Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ মার্চ ২০১৫

তথ্যবিবরণী 14/03/2015

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর :  ৭৫২

 

৩ ও ৪ মার্চের স্থগিতকৃত এসএসসি পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ২০ ও ২১ মার্চ

 

ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ) :

 

          গত ৩ মার্চের স্থগিতকৃত এসএসসি পরীক্ষা আগামী ২০ মার্চ শুক্রবার  সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। গত ৪ মার্চের স্থগিতকৃত পরীক্ষা আগামী ২১ মার্চ শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

 

          এছাড়া, গত ৮, ১০ ও ১১ মার্চের স্থগিতকৃত পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।

 

#

 

সুবোধ/ফায়জুল/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮৪০ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :  ৭৫১

 

বর্তমান সরকার নারীসমাজের ক্ষমতায়নে বিগত

৬ বছরের বাজেটে রেকর্ড পরিমাণ অর্থবরাদ্দ দিয়েছে

                                                                            -- নানক এমপি

 

ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ) :

 

          সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার নারীসমাজের ক্ষমতায়ন, জীবনমান উন্নয়ন ও সুশিক্ষিত দক্ষ নারীসমাজ উপহার দিতে বিগত ৬ বছরের বাজেটে রেকর্ড পরিমাণ অর্থবরাদ্দ দিয়ে আসছে। এসব উদ্যোগের কারণে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ আজ দেশের মডেল নারী বিদ্যাপীঠে রূপান্তরিত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দেশেবিদেশে শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে আসছে। তিনি এ অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বিত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

 

          এমপি নানক আজ রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান, প্রধানফটক উদ্বোধন  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

 

          কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাসচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান এবং ব্যাংকার এস এম আব্দুল হামিদ।

 

          পরে এমপি নানক ও শিক্ষাসচিব কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

 

          এর আগে তিনি কলেজের প্রধান তোরণ উদ্বোধন এবং চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন বিষয়ক কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজসংলগ্ন সড়কে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

 

#

 

ফায়জুল/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর ঃ ৭৫০

 

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ
                                                               -- শিল্পমন্ত্রী


নয়াদিল্লী, ১৪ মার্চ :


ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে ব্যবসাবাণিজ্য বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরদারের লক্ষ্যে ব্যবসা অবকাঠামো, অভিবাসন, শুল্ক সুবিধা, স্থলবন্দর স্থাপনসহ অন্যান্য ইস্যুতে বাংলাদেশ অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার স্থলসীমা রয়েছে এবং প্রাকৃতিকভাবেই বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। 


শিল্পমন্ত্রী আজ ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত দশম উত্তর-পূর্ব ব্যবসা সম্মেলনের (১০ঃয ঘড়ৎঃয ঊধংঃ ইঁংরহবংং ঝঁসসরঃ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। নয়াদিল্লীর অশোক হোটেলে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের (গরহরংঃৎু ড়ভ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ ঃযব ঘড়ৎঃয ঊধংঃবৎহ জবমরড়হ) সহায়তায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অভ্ কমার্স (ওহফরধহ ঈযধসনবৎ ড়ভ ঈড়সসবৎপব) এর আয়োজন করে। 


ভারতীয় চেম্বার অভ্ কমার্সের (আইসিসি) নর্থ ইস্ট ইনিশিয়েটিভ সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান এম কে শাহারিয়ার  (MK Saharia) -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট রূপেম রায় (Roopem Roy)। এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের (Ministry of Development of the North Eastern Region/DoNER)  সচিব আর বিজয় কুমার (R Vijay Kumar)। 

অনুষ্ঠানে ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পবিষয়ক মন্ত্রী কালরাজ মিশ্র (Kalraj Mishra), বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী পি অশোক গাজাপাথি রাজু (P Ashok Gajgapathi Raju), ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লয়িনপো টানডিন ওয়াংচুক (Lyonpo Tandin Wangchuk), মিয়ানমারের মান্দালয় অঞ্চলের পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রী আং জান (Aung Zan), সাগাইন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ইউ থা আই (U Tha Aye), ভারতের আসাম প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গোগাই (Tarun Gogoi), অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম তুকি (Nabam Tuki) এবং সম্মেলন আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং (Dr. Jitendra Singh) বক্তব্য রাখেন। 


আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল এবং অবশিষ্ট এলাকার মাঝে অবস্থান করায় ব্যবসায়িক দিক থেকে এর ভৌগোলিক গুরুত্ব অনেক বেশি। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ গোটা ভারতসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে চায়। তিনি সার্ক (SAARC), আসিয়ান (ASEAN) ও বিমস্টেকভুক্ত (BIMSTEC) দেশগুলোতে ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসারের টেকসই প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি, পরিবহণ, পর্যটন ও মৎস্যসম্পদখাতের উন্নয়নে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণের তাগিদ দেন। বাংলাদেশ গত ৬ বছর ধরে ছয় শতাংশেরও বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ অঞ্চলে ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসারে আগামীদিনে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। 


উল্লেখ্য, ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে আর্থসামাজিক উন্নয়নের অংশীদারিত্ব জোরদারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে আগামীদিনে আসিয়ান (ASEAN) এবং বিমস্টেকভুক্ত (BIMSTEC) দেশগুলোর সাথে ভারতের বাণিজ্য বহুগুণ বাড়বে। এ বিবেচনায়  আসিয়ান (ASEAN)  এবং বিমস্টেকভুক্ত (BIMSTEC)  দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে শিল্প ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে এ সম্মেলন অনুুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, জাপান, নেপাল, ভুটান ও সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী, ভারতের সিকিম, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কূটনীতিক, কর্পোরেট প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, আর্থিক ও ব্যাংকিংখাতের প্রতিনিধিসহ প্রায় এক হাজার জন অংশ নিচ্ছেন। 


শিল্পমন্ত্রীর ১৬ মার্চ দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

#

জলিল/ফায়জুল/নবী/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৫/১৮২২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৭৪৯

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বানে
সারাদেশের কলেজসমূহে একযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ) :

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের অধিভুক্ত ২ হাজার ১৫৪টি কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ একযোগে হরতাল অবরোধের নামে সহিংসতা ও প্রাণহানি বন্ধের দাবি এবং নির্বিঘেœ নিরাপদে ক্লাস ও পরীক্ষাসহ শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টির অনুকূলে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসসংলগ্ন সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ এর নেতৃত্বে প্রোউপাচার্যদ্বয়, কোষাধ্যক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারী একই সময়ে অভিন্ন ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সারাদেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারী অংশগ্রহণ করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘœ সৃষ্টি ও প্রাণহানির বিষয়ে তাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন।

#

ফয়জুল/ফায়জুল/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৫/১৭৪২ ঘণ্টা

 

 
তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর :  ৭৪৮

বর্তমান সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদদের বিরুদ্ধে আপোশহীননীতি অনুসরণ করছে
                                                        -- ড. এ কে আব্দুল মোমেন

নিউইয়র্ক, ১৪ মার্চ :


বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সংবিধানের আলোকে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করে যাচ্ছে। এলক্ষ্যে সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষামিশনে অংশ নিচ্ছে। বর্তমান সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আপোশহীন নীতি অনুসরণ করছে।


যুক্তরাষ্ট্র আর্মি ওয়ার কলেজের ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদল গতকাল জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ীমিশনে পৌঁছলে বাংলাদেশের এ অবস্থান আবারো প্রতিধ্বনিত হয়েছে। আর্মি কলেজের ডেপুটি কমান্ডার কর্নেল ডেভিড ফাংক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
 

আলোচনার সূত্রপাত করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপ্রিয়। এজন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক প্রস্তাব উত্থাপন করে। যা সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এ অঙ্গীকার থেকেই বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিমিশনে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য অবদান রেখে যাচ্ছে।

অর্থনৈতিক ও সামাজিকখাতে বর্তমান সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, সরকার দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে। নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হয়েছে। এ তিনটি খাতেই নারীর অবদান প্রতিবছর বাড়ছে। বিভিন্নমুখী সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে উন্নয়নের সাথে সাথে আয় বৈষম্য হ্রাস পাচ্ছে। দারিদ্র্যের হার ২০০৮ সালের ৪০ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের লক্ষ্যভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

