তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৭১
মেক্সিকো-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন
মেক্সিকো, ৭ এপ্রিল :
গতকাল মেক্সিকোর পার্লামেন্টের ডেপুটি কক্ষে রোজালিন্ডা দমিঙ্গুজ ফ্লোরেসকে সভাপতি করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট মেক্সিকো-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠিত হয়েছে, যা বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এসময় ডেপুটি রোজালিন্ডা দমিঙ্গুজ ফ্লোরেস দু’দেশের মধ্যে সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন এবং সংস্কৃতি, অর্থনীতি, পরিবেশ, শিল্প, প্রযুক্তি এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ওপরে গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মেক্সিকোর পার্লামেন্টকে ধন্যবাদ জানান এবং শীঘ্রই বাংলাদেশের সংসদে বাংলাদেশ-মেক্সিকো সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরে সংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য ও আইনপ্রণেতা মার্থা অ্যালিসিয়া আরেওলা মার্টিনেজ, মার্কোস রোসেন্দো মেদিনা ফিলিগ্রানা, হোয়ানিতা গেররা মেনা এবং সান্তিয়াগো তোরেব্লাঙ্কা এঙ্গেল তাঁদের বক্তব্যে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দেন যার ভিত্তি হবে সংহতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। তাঁরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
#
অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/রবি/আসমা/২০২২/১১১৭ ঘণ্টা
Handout Number : 1485
Bangladesh Foreign Minister meets US lawmakers
Washington DC, April 7 :
Foreign Minister Dr. AK Abdul Momen, yesterday (6 April) held meetings with two US lawmakers and discussed various issues with them.
The Bangladesh Foreign Minister held separate meetings with Senator Jon Ossoff (Democrat-Georgia); and Congressman Ami Bera (Democrat-California), the Chairman of the House Foreign Affairs Subcommittee on Asia, the Pacific, Central Asia and Nonproliferation. The meetings took place at the respective offices of the Senator and the Congressman at the US Capitol.
In his meetings with the US lawmakers, Foreign Minister Momen briefed them on the impressive socioeconomic development that has taken place in Bangladesh under the dynamic and visionary leadership of Prime Minister Sheikh Hasina. The US lawmakers highly appreciated Bangladesh’s tremendous development.
Dr. Momen thankfully acknowledged the strong U.S. humanitarian and political support to Bangladesh in dealing with the Rohingya crisis created by Myanmar by forcibly displacing more than 1.1 million Myanmar nationals from Rakhine State to Bangladesh.
He requested the US lawmakers to persuade Myanmar in all possible ways to create a safe and secure environment in Rakhine State and take back all the forcibly displaced Myanmar nationals temporarily staying in Bangladesh to their homeland in Myanmar.
The US lawmakers commended Bangladesh’s generosity in hosting this huge number of Rohingyas and said that they would continue their efforts in this regard.
The Foreign Minister also called for increased trade and investment of the US in Bangladesh. He raised the issue of deportation of Rashed Chowdhury, the self-confessed killer of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, and sought the support of the Senator and the Congressman in this regard.
Seeking the US lawmakers’ support on lifting of US sanctions on RAB, the Foreign Minister expressed Bangladesh’s expectations that the sanctions on RAB would be withdrawn soon. He also sought their support to revitalize the Congressional Bangladesh Caucus.
The Foreign Minister and the US lawmakers underscored the importance of further expanding the trade and investment relations between Bangladesh and the United States and deepening the excellent partnership in the coming days.
Mahbubul Alam Hanif, Member of Parliament, M Shahidul Islam, Ambassador of Bangladesh to the United States, Shabbir Ahmad Chowdhury, Secretary (West) of the Ministry of Foreign Affairs, and officials of Bangladesh Embassy in Washington D.C. were present in the meetings.
#
Sajjad/Enayet/Mosharaf/Salim/2022/2225 Hrs.
Handout Number : 1484
8th US-Bangladesh Security Dialogue held in Washington,
US keen to enhance security cooperation with Bangladesh
Washington DC, April 7 :
The 8th round of US-Bangladesh Security Dialogue was held in Washington DC yesterday (06 April 2022) at the US Department of State. Foreign Secretary Ambassador Masud Bin Momen and US Under Secretary of State for Arms Control and International Security Ambassador Bonnie Denise Jenkins led their respective delegations.
