তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৭
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স
---শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১ মাঘ (১৪ জানুয়ারি):
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
মন্ত্রী আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের প্রধানগণের সাথে মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন। সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় মন্ত্রণালয়ের সকল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্জন করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের শাসক নন, সেবক-এ কথাটি মনে রাখলে সকল কাজ সহজে সম্পাদন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, জনগণকে দেয়া আমাদের অঙ্গীকারসমূহ পূরণে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী শিল্পখাতের বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃজনসহ দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের সম্পদ, দেশের সম্পদ। বন্ধ শিল্প কারখানাগুলো চালু করতে হবে এবং এগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
#
মাসুম/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/২০২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৪
আইন অমান্য করে কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না
--- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
ঢাকা, ১ মাঘ (১৪ জানুয়ারি):
আইন অমান্য করে ঢাকা শহরে কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। ঝুঁকিপূর্ণ ও বসবাস অনুপযোগী পুরাতন ভবন চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহ ভেঙে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট ভবন মালিককে নির্দেশ দেওয়া হবে। নির্দেশ কার্যকর করা না হলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ভূমিকম্প বিষয়ক রাজউকের আরবান রেজিলেন্স প্রকল্পের পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। মন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত করে থাকে। এখানে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিও রয়েছে। ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হলে ভবন নির্মাণে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করতে হবে। বিধিমালা অনুসরণ করে ইমারত নির্মাণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হবে। একই সাথে এ বিষয়ে জনগণের মধ্যেও সচেতনতা গড়ে তোলা হবে।
মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যান্য দুর্যোগের মতো ভূমিকম্প মোকাবিলাতে জনগণকে আরো বেশি মাত্রায় সচেতন ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আখতার হোসেন, রাজউকের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহেদী আল আনসারী, অধ্যাপক রাকিব আহসান, জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিমিরো মেগুরো (করসরৎড় গবমঁৎড়), রাজউকের সদস্য মেজর (অব.) শামসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রকল্পের আওতায় ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা ও সিলেট শহরের ভূমিকম্পের ঝুঁকি পর্যালোচনা, এ দু’টি শহরের মাটির ঝুঁকিপূর্ণতা পর্যবেক্ষণ ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে রাজউকের নকশা অনুমোদনে অনলাইন পদ্ধতি চালু এবং প্রকৌশলী, স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। সরকার ও বিদেশি আর্থিক সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
#
কিবরিয়া/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৩
প্রেসক্লাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
রাজনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অসামান্য
ঢাকা, ১ মাঘ (১৪ জানুয়ারি):
রাজনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গণমাধ্যমের ভূমিকাকে অসামান্য বলে বর্ণনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাব ব্রিফিং লাউঞ্জে প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বৈঠকে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। কিন্তু রাজনীতি আরো ঝুঁকিপূর্ণ এবং দেশসেবার মহান ব্রত। দেশের সেবা, সমাজ পরিবর্তন এবং সমাজ উন্নয়নই হচ্ছে রাজনীতির মূল লক্ষ্য। রাজনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাহী সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনও এ বৈঠকে যোগ দেন।
সাংবাদিকদের সাথে খোলামেলা আলোচনায় ড. হাছান মাহমুদ নিজ ছাত্রজীবনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘পনের বছর বয়সে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার রাজনৈতিককর্মীর জীবন শুরু। দলের পক্ষে সাংবাদিকতাও করেছি। সে সময় প্রেস রিলিজ লিখে সংবাদপত্র অফিসগুলোতে পৌঁছাতে হয়েছে। এ কারণে সাংবাদিকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সাথে আমি পরিচিত।’
‘তথ্যমন্ত্রী হিসেবে সাংবাদিকদের সকল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আইনের মাধ্যমে সমাধানের সর্বাত্মক চেষ্টা করবো’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আবাসনসহ সাংবাদিকদের কল্যাণের বিষয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ রয়েছে। প্রেসক্লাবের ৩১তলা ভবন ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সের কাজ দ্রুততম সময়ে শুরুর লক্ষ্যেও কাজ করবে তথ্য মন্ত্রণালয়।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে সামাজিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের বিকাশ গণমাধ্যমের ক্যানভাসকেই পাল্টে দিয়েছে। যে কোনো মানুষ সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য ছাড়াই নিজস্ব মতামত ও অনুভূতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন, যা বহুমানুষ দেখতে পারে। এর মাধ্যমে গুজব রটানোর মতো অকল্যাণকর পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। এমন পরিস্থিতি আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
অনলাইন মিডিয়ার প্রয়োজন আছে, এর বিকাশও প্রয়োজন, সেই সাথে এর বিকাশটি সুষ্ঠু হওয়া প্রয়োজন বলে স্মরণ করিয়ে দেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার পূর্বসূরি একাজটি এগিয়ে নিয়েছেন, আরো কাজ রয়েছে, যা আমরা গণমাধ্যমের সাথে পরামর্শ করে সম্পাদন করবো।’
ওয়েজবোর্ডের কাজও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ওয়েজবোর্ডের শুরুতে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অন্তভর্ুুক্ত ছিল না। কিন্তু আজকের বাস্তবতায় এর প্রয়োজন আছে, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ওয়েজবোর্ডের আওতায় আসা প্রয়োজন এবং আমরা সেই বিষয়ে কাজ করবো। গণমাধ্যমকর্মী আইনটিও তথ্য, শ্রম ও আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত বৈঠকগুলোর মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত হবে। এ বিষয়েও গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তা প্রয়োজন।’
বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, মাইনুল আলম, শাহেদ চৌধুরী, ওমর ফারুক প্রমুখ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকবৃন্দ এসময় বক্তব্য রাখেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী। তথ্যসচিব আবদুল মালেক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম যেমন রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে পারে তেমনি অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে রাষ্ট্রের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। বিএফইউজে ও ডিইউজে অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সংগঠনের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেবেন বলে আমার বিশ্বাস।
বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালালের সভাপতিত্বে ও ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএফইউজে মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজের সহ-সভাপতি খন্দকার মোজাম্মেল হক, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল মজিদ, ডিইউজের যুগ্ম মহাসচিব আকতার হোসেন, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম মোস্তফা ধ্রুব, শাকিলা পারভীন, মহিউদ্দিন পলাশসহ ডিইউজের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৯৫৬ ঘণ্টা
Handout Number: 142
Estonian Prime Minister congratulates Sheikh Hasina.
Dhaka, 14 January:
Prime Minister of Estonia Jüri Ratas has congratulated Prime Minister Sheikh Hasina on her re-election as the Prime Minister of Bangladesh.
In a message, the Estonian Prime Minister has expressed his conviction that the friendly relations between Bangladesh and Estonia, based on mutual understanding and respect, would continue to develop in the years ahead.
#
Tohidul/Mahmud/Hasan/Abbas/2019/1933 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪১