তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৬
দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, যারা দলের নাম ভাঙিয়ে নানা ধরনের চাঁদাবাজি করে, মানুষকে হয়রানি করে, তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘মাদক বিক্রি থেকে শুরু করে বিশেষ করে মানুষের জায়গা দখল, মানুষকে চোখ রাঙানো, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলাসহ এ ধরনের অপকর্ম যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। শরীরের কোনো অংশ পঁচে গেলে যেমন কেটে ফেলে দিতে হয়, আমরাও সেভাবে ব্যবস্থা নেবো।’
আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ঐতিহ্যবাহী রাজানগর আরএবিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে স্কুল মাঠে আয়োজিত মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলাকার মানুষের কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ সতর্কবাণী দেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সব স্কুলেরই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু শুধু সুন্দর অবকাঠামো স্কুলের মান বোঝায় না। স্কুলের মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে স্কুলে কতটুকু নৈতিকতা, দেশাত্মবোধ, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, সহমর্মিতা, গুরুজনদের প্রতি কর্তব্যবোধ শিক্ষা দেওয়া হয় এবং মেধা, মূল্যবোধ ও দেশাত্মবোধের সাথে শিক্ষার্থীদের সমন্বয় কার্যক্রম আছে কিনা সেটিও বিবেচনায় নিতে হবে।
রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আমি ঠিক করেছি আমি চিঠি দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোতে এটি জানাবো যে, শুধু ভালো রেজাল্ট ভালো মানুষ তৈরি করে না। এমন একটি স্কুল কিংবা বিদ্যানিকেতন চাই, যেখানে ঠিক মানুষ তৈরি করে, যার আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থপরতা থাকবে না। মেধা, মূল্যবোধ, মমত্ববোধ, দেশাত্মবোধের সমন্বয়ে ভালো মানুষ তৈরি করবে, এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমরা চাই৷'
বিদ্যালয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউল গনি ওসমানী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ শাহজাহান সিকদার প্রমুখ।
৭০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা র্যালি, স্মৃতিচারণ, সম্মাননা প্রদান, ম্যাগাজিন প্রকাশনা, র্যাফল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।
#
আকরাম/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৫
আইসিটি দক্ষতা এখন লিটারেসির পার্ট
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলা এবং ইংরেজি দুটোই জানতে হবে। আইসিটি দক্ষতা এখন লিটারেসির পার্ট হয়ে গেছে।
মন্ত্রী আজ গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান শেয়ারিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যগণ এই সভায় বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষায় গুণগতমান নিশ্চিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা ইতোমধ্যে একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছেন। এটি বর্তমান সময়ের চাহিদার আলোকে প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ফলে উচ্চশিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন নিশ্চিত হবে। আউটকাম বেইজড এডুকেশনকে মাথায় রেখে দেশে-বিদেশে জব মার্কেট বিশ্লেষণ করেই এই একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভাষা আমাদের জানতেই হবে। ভাষা, আইসিটি, সফ্ট স্কিল এবং এন্ট্রাপ্রেনারশিপ, কমিউনিকেশন স্কিল, ক্রিটিক্যাল থিংকিং স্কিল- এগুলো জানতে হবে। বিদেশে সফ্ট স্কিল স্কুল কলেজ থেকেই শেখানো হয়। আমাদের এখানে শেখানো হয় না।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কে হাঁস-মুরগি পালবে। আর কে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হবে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু এন্ট্রাপ্রেনারশিপ স্কিল শিখতেই হবে। আমি যদি ঘরকন্যাও করি তাতেও আমার কাজে লাগবে। সেজন্যই আমি মনে করি ভাষা, আইসিটি, সফ্ট স্কিল এবং এন্ট্রাপ্রেনারশিপ এবং মূল্যবোধ- প্রতিটি শিক্ষার্থীর অবশ্য শেখা দরকার। সে কারণেই এমবেডেড কোর্স হিসেবে শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার কারণ হচ্ছে উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগতমান উন্নয়ন হলে সারা দেশের উচ্চ শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষার্থীর জীবনে পরিবর্তন আসবে। সে জন্যই আমি মনে করি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তন বেশি জরুরি এবং তারা সেটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে করছেন।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানটা খুবই জরুরি।
#
খায়ের/পাশা/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৪
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৮২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪২ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৯২২ জন।
#
কবীর/পাশা/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২৩/১৮৪০ ঘণ্টা
Handout Number : 373
Four non-resident Ambassadors accredited to Bangladesh
call on Foreign Secretary Masud Bin Momen
Dhaka, 31 January :
Four non-resident Ambassadors accredited to Bangladesh Federico Salas Lofte, Ambassador of Mexico, Alejandro Simancas Marin, Ambassador of Cuba, Sinisa Pavic, Ambassador of Serbia and Menzie Sipho DLAMINI, High Commissioner of the Kingdom of Eswatini jointly called on Foreign Secretary (Senior Secretary) Masud Bin Momen at the Ministry of Foreign Affairs following presentation of their Letter of Credence to the President of Bangladesh at Bangabhaban.
