরে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নবরুপী আয়োজিত ‘শাহজাহান শাহ্ ২য় নাট্যোৎসব, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যার পর  অন‍্যান‍্য অঙ্গনের মতো সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। যুব সমাজকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল।  মাদক ও অর্থ দিয়ে সমাজ ব‍্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছিল। এখন সে অবস্থানে বাংলাদেশ নেই। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা  প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটাকে ধরে রাখতে হবে। কেউ যেন আঘাত করতে না পারে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন সাহিত‍্য ও সংস্কৃতি অনুরাগী মানুষ। তিনি সাহিত‍্যকে লালন ও ধারন করেন এবং সেটাকে এগিয়ে নিতে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। দেশে সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ‍্যে প্রতিটি জেলায়  আধুনিক শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রতিটি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪৩ বছর বয়সে বাংলাদেশের মুক্তির সনদ ৬-দফা দিয়েছিলেন এবং মাত্র ছয় বছরের মধ‍্যে এ মুক্তির সনদ বাঙালি জাতি এক দফায় পরিণত করেছিল। আর তা হচ্ছে স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতার পিছনে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব‍্যক্তিদের বিশেষ ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক বিপ্লব চেয়েছিলেন, যা আমাদের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবে- যেটি মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল।

নবরুপী সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন‍্যান‍্যের মধ‍্যে বক্তব‍্য রাখেন সংসদ সদস‍্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এবং দৈনিক বিরল এর সম্পাদক ও প্রকাশক রমাকান্ত রায় প্রমুখ।

                                                   #

জাহাঙ

2022-10-29-15-40-772bab6464f495114f54be3e54be4749.docx