Bangladesh side was also represented by Principal Staff Officer of the Armed Forces Division Lieutenant General Waker-Uz-Zaman, SGP, psc, Secretary of Ministry of Disaster Management and Relief Md Kamrul Hasan, NDC, Secretary of Law and Justice Division, Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs Md. Golam Sarwar; and representatives from Prime Minister’s Office, Public Security Division, Ministry of Civil Aviation and Tourism, Ministry of Defence, Bangladesh Police, Border Guard Bangladesh and Bangladesh Coast Guard.
US side was represented by, among others, Assistant Secretary Jessica Lewis and Deputy Assistant Secretary Kelley Keiderling. Foreign Secretary Masud Bin Momen and General Waker-Uz-Zaman also held a separate meeting with the US Under Secretary.
In his opening remarks, Foreign Secretary Masud stated that Bangladesh deeply values its partnership with the USA. The US delegation appreciated strong ties with Bangladesh, which is well reflected in the regular dialogues between two sides, as they opined. The daylong meeting covered areas like UN Peacekeeping, Bangladesh US Security Cooperation including cooperation in military training, maritime security, proposed defence agreements, defence purchase and capacity development etc, regional issues like Rohingya, Indo-Pacific, and counterterrorism and civilian security cooperation.
Two sides had constructive discussions on defence agreements like GSOMIA and ACSA. The US side praised Bangladesh’s successes and leadership in UN Peacekeeping Operations. They also expressed willingness to assist Bangladesh in the modernization and institutional development of its armed forces.
On Rohingya issue, the US side highly praised Bangladesh’s role, and gave ‘a big thank you’; and committed to continue all possible support. Bangladesh appreciated the determination by the US of the genocide against Rohingyas, and urged the US side to take follow up measures. On Indo-Pacific Strategy, fruitful discussion took place, and Bangladesh expressed support to inclusive socio-economic development in the Indo-Pacific region.
Bangladesh side raised deep concern regarding the sanctions on RAB and individuals, and urged US side to reconsider the decision. Detailed discussion took place on this, during which Bangladesh side highlighted RAB’s pivotal role in Bangladesh’s fight against terrorism, violent extremism and transnational crimes; and also elaborated on how the sanctions on RAB is unjustified as the personnel do not enjoy any impunity.
In conclusion, the US delegation observed that, after 50 years of the independence, Bangladesh has emerged as a responsible country and is taking part in resolving global crises and problems. Two sides agreed to continue robust cooperation in counterterrorism and transnational crimes. The US also assured about its continued support in building law enforcement and prosecutorial capacity as well as in countering violent extremism. Two sides also discussed on cooperation in aviation safety, with the view to early resumption of Dhaka - New York direct flight. Bangladesh appreciated the robust support received from the US in terms of COVID-19 vaccines.
Two sides agreed to maintain regular contact and to continue the discussion on various issues. The next Security Dialogue would be held next year in Dhaka.
#
Sajjad/Enayet/Mosharaf/Salim/2022/2210 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৮৩
করোনার পর আবার সরাসরি ক্লাস নিচ্ছেন ড. হাছান মাহ্মুদ
ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল) :
করোনার ক্রান্তিকাল শেষে আবারো ক্লাসে উপস্থিত হয়ে পাঠদান শুরু করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহ্মুদ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হিসেবে দল ও সরকারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপনায় নিয়োজিত ড. হাছান করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পর আজ বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিত হন।
কৌতুহল উদ্দীপক আঙ্গিকে পাঠদানের জন্য শিক্ষক হিসেবে জনপ্রিয় ড. হাছান মাহ্মুদের সাথে এদিন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে নির্ধারিত ক্লাস শেষে ছবি তোলে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এর আগেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও কর্নেল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অভ্ লন্ডন, দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজসহ (এনডিসি) দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে বিশেষ লেকচার প্রদানের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর শিক্ষকতা জীবনে।
'বঙ্গবন্ধু স্মরণে বরণে' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে 'বঙ্গবন্ধু স্মরণে বরণ' প্রবন্ধ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের যে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল, তা আজও আমরা ছুঁতে পারিনি।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে অগ্রগতির উদাহরণ।
এ সময় এদিনের আলোচ্য গ্রন্থটির প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য উন্নত রাষ্ট্র গড়ার পাশাপাশি একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। শুধু বস্তুগত উন্নয়নই যথেষ্ট নয়, সার্বিক উন্নয়নের জন্য এর সাথে জাতির আত্মিক উন্নয়ন আবশ্যক।
মেধা বিকাশ কেন্দ্র এক্সপার্টস একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা হাসান রহমান সম্পাদিত এ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন।
#
আকরাম/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৮২
মোংলা বন্দরের জন্য দু’টি বোলার্ড পুল টাগবোট সংগ্রহের চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল) :
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ দু’টি ৭০ টন বোলার্ড পুল টাগবোট সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। হংকং এর চিউলি শিপইয়ার্ডে টাগবোট দু’টি নির্মিত হবে। এক বছরের মধ্যে টাগবোট দু’টি মোংলা বন্দরের জাহাজ বহরে সংযোজিত হবে। টাগবোট দু’টি সংগ্রহে প্রায় ১৭৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ উপলক্ষ্যে আজ ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা এবং চিউলি শিপইয়ার্ডের পক্ষে স্থানীয় প্রতিনিধি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমীন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ্ উদ্দীন চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গভীর দেশপ্রেম, অসামান্য প্রজ্ঞা এবং সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গী ও প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা বন্দর আজ নতুন মাত্রায় উপণীত হতে চলেছে। ফলে ২০০৯ সালে সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সমুদ্র বন্দরে নতুন করে প্রাণসঞ্চার হয়। মৃতপ্রায় এ বন্দরকে জীবিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মোংলা বন্দরের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য নির্মিতব্য ২টি ৭০ টন বোলার্ড পুলের টাগবোট বাংলাদেশের এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ বোলার্ড পুল ক্ষমতাসম্পন্ন এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ টাগবোট যাতে অত্যাধুনিক জাপানি ও ইউরোপিয়ান মেশিনারি ও যন্ত্রপাতি সংযোজিত করা হবে। বর্তমানে মোংলা বন্দরে ২০ থেকে ৩০ টনের পাঁচটি টাগবোট রয়েছে। বন্দরে আগত বড় বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের নিরাপদ বার্থিং/আনবার্থিংয়ে সহায়তা প্রদানই টাগবোটের মূল কাজ।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৮১
আইনমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
দ্বিপক্ষীয় সব সমস্যা মিটিয়ে বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করতে আগ্রহী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল) :
দ্বিপক্ষীয় সব সমস্যা মিটিয়ে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্ব আরো সুদৃঢ় করার পথে হাঁটবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি হলো। সে সম্পর্ক রক্ষার জন্য আগামীতে দুই দেশের মধ্যে এখন যেসব সমস্যা আছে, তা মিটিয়ে নতুন করে বন্ধুত্ব গাঢ় করার পথে হাঁটবে দুই দেশ।
আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হ্যাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। এটি ছিল তাঁর সঙ্গে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে দু’টি নির্ধারিত এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী তাকে জানান, এই আইন কখনোই বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি। এটা সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করা হয়েছে। তিনি জানান, এর কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, অনেক দেশের সংবিধানের তুলনায় বাংলাদেশের সংবিধান আলাদা। বাংলাদেশের সংবিধানে সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতাকে আলাদাভাবে গ্যারান্টি প্রদান করা হয়েছে মৌলিক অধিকারের মাধ্যমে।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা যে জতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসের সাথে বেস্ট প্র্যাকটিসের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরামর্শক এসেছিলেন তার সঙ্গে যে আলাপ করেছি, সেগুলো উল্লেখ করেছি। এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাকে বললেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে আমাদের সহায়তা করতে চায়।’ আমি বলেছি, এটা অবশ্যই বিবেচনাধীন থাকবে।’
প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আইনজীবীদের যদি এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত করা যায়, তাহলে সেটা ভালো হবে। তারা যে জজ ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছেন, সেটাও আমি উল্লেখ করেছি। সেখানে যে বিষয়টি ওঠে এসেছে তা হচ্ছে মানব পাচার ট্রাইব্যুনালের কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে অত্যন্ত সন্তুষ্ট, সেটা তিনি বলেছেন।’যুক্তরাষ্ট্র মানব পাচার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখবেন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘আর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেবেন তারা।’
আনিসুল হক বলেন, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের দায়ের করা একটি মামলা নিয়েও আলোচনা হয়েছে, যেটা আদালতে বিচারাধীন। এ বিষয়ে বলেছি, ‘আদালত স্বাধীন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। এ মামলায় প্রসিকিউশনের দায়িত্ব যাতে সঠিকভাবে পালন করে সেটা আমরা দেখবো।’ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রদূত) উল্লেখ করেছেন, দূতাবাস হয়তো তাদের একজন আইনজীবী সেখানে নিয়োগ করতে পারেন। সেই রকম একটা পারমিশন হয়তো চাইবেন। আমি বলেছি, সেখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আলোচনার এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে । তিনি বলেন, রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে আরো আলোচনা করা হবে এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও চিঠি দেওয়া হবে।
শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আইএলও’র সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু বিষয় আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেক্ষেত্রে কী অগ্রগতি হয়েছে সেটাও আলোচনা করেছি।’
বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির এবং আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৮০
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন ডিসেম্বরের মধ্যে চালুর আশা রেলপথমন্ত্রীর
আখাউড়া, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল) :
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন আজ বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নতুন নির্মাণাধীন আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নতুন রেলপথের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন । এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে আগরতলা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে উপস্থিত সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্প নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন। এটি
উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আটটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে পাঁচটি ইতোমধ্যে চালু হয়েছে, এটি ৬ নাম্বার হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও উভয় দেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটির নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় রেলপথ মন্ত্রী এবং ভারতীয় হাইকমিশনার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিশ্চয়তা প্রদান করেন যে আগামী জুনের মধ্যে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করবে এবং এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই রেলপথ চালু করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই তিনবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঠিকাদারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যদি কাজ করতে ব্যর্থ হয় তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বহিষ্কার করে বিকল্প ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, এই রেলপথটি ভারতের অনুদানে নির্মিত হচ্ছে। রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে মাত্র ৫ কিলোমিটার ভারতের অংশ এবং বাকি বাংলাদেশ প্রান্তে। নির্মাণ এবং পরামর্শক কাজে যুক্ত রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমাকো রেল এন্ড অভ্ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৪.৫০%।
পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৭৯
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র
-- শিল্প প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল):
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, একটি দেশের অর্থনীতির গতিকে ত্বরান্বিত করতে হলে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে দক্ষ মানবসম্পদের কোনো বিকল্প নেই । সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) একদিকে দক্ষ জনবল তৈরি করছে অন্যদিকে দেশে-বিদেশে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিদেশি দক্ষ প্রশিক্ষক দিয়ে দক্ষ করে তোলার নানামুখী উদ্যোগ অবলম্বন করা জরুরি।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রে (বিটাক) আয়োজিত National Conference and Workshop on 4IR Highliting Master Trainer Trainee in Mechatronices and Automation Technology বিষয়ক জাতীয় কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের তিন দিনব্যাপীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিটাকের মহাপরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাফর উল্লাহ, জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিভূতি রায়, জার্মানির ব্রেমেন ইনস্টিটিউট অভ্ ওয়ার্কপ্লেস কোয়ালিফিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাইমুন্ড ফ্রাঙ্ক এবং এটুআই প্রজেক্টের উপপ্রকল্প পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করেছে। উচ্চ মধ্যম অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হতে হলে মানব উন্নয়নে দক্ষতার নানা দিকে নজর দিতে হবে। এজন্য সাধারণ শিক্ষার সাথে দক্ষতা উন্নয়নমূলক কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নসহ আধুনিক কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনবলের প্রসার ঘটানো একান্ত জরুরি। তিনি বলেন, দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের বেকারত্বের সমস্যা সমাধানে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে। দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি দক্ষতা নির্ভর অর্থনৈতিক কাঠামো সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে শিল্প সেক্টরে কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব এড়ানোর জন্য বিটাকের প্রশিক্ষণ কারিকুলামকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে হাল নাগাদ করতে হবে। এরফলে শিল্প কলকারখানায় উৎপাদনে অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহারে সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি হবে। ফলে বৃহৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় উৎপাদন ব্যয় এবং পণ্যের মূল্য হ্রাস পাবে। তিনি দেশ ও জাতির উন্নয়ন অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হয়ে যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
পরে তিনি বিটাকের প্রশিক্ষণের বিভিন্ন ইনস্টুমেন্টস ঘুরে দেখেন।
#
রফিকুল/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৭৮
গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় যথাসময়ে নির্বাচন