স্থায়ী মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম আখতারুজ্জামান, পিএসসি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৯৫ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫৪টি শান্তিমিশনে দায়িত্ব পালন করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ২০১৪ সালে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯ হাজার ৫৬৫ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ১০টি শান্তিরক্ষামিশনে কর্মরত আছেন। শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে দায়িত্বপালনের সময় এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১২৩ জন শান্তিরক্ষী জীবন বিসর্জন দিয়েছেন এবং ১৬৫ জন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

ব্রিগেডিয়ার আখতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা তাঁদের পেশাদারিত্ব, দৃঢ়তা ও মানবিক গুণাবলি প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘রোল মডেল’ এ পরিণত হয়েছে। সাধারণ জনগণ ও শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যুদ্ধরত বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে শান্তি স্থাপন করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জপূর্ণ। এ বাস্তব অবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের জন্য একটি কার্যকর ও আধুনিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছে।

উপস্থাপনার পর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের বর্তমান আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তাঁরা বহুমুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নয়ন কৌশল সম্পর্কে জানতে চান। প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও স্থায়ী প্রতিনিধি তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

#

ফায়জুল/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৫/১৭৪৬ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর ঃ  ৭৪৭

কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিতে হবে
                                                        -- সিপিএ চেয়ারপার্সন

নিউইয়র্ক, ১৪ মার্চ :


জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সরকারের প্রচেষ্টার পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ সামগ্রিক উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিতে হবে।


গতকাল স্পিকার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ীমিশনে তার সম্মানে আয়োজিত এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন।


তিনি আরো বলেন, উন্নত-অনুন্নত, ধনী-দরিদ্র সকল প্রকার দেশই কমনওয়েলথ সদস্য। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর উন্নয়নের স্বার্থে প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে হবে। সব দেশকে তাদের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং সম্পদের পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। এবছরের "The young Commonwealth" এ থিমকে সামনে রেখে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সংসদীয় উন্নয়নসহ সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তরুণ সংসদ সদস্যদের উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সফর বিনিময়ের মাধ্যমে তরুণ সংসদ সদস্যদের আরো গতিশীল করে তুলতে হবে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সংসদ ও সংসদ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সিপিএ অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে সংসদ সদস্যরা তাদের নিজ দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত ও শক্তিশালী করতে পারে। রাজনীতিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধিতেও সিপিএ কাজ করে যাচ্ছে।


এক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে তারা উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত করবে। নারীর ক্ষমতায়ন, নারীশিক্ষা উন্নয়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ আরো অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রয়েছে উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা ও অর্জন। এসকল ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সংসদ সদস্যদের স্থায়ীভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য সিপিএসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি এসময় সিপিএ কে আরো শক্তিশালী করতে কমনওয়েলথ দেশসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধিদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে কানাডা, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, উগান্ডা, মোজাম্বিক ও নামিবিয়াসহ জাতিসংঘে নিযুক্ত কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা ও উন্নয়ন সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন।


এর আগে স্পিকার আফ্রিকান ইউনিয়ন কনফারেন্স সেন্টারে কমনওয়েলথ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন আয়োজিত "Women's political leadership in delivering democracy and development in Africa" শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত বৈঠকে আফ্রিকান দেশসমূহে নারীদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব আরো বৃদ্ধির কৌশল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, নারীনেতৃত্ব বিকাশে নারীর আর্থসামাজিক রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সিপিএ কাজ করে যাছে। যার মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে নারীনেতৃত্ব বিকাশে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।


তিনি আরো বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে নারীনেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা। যার মাধ্যমে নারীরা তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি বিষয় তুলে ধরতে পারে এবং সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিসহ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে পুরুষের পাশাপাশি থেকে সকল ক্ষেত্রে নিজেদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে। এলক্ষ্যে স্পিকার কমনওয়েলথ ও আফ্রিকান ইউনিয়নকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট, আফ্রিকান ইউনিয়ন, আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়ন ও আর্থিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দ এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।


এছাড়াও আফ্রিকান ইউনিয়ন কনফারেন্স সেন্টারে স্পিকার "Universal Application of Good Practices in Rwanda"শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।


#


ফায়জুল/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৫/১৭৪০ ঘণ্টা

 

Todays handout (3).doc