Foreign Secretary congratulated the non-resident Ambassadors for presenting credentials. He expressed hope that they will now be able to contribute to deepening ties with Bangladesh in bilateral, regional and multilateral fronts. "Bangladesh traditionally exports RMG (contributes 84% of export), quality jute and jute products, ceramics, pharmaceuticals, frozen fish, light engineering, leather & leather goods to Europe, the USA and other destinations and is able to cater to these countries as per local requirements,' he added.
Foreign Secretary highlighted the remarkable role that our expatriates’ community is playing by sending their hard earned money for rolling the wheel of our economy and to meet up the import payment. ‘Leather, footwear, Pharmaceuticals’, light-engineering, food processing and IT can be other prospective areas of collaboration for mutual benefit of the people of these countries,’ he said.
Foreign Secretary further highlighted that the Government of Bangladesh under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina has proclaimed Vision 2041 for translating the country to a self-reliant, prosperous, equity-based and developed country by 2041. ‘The Government has introduced policies for inclusive economic growth for achieving a prosperous and modern Bangladesh, as envisioned by the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman,’ he added.
The Foreign Secretary also informed in this vein that more and more women and youth are being engaged in income generation sectors. ‘The Government has also introduced a wide range of welfare and safety net programmes. Special programmes have been undertaken for marginalized women and aged citizens. Under the leadership of Hon'ble Prime Minister, Sheikh Hasina, Bangladesh today is recognized globally as a role model for development. In the Asia Pacific region Bangladesh is among the topmost countries in terms of rate of economic growth, despite the Covid pandemic,’ he said.
Foreign Secretary welcomes the maiden visit of the Mexican Foreign Minister to Dhaka on 7-9 March 2023 when the reopening of the Argentine mission in Dhaka is likely to be announced.
#
Mohsin/Pasha/Enayet/Sanjib/Mahmud/Salim/2023/20.40 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২
বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিষয়ে সচেতনতা বেড়েছে
--- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আগে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরকে অবহেলা ও অবজ্ঞার চোখে দেখা হতো, তাদেরকে নিয়ে সচেতনতার অভাব ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিষয়ে সচেতনতা বেড়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিষয়ে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাদের বিকাশের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এ বিষয়ে সমগ্র বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাদুঘর আয়োজিত ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোর আমাদের উন্নয়নের সহযাত্রী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুস্থতায় বড়াই করার কিছু নেই। আমাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেই এ বিশেষ শিশুরা রয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এ শিশুদের সঠিক পরিচর্যা ও সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করাই সুস্থতার পরিচায়ক। তিনি বলেন, আমরা শুধু বাইরে থেকে এ শিশুদের দেখি। কিন্তু একমাত্র পিতা-মাতার পক্ষেই তাদেরকে গভীরভাবে অনুভব করা সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করছে। তাছাড়া সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু প্রমুখ। তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিশেষ শিশুদের জন্য সহযোগিতার দ্বার প্রসারিত করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী এসময় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য সবাইকে সহযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। আলোচনা করেন 'বিউটিফুল মাইন্ড' স্কুলের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকের চেয়ারম্যান ডা. শামীম মতিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতিষ্ঠান 'বিউটিফুল মাইন্ড' স্কুলের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইনের ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে 'রবিউল হুসাইনের কবিতায় জীবন-মৃত্যু ও নিঃসঙ্গতা' শীর্ষক সেমিনার, আলোচনা সভা, ‘শূন্য গর্ভ কথামালা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সংগীতানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
#
ফয়সল/পাশা/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭১
সার্বিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে সরকার
--- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