-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল) :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, গণতন্ত্রকে সংহত করতে ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারা নির্বাচনে আসবে সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।
‘২০১৪ সালের নির্বাচন কারো জন্য দাঁড়ায়নি, ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে কি উঠবে না সেটা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলো, পরে ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনের ট্রেনে গিয়েছিলো, সুতরাং নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না’ বলেন ড. হাছান।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় এবং তারা যেহেতু বারবার বিদেশিদের কাছে সববিষয় নিয়ে ধর্ণা দেয় সেই প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু মিডিয়ার সামনে একথা বলেছেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করেননি। তার বক্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত, সরকারের কিংবা আমাদের দলের বক্তব্য নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কিছু হলেই বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়, চিঠি লিখে। এমনকি বাংলাদেশকে সাহায্য দেয়া পুণর্মূল্যায়ন করার জন্য বিএনপি কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছে। বেগম খালেদা জিয়া নিজেই মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন টাইমসে এ নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন। আসলে বিএনপিকে নির্বাচনভীতিতে পেয়ে বসেছে। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন না, তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করছে। তাদের ভীতি দূর করার দায়িত্ব আমাদের নয়। তবে যারা গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, জনগণের রায়ে বিশ্বাস করে তাদের জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই। আমি আশা করবো বিএনপি নির্বাচনভীতি কাটিয়ে উঠে নির্বাচনে অংশ নেবে।’
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘তিনি ২০১৯ সালের একটি বিস্ফোরক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি আছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলাও আছে সেজন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকালের মিছিলের সাথে তার গ্রেপ্তারের কোনো সম্পর্ক নেই।’
একইসাথে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করেছিলো, যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার হুকুমদাতা, তাদেরও গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’
#
আকরাম/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৭৭
বনজঙ্গল উজাড় করায় প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে
--স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নিজেদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে পৃথিবীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। পৃথিবীর স্বাস্থ্য নষ্ট করছে আমেরিকা, চীন, ইউকে বা রাশিয়ার মতো বড় ও উন্নত রাষ্ট্রগুলো। তারা কার্বনের যত্রতত্র ব্যবহার করাসহ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। এগুলো করে তারা (উন্নত বিশ্ব) আরো উন্নত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এর প্রভাব বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে জলবায়ুর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, পৃথিবীর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। পৃথিবীর স্বাস্ব্য, প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভালো না। সারা বিশ্বে উন্নতি হচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবেশ, পানি, আবহাওয়া, মাটি সব নষ্ট হচ্ছে। এদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে, সচেতন হতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২২’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ‘সুরক্ষিত বিশ্ব, নিশ্চিত স্বাস্থ্য’ এই প্রতিপাদ্যে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়।
বাংলাদেশে বায়ু দূষণ, পানি দূষণ বা শব্দ দূষণের বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে খাদ্যে ভেজাল মেশানো বা শব্দ দূষণ কিংবা পানি দূষণ বেশি বেড়ে গেছে। শব্দ দূষণে মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়াসহ জটিল রোগ হচ্ছে। পানি দূষণের কারণে ডায়রিয়া বেড়ে গেছে। বনজঙ্গল উজাড় করা হচ্ছে। যত্রতত্র বিল্ডিং নির্মাণের কারণে বায়ু দূষণ হচ্ছে। ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে, প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। এসব কিছুর প্রভাব পড়ছে মানব দেহে। এ থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৭৬
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হাওড়ের ফসল ও মানুষ বাঁচাতে স্থায়ী ব্যবস্থা হচ্ছে
--এনামুল হক শামীম
সুনামগঞ্জ, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল) :
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে হাওড়ের ফসল ও মানুষ বাঁচাতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাওড়বাসী যেন নির্বিঘ্নে ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
আজ জেলার ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনের সময় কৃষকদের উদ্দেশে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শামীম বলেন, সারাদেশে নদীভাঙন রক্ষায় বিভিন্ন স্থায়ী প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। সারাদেশে সাড়ে পাঁচশ এলাকা নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। সবচেয়ে বেশি নদীভাঙন কবলিত ৫৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে স্থায়ী বাঁধ করা হচ্ছে, বাঁধ প্রশস্তকরণ হচ্ছে, বনায়নও