তরুণ লেখক ইমদাদ হকের লেখা সার্বিয়া ভ্রমণ বিষয়ক ‘সার্বিয়া: শুভ্র শহরের দেশে’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দূতাবাস না থাকায় সার্বিয়ার সঙ্গে আমাদের সরাসরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পণ্য আমদানিতে সার্বিয়া আগ্রহ দেখিয়েছে। সার্বিয়াতে জনশক্তি রপ্তানি বাড়াতে এবং সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এছাড়া সার্বিয়া যেনো বাংলাদেশ থেকে সরাসরি লেদার ও গার্মেন্টস পণ্য আরো নিতে পারে, সেই প্রক্রিয়াও এগিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, সার্বিয়াতে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। অনেক বড় বড় বিল্ডিং হচ্ছে। এসব কাজের জন্য তারা লোক চায়। দানিউব নদীর তীরে উন্নয়নের জন্য বড় প্রজেক্ট করছে তারা। এজন্য তারা ইলেকট্রিশিয়ান ও কন্সট্রাকশন ওয়ার্কার চায়। কিন্তু ওখানে যেতে হলে ভিসার জন্য ভারতে যেতে হয়। এটা বড় ঝামেলার। তবে দিল্লী থেকে কনস্যুলার টিম প্রেরণের ফলে ঢাকা থেকে তারা সার্বিয়ান ভিসা দিয়েছে। এর ফলে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো বাংলাদেশি সার্বিয়ায় গেছে। ওখানে কাজের অনেক সুযোগ আছে।
ড. মোমেন বলেন, সার্বিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তারা জার্মানি বা ইতালি থেকে বাংলাদেশি লেদার আর গার্মেন্টস পণ্য কেনে। সরাসরি কিনতে পারে না বলে তাদের চড়া দামে কিনতে হয়। সরাসরি বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনে কাজ চলছে। সার্বিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশে আসবেন, সেই সময় এসব বিষয় চূড়ান্ত হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি কামাল চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এসিআই অ্যাগ্রো বিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী। গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ইকতিয়ার চৌধুরী ও সাধনা আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম ও লেখক ইমদাদ হক।
ইমদাদ হকের এই বইয়ে সহজ সরল ভাষায় উঠে এসেছে সার্বিয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য, বর্তমান অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষাব্যবস্থা, খেলাধুলাসহ সব কিছু। লেখকের সার্বিয়া ভ্রমণে প্রাকৃতিক-ঐতিহাসিক নানা দৃশ্যপটের সঙ্গে নতুন উপজীব্য হয়ে ওঠে সার্বিয়ান এক তরুণী। ঠিক প্রেম নয়, প্রেমের চেয়ে কম কিছুও নয়। পার্থিব দৃশ্যপটের সঙ্গে উঠে এসেছে রোমান্সের হৃদয় ছোঁয়া-না ছোঁয়ার গল্পও। যার পুরো বর্ণনা এসেছে ‘সার্বিয়া: শুভ্র শহরের দেশে’ ভ্রমণ গদ্যে।
#
মহসীন/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৯২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭০
বাণিজ্য মেলার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে ৩০০ কোটি টাকা
--বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি):
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এবারের ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। অংশগ্রহণকারী বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ। মেলায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী এসেছেন। মেলায় কেনা-বেচা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। স্পট রপ্তানি আদেশ মিলেছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত পূর্বাচল স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্স বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ -চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতিক।
মন্ত্রী বলেন, অনেকদিন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আড়াল করে রাখার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুকে জানতে দেয়া হয়নি, ভুল তথ্য দেয়া হয়েছিল। মেলায় একটি বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়েছে, এর মাধ্যমে মেলার দর্শনার্থী এবং নতুন প্রজন্মকে জানার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। রপ্তানি ক্ষেত্রে বাণিজ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিগত বছর ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে প্রকৃত রপ্তানি হয়েছিল ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয় ১০টি সেরা প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে, দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয় ১৩টি প্যাভিলিয়ন এবং স্টলকে, তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয় ১১টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে। এছাড়া, শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা ক্যাটেগরিতে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে, বেস্ট ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে, বেস্ট ফার্নিচার উৎপাদনকারী বা রপ্তানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে এবং ইনোভেটিভ পণ্য উৎপাদনকারী বা বিক্রেতা হিসেবে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতিক এবং বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব ট্রফি বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
#
বকসী/পাশা/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/২০৪৯ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬৯
জনগণের কাছে যেতে হলে বিএনপিকে অপরাজনীতির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। আবার জনগণের কাছে যেতে হলে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে তারা যে অপরাজনীতি করেছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেগুলোর জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
আজ চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা শেষে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘সম্ভবত বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে, এজন্য হাঁটা শুরু করেছে। তারা তো আগে মিছিল করতো, এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি যে পদযাত্রা শুরু করেছে সম্ভবত তারা কারো কাছ থেকে নকল করছে।’
‘তবে বিএনপি পদযাত্রা করুক আর যেই যাত্রায় করুক না কেনো, তাদের এই যাত্রায় জনগণ তো দূরের কথা তাদের সাধারণ কর্মীরাও পদযাত্রায় শামিল হয়নি’ বলেন ড. হাছান মাহ্মুদ।
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে মন্ত্রী আবারও বলেন, ‘এই দেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই নির্বাচন হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের সব দেশেই যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই করবে।’
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তার সরকারই তখন নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বিএনপির এই পদযাত্রা, কিংবা কদিন পরে ‘বসার যাত্রা’ করবে- যে যাত্রাই করুক না কেনো, কোনো লাভ হবে না।’
তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার পছন্দ করুক সেটিই আমরা চাই।
এর আগে চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আজকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি শুভদিন, আনন্দের দিন। কারণ চট্টগ্রামে মেট্টোরেল হবে চট্টগ্রামের মানুষও অনেকে ভাবেনি, এটি আমার জন্যও আনন্দের দিন। বেশ কয়েকবছর ধরে চট্টগ্রামে মেট্টোরেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে বহুবার নিবেদন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আজকে কোরিয়ান সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু হতে যাচ্ছে।’
চট্টগ্রামকে নান্দনিক শহর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নকে যে কি পরিমাণ গুরুত্ব দেন, সেটি একটি প্রজেক্টের কথা আলোচনা করলেই বুঝতে পারবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য তিনটা প্রজেক্ট মিলিয়ে ব্যয় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার তিনি দিয়েছেন। সেই কাজগুলো চলছে, তিনটা প্রজেক্টের কাজের সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। সেই প্রজেক্টগুলো যদি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয়, আমি আশা করি আগামী বছর থেকে চট্টগ্রাম শহরে পানি উঠবে না।
মন্ত্রী বলেন, অনেকগুলো পাহাড় কাটা হয়েছে, পাহাড় কাটার কারণে নান্দনিকতা নষ্ট হয়েছে, পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরকে আরো নান্দনিক করার ক্ষেত্রে মেট্রোরেল প্রজেক্টটি অত্যন্ত সহায়ক হবে। এই শহরের লোকসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আগামী পাঁচ-দশ বছর পরে এই শহরের লোকসংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এই শহর ঘনবসতিপূর্ণ শহর। সুতরাং এখানে মেট্রোরেলের কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ঝাং কিউন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ইআরডি সচিব শরিফা খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন ও কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়াং আহ দোহ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোইকা চট্টগ্রাম মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। ৭০ কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে পরিচালিত এই স্টাডিতেই চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার উপযোগিতা, মেট্রোরেলের রুটসহ নানা বিষয় উঠে আসবে। একই সাথে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কত অর্থের প্রয়োজন তারও হিসাব দেবে কোইকো।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২৩/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬৮
আজকের শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর
--- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর আজকের শিক্ষার্থীরা। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় সোনার ছেলে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে চলেছে।
আজ রাজধানীর তেজগাঁও বিএফডিসি ৮ নম্বর ফ্লোরে ‘পার্বত্য বিতর্ক উৎসব ২০২৩’ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও সংস্কৃতিসহ কোনো দিকেই এখন আর পার্বত্য অঞ্চল পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা বিকাশে সরকার যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে এই অঞ্চল দেশের জন্য এক বিশাল সম্পদে পরিণত হবে।
এ সময় মন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন যিনি তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পর সুদীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে শোষণ বঞ্চনার শিকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নানাভাবে অবদান রাখছে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠী।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সঞ্চালনায় এ সময় প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক এডুকেশন, স্কিলস ডেভেলপমেন্ট এন্ড মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পরিচালক সাফি রহমান খান ও ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মন বক্তব্য রাখেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ‘পার্বত্য বিতর্ক উৎসব-২০২৩’ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি মাধ্যমিক বালিকায় বিদ্যালয় রানার আপ, শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় বিজয়ী দলের দলনেতা সুজাতা চাকমা। পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
রেজুয়ান/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬৭
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, যৌতুক ও বাল্যবিয়ে রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে
--- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, যৌতুক ও বাল্যবিয়ে রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এ সংক্রান্ত কমিটির মনিটরিং এবং আইনের সঠিক বা